ট্রাম্প কেন গাজা দখল করতে চান, চাইলেই তা পারবেন?

  • ফিলিস্তিনিদের যানবাহন তল্লাশির জন্য প্রায় ১০০ সাবেক মার্কিন বিশেষ বাহিনী নিযুক্ত
  • ট্রাম্পের মন্তব্য এত বিতর্কিত কেন?
  • যুদ্ধবিরতির শেষ পরিণতি জনশূন্য গাজা?
শেয়ার
ট্রাম্প কেন গাজা দখল করতে চান, চাইলেই তা পারবেন?
ছবিসূত্র : এএফপি

ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র সরিয়ে গাজার দখল নেওয়ার কথা জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের এমন প্রস্তাবের প্রতি তীব্র নিন্দা ও বিস্ময় প্রকাশ করেছে মানুষ। বর্তমানে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চলছে, অন্যদিকে সংঘাত-পরবর্তী গাজার ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তখনই এমন মন্তব্য করে বসলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

ট্রাম্পের এমন অস্পষ্ট প্রস্তাব মধ্যপ্রাচ্যের বিষয়ে মার্কিন নীতিতে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এ প্রস্তাব, গাজা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলের পাশাপাশি একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের অস্তিত্বের প্রয়োজনীয়তার ওপর ব্যাপক আন্তর্জাতিক ঐকমত্যকে ক্ষুণ্ণ করেছে। 

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ট্রাম্পের এই পরিকল্পনাটির প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিলেও আরব দেশসহ কিছু দেশ এবং কিছু মার্কিন মিত্র এই পরিকল্পনা পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করেছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন কেন এ কথা বললেন?

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি একটি বিষয়ে সঠিক হন তা হলো, কয়েক দশক ধরে মার্কিন কূটনীতি ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনিদের এই সংঘাতের সমাধান দিতে ব্যর্থ।

বহু শান্তি প্রস্তাব ও প্রেসিডেন্ট এসেছেন আবার চলেও গেছেন কিন্তু সমস্যাগুলো আরো তীব্র হয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের আক্রমণ এবং এর ফলে গাজায় যুদ্ধ শুরুটা ছিল এর ভয়াবহ ফলাফল।

ট্রাম্প একজন ‘প্রপার্টি ডেভেলপার’ হিসেবে লাখ লাখ ডলার আয় করেছিলেন। তিনি সেই টুপি পরে একটি পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং বলেছেন, যদি গাজা পুনর্নির্মাণ করতে হয়, তবে কিছু জায়গায় লাখ লাখ বেসামরিক লোক ধ্বংসস্তূপে আশ্রয় নেওয়ার কোনো অর্থ হয় না।

গাজা পুনর্নির্মাণের কাজটি বিশাল।

কিন্তু গাজা উপত্যকার মধ্য ও দক্ষিণ অংশের মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্র বা তাদের বাড়ির কাছাকাছি রাখার উপায় বের কারার পরিবর্তে ট্রাম্প বলেছেন, ‘তাদের স্থায়ীভাবে এই অঞ্চল ছেড়ে চলে যেতে উৎসাহিত করা উচিত।’

জাতিসংঘের অনুমান, ১৫ মাস ধরে চলা হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের পর গাজার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ভবন ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অবিস্ফোরিত অস্ত্রশস্ত্র এবং ধ্বংসস্তূপের পাহাড় অপসারণ করতে হবে। পানি এবং বিদ্যুতের লাইন মেরামত করতে হবে।

স্কুল, হাসপাতাল এবং দোকান পুনর্নির্মাণ করতে হবে।

ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফও বলেছেন, এতে বছরের পর বছর সময় লাগতে পারে এবং এটি চলতে থাকলে ফিলিস্তিনিদের কোথাও যেতে হবে। ট্রাম্পের বিশ্বাস, ফিলিস্তিনিদের অনুপস্থিতিতে আমেরিকান মালিকানাধীন ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরা’ সেই যুদ্ধের ছাই থেকে উঠে আসবে এবং হাজার হাজার কর্মসংস্থান, বিনিয়োগের সুযোগ এবং শেষ পর্যন্ত বিশ্বের মানুষের বসবাসের জন্য একটি জায়গা হয়ে উঠবে গাজা।

ট্রাম্পের মন্তব্য এত বিতর্কিত কেন?

