ঢাকা, শনিবার ২২ মার্চ ২০২৫
৭ চৈত্র ১৪৩১, ২১ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, শনিবার ২২ মার্চ ২০২৫
৭ চৈত্র ১৪৩১, ২১ রমজান ১৪৪৬

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দাপ্রধানের সঙ্গে মোদির সাক্ষাৎ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দাপ্রধানের সঙ্গে মোদির সাক্ষাৎ
ছবিসূত্র: একাস থেকে নেওয়া।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দাপ্রধান তুলসি গ্যাবার্ডের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্থানীয় সময় বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ওয়াশিংটন ডিসিতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সন্ত্রাসবাদ দমন এবং উদীয়মান হুমকিতে গোয়েন্দা সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন তারা। এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য বলা হয়েছে।

 

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, হিন্দু-আমেরিকান গ্যাবার্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা হিসেবে তার নিয়োগের জন্য অভিনন্দনও জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। বুধবার তুলসির নিয়োগের বিষয়টি মার্কিন সিনেটে অনুমোদন পায়।

প্রধানমন্ত্রী মোদি এক্স-এ একটি পোস্টে বলেছেন, ‘ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ডের সঙ্গে দেখা করেছেন। তার নিয়োগ চূড়ান্ত হওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানিয়েছি।

ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্বের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’ 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক্স-এ একটি পোস্টে বলেছেন, ‘সন্ত্রাসবাদ দমন, সাইবার নিরাপত্তা এবং উদীয়মান হুমকিতে গোয়েন্দা সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপরও আলোচনা হয়েছে।’

তিনি সেখানে আরো বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আজ ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ডের সঙ্গে একটি ফলপ্রসূ বৈঠক করেছেন। আলোচনায় সন্ত্রাসবাদ, সাইবার নিরাপত্তা এবং উদীয়মান হুমকি মোকাবেলায় গোয়েন্দা সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর আলোকপাত করা হয়েছে।

আরো পড়ুন
আফগানিস্তানের মন্ত্রণালয়ে আত্মঘাতী হামলা, নিহত ১

আফগানিস্তানের মন্ত্রণালয়ে আত্মঘাতী হামলা, নিহত ১

 

ফ্রান্স সফরের পর গতকাল বুধবার বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে (বৃহস্পতিবার, ভোর ৪টা) মার্কিন রাজধানীতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী মোদি। বুধবার ফ্রান্স সফর শেষে মোদি ওয়াশিংটন রওনা হন। বৃহস্পতিবার তার সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখোমুখি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। দুই দেশের বৈঠকে এ বার মূলত শুল্ক, বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রই প্রধান বিষয় হয়ে উঠবে বলে কূটনীতিকরা মনে করছেন। 

মোদি এই সফরের আগে গত ১ ফেব্রুয়ারির বাজেটে মোদী সরকার ২০টি আমেরিকা থেকে আমদানি করা পণ্যে শুল্ক কমিয়েছে।

আমেরিকার সংস্থাগুলি যাতে ভারতের পরমাণু বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে লগ্নি করতে পারে, তার জন্য পরমাণু দুর্ঘটনা দায়বদ্ধতা আইন সংশোধন করার ঘোষণা করা হয়েছে।

ট্রাম্প ক্ষমতা নিয়েই ভারতীয় পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক বসানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। কূটনীতিকরা মনে করছেন, ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরে মোদির প্রথম সফরে প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে নতুন ঘোষণা হতে পারে। 

সূত্র: এনডিটিভি 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

চীনের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধের গোপন পরিকল্পনা, মাস্ককে জানাচ্ছে পেন্টাগন?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
চীনের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধের গোপন পরিকল্পনা, মাস্ককে জানাচ্ছে পেন্টাগন?
ছবিসূত্র : এএফপি

মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন চীনের সঙ্গে যেকোনা গোপন যুদ্ধের পরিকল্পনা নিয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সহযোগী বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্ককে অবহিত করবে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। স্থানীয় সময় শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর এই পরিকল্পনা মাস্কের কাছে তুলে ধরা হবে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। 

তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের এই প্রতিবেদন অস্বীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

পেন্টাগনের বৈঠক সম্পর্কে গতকাল বৃহস্পতিবার ট্রুথ সোশ্যালের একটি পোস্টে ট্রাম্প বলেছেন, ‘চীনের কথা উল্লেখ বা আলোচনাও করা হবে না।’

