ঢাকা, রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫
২৩ চৈত্র ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫
২৩ চৈত্র ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৬

ট্রান্সজেন্ডার সেনাদের জন্য শর্ত সাপেক্ষে বহিষ্কারনীতির ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ট্রান্সজেন্ডার সেনাদের জন্য শর্ত সাপেক্ষে বহিষ্কারনীতির ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
ছবিসূত্র : এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় (পেন্টাগন) বুধবারের এক স্মারক প্রকাশ করেছে। সেখানে পেন্টাগন জানিয়েছে, ‘কেস-বাই-কেস’ পর্যবেক্ষণ শেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ট্রান্সজেন্ডার সেনাদের সেনাবাহিনী থেকে সরিয়ে দেবে। 

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জানুয়ারির শেষের দিকের নির্বাহী আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে দায়ের করা মামলার অংশ হিসেবে এই স্মারকলিপি প্রকাশ করা হয়েছে। যার লক্ষ্য ট্রান্সজেন্ডার কর্মীদের সামরিক বিভাগের চাকরিতে নিষিদ্ধ করা।

 

স্মারকে বলা হয়েছে, ‘যেসব সেনা সদস্যের বর্তমান লিঙ্গ সংশয়জনিত (জেন্ডার ডিসফোরিয়া) রোগ নির্ণয় রয়েছে বা পূর্বে এ ধরনের ইতিহাস আছে অথবা এ ধরনের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে, তাদের সামরিক বাহিনী থেকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। তবে এসব সেনা চাকরির ক্ষেত্রে ছাড় পাওয়ার জন্য বিবেচিত হতে পারেন, যদি তাদের বহাল রাখা যুদ্ধ পরিচালনাসংক্রান্ত সক্ষমতার স্বার্থে সরকারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়।’ 

এমন অনুমোদন পেতে হলে সংশ্লিষ্ট সেনাকে প্রমাণ করতে হবে যে তিনি কখনো লিঙ্গ পরিবর্তনের চেষ্টা করেননি এবং ‘সেনাবাহিনীতে যোগদানের পর টানা ৩৬ মাস ধরে তার নির্ধারিত লিঙ্গে কোনো মানসিক কষ্ট, সামাজিক বা পেশাগত ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়নি।’ 

এই মাসের শুরুতে জারি করা আরেকটি পেন্টাগন স্মারকলিপিতে ট্রান্সজেন্ডারদের সেনাবাহিনীতে যোগদান নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং ইতিমধ্যেই ইউনিফর্ম পরিহিত অন্যদের জন্য লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ স্মারকলিপিতে অরো বলা হয়েছে, ‘যেসব আবেদনকারী লিঙ্গ সংশয়জনিত রোগে ভুগছেন বা অতীতে এমন রোগ নির্ণীত হয়েছে বা এর উপসর্গ রয়েছে, তারা সামরিক বাহিনীতে যোগদানের অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন।’ এ ছাড়া ‘যেসব ব্যক্তির পূর্বে বিপরীত লিঙ্গের হরমোন থেরাপি নেওয়ার ইতিহাস আছে বা লিঙ্গ পরিবর্তন বা পুনর্গঠনের অস্ত্রোপচার করেছেন, তারাও অযোগ্য বলে গণ্য হবেন।’ 

আরো পড়ুন
কর্মক্ষেত্র খালি করার জন্য ইউএসএআইডি কর্মীদের দেওয়া হবে ১৫ মিনিট

কর্মক্ষেত্র খালি করার জন্য ইউএসএআইডি কর্মীদের দেওয়া হবে ১৫ মিনিট

 

সরকারের আগ্রহ থাকলে এবং সব শর্ত মেনে নিয়ে চলতে ইচ্ছুক এবং সক্ষম থাকলে অযোগ্য আবেদনকারীরা সেনাবাহিনীতে চাকরি করার ক্ষেত্রে ছাড় পেতে পারেন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ট্রান্সজেন্ডার আমেরিকানরা সামরিক পরিষেবার নীতি পরিবর্তনের মুখে পড়েছে।

যেখানে ডেমোক্রেটিক প্রশাসন তাদের প্রকাশ্যে সেবা করার অনুমতি দিয়েছে, অন্যদিকে ট্রাম্প বারবার তাদের পদ থেকে দূরে সরানোর চেষ্টা করছেন। 

