ঢাকা, রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫
২ চৈত্র ১৪৩১, ১৫ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫
২ চৈত্র ১৪৩১, ১৫ রমজান ১৪৪৬

জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়, বিদ্যুৎহীন কিউবার লাখ লাখ মানুষ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়, বিদ্যুৎহীন কিউবার লাখ লাখ মানুষ
ছবিসূত্র: এএফপি

জাতীয় গ্রিডে গোলযোগের কারণে কিউবাজুড়ে মারাত্মক বিদ্যুৎবিভ্রাট দেখা দিয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। কিউবার জাতীয় বৈদ্যুতিক দেশটির জ্বালানি ও খনি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাজধানী হাভানা এবং ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জজুড়ে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে।

জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাত ৮টা ১৫ মিনিট নাগাদ হাভানায় একটি বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন ব্যর্থ হয়, যার ফলে রাজধানীসহ পশ্চিম কিউবার একটি বিশাল অংশে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

গ্রিড মেরামত করে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক অবস্থায় আনার কাজ চলছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

রয়টার্সের একজন প্রত্যক্ষদর্শী দেখেছেন, হাভানাজুড়ে আলো নেই। কেবল কয়েকটি পর্যটন হোটেল জ্বালানিচালিত জেনারেটরে চালিয়েছে। সিএনএনের একটি ভিডিওতে রাজধানী হাভানার পথঘাট ও ভবনগুলোকে অন্ধকারে ডুবে থাকতে এবং লোকজনকে বৈদ্যুতিক টর্চ নিয়ে রাস্তায় চলাফেরা করতে দেখা গেছে।

আরো পড়ুন
দ. কোরিয়ার প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ অঞ্চলে একাধিক রুশ যুদ্ধবিমান

দ. কোরিয়ার প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ অঞ্চলে একাধিক রুশ যুদ্ধবিমান

 

রাজধানীর পূর্ব এবং পশ্চিম উভয় প্রান্তের প্রদেশ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার রাতে কিউবার বিদ্যুতের মূল সরবরাহ লাইনে সমস্যা দেখা দিলে প্রায় এক কোটি মানুষ অন্ধকারে ডুবে যায়। 

ভঙ্গুর অবকাঠামো, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং অর্থনৈতিক অস্থিরতার সঙ্গে লম্বা সময় ধরেই হিমশিম অবস্থা ক্যারিবিয় দেশটির। এর মধ্যে বড় ধরনের এই বিদ্যুৎ বিপর্যয়কে সরকারের ধারাবাহিক ব্যর্থতার আরেকটি ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

আরো পড়ুন
দুই সহস্রাধিক কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের

দুই সহস্রাধিক কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের

 

গত বছরের শেষের দিকেও দেশব্যাপী একাধিক বিদ্যুৎ বিভ্রাটের পর গ্রিড ব্যর্থতা দেখা দেয়।

গত অক্টোবরে প্রায় এক সপ্তাহের জন্য বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছিল কিউবা। সে সময় দেশটির বেশিরভাগ অংশে বিদ্যুৎবিভ্রাট দেখা দিয়েছিল, যা ছিল গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক। কয়েক মাস ধরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিভ্রাট এখন স্বাভাবিক ঘটনা। খাদ্য, ওষুধ এবং পানির তীব্র সংকট অনেক কিউবার জীবনকে ক্রমশ অসহনীয় করে তুলেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রেকর্ড সংখ্যক কিউবান দ্বীপ ছেড়ে চলে গেছে।

সূত্র: রয়টার্স 
 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় নারী-শিশুসহ নিহত ৩১

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় নারী-শিশুসহ নিহত ৩১
ছবি : এএফপি

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইয়েমেনে হুতিদের ওপর মার্কিন বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত নারী, শিশুসহ ৩১ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া হামলায় অন্তত ১০১ জন আহত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে গতকাল শনিবার থেকে হুতিদের ওপর জোরালো হামলা শুরু করেছে মার্কিন বাহিনী। খবর রয়টার্সের।

