২০২৬ সালের শেষে মঙ্গলে যাবে স্পেসএক্সের স্টারশিপ : ইলন মাস্ক

  • ২০২৯ সালে মানব অবতরণের সম্ভাবনা
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
২০২৬ সালের শেষে মঙ্গলে যাবে স্পেসএক্সের স্টারশিপ : ইলন মাস্ক
গত ১৯ নভেম্বর টেক্সাসের বোকা চিকায় স্টারবেস থেকে স্পেসএক্স স্টারশিপের উৎক্ষেপণ। ছবি : এএফপি

স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক শনিবার জানিয়েছেন, তাদের বৃহৎ রকেট স্টারশিপ ২০২৬ সালের শেষের দিকে মঙ্গলের উদ্দেশে রওনা হবে এবং এর সঙ্গে থাকবে টেসলার মানবাকৃতির রোবট অপটিমাস। তিনি আরো বলেন, সফল অবতরণ হলে ২০২৯ সালেই মানব মিশন শুরু হতে পারে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে মাস্ক বলেন, ‘স্টারশিপ আগামী বছরের শেষের দিকে মঙ্গলে যাত্রা করবে, সঙ্গে থাকবে অপটিমাস। যদি এসব অবতরণ সফল হয়, তবে ২০২৯ সালেই মানব মিশন শুরু হতে পারে, যদিও ২০৩১ সালকে বেশি সম্ভাব্য সময় বলে মনে হচ্ছে।

টেসলার প্রধান নির্বাহী মাস্ক গত বছর এক অনুষ্ঠানে অপটিমাস রোবট প্রদর্শন করেন। তিনি বলেন, একসময় এই রোবটগুলো সাধারণ কাজের পাশাপাশি বন্ধুত্বও দিতে পারবে এবং এগুলোর দাম ২০ থেকে ৩০ হাজার মার্কিন ডলারের মধ্যে হতে পারে।

দুনিয়ার সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী রকেট স্টারশিপই মঙ্গলগ্রহে উপনিবেশ স্থাপনের মাস্কের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার প্রধান চাবিকাঠি। স্ট্যাচু অব লিবার্টির চেয়ে প্রায় ১০০ ফুট বেশি উঁচু ৪০৩ ফুট দীর্ঘ স্টারশিপ সম্পূর্ণ পুনঃব্যবহারযোগ্য করার পরিকল্পনা রয়েছে।

মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসাও তাদের আর্টেমিস কর্মসূচির জন্য স্টারশিপের পরিবর্তিত সংস্করণ চায়, যা এই দশকেই চন্দ্রাভিযানে ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে।  

তবে এসব অভিযানের আগে স্পেসএক্সকে অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে, স্টারশিপ নির্ভরযোগ্য, মানুষের জন্য নিরাপদ ও মহাকাশে জটিল কক্ষপথে জ্বালানি ভরার সক্ষমতা রাখে, যা গভীর মহাকাশ অভিযানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  

ব্যর্থতা ও চ্যালেঞ্জ  
এদিকে চলতি মাসের শুরুর দিকে স্পেসএক্সের স্টারশিপ প্রোটোটাইপের সর্বশেষ পরীক্ষামূলক ফ্লাইটটি বিস্ফোরণের মাধ্যমে শেষ হয়, যদিও বুস্টার সফলভাবে কক্ষপথে প্রবেশ করেছিল। এটি ছিল আগের প্রচেষ্টার প্রায় পুনরাবৃত্তি।

উড্ডয়নের কয়েক মিনিট পর এবং বুস্টার বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর লাইভ ভিডিওতে দেখা যায়, স্টারশিপের ওপরের অংশ অনিয়ন্ত্রিতভাবে ঘুরতে থাকে, এরপর সংকেত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ছাড়া অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া দৃশ্যমান ফুটেজে দেখা যায়, বাহামা দ্বীপপুঞ্জের আকাশে লালচে আগুনের গোলা বৃষ্টি হচ্ছে।

এটি ছিল স্টারশিপের অষ্টম মানববিহীন কক্ষপথ পরীক্ষামূলক ফ্লাইট। মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) জানিয়েছে, স্পেসএক্সকে নতুন করে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমোদন পেতে হলে ব্যর্থতার তদন্ত সম্পন্ন করতে হবে। তবে এই ব্যর্থতার পরও স্পেসএক্সের ‘দ্রুত ব্যর্থ হও, দ্রুত শিখো’ নীতিই প্রতিষ্ঠানটিকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় মহাকাশ উৎক্ষেপণ সেবাদাতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