ট্রাম্প এমন একজন প্রেসিডেন্ট, যে তার প্রথম মেয়াদের বেশির ভাগ সময় মার্কিন মধ্যপ্রাচ্যনীতিকে উল্টে দিয়েছিলেন, যার মধ্যে ছিল তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তর এবং অধিকৃত গোলান মালভূমির ওপর ইসরায়েলি সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দেওয়া।

কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট কখনো ভাবেননি যে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাত সমাধানের জন্য ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের একটি অংশ দখল করতে হবে এবং সেখানকার জনগণকে উচ্ছেদ করতে হবে। স্পষ্ট করে বলতে গেলে, বলপ্রয়োগ করে এটি করা আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন হবে।

এ প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে কিছু ফিলিস্তিনি সম্ভবত গাজা ছেড়ে অন্যত্র তাদের জীবন গোছানোর বিষয়টি মেনে নেবেন, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে প্রায় এক লাখ ৫০ হাজার ফিলিস্তিনি ইতিমধ্যেই এটি করেছে। কিন্তু অন্যরা তা চিন্তাও করতে পারবে না। কারণ তাদের আর্থিক সামর্থ্য নেই অথবা গাজার প্রতি তাদের ভালোবাসা, যে ভূখণ্ডটাকে তারা ফিলিস্তিন বলে এবং সেই অনুভূতি খুব বেশি শক্তিশালী।

গাজার বাসিন্দার মধ্যে রয়েছেন ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র গঠনের সময় পালিয়ে যাওয়া অথবা তাদের ঘরবাড়ি থেকে বিতাড়িত হওয়া লোকদের বংশধর। ফিলিস্তিনিরা ওই ঘটনাকে বা সময়কালকে ‘নাকবা’ (যার আরবি অর্থ বিপর্যয়) বলে। তাদের কাছে অন্য বিকল্পের কথা ভাবা প্রচণ্ড বেদনাদায়ক। তারা চাইবে গাজার অবশিষ্টাংশে তাদের ক্ষুদ্র জীবনকে তীব্র দৃঢ়তার সঙ্গে আঁকড়ে ধরতে। যারা ইসরায়েলের মতো তাদের নিজস্ব রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেন, তাদের জন্য এর কিছু অংশ হারানো অঙ্গচ্ছেদের মতো।

১৯৪৮ সাল থেকে গাজা পশ্চিম তীর থেকে বিচ্ছিন্ন। ট্রাম্পের ২০২০ সালের ‘ভিশন ফর পিস’ টানেল বা রেলপথের পরিকল্পনা এই দুটি অঞ্চলকে সংযুক্ত করতে পারে, কিন্তু এখন ট্রাম্প উল্টো বলছেন ফিলিস্তিনিদের গাজা নিয়ে চিরতরে হাল ছেড়ে দিতে।

ট্রাম্প বেসামরিক নাগরিকদের জোরপূর্বক নির্বাসনের পক্ষে কথা বলছেন না বলে মনে হচ্ছে (যা আন্তর্জাতিক আইনের বিরুদ্ধে), তবে ট্রাম্প স্পষ্টতই ফিলিস্তিনিদের চলে যেতে উৎসাহিত করছেন। এদিকে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা ইতিমধ্যেই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, তারা হাজার হাজার ক্যারাভ্যানের সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে, যা গাজাবাসীদের ভূখণ্ডের কম ক্ষতিগ্রস্ত অংশে থাকতে সাহায্য করতে পারত। 

অন্যদিকে ট্রাম্প যেসব আরব দেশকে গাজার ১৮ লাখ শরণার্থীকে গ্রহণ করার কথা বলেছেন, তারা বিশেষ করে মিসর এবং জর্দান এই প্রস্তাব গ্রহণ করেনি, বরং ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। 

গাজার বর্তমান অবস্থা কী?