ডেমোক্র্যাট বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন সামরিক বাহিনী ২০১৬ সালে ট্রান্সজেন্ডার সেনাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন নীতিটি সম্পূর্ণরূপে উল্টে দেয়। ট্রান্সজেন্ডার সামরিক পরিষেবার ওপর ট্রাম্পের বিতর্কিত বিধি-নিষেধ বিভিন্ন আদালতের চ্যালেঞ্জের মুখে পরিবর্তিত হয়েছিল, অবশেষে ২০১৯ সালের এপ্রিলে কার্যকর হয়, একটি দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর। দেশের শীর্ষ আদালত পর্যন্ত চলে যায় এটি।

ট্রাম্পের ডেমোক্রেটিক উত্তরসূরি জো বাইডেন ২০২১ সালে দায়িত্ব গ্রহণের কয়েক দিন পরেই এই বিধি-নিষেধগুলো প্রত্যাহার করতে পদক্ষেপ নেন। এরপর জানুয়ারিতে ক্ষমতায় ফিরে এসে  ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেন। সেখানে আবারও ট্রান্সজেন্ডার সেনাদের লক্ষ্য করে বলা হয়, ‘একজন ব্যক্তি তার প্রকৃত লিঙ্গ থেকে সরে একটি ভিন্ন মিথ্যা ‘লিঙ্গ পরিচয়’ প্রকাশ করা সামরিক পরিষেবার কঠোর মান পূরণ করতে পারে না।’ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মার্কিন রাজনীতিতে ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুগুলো আলোড়ন তুলেছে।

সূত্র : এএফপি 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

দক্ষিণ সুদানের সব ভিসা বাতিল করছে যুক্তরাষ্ট্র

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
দক্ষিণ সুদানের সব ভিসা বাতিল করছে যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। ছবি : এএফপি

দক্ষিণ সুদানের সব পাসপোর্টধারীর ভিসা বাতিল ও নতুন আগমনকারীদের আটকে দিচ্ছে ওয়াশিংটন। পাশাপাশি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও অভিযোগ করেছেন, আফ্রিকান দেশটি যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কৃত হওয়া নাগরিকদের গ্রহণ করছে না। ওয়াশিংটন থেকে এএফপি রবিবার এ খবর জানিয়েছে।

রুবিও স্থানীয় সময় শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ‘দক্ষিণ সুদানের সব পাসপোর্টধারীর ভিসা বাতিল করার ও প্রবেশ রোধে ভিসা ইস্যু রোধ করার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে।

অভিবাসনবিরোধী প্ল্যাটফরমে প্রচারণা চালিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর থেকে এটিই ছিল প্রথম কোনো নির্দিষ্ট দেশের সব পাসপোর্টধারীর আলাদা করে রাখার পদক্ষেপ।

বিশ্বের নবীনতম ও দরিদ্রতম দেশগুলোর অন্যতম দক্ষিণ সুদান বর্তমানে রাজনৈতিক উত্তেজনার শিকার। রুবিও দক্ষিণ সুদানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে ‘যুক্তরাষ্ট্রের সুযোগ নেওয়ার’ অভিযোগ করে বলেন, যখন কোনো দেশ কাউকে তাদের দেশে ফেরত পাঠাতে চায়, তখন প্রত্যেক দেশকে অবশ্যই তাদের নাগরিকদের যথাসময়ে গ্রহণ করতে হবে।

রুবিও আরো বলেন, ‘দক্ষিণ সুদান পূর্ণ সহযোগিতা করলে, ওয়াশিংটন এই পদক্ষেপগুলো পর্যালোচনা করতে প্রস্তুত থাকবে।

এএফপি বলছে, এই পদক্ষেপ এমন এক সময় এলো, যখন পর্যবেক্ষকরা আশঙ্কা করছেন, ২০১৩ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে গৃহযুদ্ধের মতো করে দক্ষিণ সুদান পুনরায় গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পরতে পারে। ওই যুদ্ধে চার লাখ মানুষ নিহত হয়।

ট্রাম্পের পূর্বসূরি জো বাইডেনের প্রশাসন দক্ষিণ সুদানের নাগরিকদের ‘টেম্পোরারি প্রোটেক্টেড স্ট্যাটাস (টিপিএস)’ প্রদান করে, যার মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩ মে শেষ হওয়ার কথা ছিল।

প্রতিবেদন অনুসারে, যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্যান্য অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির কারণে নিরাপদে দেশে ফিরতে না পারা বিদেশি নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র টিপিএস প্রদান করে, যা মানুষকে নির্বাসন থেকে রক্ষা করে।