 

রাজনৈতিক প্রভাব ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা  
অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে মাস্কের ভূমিকা ও তার ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রকদের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। জো বাইডেনের প্রেসিডেন্ট থাকার সময় মাস্ক বারবার এফএএর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন এবং স্পেসএক্সের ওপর অতিরিক্ত নিরাপত্তা ও পরিবেশগত বিধি-নিষেধ আরোপের অভিযোগ তুলেছেন। তবে জানুয়ারিতে দায়িত্ব গ্রহণের পর ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ‘আমরা মঙ্গলে মার্কিন পতাকা ওড়াব।’

সূত্র : এএফপি

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

গাজায় মৃত্যু তিন দিনে ৬০০ ছুঁইছুঁই

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
গাজায় মৃত্যু তিন দিনে ৬০০ ছুঁইছুঁই
ছবি : এএফপি

যুদ্ধবিরতি ভেস্তে দিয়ে গাজায় গত মঙ্গলবার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত ২০০ শিশুসহ প্রায় ৬০০ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানাচ্ছে, তিন দিনে ২০০ শিশুসহ ৫৯১ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন ১০৪২ জন।

শুধুমাত্র বৃহস্পতিবার ভোর থেকে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত হয়েছে নবজাতকসহ অন্তত ৯১ জন।

ইসরায়েলি বাহিনী খান ইউনিসে বেশ কয়েকটি বাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালানোর পর দক্ষিণ গাজায় অন্তত ২০ জন নিহত হন।

গাজার উত্তরাঞ্চলে বেইত লাহিয়া শহরের পশ্চিমে আস-সুলতান এলাকায় একটি পরিবারের বাড়িতে হামলা চালানো হলে অন্তত সাতজন নিহত হন।

আল-জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু আজম গাজা শহরের কেন্দ্র থেকে জানান, ইসরায়েলি হামলা গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে তীব্র হয়েছে, বিশেষ করে ভোরের দিকে।

ইসরায়েলি বাহিনী অন্তত ১১টি আবাসিক ভবন ধ্বংস করেছে।

কয়েক সপ্তাহ পর মঙ্গলবার ভোরের দিকে গাজা উপত্যকায় নতুন করে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। পবিত্র রমজানে ইসরায়েলের নির্বিচার এই হামলার নিন্দায় সরব হয়ে উঠেছে মুসলিম বিশ্ব।

গত ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর কিছুটা শান্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছিল গাজায়।

মন্তব্য

তেল আবিবে একের পর এক রকেট নিক্ষেপ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
তেল আবিবে একের পর এক রকেট নিক্ষেপ
সংগৃহীত ছবি

ইসরায়েলি বাণিজ্যিক কেন্দ্র খ্যাত তেল আবিবে রকেট হামলা চালিয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাস। ইসরায়েলের নতুন করে স্থল ও আকাশপথে হামলায় বেসামরিক প্রাণহানি বৃদ্ধির প্রতিশোধে বৃহস্পতিবার এই হামলা চালানোর দাবি করেছে গোষ্ঠীটি।

ইসরায়েল বলেছে, গাজা উপত্যকায় পুনরায় শুরু করা স্থল অভিযান আরো সম্প্রসারিত করার লক্ষ্যে বুধবার ওই অঞ্চলের উত্তর-দক্ষিণের প্রধান পথ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েলি সৈন্যরা।

গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনীর নতুন করে শুরু করা হামলায় গাজায় দুদিনে ১৯০ জনেরও বেশি শিশুসহ ৯৭৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সকালের দিকের হামলায় আরও প্রায় ১০০ ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটেছে।

আরো পড়ুন
শ্লীলতাহানির অভিযোগে বাবা-ছেলে আটক

শ্লীলতাহানির অভিযোগে বাবা-ছেলে আটক

 

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সশস্ত্র শাখা ইজেদাইন আল-কাশেম ব্রিগেডস বলেছে, গাজার বেসামরিক নাগরিকদের ইসরায়েলি ‘গণহত্যার’ প্রতিশোধে তারা তেল আবিবে রকেট নিক্ষেপ করেছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, গাজা থেকে ছোড়া একটি প্রোজাক্টাইল আটকে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অন্য দুটি প্রোজেক্টাইল জনবসতিহীন উন্মুক্ত একটি এলাকায় আঘাত হেনেছে।

