জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়, বিদ্যুৎহীন কিউবার লাখ লাখ মানুষ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়, বিদ্যুৎহীন কিউবার লাখ লাখ মানুষ
ছবিসূত্র: এএফপি

জাতীয় গ্রিডে গোলযোগের কারণে কিউবাজুড়ে মারাত্মক বিদ্যুৎবিভ্রাট দেখা দিয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। কিউবার জাতীয় বৈদ্যুতিক দেশটির জ্বালানি ও খনি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাজধানী হাভানা এবং ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জজুড়ে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে।

জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাত ৮টা ১৫ মিনিট নাগাদ হাভানায় একটি বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন ব্যর্থ হয়, যার ফলে রাজধানীসহ পশ্চিম কিউবার একটি বিশাল অংশে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

গ্রিড মেরামত করে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক অবস্থায় আনার কাজ চলছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

রয়টার্সের একজন প্রত্যক্ষদর্শী দেখেছেন, হাভানাজুড়ে আলো নেই। কেবল কয়েকটি পর্যটন হোটেল জ্বালানিচালিত জেনারেটরে চালিয়েছে। সিএনএনের একটি ভিডিওতে রাজধানী হাভানার পথঘাট ও ভবনগুলোকে অন্ধকারে ডুবে থাকতে এবং লোকজনকে বৈদ্যুতিক টর্চ নিয়ে রাস্তায় চলাফেরা করতে দেখা গেছে।

আরো পড়ুন
দ. কোরিয়ার প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ অঞ্চলে একাধিক রুশ যুদ্ধবিমান

দ. কোরিয়ার প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ অঞ্চলে একাধিক রুশ যুদ্ধবিমান

 

রাজধানীর পূর্ব এবং পশ্চিম উভয় প্রান্তের প্রদেশ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার রাতে কিউবার বিদ্যুতের মূল সরবরাহ লাইনে সমস্যা দেখা দিলে প্রায় এক কোটি মানুষ অন্ধকারে ডুবে যায়। 

ভঙ্গুর অবকাঠামো, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং অর্থনৈতিক অস্থিরতার সঙ্গে লম্বা সময় ধরেই হিমশিম অবস্থা ক্যারিবিয় দেশটির। এর মধ্যে বড় ধরনের এই বিদ্যুৎ বিপর্যয়কে সরকারের ধারাবাহিক ব্যর্থতার আরেকটি ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

আরো পড়ুন
দুই সহস্রাধিক কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের

দুই সহস্রাধিক কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের

 

গত বছরের শেষের দিকেও দেশব্যাপী একাধিক বিদ্যুৎ বিভ্রাটের পর গ্রিড ব্যর্থতা দেখা দেয়।

গত অক্টোবরে প্রায় এক সপ্তাহের জন্য বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছিল কিউবা। সে সময় দেশটির বেশিরভাগ অংশে বিদ্যুৎবিভ্রাট দেখা দিয়েছিল, যা ছিল গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক। কয়েক মাস ধরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিভ্রাট এখন স্বাভাবিক ঘটনা। খাদ্য, ওষুধ এবং পানির তীব্র সংকট অনেক কিউবার জীবনকে ক্রমশ অসহনীয় করে তুলেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রেকর্ড সংখ্যক কিউবান দ্বীপ ছেড়ে চলে গেছে।

সূত্র: রয়টার্স 
 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা দপ্তরই তুলে দিতে চান ট্রাম্প

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা দপ্তরই তুলে দিতে চান ট্রাম্প
সংগৃহীত ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগ (ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব এডুকেশন) ভেঙে দিতে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যেখানে বলা হয়েছে, শিক্ষা দপ্তরকেই গুটিয়ে ফেলা হবে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এই আদেশে স্বাক্ষর করেন তিনি।

নির্বাহী আদেশে সই করার পর ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিক্ষা দপ্তর বন্ধ করে দেব।