১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধে ইসরায়েল কর্তৃক দখলের আগে গাজা ১৯ বছর ধরে মিসরের দখলে ছিল। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে, এটি এখনো ইসরায়েলের দখলে বলে বিবেচিত, তবে ইসরায়েল এর বিরোধিতা করে।

এ নিয়ে ইসরায়েলের যুক্তি, ২০০৫ সালে সেই দখলদারির অবসান ঘটেছে। যখন তারা একতরফাভাবে ইহুদি বসতি ভেঙে দিয়েছিল এবং তাদের সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। তবে বেড়া এবং ইসরায়েলি সামুদ্রিক অবরোধে বহির্বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন গাজা। এটি কখনো সত্যিকারের স্বাধীন অঞ্চল বলে মনে হয়নি।

ইসরায়েলের অনুমতি ছাড়া গাজাবাসী গাজার ভেতরে বা বাইরে যাতায়াত করতে পারে না। ১৯৯৮ সালে ব্যাপক আন্দোলনের মধ্যে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর খোলা হয়েছিল কিন্তু ইসরায়েল সেটাও ধ্বংস করে দেয়। ২০০১ সালে দ্বিতীয় ফিলিস্তিনি বিদ্রোহের সময় ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি ধ্বংস করে দেয়। জাতিসংঘের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ সদস্য গাজাকে সার্বভৌম ফিলিস্তিনের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেয়নি।

২০০৬ সালে হামাস ফিলিস্তিনি নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল। এর পরের বছর তীব্র লড়াই হয় এবং হামাসের প্রতিদ্বন্দ্বীদের এলাকা থেকে বিতাড়িত করার পর নিরাপত্তার কারণে ইসরায়েল এবং মিসর গাজার ওপর অবরোধ আরোপ করে। সর্বশেষ যুদ্ধের অনেক আগে থেকেই ফিলিস্তিনিরা গাজাকে একটি উন্মুক্ত কারাগার হিসেবে বিবেচনা করতে শুরু করেছিল।

ট্রাম্প কি চাইলে গাজা দখল করতে পারবেন?

এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, এই ভূখণ্ডের ওপর আমেরিকার কোনো আইনি দাবি নেই। তবে ট্রাম্প কোন আইনে কিভাবে আমেরিকান শাসন এ ভূখণ্ডে চাপিয়ে দিতে চান, তা মোটেও স্পষ্ট নয়।

যুদ্ধ-পরবর্তী গাজার শাসনব্যবস্থার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। গত ডিসেম্বরে দুটি প্রধান ফিলিস্তিনি দল হামাস এবং ফাতাহ প্রশাসন তদারকির জন্য একটি যৌথ কমিটি গঠনে সম্মত হয়েছিল, কিন্তু চুক্তিটি এখন পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে। অন্য সময়ে এ আলোচনাগুলো একটি আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী তৈরির ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে, সম্ভবত তা আরব দেশগুলোর সেনাদের নিয়েই গঠিত হবে।

গত মাসে রয়টার্স জানিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল গাজায় একটি অস্থায়ী প্রশাসন গঠনের বিষয়ে আলোচনা করেছে। তারা কাজ করবে, যতক্ষণ না একটি সংস্কারকৃত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) দায়িত্ব গ্রহণের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। তবে ইতিমধ্যেই পশ্চিম তীরের কিছু অংশ তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আগে প্রকাশ্যে জোর দিয়ে বলেছিলেন, যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা পরিচালনায় পিএ-এর কোনো ভূমিকা থাকবে না।