তবে এই হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছে ইসরায়েল।

কয়েক সপ্তাহের অচলাবস্থার পর মঙ্গলবার ভোরের দিকে গাজা উপত্যকায় নতুন করে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। পবিত্র রমজানে ইসরায়েলের নির্বিচার এই হামলার নিন্দায় সরব হয়ে উঠেছে মুসলিম বিশ্ব। গত ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর কিছুটা শান্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছিল গাজায়।

নতুন চুক্তিতে পৌঁছানো নিয়ে উভয়পক্ষের মাঝে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে; এর মাঝেই গাজায় অতর্কিত হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

গাজার বাসিন্দা মোহাম্মদ হুসেইন এএফপিকে বলেছেন, আমরা যুদ্ধবিরতি চুক্তি চাই। আমরা যুদ্ধবিরতি চাই। গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, আমরা প্রতিরক্ষাহীন ফিলিস্তিনি।

বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকার প্রধান ভূখণ্ডের উত্তর ও দক্ষিণের মাঝে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। এএফপি বলেছে, গাজার নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরের কাছের সালাহেদ্দিন রোড ধরে দক্ষিণের দিকে পালিয়ে যেতে দেখা গেছে ফিলিস্তিনিদের।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

হামাসের সঙ্গে যোগসূত্রের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় গবেষক আটক

এএফপি
এএফপি
শেয়ার
হামাসের সঙ্গে যোগসূত্রের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় গবেষক আটক
ওয়াশিংটন ডিসির জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্টডক্টরাল ফেলো বদর খান সুরি। ছবি : লিংকডইন থেকে সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের একটি শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারতীয় এক গবেষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হামাসের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে। তার নির্বাসিত হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। নিয়োগকর্তা ও মার্কিন কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।

 

ওয়াশিংটন ডিসির জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্টডক্টরাল ফেলো বদর খান সুরির গ্রেপ্তারের ঘটনা এমন এক সময় ঘটল, যখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন প্রশাসন দায়িত্ব গ্রহণের দুই মাস পর বৈজ্ঞানিক গবেষণার স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। এর আগে বুধবার এক ফরাসি মহাকাশ বিজ্ঞানীকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বাধা দেওয়ায় ফ্রান্সের সরকার নিন্দা জানিয়েছে। ওই বিজ্ঞানী হিউস্টনে একটি সম্মেলনে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। কর্মকর্তারা তার স্মার্টফোন তল্লাশি করে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির বিরুদ্ধে তথাকথিত ‘বিদ্বেষপূর্ণ’ বার্তা পান।

এরপর তাকে ফেরত পাঠানো হয়।

জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ড. খান সুরি একজন ভারতীয় নাগরিক, যিনি ইরাক ও আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠা বিষয়ে তার ডক্টরাল গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার জন্য যথাযথভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেয়েছিলেন। আমরা তার কোনো বেআইনি কর্মকাণ্ডের বিষয়ে অবগত নই এবং তার আটকের কোনো কারণও পাইনি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, সুরি জর্জটাউনের আলওয়ালিদ বিন তালাল মুসলিম-খ্রিস্টান বোঝাপড়া কেন্দ্রের একজন ফেলো।

এ বিষয়ে প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করা পলিটিকোর তথ্য অনুযায়ী, ভার্জিনিয়ার আর্লিংটনে সোমবার তার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার আইনজীবী পলিটিকোকে জানিয়েছেন, তিনি সুরির মুক্তি দাবি করেছেন, তবে এ বিষয়ে জানতে এএফপির অনুরোধের তাৎক্ষণিক কোনো জবাব দেননি।  

মার্কিন স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা বিভাগের (ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি) মুখপাত্র ট্রিসিয়া ম্যাকলফলিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে বলেছেন, ‘সুরি জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বিদেশি শিক্ষার্থী, যিনি হামাসের প্রচারণা চালাচ্ছিলেন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইহুদিবিদ্বেষী মতামত ছড়াচ্ছিলেন।’

তিনি আরো অভিযোগ করেন, সুরির ‘একজন পরিচিত বা সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে, যিনি হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা।’