এই দপ্তর ভালো কোনো কাজ করছে না।’ তবে প্রশাসনিক নির্দেশে বিস্তারিতভাবে বলা হয়নি, কোন প্রকল্প বন্ধ করা হবে।

শিক্ষামন্ত্রী লিন্ডা ম্যাকমোহনকে ট্রাম্প নির্দেশ দিয়েছেন, আইনি পদক্ষেপ নিয়ে এই দপ্তরকে বন্ধ করে দিতে। লিন্ডার প্রশংসা করে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ভালো কাজ করছেন।

মনে হয়, তিনিই অ্যামেরিকার শেষ শিক্ষামন্ত্রী হবেন।

শিক্ষা দপ্তর যে সব গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প চালাতো, তা অন্য এজেন্সির হাতে দিয়ে দেওয়া হবে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় স্তরে শিক্ষা দপ্তর তুলে দেওয়ার অর্থ হলো, শিক্ষা নিয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত এবার রাজ্যগুলো নেবে।

তবে তার কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্তের মতো এই সিদ্ধান্তও আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হতে পারে।


ট্রাম্প বলেছেন, শিক্ষাক্ষেত্রে অ্যামেরিকা অন্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি অর্থ খরচ করে। তা সত্ত্বেও সাফল্যের নিরিখে মার্কিন পড়ুয়ারা একেবারে নিচের দিকে থাকে।

এই পদক্ষেপের মাধ্যমে মূলত শিক্ষা সংক্রান্ত ক্ষমতা অঙ্গরাজ্য ও স্থানীয় সরকারের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবারের ওই অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রেসিডেন্টের চারপাশে ডেস্কে শিশুদের অর্ধবৃত্তাকারভাবে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল এবং তাদের প্রত্যেকের হাতে নির্বাহী আদেশের নিজস্ব সংস্করণ স্বাক্ষরের জন্য ছিল। ট্রাম্প যখন আদেশে স্বাক্ষর করার জন্য তার মার্কার খোলেন, তখন শিশুরাও তাকে অনুসরণ করে।

যখন তিনি ক্যামেরার জন্য সম্পূর্ণ আদেশটি তুলে ধরেন, তখন বাচ্চারাও তাই করছিল।

স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আগে ট্রাম্প বলেন, “আমি ফেডারেল শিক্ষা বিভাগকে একবারে নির্মূল করার জন্য একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করব। এবং এটা অদ্ভুত শোনাচ্ছে, তাই না? শিক্ষা বিভাগ, আমরা এটি নির্মূল করতে যাচ্ছি, এবং সবাই জানে এটি সঠিক, এবং ডেমোক্র্যাটরা জানে এটি সঠিক।”

আল জাজিরা জানিয়েছে, ফেডারেল সরকারের মধ্যে বিভিন্ন শিক্ষা উদ্যোগকে একীভূত করার প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে ১৯৭৯ সালে প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের অধীনে শিক্ষা বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি করার মাধ্যমে সেসময় তিনি একটি নতুন মন্ত্রিসভা-স্তরের অবস্থান তৈরি করেন, যা তখনও রিপাবলিকানরা যুক্তি দিয়েছিলেন যে— এই পদক্ষেপ রাজ্য এবং স্থানীয় স্কুল বোর্ডগুলোর ক্ষমতা কেড়ে নেবে।

আরো পড়ুন
নিরাপত্তা প্রধানকে সরিয়ে দিলেন নেতানিয়াহু, বাড়ছে বিক্ষোভ

নিরাপত্তা প্রধানকে সরিয়ে দিলেন নেতানিয়াহু, বাড়ছে বিক্ষোভ

 

তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই বিভাগের একটি সীমিত ম্যান্ডেট রয়েছে। এটি পাঠ্যক্রম বা স্কুল প্রোগ্রামিং নির্ধারণ করে না বরং শিক্ষার ওপর তথ্য সংগ্রহ, গবেষণা প্রচার, ফেডারেল সাহায্য বিতরণ এবং বৈষম্যবিরোধী ব্যবস্থা কার্যকর করার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে থাকে।
 