মূলত, আমেরিকান সেনারা ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছে। একটি মার্কিন নিরাপত্তা সংস্থা গাজা শহরের দক্ষিণে একটি গুরুত্বপূর্ণ চেকপয়েন্টের তদারকি এবং অস্ত্রের জন্য উত্তরে ফিরে আসা ফিলিস্তিনিদের যানবাহন তল্লাশি করার জন্য প্রায় ১০০ জন সাবেক মার্কিন বিশেষ বাহিনী নিযুক্ত করেছে। একই চেকপয়েন্টে মিসরীয় নিরাপত্তাকর্মীদেরও দেখা গেছে।

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতির কি কোনো প্রভাব থাকতে পারে?

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে দুই সপ্তাহ ধরে চলমান যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা সবেমাত্র শুরু হয়েছে, কিন্তু ট্রাম্পের বোমা ফাটানোর মতো মন্তব্য কিভাবে তা এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে তা বোঝা কঠিন। যদি হামাস মনে করে যে এই পুরো প্রক্রিয়ার শেষ পরিণতি জনশূন্য গাজা, তাহলে ঘটনা কোন দিকে গড়াবে তা বোঝা মুশকিল। 

নেতানিয়াহুর সমালোচকরা তাকে আলোচনা ভেঙে দেওয়ার এবং যুদ্ধ পুনরায় শুরু করার জন্য অজুহাত খুঁজছেন বলে অভিযোগ করেছেন। তারা এটা মনে করতে পারেন, ট্রাম্পও নেতানিয়াহুর একজন ইচ্ছুক সহযোগী। অন্যদিকে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর ডানপন্থী সমর্থকরা মার্কিন দখল পরিকল্পনার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। যার ফলে মন্ত্রিসভার পদত্যাগের ঝুঁকি হ্রাস পাবে এবং নেতানিয়াহুর তাৎক্ষণিক রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ আরো নিশ্চিত হয়ে উঠবে। এই অর্থে, ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে যুদ্ধবিরতি অব্যাহত রাখার জন্য একটি শক্তিশালী প্রণোদনা দিয়েছেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প পশ্চিম তীর সম্পর্কে কী বলেছেন?

অধিকৃত পশ্চিম তীরের ওপর ইসরায়েলি সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে তিনি কি একমত, জানতে চাইলে ট্রাম্প উত্তর দেন, তিনি এখনো কোনো চিন্তা করেননি, তবে চার সপ্তাহের মধ্যে তিনি একটি ঘোষণা দেবেন। এই মন্তব্য ফিলিস্তিনিদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। অনেকে এ ধরনের ঘোষণা অনিবার্যভাবে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের কফিনের আরেকটি পেরেক হিসেবে দেখবে।

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের বসতি স্থাপনের বৈধতার স্বীকৃতি দেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে বিষয়টিকে অবৈধ বলে মনে করে, যদিও ইসরায়েল এর বিরোধিতা করে আসছে। পূর্ববর্তী শান্তি আলোচনার সময় আলোচকরা স্বীকার করেছিলেন, ইসরায়েল একটি চূড়ান্ত চুক্তির অংশ হিসেবে বৃহৎ বসতি স্থাপন ধরে রাখতে পারবে, সম্ভবত ইসরায়েলি ভূখণ্ডের ছোট অংশের বিনিময়ে।

সূত্র : বিবিসি

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা দপ্তরই তুলে দিতে চান ট্রাম্প

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা দপ্তরই তুলে দিতে চান ট্রাম্প
সংগৃহীত ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগ (ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব এডুকেশন) ভেঙে দিতে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যেখানে বলা হয়েছে, শিক্ষা দপ্তরকেই গুটিয়ে ফেলা হবে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এই আদেশে স্বাক্ষর করেন তিনি।

নির্বাহী আদেশে সই করার পর ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিক্ষা দপ্তর বন্ধ করে দেব।