তিনি জানান, পররাষ্ট্র দপ্তর মার্কিন অভিবাসন আইনের একটি ধারা অনুযায়ী সুরিকে নির্বাসিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, কোনো ভিসাধারীর উপস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির জন্য হুমকি হয়ে উঠলে তাকে নির্বাসিত করা যেতে পারে।

উল্লেখ্য, হামাস যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত।  

জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, ‘আমাদের সম্প্রদায়ের সদস্যদের মুক্ত ও উন্মুক্ত অনুসন্ধান, আলোচনার অধিকার রয়েছে, এমনকি যদি সেই ভাবনাগুলো কঠিন, বিতর্কিত বা আপত্তিকর হয় তাও।’

সুরির আইনজীবীর দাখিল করা আবেদনের বরাত দিয়ে পলিটিকো জানিয়েছে, সুরির স্ত্রী একজন ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক। এই দম্পতি বিশ্বাস করেন, তাদের লক্ষ্যবস্তু করার কারণ, সরকার সন্দেহ করে, তারা ইসরায়েল সম্পর্কে মার্কিন নীতির বিরোধিতা করেন।

মন্তব্য

সুদানে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের দিকে অগ্রসর হচ্ছে সেনাবাহিনী

এএফপি
এএফপি
শেয়ার
সুদানে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের দিকে অগ্রসর হচ্ছে সেনাবাহিনী
ফাইল ছবি : এএফপি

সুদানের নিয়মিত সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের মাত্র ৫০০ মিটারের মধ্যে অগ্রসর হয়েছে। প্রায় দুই বছর আগে এই প্রাসাদটি আধাসামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। এক সামরিক সূত্র এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছে।

নাম না প্রকাশের শর্তে ওই সামরিক কর্মকর্তা বলেন, খার্তুমের কেন্দ্রস্থলে অগ্রসর হওয়ার সময় সেনারা দক্ষিণ দিকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করা ৩০টি যানবাহনের একটি বহর ধ্বংস করেছেন।

বহরটি ছিল আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসে (আরএসএফ)।

প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের চারপাশে এই সংঘর্ষ এমন সময় হচ্ছে, যখন সেনাবাহিনী বৃহত্তর খার্তুমের সেই অঞ্চলগুলো পুনর্দখলে বড় ধরনের অভিযান চালাচ্ছে, যা যুদ্ধের শুরুর দিকে ২০২৩ সালের এপ্রিলে আরএসএফ দখল করে নিয়েছিল।

আরো পড়ুন
সুদানে আরএসএফ ও মিত্রদের ‘অন্তর্বর্তীকালীন সংবিধান’ স্বাক্ষর

সুদানে আরএসএফ ও মিত্রদের ‘অন্তর্বর্তীকালীন সংবিধান’ স্বাক্ষর

 

দক্ষিণ দিক থেকে অগ্রসর হওয়া সেনারা সোমবার শহরের কেন্দ্রস্থলে থাকা বাহিনীর সঙ্গে মিলিত হয়, যা আধাসামরিক বাহিনীর ওপর আরো চাপ সৃষ্টি করে। এএফপির সাংবাদিকরা জানান, তীব্র লড়াইয়ের মধ্যে পুরো শহরজুড়ে বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শোনা গেছে।

সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং তার সাবেক ডেপুটি ও আরএসএফ কমান্ডার মোহাম্মদ হামদান দাগলোর মধ্যে ক্ষমতার লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং এক কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। শুধু বৃহত্তর খার্তুম অঞ্চল থেকেই ৩৫ লাখের বেশি মানুষ নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে, যা যুদ্ধের আগের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি।

এই সংঘাত সুদানকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে। উত্তর ও পূর্ব অংশ সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, আর পশ্চিম ও দক্ষিণের বেশির ভাগ এলাকা আরএসএফের দখলে।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সেনাবাহিনী খার্তুমের উত্তরে ব্লু নীল নদীর ওপারে অবস্থিত খার্তুম নর্থ ও পূর্ব দিকে ইস্ট নীল জেলা পুনর্দখল করেছে। এ ছাড়া খার্তুম ও হোয়াইট নীল নদীর ওপারে অবস্থিত এর সংলগ্ন শহর ওমদুরমানের দক্ষিণ অংশে এখনো বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান আরএসএফের দখলে রয়েছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