মন্তব্য

‘শিন বেট’ গোয়েন্দা প্রধানকে বরখাস্ত করল ইসরায়েল সরকার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
‘শিন বেট’ গোয়েন্দা প্রধানকে বরখাস্ত করল ইসরায়েল সরকার
প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (বামে) এবং শিন বেটের প্রধান রোনেন বার (ডানে)। ছবি: টাইমস অব ইসরায়েল।

দেশজুড়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে নেতানিয়াহু। নতুন করে গাজায় অভিযান চালানোর বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের সরকার সর্বসম্মতিক্রমে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে। নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, দেশের নিরাপত্তা তথা গোয়েন্দাপ্রধান রনেন বারকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেটের প্রধানকে শুক্রবার বরখাস্ত করা হয়েছে। ২০২১ সালের অক্টোবরে পাঁচ বছরের মেয়াদে নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। আগামী বছরই তার মেয়াদ শেষ করার কথা ছিল। 

গোয়েন্দাপ্রধান রনেন বারকে পূর্ববর্তী ইসরায়েলি সরকার নিয়োগ করেছিল।

 ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের অভূতপূর্ব হামলার আগেও নেতানিয়াহুর সঙ্গে তার সম্পর্ক টানাপোড়েনপূর্ণ ছিল, যা গাজায় যুদ্ধের সূত্রপাত করেছিল। ৪ মার্চ হামাসের হামলার নিয়ে অভ্যন্তরীণ শিন বেট প্রতিবেদন প্রকাশের পর সম্পর্ক আরো খারাপ হয়। হামাসের আক্রমণ প্রতিরোধে সংস্থার নিজস্ব ব্যর্থতা স্বীকার করেছে শিন বেট। রনেন বার ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তিনি তার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পদত্যাগ করবেন এবং আক্রমণ প্রতিরোধে তার সংস্থার ব্যর্থতার দায়ভার গ্রহণ করবেন।

সরকারিভাবে যে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, ‘সর্বসম্মতিক্রমে গোয়েন্দাপ্রধান রনেন বারকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

গত মঙ্গলবার থেকে হাজার হাজার মানুষ ইসরায়েলের রাস্তায় নেমেছেন। সরকারের বিরুদ্ধে তারা তীব্র বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। অভিযোগ, হামাসের হাত থেকে সব বন্দিকে উদ্ধার না করে নতুন করে গাজায় আক্রমণ চালিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভুল করেছেন। দ্রুত এই অভিযান বন্ধের দাবি তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা।

 

একই সঙ্গে তারা নেতানিয়াহুর একাধিক সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন। এরই জেরে রনেনকে সরিয়ে দেওয়া হলো বলে মনে করা হচ্ছে। নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে রনেন একটি তদন্তও শুরু করেছিলেন। অভিযোগ, ইসরায়েলের সঙ্গে কাজ করলেও কাতারে তাদের বেআইনি অর্থের লেনদেন আছে।

আরো পড়ুন
রুশ বোমারু বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা, ভয়াবহ বিস্ফোরণ

রুশ বোমারু বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা, ভয়াবহ বিস্ফোরণ

 

বৈঠকে রনেন ছিলেন না

যে বৈঠকে রনেনকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেখানে আরো অনেকে থাকলেও রনেন উপস্থিত ছিলেন না। তবে সেখানে তিনি একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। যা এখন ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যমে ঘুরছে। রনেন সেখানে লিখেছেন, ‘যে পদ্ধতিতে একজন উচ্চপদস্থ অফিসারকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তা পদ্ধতিগতভাবে ভুল।’