এই দপ্তর ভালো কোনো কাজ করছে না।’ তবে প্রশাসনিক নির্দেশে বিস্তারিতভাবে বলা হয়নি, কোন প্রকল্প বন্ধ করা হবে।

শিক্ষামন্ত্রী লিন্ডা ম্যাকমোহনকে ট্রাম্প নির্দেশ দিয়েছেন, আইনি পদক্ষেপ নিয়ে এই দপ্তরকে বন্ধ করে দিতে। লিন্ডার প্রশংসা করে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ভালো কাজ করছেন।

মনে হয়, তিনিই অ্যামেরিকার শেষ শিক্ষামন্ত্রী হবেন।

শিক্ষা দপ্তর যে সব গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প চালাতো, তা অন্য এজেন্সির হাতে দিয়ে দেওয়া হবে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় স্তরে শিক্ষা দপ্তর তুলে দেওয়ার অর্থ হলো, শিক্ষা নিয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত এবার রাজ্যগুলো নেবে।

তবে তার কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্তের মতো এই সিদ্ধান্তও আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হতে পারে।


ট্রাম্প বলেছেন, শিক্ষাক্ষেত্রে অ্যামেরিকা অন্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি অর্থ খরচ করে। তা সত্ত্বেও সাফল্যের নিরিখে মার্কিন পড়ুয়ারা একেবারে নিচের দিকে থাকে।

এই পদক্ষেপের মাধ্যমে মূলত শিক্ষা সংক্রান্ত ক্ষমতা অঙ্গরাজ্য ও স্থানীয় সরকারের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবারের ওই অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রেসিডেন্টের চারপাশে ডেস্কে শিশুদের অর্ধবৃত্তাকারভাবে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল এবং তাদের প্রত্যেকের হাতে নির্বাহী আদেশের নিজস্ব সংস্করণ স্বাক্ষরের জন্য ছিল। ট্রাম্প যখন আদেশে স্বাক্ষর করার জন্য তার মার্কার খোলেন, তখন শিশুরাও তাকে অনুসরণ করে।

যখন তিনি ক্যামেরার জন্য সম্পূর্ণ আদেশটি তুলে ধরেন, তখন বাচ্চারাও তাই করছিল।

স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আগে ট্রাম্প বলেন, “আমি ফেডারেল শিক্ষা বিভাগকে একবারে নির্মূল করার জন্য একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করব। এবং এটা অদ্ভুত শোনাচ্ছে, তাই না? শিক্ষা বিভাগ, আমরা এটি নির্মূল করতে যাচ্ছি, এবং সবাই জানে এটি সঠিক, এবং ডেমোক্র্যাটরা জানে এটি সঠিক।”

আল জাজিরা জানিয়েছে, ফেডারেল সরকারের মধ্যে বিভিন্ন শিক্ষা উদ্যোগকে একীভূত করার প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে ১৯৭৯ সালে প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের অধীনে শিক্ষা বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি করার মাধ্যমে সেসময় তিনি একটি নতুন মন্ত্রিসভা-স্তরের অবস্থান তৈরি করেন, যা তখনও রিপাবলিকানরা যুক্তি দিয়েছিলেন যে— এই পদক্ষেপ রাজ্য এবং স্থানীয় স্কুল বোর্ডগুলোর ক্ষমতা কেড়ে নেবে।

আরো পড়ুন
নিরাপত্তা প্রধানকে সরিয়ে দিলেন নেতানিয়াহু, বাড়ছে বিক্ষোভ

নিরাপত্তা প্রধানকে সরিয়ে দিলেন নেতানিয়াহু, বাড়ছে বিক্ষোভ

 

তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই বিভাগের একটি সীমিত ম্যান্ডেট রয়েছে। এটি পাঠ্যক্রম বা স্কুল প্রোগ্রামিং নির্ধারণ করে না বরং শিক্ষার ওপর তথ্য সংগ্রহ, গবেষণা প্রচার, ফেডারেল সাহায্য বিতরণ এবং বৈষম্যবিরোধী ব্যবস্থা কার্যকর করার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে থাকে।
 

