<p>ভারতকে দেওয়া বিশেষ সুবিধা ‘মোস্ট ফেভারড নেশন’ (এমএফএন) তকমা বাতিল করল ইউরোপের দেশ সুইজারল্যান্ড। বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, এই পদক্ষেপ ভারতের রপ্তানি খাতের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারে।</p> <p>সুইস সরকারের এই সিদ্ধান্তের পরে, সুইজারল্যান্ডে ভারতীয় কম্পানিগুলোর জন্য উইথহোল্ডিং ট্যাক্সের হার ১০ শতাংশে এ ফিরে আসবে। পূর্বে ২০২১ সালে, এই হার কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছিল। ইন্ডিয়া টুডের খবরে এই কথা বলা হয়েছে।</p> <p>বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়ম অনুসারে, একটি দেশ যদি অন্য কোনও দেশকে এমএফএন মর্যাদা দেয়, তাহলে সেই দেশের প্রতি শুল্ক ও বাণিজ্যনীতি সম্পর্কিত বিশেষ সুবিধা প্রদান করতে হয়। এতদিন সুইজারল্যান্ড ভারতকে এই সুবিধা দিয়ে আসছিল।</p> <p>ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন (ডব্লিউটিও) নিয়ম অনুসারে, একটি দেশকে এমএফএন স্ট্যাটাস দেওয়ার জন্য শুল্ক এবং বাণিজ্য নীতি সম্পর্কিত বিশেষ সুবিধার বিধান প্রয়োজন। এমএফএন ধারা অনুযায়ী, ভারত ও কোনও তৃতীয় ওইসিডি (অরগানাইজেশন ফর ইকোনমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) দেশের মধ্যে লভ্যাংশ, সুদ, রয়্যালটি বা প্রযুক্তি সেবার ফি’র ওপর কম করের হার প্রযোজ্য হলে, তা সুইজারল্যান্ড ও ভারতের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।</p> <p>কিন্তু এ ক্ষেত্রে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের একটি রায় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ওই মামলায় সুইজারল্যান্ডভিত্তিক কম্পানি নেসলে একটি পক্ষ ছিল। ভারতীয় শীর্ষ আদালত জানান, ভারতীয় আয়কর আইনের ৯০(১) ধারা অনুযায়ী একটি প্রজ্ঞাপন ছাড়া এমন ‘দ্বৈত কর নিরসন চুক্তি’ কার্যকর হবে না।</p> <p>শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) একটি সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ের সময়, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সুইজারল্যান্ডের সিদ্ধান্তের কথা বলেছেন।</p> <p>তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি সংক্রান্ত ইএফটিএ (ইউরোপিয়ান ফ্রি ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন) কাঠামোর অধীনে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমার কাছে এ বিষয়ে কোনো আপডেট নেই। আমরা পরে বিস্তারিত জানাব।’</p> <p> সুইস ফাইন্যান্স বিভাগ বুধবার জানায়, তারা ভারতকে প্রজ্ঞাপন ছাড়া আর এমএফএন সুবিধা দেবে না। আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে একতরফা প্রয়োগ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।</p> <p>সূত্র : <br />  </p>