পেন্টাগনের প্রধান পিট হেগসেথও প্রতিবেদনটি অস্বীকার করে এক্স-এ একটি পোস্টে বলেছেন, ‘এই বৈঠকটি উদ্ভাবন, দক্ষতা এবং স্মার্ট উৎপাদন সম্পর্কে হবে।’

আরো পড়ুন
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা

 

এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘মাস্ককে বিষয়টি অবহিত করতে পেন্টাগনের ঊর্ধ্বতন মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন এবং চীনসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়া হবে।’ নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, ব্রিফিংয়ে ২০ থেকে ৩০টি স্লাইড থাকবে।

যেখানে চীনের সঙ্গে সংঘাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে লড়াই করবে তার বর্ণনা করা হবে। সংবাদপত্রটি দুই মার্কিন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়েছে, তবে তাদের নাম প্রকাশ করেনি।

পেন্টাগনও জানিয়েছে, মাস্ক শুক্রবার মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরে যাবেন। তবে সেখানে তিনি কি করবেন তার বিস্তারিত জানায়নি।

সুরক্ষিত সামরিক পরিকল্পনায় প্রবেশাধিকার পেলে ট্রাম্পের উপদেষ্টা হিসেবে মাস্কের ভূমিকার পরিধি আরো বেড়ে যাবে। মার্কিন এই বিলিয়নিয়ার এরইমধ্যে সরকারি ব্যয় কমানোর প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এটি মাস্কের জন্য স্বার্থের দ্বন্দ্বও। কারণ টেসলা এবং স্পেসএক্স উভয়ের প্রধান হিসেবে চীন এবং পেন্টাগনের সঙ্গে তার ব্যবসায়িক স্বার্থ রয়েছে।

আরো পড়ুন
ইউক্রেনে পৌঁছেছে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের নতুন চালান

ইউক্রেনে পৌঁছেছে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের নতুন চালান

 

হোয়াইট হাউস আগেই জানিয়েছির, ব্যবসায়িক লেনদেন এবং ফেডারেল সরকারের ব্যয় কমানোর ক্ষেত্রে মাস্কের ভূমিকার মধ্যে কোনো স্বার্থের দ্বন্দ্ব দেখা দিলে তিনি নিজেকে সরিয়ে নেবেন।

প্রযুক্তির অ্যাক্সেস, বাণিজ্য শুল্ক এবং সাইবার নিরাপত্তা থেকে শুরু করে টিকটক, তাইওয়ান, হংকং, মানবাধিকার এবং কভিড-১৯ এর উৎপত্তি পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে ওয়াশিংটন এবং বেইজিংয়ের মধ্যে বছরের পর বছর ধরে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক চলছে।

সূত্র : রয়টার্স
 

মন্তব্য

আমিরাতে ২৫ ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আমিরাতে ২৫ ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড
সংগৃহীত ছবি

সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) ২৫ ভারতীয় নাগরিককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে তাদের মৃত্যুদণ্ড এখনো কার্যকর করা হয়নি। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং। খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির।

মন্ত্রণালয়ের কাছে বিদেশের জেলে বন্দি ভারতীয়দের নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে বিদেশে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতীয়দের তথ্য এবং তাদের জীবন বাঁচানোর জন্য ভারত সরকার কী চেষ্টা করছে, সেই সম্পর্কেও প্রশ্ন করা হয়েছিল। 

মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিদেশের জেলে বিচারাধীন ভারতীয় বন্দির সংখ্যা ১০,১৫২ জন। কীর্তি বর্ধন বলেন, কেন্দ্র সরকার বিদেশে থাকা ভারতীয়দের নিরাপত্তা, সুরক্ষা এবং কল্যাণকে উচ্চ অগ্রাধিকার দেয়।

যার মধ্যে বিদেশের জেলে থাকা ভারতীয়রাও রয়েছেন।

বিদেশে ভারতীয় নাগরিকদের মৃত্যুদণ্ড (এখনো কার্যকর হয়নি) নিয়ে আটটি দেশের তথ্য দেন মন্ত্রী। সেই তথ্য অনুসারে, সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত ভারতীয় বন্দি রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। দেশটিতে এই সংখ্যা হলো ২৫ জন।