রনেনের অভিযোগ, দেশের স্বার্থে নয়, নেতানিয়াহু এ কাজ করেছেন তার নিজের স্বার্থে।

নেতানিয়াহুর অভিযোগ

এদিকে এক্স হ্যান্ডেলে নেতানিয়াহু দেশজুড়ে বিক্ষোভের দায় চাপিয়ে দিয়েছেন বামপন্থীদের ওপর। বামপন্থী ‘ডিপস্টেট’ চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। 

বস্তুত, বিক্ষোভকারীরা নেতানিয়াহুর বাড়ির গেট পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিলেন। তাদের আটকাতে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে। বহু বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন। ডেমোক্র্যাট বিরোধী দলের নেতা ইয়ের গোলানকে পুলিশ ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

এক্স হ্যান্ডেলে গোলান অবশ্য লিখেছেন, ‘কয়েকটি ধাক্কা আমায় আটকে রাখতে পারবে না। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব এবং বন্দিদের ফিরিয়ে আনব।’

আরো পড়ুন
রেকর্ড তাপমাত্রায় কমেছে বরফ

রেকর্ড তাপমাত্রায় কমেছে বরফ

 

বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, এখনো গাজায় অন্তত ৫৯ ইসরায়েলি বন্দি আছেন। যাদের ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর বন্দি করেছিল সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী হামাস। এর মধ্যে ২০ জন এখনো জীবিত আছে বলে খবর পাওয়া গেছে। নেতানিয়াহু সংঘর্ষ-বিরতির চুক্তি ভঙ্গ করে নতুন করে গাজায় অভিযান চালানোয় জীবিত বন্দিদেরও মেরে ফেলা হবে বলে মনে করছেন বিক্ষোভকারীরা।

বস্তুত, সংঘর্ষ-বিরতি শুরু হওয়ার পর অধিকাংশ বন্দিকেই হস্তান্তর করেছে হামাস। সবাই ফিরে আসার আগেই নেতানিয়াহু নতুন করে আক্রমণ শুরু করায় বিরক্ত দেশের একটি বড় অংশের মানুষ। সম্প্রতি একটি জনমত সমীক্ষাও করা হয়েছিল। সেখানে দেখা গেছে, দেশের অধিকাংশ মানুষ চান, লড়াই বন্ধ করে বন্দি প্রত্যর্পণ নিয়ে আরো বেশি আলোচনা চালাক সরকার।

সূত্র : ডয়চে ভেলে বাংলা, এএফপি

 

মন্তব্য

রুশ বোমারু বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা, ভয়াবহ বিস্ফোরণ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
রুশ বোমারু বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা, ভয়াবহ বিস্ফোরণ
ছবিসূত্র : ভিডিও থেকে সংগৃহীত

রাশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত বোমারু বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেন ড্রোন হামলা চালিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাশিয়ান এবং ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা এই তথ্য জানিয়েছেন। এর ফলে একটি বিকট বিস্ফোরণ এবং আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

 

রয়টার্স কর্তৃক যাচাইকৃত ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে, বিমানঘাঁটি থেকে একটি বিশাল বিস্ফোরণ ছড়িয়ে পড়েছে এবং কাছাকাছি কটেজগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা রাশিয়ান অঞ্চলগুলোতে ১৩২টি ইউক্রেনীয় ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে। অন্যান্য যাচাইকৃত ভিডিওতে ভোরের আকাশে বিশাল ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা গেছে এবং তীব্র আগুন জ্বলতে দেখা যায়।

রাশিয়ার সারাতোভ ওব্লাস্টের শহর এঙ্গেলসের ওই ঘাঁটি সোভিয়েত আমলে বানানো।

এখানে রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম ভারী কৌশলগত বোমারু বিমান ‘টুপোলেভ টিইউ-১৬০’ রয়েছে, যা ‘হোয়াইট সোয়ান’ নামেও পরিচিত।