মন্তব্য

‘শিন বেট’ গোয়েন্দা প্রধানকে বরখাস্ত করল ইসরায়েল সরকার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
‘শিন বেট’ গোয়েন্দা প্রধানকে বরখাস্ত করল ইসরায়েল সরকার
প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (বামে) এবং শিন বেটের প্রধান রোনেন বার (ডানে)। ছবি: টাইমস অব ইসরায়েল।

দেশজুড়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে নেতানিয়াহু। নতুন করে গাজায় অভিযান চালানোর বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের সরকার সর্বসম্মতিক্রমে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে। নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, দেশের নিরাপত্তা তথা গোয়েন্দাপ্রধান রনেন বারকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেটের প্রধানকে শুক্রবার বরখাস্ত করা হয়েছে। ২০২১ সালের অক্টোবরে পাঁচ বছরের মেয়াদে নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। আগামী বছরই তার মেয়াদ শেষ করার কথা ছিল। 

গোয়েন্দাপ্রধান রনেন বারকে পূর্ববর্তী ইসরায়েলি সরকার নিয়োগ করেছিল।

 ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের অভূতপূর্ব হামলার আগেও নেতানিয়াহুর সঙ্গে তার সম্পর্ক টানাপোড়েনপূর্ণ ছিল, যা গাজায় যুদ্ধের সূত্রপাত করেছিল। ৪ মার্চ হামাসের হামলার নিয়ে অভ্যন্তরীণ শিন বেট প্রতিবেদন প্রকাশের পর সম্পর্ক আরো খারাপ হয়। হামাসের আক্রমণ প্রতিরোধে সংস্থার নিজস্ব ব্যর্থতা স্বীকার করেছে শিন বেট। রনেন বার ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তিনি তার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পদত্যাগ করবেন এবং আক্রমণ প্রতিরোধে তার সংস্থার ব্যর্থতার দায়ভার গ্রহণ করবেন।

সরকারিভাবে যে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, ‘সর্বসম্মতিক্রমে গোয়েন্দাপ্রধান রনেন বারকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

গত মঙ্গলবার থেকে হাজার হাজার মানুষ ইসরায়েলের রাস্তায় নেমেছেন। সরকারের বিরুদ্ধে তারা তীব্র বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। অভিযোগ, হামাসের হাত থেকে সব বন্দিকে উদ্ধার না করে নতুন করে গাজায় আক্রমণ চালিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভুল করেছেন। দ্রুত এই অভিযান বন্ধের দাবি তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা।

 

একই সঙ্গে তারা নেতানিয়াহুর একাধিক সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন। এরই জেরে রনেনকে সরিয়ে দেওয়া হলো বলে মনে করা হচ্ছে। নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে রনেন একটি তদন্তও শুরু করেছিলেন। অভিযোগ, ইসরায়েলের সঙ্গে কাজ করলেও কাতারে তাদের বেআইনি অর্থের লেনদেন আছে।

আরো পড়ুন
রুশ বোমারু বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা, ভয়াবহ বিস্ফোরণ

রুশ বোমারু বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা, ভয়াবহ বিস্ফোরণ

 

বৈঠকে রনেন ছিলেন না

যে বৈঠকে রনেনকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেখানে আরো অনেকে থাকলেও রনেন উপস্থিত ছিলেন না। তবে সেখানে তিনি একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। যা এখন ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যমে ঘুরছে। রনেন সেখানে লিখেছেন, ‘যে পদ্ধতিতে একজন উচ্চপদস্থ অফিসারকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তা পদ্ধতিগতভাবে ভুল।’