এ ছাড়া সৌদি আরবে ১১ জন, মালেশিয়ায় ৬ জন, কুয়েতে ৩ জন এবং ইন্দোনেশিয়া, কাতার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইয়েমেনে একজন করে মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত বন্দি রয়েছেন। 

আরো পড়ুন
সন্ধ্যার মধ্যে ১০ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

সন্ধ্যার মধ্যে ১০ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

 

তাদের জীবন বাঁচানোর জন্য কেন্দ্রের প্রচেষ্টা সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, বিদেশে অবস্থিত ভারতীয় মিশনগুলো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতীয় নাগরিকদের সম্ভাব্য সব সহায়তা প্রদান করে। এসব মিশনের কর্মকর্তারা জেল পরিদর্শন করে বন্দিদের খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি আদালত, পাবলিক প্রসিকিউটর এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। এ ছাড়া বন্দি ভারতীয় নাগরিকদের জামিন আবেদন দায়ের, সাজা কমানোর আবেদন ইত্যাদিসহ বিভিন্ন আইনি সহায়তা দিয়ে থাকেন। 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা
ছবিসূত্র : এএফপি

যুক্তরাজ্যের হিথ্রো বিমানবন্দর শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে। এর ফলে হাজার হাজার যাত্রী ভোগান্তিতে পড়ছে এবং  বিশ্বব্যাপী বিমান চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে। ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরেডার২৪ জানিয়েছে, বিমানবন্দর বন্ধের ফলে কমপক্ষে ১ হাজার ৩৫১টি ফ্লাইট প্রভাবিত হবে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি ফ্লাইট অন্যান্য বিমানবন্দরে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

ইউরোপের ব্যস্ততম বিমানবন্দরটি আজ শুক্রবার জানিয়েছে, একটি বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বিমানবন্দরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এরপরেই কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দর বন্ধের ঘোষণা দেয়।

হিথ্রো বিমানবন্দর এক্স-এ একটি পোস্টে জানিয়েছে, ‘আমাদের যাত্রী এবং সহকর্মীদের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য হিথ্রো বিমানবন্দর ২১শে মার্চ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।’ আরো বলা হয়, ‘যাত্রীদের বিমানবন্দরে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে এবং আরো তথ্যের জন্য তাদের বিমান সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

অসুবিধার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।’ 

লন্ডন ফায়ার ব্রিগেড জানিয়েছে, ‘প্রায় ৭০ জন দমকলকর্মী আগুন নেভানোর কাজ করছেন। আগুনের কারণে ইউরোপের ব্যস্ততম এবং বিশ্বের পঞ্চম ব্যস্ততম বিমানবন্দর হিথ্রোতে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে।’ আকাশে কমলা রঙের আগুনের শিখা উড়তে দেখা গেছে।

তবে দমকল বাহিনী আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি বলে জানিয়েছে। 

এ ঘটনায় বিমানবন্দরের বেশ কয়েকটি বাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎবিহীন ছিল। দমকল বাহিনী জানিয়েছে, ‘দমকলকর্মীরা আশেপাশের স্থান থেকে ২৯ জনকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছে এবং সতর্কতা হিসেবে ২০০ মিটার এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে। সেখান থেকে প্রায় ১৫০ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

হিথ্রোর একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে একটি ইমেলে জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পর দমকলকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাচ্ছেন, তবে কখন বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিকভাবে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে সে তা স্পষ্ট নয়।

ইউরোপজুড়ে বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনাকারী ইউরোকন্ট্রোল তাদের অপারেশন ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে হিথ্রোতে বিমানকে নামার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। হিথ্রো বিশ্বের ব্যস্ততম দুই বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে একটি, যেখানে থেকে প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার ৩০০টি বিমান উড়ে যায় এবং অবতরণ করে।

সূত্র : আলজাজিরা

মন্তব্য

যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা দপ্তরই তুলে দিতে চান ট্রাম্প

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা দপ্তরই তুলে দিতে চান ট্রাম্প
সংগৃহীত ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগ (ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব এডুকেশন) ভেঙে দিতে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যেখানে বলা হয়েছে, শিক্ষা দপ্তরকেই গুটিয়ে ফেলা হবে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এই আদেশে স্বাক্ষর করেন তিনি।

