<p>প্রায় ১৫ মাস আগে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজার জনসংখ্যা ৬ শতাংশ কমেছে। গাজা ছেড়ে চলে গেছে প্রায় এক লাখ ফিলিস্তিনি। এ ছাড়া ধারণা করা হচ্ছে, ইসরায়েলের হামলায় ৫৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। প্যালেস্টাইন সেন্ট্রাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকস (পিসিবিএস) অনুসারে এমনটাই জানা গেছে। </p> <p>ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংখ্যার বরাত দিয়ে ব্যুরো জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ৪৫ হাজার ৫০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি নারী ও শিশু। নিখোঁজ রয়েছে ১১ হাজার। এই হিসেবে, যুদ্ধ চলাকালীন গাজার জনসংখ্যা প্রায় এক লাখ ৬০ হাজার কমে নেমে এসেছে ২১ লাখে। পিসিবিএস বলছে, যেখানে ১৮ বছরের কম বয়সী মোট শিশু এক মিলিয়নেরও বেশি বা ৪৭ শতাংশ।</p> <p>পিসিবিএস আরো জানিয়েছে, ‘ইসরায়েল গাজায় নৃশংস আগ্রাসন চালিয়েছে এবং সেখানকার মানুষ, ঘরবাড়ি থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো কিছুই হামলা থেকে বাদ পড়েনি। পুরো একটি পরিবারকেও সিভিল রেজিস্টার থেকে মুছে ফেলা হয়েছে। সেখানে বিপর্যয়কর মানবিক ও বস্তুগত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’</p> <p>এদিকে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘পিসিবিএসের দেওয়া তথ্য ইসরায়েলকে বদনাম করার জন্য এবং এটা বানোয়াট। যেখানে সব বাড়িয়ে বলা হয়েছে।’</p> <p>মৃত্যু ও ধ্বংসের মাত্রার কারণে ইসরায়েল গাজায় গণহত্যার অভিযোগের সম্মুখীন হয়েছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আইনি সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে) গত জানুয়ারিতে রায় দিয়েছেন, ‘ইসরায়েলকে অবশ্যই ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা বন্ধ করতে হবে।’</p> <p>ইসরায়েল বারবার গণহত্যার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলছে, তারা আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলে এবং তাদের আত্মরক্ষা করার অধিকার আছে। পিসিবিএস বলেছে, গাজার জনসংখ্যার প্রায় ২২ শতাংশ বর্তমানে তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এই ২২ শতাংশের মধ্যে প্রায় তিন হাজার ৫০০ শিশু অপুষ্টি এবং খাদ্যের অভাবের কারণে মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে বলে ব্যুরো জানিয়েছে।</p> <p>সূত্র : রয়টার্স<br />  </p>