সারাতোভের গভর্নর রোমান বুসারগিন বলেছেন, এঙ্গেলস শহরে একটি ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলা হয়েছে, যার ফলে একটি বিমানঘাঁটিতে আগুন লেগেছে। কাছাকাছি বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তিনি নির্দিষ্টভাবে এঙ্গেলস ঘাঁটির কথা উল্লেখ করেননি, তবে এটি এই এলাকার প্রধান বিমানঘাঁটি।

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের বাহিনী বিমানঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে এবং দ্বিতীয় দফায় গোলাবারুদের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। কিয়েভ আরো জানিয়েছে, রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর জন্য এঙ্গেলস ঘাঁটি ব্যবহার করেছে।

রাশিয়ার স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, হামলায় ১০ জন আহত হয়েছেন। কিছু স্থানীয় বাসিন্দা তাদের বাগানে ইউক্রেনীয় ড্রোনের বিভিন্ন অংশ পেয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। শট টেলিগ্রাম চ্যানেল জানিয়েছে, ইউক্রেন পিডি-২ এবং লিউতি ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে।

এঙ্গেলস জেলা প্রধান ম্যাক্সিম লিওনভ স্থানীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার কথা জানালেও বিস্তারিত কিছু বলেননি। রয়টার্স স্বাধীনভাবে বিমানঘাঁটিতে কী ঘটেছে তা নিশ্চিত করতে পারেনি।

ইউক্রেন ২০২২ সালের ডিসেম্বরেও এঙ্গেলস বিমানঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছিল। গত জানুয়ারিতে তারা দাবি করেছিল, ঘাঁটিতে পরিবেশনকারী একটি তেল ডিপোতে হামলা চালিয়েছে। যার ফলে বিশাল আগুন লেগে যায় এবং নেভাতে পাঁচ দিন সময় লাগে। ইউক্রেনের একটি নিরাপত্তা সূত্র সেই সময় বলেছিল, এঙ্গেলস ঘাঁটিতে গাইডেড বোমা এবং ক্ষেপণাস্ত্র ধারণকারী একটি গুদামে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে।

সূত্র : রয়টার্স

মন্তব্য

গাজায় মৃত্যু তিন দিনে ৬০০ ছুঁইছুঁই

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
গাজায় মৃত্যু তিন দিনে ৬০০ ছুঁইছুঁই
ছবি : এএফপি

যুদ্ধবিরতি ভেস্তে দিয়ে গাজায় গত মঙ্গলবার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত ২০০ শিশুসহ প্রায় ৬০০ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানাচ্ছে, তিন দিনে ২০০ শিশুসহ ৫৯১ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন ১০৪২ জন।

শুধুমাত্র বৃহস্পতিবার ভোর থেকে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত হয়েছে নবজাতকসহ অন্তত ৯১ জন।

ইসরায়েলি বাহিনী খান ইউনিসে বেশ কয়েকটি বাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালানোর পর দক্ষিণ গাজায় অন্তত ২০ জন নিহত হন।

গাজার উত্তরাঞ্চলে বেইত লাহিয়া শহরের পশ্চিমে আস-সুলতান এলাকায় একটি পরিবারের বাড়িতে হামলা চালানো হলে অন্তত সাতজন নিহত হন।

আল-জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু আজম গাজা শহরের কেন্দ্র থেকে জানান, ইসরায়েলি হামলা গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে তীব্র হয়েছে, বিশেষ করে ভোরের দিকে।

ইসরায়েলি বাহিনী অন্তত ১১টি আবাসিক ভবন ধ্বংস করেছে।

কয়েক সপ্তাহ পর মঙ্গলবার ভোরের দিকে গাজা উপত্যকায় নতুন করে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। পবিত্র রমজানে ইসরায়েলের নির্বিচার এই হামলার নিন্দায় সরব হয়ে উঠেছে মুসলিম বিশ্ব।

গত ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর কিছুটা শান্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছিল গাজায়।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