নির্বাহী আদেশে সই করার পর ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিক্ষা দপ্তর বন্ধ করে দেব।

এই দপ্তর ভালো কোনো কাজ করছে না।’ তবে প্রশাসনিক নির্দেশে বিস্তারিতভাবে বলা হয়নি, কোন প্রকল্প বন্ধ করা হবে।

শিক্ষামন্ত্রী লিন্ডা ম্যাকমোহনকে ট্রাম্প নির্দেশ দিয়েছেন, আইনি পদক্ষেপ নিয়ে এই দপ্তরকে বন্ধ করে দিতে। লিন্ডার প্রশংসা করে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ভালো কাজ করছেন।

মনে হয়, তিনিই অ্যামেরিকার শেষ শিক্ষামন্ত্রী হবেন।

শিক্ষা দপ্তর যে সব গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প চালাতো, তা অন্য এজেন্সির হাতে দিয়ে দেওয়া হবে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় স্তরে শিক্ষা দপ্তর তুলে দেওয়ার অর্থ হলো, শিক্ষা নিয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত এবার রাজ্যগুলো নেবে।

তবে তার কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্তের মতো এই সিদ্ধান্তও আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হতে পারে।


ট্রাম্প বলেছেন, শিক্ষাক্ষেত্রে অ্যামেরিকা অন্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি অর্থ খরচ করে। তা সত্ত্বেও সাফল্যের নিরিখে মার্কিন পড়ুয়ারা একেবারে নিচের দিকে থাকে।

এই পদক্ষেপের মাধ্যমে মূলত শিক্ষা সংক্রান্ত ক্ষমতা অঙ্গরাজ্য ও স্থানীয় সরকারের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবারের ওই অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রেসিডেন্টের চারপাশে ডেস্কে শিশুদের অর্ধবৃত্তাকারভাবে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল এবং তাদের প্রত্যেকের হাতে নির্বাহী আদেশের নিজস্ব সংস্করণ স্বাক্ষরের জন্য ছিল। ট্রাম্প যখন আদেশে স্বাক্ষর করার জন্য তার মার্কার খোলেন, তখন শিশুরাও তাকে অনুসরণ করে।

যখন তিনি ক্যামেরার জন্য সম্পূর্ণ আদেশটি তুলে ধরেন, তখন বাচ্চারাও তাই করছিল।

স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আগে ট্রাম্প বলেন, “আমি ফেডারেল শিক্ষা বিভাগকে একবারে নির্মূল করার জন্য একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করব। এবং এটা অদ্ভুত শোনাচ্ছে, তাই না? শিক্ষা বিভাগ, আমরা এটি নির্মূল করতে যাচ্ছি, এবং সবাই জানে এটি সঠিক, এবং ডেমোক্র্যাটরা জানে এটি সঠিক।”

আল জাজিরা জানিয়েছে, ফেডারেল সরকারের মধ্যে বিভিন্ন শিক্ষা উদ্যোগকে একীভূত করার প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে ১৯৭৯ সালে প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের অধীনে শিক্ষা বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি করার মাধ্যমে সেসময় তিনি একটি নতুন মন্ত্রিসভা-স্তরের অবস্থান তৈরি করেন, যা তখনও রিপাবলিকানরা যুক্তি দিয়েছিলেন যে— এই পদক্ষেপ রাজ্য এবং স্থানীয় স্কুল বোর্ডগুলোর ক্ষমতা কেড়ে নেবে।

আরো পড়ুন
নিরাপত্তা প্রধানকে সরিয়ে দিলেন নেতানিয়াহু, বাড়ছে বিক্ষোভ

নিরাপত্তা প্রধানকে সরিয়ে দিলেন নেতানিয়াহু, বাড়ছে বিক্ষোভ

 

তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই বিভাগের একটি সীমিত ম্যান্ডেট রয়েছে। এটি পাঠ্যক্রম বা স্কুল প্রোগ্রামিং নির্ধারণ করে না বরং শিক্ষার ওপর তথ্য সংগ্রহ, গবেষণা প্রচার, ফেডারেল সাহায্য বিতরণ এবং বৈষম্যবিরোধী ব্যবস্থা কার্যকর করার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে থাকে।
 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