রনেনের অভিযোগ, দেশের স্বার্থে নয়, নেতানিয়াহু এ কাজ করেছেন তার নিজের স্বার্থে।

নেতানিয়াহুর অভিযোগ

এদিকে এক্স হ্যান্ডেলে নেতানিয়াহু দেশজুড়ে বিক্ষোভের দায় চাপিয়ে দিয়েছেন বামপন্থীদের ওপর। বামপন্থী ‘ডিপস্টেট’ চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। 

বস্তুত, বিক্ষোভকারীরা নেতানিয়াহুর বাড়ির গেট পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিলেন। তাদের আটকাতে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে। বহু বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন। ডেমোক্র্যাট বিরোধী দলের নেতা ইয়ের গোলানকে পুলিশ ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

এক্স হ্যান্ডেলে গোলান অবশ্য লিখেছেন, ‘কয়েকটি ধাক্কা আমায় আটকে রাখতে পারবে না। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব এবং বন্দিদের ফিরিয়ে আনব।’

আরো পড়ুন
রেকর্ড তাপমাত্রায় কমেছে বরফ

রেকর্ড তাপমাত্রায় কমেছে বরফ

 

বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, এখনো গাজায় অন্তত ৫৯ ইসরায়েলি বন্দি আছেন। যাদের ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর বন্দি করেছিল সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী হামাস। এর মধ্যে ২০ জন এখনো জীবিত আছে বলে খবর পাওয়া গেছে। নেতানিয়াহু সংঘর্ষ-বিরতির চুক্তি ভঙ্গ করে নতুন করে গাজায় অভিযান চালানোয় জীবিত বন্দিদেরও মেরে ফেলা হবে বলে মনে করছেন বিক্ষোভকারীরা।

বস্তুত, সংঘর্ষ-বিরতি শুরু হওয়ার পর অধিকাংশ বন্দিকেই হস্তান্তর করেছে হামাস। সবাই ফিরে আসার আগেই নেতানিয়াহু নতুন করে আক্রমণ শুরু করায় বিরক্ত দেশের একটি বড় অংশের মানুষ। সম্প্রতি একটি জনমত সমীক্ষাও করা হয়েছিল। সেখানে দেখা গেছে, দেশের অধিকাংশ মানুষ চান, লড়াই বন্ধ করে বন্দি প্রত্যর্পণ নিয়ে আরো বেশি আলোচনা চালাক সরকার।

সূত্র : ডয়চে ভেলে বাংলা, এএফপি

 

মন্তব্য

রুশ বোমারু বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা, ভয়াবহ বিস্ফোরণ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
রুশ বোমারু বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা, ভয়াবহ বিস্ফোরণ
ছবিসূত্র : ভিডিও থেকে সংগৃহীত

রাশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত বোমারু বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেন ড্রোন হামলা চালিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাশিয়ান এবং ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা এই তথ্য জানিয়েছেন। এর ফলে একটি বিকট বিস্ফোরণ এবং আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

 

রয়টার্স কর্তৃক যাচাইকৃত ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে, বিমানঘাঁটি থেকে একটি বিশাল বিস্ফোরণ ছড়িয়ে পড়েছে এবং কাছাকাছি কটেজগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা রাশিয়ান অঞ্চলগুলোতে ১৩২টি ইউক্রেনীয় ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে। অন্যান্য যাচাইকৃত ভিডিওতে ভোরের আকাশে বিশাল ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা গেছে এবং তীব্র আগুন জ্বলতে দেখা যায়।

রাশিয়ার সারাতোভ ওব্লাস্টের শহর এঙ্গেলসের ওই ঘাঁটি সোভিয়েত আমলে বানানো।

এখানে রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম ভারী কৌশলগত বোমারু বিমান ‘টুপোলেভ টিইউ-১৬০’ রয়েছে, যা ‘হোয়াইট সোয়ান’ নামেও পরিচিত।