রবিবার হুথি পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আনিস আল-আসবাহি বলেন, মার্কিন হামলায় কমপক্ষে ৩১ জন নিহত এবং ১০১ জন আহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। 

হুথিদের রাজনৈতিক ব্যুরো এই হামলাগুলোকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমাদের ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী মার্কিন এই হামলার প্রতিক্রিয়া জানাতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।

ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর হুতিদের ওপর চালানো যুক্তরাষ্ট্রের এটাই সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান।

এমন একসময়ে এই হামলা শুরু হলো, যখন নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়ে তেহরানকে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় বসতে বাধ্য করতে চেষ্টা করছে ওয়াশিংটন।

ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে হুতিদের সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে বলেন, তোমাদের সময় শেষ, আজ থেকে অবশ্যই হামলা বন্ধ করতে হবে। যদি তোমরা এটা না করো তাহলে তোমাদের ওপর নরকের বৃষ্টি নেমে আসবে। যা আগে কখনো দেখোনি।

লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্র এবং দেশটির মিত্রদের বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে কড়া জবাব দিতে এসব হামলা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, জাহাজে হামলা বন্ধ না হলে ‘ভয়ংকর পরিণতি’ ঘটতে পারে।

ইরান সমর্থিত হুথিরা ২০২৩ সালের শেষ দিক থেকে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে একের পর এক হামলা চালিয়ে আসছে। তাদের দাবি, গাজায় ইসরায়েলি হামলার শিকার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে তারা এসব হামলা চালাচ্ছে।

আরো পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোর তাণ্ডবে ৩৩ জনের প্রাণহানি

যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোর তাণ্ডবে ৩৩ জনের প্রাণহানি

 

এর জবাবে ইয়েমেনে ‘চূড়ান্ত ও শক্তিশালী’ হামলা শুরু করেছে মার্কিন বাহিনী।

গত জানুয়ারিতে ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর মধ্যপ্রাচ্যে হুতিদের বিরুদ্ধে চলমান এই হামলাই এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান।
 

মন্তব্য

যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোর তাণ্ডবে ৩৩ জনের প্রাণহানি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোর তাণ্ডবে ৩৩ জনের প্রাণহানি
সংগৃহীত ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে শক্তিশালী টর্নেডো ও ভয়াবহ ঝড়ে অন্তত ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিধ্বংসী এই ঝড়ে মিসৌরিতে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে, যেখানে ১২ জন নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। 

মিসৌরি ছাড়াও কানসাসে আটজন, আরকানসাসে তিনজন, মিসিসিপিতে ছয়জন, টেক্সাসে তিনজন এবং ওকলাহোমায় একজনের প্রাণহানি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় শনিবার (১৫ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে একের পর এক টর্নেডো ও ঝড় আঘাত হানে।

 মিসৌরিতে স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতভর তাণ্ডব চালায় একাধিক টর্নেডো, এতে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়। আরকানসাসে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন। 

গভর্নর সারা হাকাবি স্যান্ডার্স জানিয়েছেন, জরুরি উদ্ধারকর্মীরা মাঠে নেমেছেন এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

টেক্সাসেও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

অ্যামারিলো এলাকায় ধূলিঝড়ের কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজন প্রাণ হারান। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, দুর্যোগের কেবল শুরু।

সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরো টর্নেডোর আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে লুইসিয়ানা, মিসিসিপি, আলাবামা ও জর্জিয়ায় আঘাত হানতে পারে।

একই সঙ্গে, উত্তরাঞ্চলে তুষারঝড়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

বাতাসের গতিবেগ কোথাও কোথাও ঘণ্টায় ১০০ মাইল ছাড়িয়ে যেতে পারে। ওকলাহোমায় এতটাই শক্তিশালী বাতাস বইছে যে একাধিক ট্রাক উল্টে গেছে। প্রবল ঝড়ের পাশাপাশি, টেক্সাস, কানসাস, মিসৌরি ও নিউ মেক্সিকোতে দাবানলের ঝুঁকিও বেড়েছে।