২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ জানায়, টিপিএস প্রগ্রামের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষিণ সুদানের নাগরিক ছিলেন প্রায় ১৩৩ জন ও আরো ১৪০ জন আবেদন করার যোগ্য ছিলেন। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন টিপিএস মর্যাদা বাতিল করতে শুরু করেছে। জানুয়ারিতে ভেনিজুয়েলার ৬ লক্ষাধিক নাগরিকের সুরক্ষা প্রত্যাহার করা হয়।

ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশগুলোর সঙ্গে তাদের নাগরিকদের প্রত্যাবাসন নিয়ে বিবাদে জড়িয়েছে। দক্ষিণ সুদান থেকে আফ্রিকানদের ক্রমবর্ধমানসংখ্যক লোকের প্রবেশের চেষ্টার পর ট্রাম্প প্রশাসন দক্ষিণ সুদানকে আলাদা করে রাখার সিদ্ধান্ত নিল।

এসব অভিবাসী ইউরোপে ঝুঁকিপূর্ণ পথের বিকল্প হিসেবে দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করছে।

মন্তব্য

শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকায় ১৯৫তম স্থানে পাকিস্তান

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকায় ১৯৫তম স্থানে পাকিস্তান
সংগৃহীত ছবি

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকায় পাকিস্তান একেবারে নিচের দিকের দেশগুলোর তালিকায় স্থান পেয়েছে।  ১৯৯টি দেশের ওপর করা এই জরিপে পাকিস্তানের অবস্থান ১৯৫তম।

বিশ্বজুড়ে ভ্রমণ, নাগরিক অধিকার ও কর সুবিধার নিরিখে কোন দেশের পাসপোর্ট কতটা শক্তিশালী—সে বিষয়টি প্রতিবছর মূল্যায়ন করে থাকে আন্তর্জাতিক সংস্থা নোমাড ক্যাপিটালিস্ট। 

শুক্রবার প্রকাশিত ২০২৫ সালের জন্য হালনাগাদ করা তাদের সর্বশেষ সূচকে উঠে এসেছে এই তথ্য।

এবারের তালিকায় বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টের মর্যাদা পেয়েছে আয়ারল্যান্ড।

তালিকায় ৩২ স্কোর পেয়ে পাকিস্তানের পাসপোর্টের অবস্থান ১৯৫তম স্থানে রয়েছে। পাকিস্তানের পাসপোর্টধারীরা ভিসামুক্ত অথবা অন-অ্যারাইভাল ভিসায় বিশ্বের ৪৬টি দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন। 

নোমাড ক্যাপিটালিস্টের তালিকায় শীর্ষে থাকা আয়ারল্যান্ডের প্রাপ্ত স্কোর ১০৯।

এ দেশের পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরা বিশ্বের ১৭৬টি দেশে ভিসামুক্ত বা অন অ্যারাইভাল ভিসায় ভ্রমণ করতে পারবেন।

মন্তব্য

মার্কিন শুল্ক পাকিস্তানের অর্থনীতির জন্য বড় ধাক্কা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
মার্কিন শুল্ক পাকিস্তানের অর্থনীতির জন্য বড় ধাক্কা
সংগৃহীত ছবি

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এই শুল্কনীতির মূল উদ্দেশ্য হলো যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি কমানো এবং মার্কিন শিল্পকে সুরক্ষা দেওয়া। অন্যান্য দেশের মতো পাকিস্তানও সেই কাতারে পড়েছে। 

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য নেশনের খবরে বলা হয়, এখন পাকিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রফতানিকৃত পণ্যের ওপর ২৯% শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, যা দেশটির অর্থনীতির জন্য আরেকটি বড় ধাক্কা।

যুক্তরাষ্ট্র এখনো পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় রফতানি বাজার হওয়ায়, এই পরিবর্তনের ফলে বাণিজ্য কৌশলে বড় রকমের পুনর্বিন্যাস প্রয়োজন হবে পাকিস্তানের। 

যদিও যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি পাকিস্তানের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) মাত্র ১.৫%, তবুও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আয় উৎস। বিশেষ করে টেক্সটাইল ও সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতির মতো খাতে, যা বহুদিন ধরে মার্কিন ভোক্তাদের ওপর নির্ভরশীল। এই দেশের বাজার হারানো পাকিস্তানের দুর্বল অর্থনৈতিক অবস্থাকে আরো নাজুক করে তুলবে।