সারাতোভের গভর্নর রোমান বুসারগিন বলেছেন, এঙ্গেলস শহরে একটি ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলা হয়েছে, যার ফলে একটি বিমানঘাঁটিতে আগুন লেগেছে। কাছাকাছি বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তিনি নির্দিষ্টভাবে এঙ্গেলস ঘাঁটির কথা উল্লেখ করেননি, তবে এটি এই এলাকার প্রধান বিমানঘাঁটি।

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের বাহিনী বিমানঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে এবং দ্বিতীয় দফায় গোলাবারুদের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। কিয়েভ আরো জানিয়েছে, রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর জন্য এঙ্গেলস ঘাঁটি ব্যবহার করেছে।

রাশিয়ার স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, হামলায় ১০ জন আহত হয়েছেন। কিছু স্থানীয় বাসিন্দা তাদের বাগানে ইউক্রেনীয় ড্রোনের বিভিন্ন অংশ পেয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। শট টেলিগ্রাম চ্যানেল জানিয়েছে, ইউক্রেন পিডি-২ এবং লিউতি ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে।

এঙ্গেলস জেলা প্রধান ম্যাক্সিম লিওনভ স্থানীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার কথা জানালেও বিস্তারিত কিছু বলেননি। রয়টার্স স্বাধীনভাবে বিমানঘাঁটিতে কী ঘটেছে তা নিশ্চিত করতে পারেনি।

ইউক্রেন ২০২২ সালের ডিসেম্বরেও এঙ্গেলস বিমানঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছিল। গত জানুয়ারিতে তারা দাবি করেছিল, ঘাঁটিতে পরিবেশনকারী একটি তেল ডিপোতে হামলা চালিয়েছে। যার ফলে বিশাল আগুন লেগে যায় এবং নেভাতে পাঁচ দিন সময় লাগে। ইউক্রেনের একটি নিরাপত্তা সূত্র সেই সময় বলেছিল, এঙ্গেলস ঘাঁটিতে গাইডেড বোমা এবং ক্ষেপণাস্ত্র ধারণকারী একটি গুদামে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে।

সূত্র : রয়টার্স

মন্তব্য

গাজায় মৃত্যু তিন দিনে ৬০০ ছুঁইছুঁই

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
গাজায় মৃত্যু তিন দিনে ৬০০ ছুঁইছুঁই
ছবি : এএফপি

যুদ্ধবিরতি ভেস্তে দিয়ে গাজায় গত মঙ্গলবার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত ২০০ শিশুসহ প্রায় ৬০০ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানাচ্ছে, তিন দিনে ২০০ শিশুসহ ৫৯১ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন ১০৪২ জন।

শুধুমাত্র বৃহস্পতিবার ভোর থেকে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত হয়েছে নবজাতকসহ অন্তত ৯১ জন।

ইসরায়েলি বাহিনী খান ইউনিসে বেশ কয়েকটি বাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালানোর পর দক্ষিণ গাজায় অন্তত ২০ জন নিহত হন।

গাজার উত্তরাঞ্চলে বেইত লাহিয়া শহরের পশ্চিমে আস-সুলতান এলাকায় একটি পরিবারের বাড়িতে হামলা চালানো হলে অন্তত সাতজন নিহত হন।

আল-জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু আজম গাজা শহরের কেন্দ্র থেকে জানান, ইসরায়েলি হামলা গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে তীব্র হয়েছে, বিশেষ করে ভোরের দিকে।

ইসরায়েলি বাহিনী অন্তত ১১টি আবাসিক ভবন ধ্বংস করেছে।

কয়েক সপ্তাহ পর মঙ্গলবার ভোরের দিকে গাজা উপত্যকায় নতুন করে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। পবিত্র রমজানে ইসরায়েলের নির্বিচার এই হামলার নিন্দায় সরব হয়ে উঠেছে মুসলিম বিশ্ব।

গত ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর কিছুটা শান্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছিল গাজায়।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