এদিকে দুই লাখের বেশি বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।

পরিস্থিতি মোকাবেলায় জর্জিয়া ও আরকানসাসে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।

মন্তব্য

পুতিনকে আলোচনার টেবিলে আসতে বাধ্য করতে হবে : স্টারমার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
পুতিনকে আলোচনার টেবিলে আসতে বাধ্য করতে হবে : স্টারমার

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেছেন, ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখা এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দুর্বল করে তাকে আলোচনার টেবিলে আসতে বাধ্য করতে হবে। এজন্য নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রাখার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন।

স্টারমার বলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আগে বা পরে আলোচনার টেবিলে আসতেই হবে। ইউক্রেনে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি রক্ষায় ইচ্ছুক জোটের পক্ষে সমর্থন আদায়ের জন্য গতকাল শনিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ডাউনিং স্ট্রিটে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁসহ বিভিন্ন দেশের ২৬ জন নেতা এতে অংশ নেন।

স্টারমার বলেন, ইউক্রেনকে কিভাবে শক্তিশালী করা যায়, সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি কিভাবে রক্ষা করা যায় এবং মস্কোর ওপর কিভাবে চাপ অব্যাহত রাখা যায়, সে বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া উচিত।

তিনি বলেন, ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়ে ইউক্রেন দেখিয়েছে, তারা শান্তির পক্ষে। অন্যদিকে পুতিন তা বিলম্বের চেষ্টা করছেন।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পুতিন যদি শান্তির বিষয়ে আন্তরিক হয়ে থাকেন, তাহলে আমি মনে করি এটি খুবই সহজ—তাঁকে ইউক্রেনের ওপর বর্বর আক্রমণ বন্ধ করতে হবে এবং যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে হবে।’

বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কিয়ার স্টারমার বলেন, বিশ্ববাসী পদক্ষেপ দেখতে চায়—খালি কথা ও শর্ত নয়।

রাশিয়া সৃষ্ট বিশৃঙ্খলার কারণে যুক্তরাজ্যের মানুষের ক্ষতি হয়েছে, জীবনযাত্রা ও জ্বালানি খরচ বেড়ে গেছে।
‘কোয়ালিশন অব উইলিং’ প্রসঙ্গে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পাশাপাশি কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, জাপানসহ অন্য দেশগুলোকে একত্র করেছে কোয়ালিশন অব উইলিং।

তিনি বলেন, ইউক্রেনকে সমর্থনকারীদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। শান্তিচুক্তির দিকে এগিয়ে যেতে প্রয়োজনীয় ব্যাবহারিক কাজে গতি বাড়ানোর সময় এসেছে। কার্যকরী পর্যায়ে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার সামরিক বাহিনী যুদ্ধবিরতির সমর্থনে বৈঠক করবে। আমরা যে ফলাফল দেখতে চাই সেদিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে। আমরা হত্যাযজ্ঞের অবসান, ইউক্রেনের জন্য ন্যায্য ও স্থায়ী শান্তি এবং সবার জন্য স্থায়ী নিরাপত্তা চাই।

কোয়ালিশন অব উইলিং জোট বিস্তৃত হচ্ছে জানিয়ে স্টারমার বলেন, ‘দুই সপ্তাহ আগের তুলনায় এবার আমাদের দল অনেক বড়।

আমাদের একটি শক্তিশালী সম্মিলিত সংকল্প রয়েছে। আজকের আলোচনার টেবিলে নতুন প্রতিশ্রুতি উত্থাপিত হয়েছে। কার্যকর পর্যায়ে ধাবিত হওয়ার বিষয়ে আমরা সম্মত হয়েছি। আমরা রাজনৈতিক ও সামরিক গতি সংগ্রহ করছি। রাশিয়ার ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের এখনই সময়।’

ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন প্রসঙ্গে স্টারমার বলেন, সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি রক্ষায় ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা নিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে আলোচনায় বসবেন সামরিক প্রধানরা।

আরো পড়ুন
কুরস্ক নিয়ন্ত্রণের দ্বারে রাশিয়া

কুরস্ক নিয়ন্ত্রণের দ্বারে রাশিয়া

 

রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদ প্রসঙ্গে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটি একটি জটিল প্রশ্ন। রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা কঠোর করার ক্ষেত্রে আমরা কী করতে পারি, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জব্দ করা সম্পদের বিষয়ে আলোচনা চলবে।’

এদিকে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি গতকাল বলেছেন, ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর কথা ভাবছে না তার দেশ।

মন্তব্য

কুরস্ক নিয়ন্ত্রণের দ্বারপ্রান্তে রাশিয়া

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কুরস্ক নিয়ন্ত্রণের দ্বারপ্রান্তে রাশিয়া

রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় কুরস্ক অঞ্চলের আরো দুটি গ্রাম পুনরুদ্ধারের দাবি করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এক বিবৃতিতে রাশিয়ার মন্ত্রণালয় বলেছে, সুদঝা শহরের পশ্চিম ও উত্তরের রুবানশ্চিনা ও জোওলেশেঙ্কা গ্রাম পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। খবর বিবিসির।

গত আগস্টে রাশিয়ার কুরস্কে আকস্মিক অভিযান চালিয়ে ১০০টি বসতি নিয়ন্ত্রণে নেয় ইউক্রেন।

এর পর থেকে অঞ্চলটি পুনরুদ্ধারে মরিয়া হয়ে ওঠে মস্কো। এরই ধারাবাহিকতায় কুরস্কে অভিযান জোরদার করেছে ক্রেমলিন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পুরো কুরস্ক অঞ্চল পুনরুদ্ধারের দ্বারপ্রান্তে আছে রাশিয়া। গত এক সপ্তাহে ৩০টির বেশি বসতি উদ্ধার করেছে রুশ বাহিনী।

এখন ইউক্রেন সীমান্তের কাছে আর মাত্র ১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা উদ্ধার করা বাকি আছে।

এদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে ভয়ানক, রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষ পর্যন্ত থামার সম্ভাবনা আছে।

এ ছাড়া রাশিয়ার কুরস্কে প্রবেশ করা ইউক্রেনীয় সেনাদের রুশ সেনারা ঘিরে ফেলেছে বলে দাবি করেন ট্রাম্প।

তবে পুতিন যেন তাদের হত্যা না করেন সে জন্য তিনি ‘অনুরোধ’ জানিয়েছেন।

তবে মাইকেল কোফম্যান নামের এক সামরিক বিশ্লেষক ট্রাম্পের এ দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, কুরস্ক থেকে ইউক্রেনীয় সেনারা নিজ থেকেই সরে যাচ্ছেন। সেখানে তাঁরা অবরুদ্ধ পরিস্থিতিতে পড়েননি। যদিও সরে যাওয়ার সময় কিছু সেনা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ছেন। কিন্তু গণহারে রুশ সেনারা তাদের ঘিরে ধরেছে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

ইউক্রেনের এক সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘সাত মাস পর আমরা শুধু সরে যাচ্ছি। সেখানে কোনো অবরুদ্ধের ঘটনা ঘটেনি।’

এদিকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে মার্কিন প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ ও রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের আলোচনার এক দিন না যেতেই রাশিয়া ও ইউক্রেন পরস্পরের ওপর ড্রোন হামলা চালিয়েছে। রাশিয়া বলেছে, তারা ১২৬টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে। অন্যদিকে ইউক্রেন বলেছে, রাশিয়া ১৭৮টি ড্রোন ইউক্রেনে নিক্ষেপ করেছে, যার মধ্যে ১৩০টি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