পৃথিবীর অন্যান্য দেশ মার্কিন পণ্যে এত দিন উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করেছে। অনেক দিন ধরেই এটা চলে আসছে, যেমন ভিয়েতনাম মার্কিন পণ্যে ৯০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে রেখেছে—এখন যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে ঠিক তার অর্ধেক, অর্থাৎ ৪৫ শতাংশ। বাংলাদেশও মার্কিন পণ্যে ৭৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ রেখেছে—এখন আমাদের পণ্যে তার অর্ধেক বা ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ভারত যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে ৫২ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে রেখেছিল, এখন তাদের পণ্যে যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আরোপ করেছে ঠিক তার অর্ধেক বা ২৬ শতাংশ।

পৃথিবীর সব দেশই যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে উচ্চ শুল্ক আরোপ করে রেখেছে; কারণ তারা পরাশক্তি, এবং এই উচ্চ শুল্ক ছিল তার এক ধরনের মাশুল। এখন ট্রাম্প সেটা মানবেন না। তাই তিনি এই শুল্ক আরোপ করেছেন। 

সব মিলিয়ে ট্রাম্পের এই শুল্ক ঘোষণার রেশ দীর্ঘস্থায়ী হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্পের এই পাল্টা শুল্ক বিশ্বকে বাণিজ্যযুদ্ধের দিকেও ঠেলে দিতে পারে।

তবে এটাকে পাকিস্তানের একটি জাগরণী সংকেত হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। পাকিস্তান যাতে এই ধরনের অর্থনৈতিক ধাক্কার ঝুঁকিতে না পড়ে, সেজন্য দেশটিকে জরুরি ভিত্তিতে তার বাণিজ্য সম্পর্ককে বৈচিত্র্যময় করতে হবে, নতুন বাজার অনুসন্ধান করতে হবে এবং বিকল্প অংশীদারদের সঙ্গে আরো শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।

মন্তব্য

বালোচ কর্মীদের আটক নিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে উদ্বেগ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বালোচ কর্মীদের আটক নিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে উদ্বেগ
সংগৃহীত ছবি

পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে বালোচ মানবাধিকারকর্মীদের আটকের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইউরোপীয় আইনপ্রণেতারা। এর সমাধানে তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের হস্তক্ষেপের কামনা জানিয়েছেন। খবর দ্য বেলুচিস্তান পোস্টের।

ইইউর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক উচ্চ প্রতিনিধি কায়া ক্যালাসের কাছে একটি চিঠি লিখেছেন পরিবেশবাদী ক্যারোলা র‍্যাকে‌টে এবং ইউরোপীয় পার্লামেন্টের তিন সদস্য মাইকেল ম্যাকনামারা, রিমা হাসান এবং লি অ্যান্ডারসন।

তারা বালোচ ইয়াকজেহতি কমিটির (বিওয়াইসি) সদস্য ডা. মাহরাং বালোচ, বেবারগ জেহরি ও সাম্মি দীন বালোচসহ অন্যদের গ্রেপ্তার ও হয়রানির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। 

চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘আমরা পাকিস্তানে বালোচ কর্মী ও মানবাধিকার রক্ষাকারীদের বেআইনি গ্রেপ্তার ও হয়রানির বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। বেলুচিস্তানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে তাদের শান্তিপূর্ণ সংগ্রামের জন্য এই ব্যক্তিদের হয়রানি করা হচ্ছে।’

বালোচ ইয়াকজেহতি কমিটির সংগঠক এবং সুপরিচিত মানবাধিকারকর্মী ডা. মাহরাং বালোচ ২২ মার্চ কোয়েটায় একটি শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে গ্রেপ্তার হন।

তিনি বর্তমানে হুড্ডা জেলা কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

বিওয়াইসি-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বেবারগ জেহরি একজন প্রতিবন্ধী। তাকে ২০ মার্চ নিজ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানা গেছে এবং তিনি বর্তমানে পাকিস্তানের কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্টের (সিটিডি) হেফাজতে রয়েছেন। 

এ ছাড়া সাম্মি দীন বালোচ করাচি সেন্ট্রাল জেলে বন্দি ছিলেন।

আদালত ২৫ মার্চ তার মুক্তির নির্দেশ দিলেও তাকে আবারও গণশান্তি রক্ষা (এমপিও) আইনের আওতায় আটক করা হয়।
 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