কেনেডি হত্যা সম্পর্কিত চূড়ান্ত নথি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কেনেডি হত্যা সম্পর্কিত চূড়ান্ত নথি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র
ছবিসূত্র : এএফপি

মার্কিন জাতীয় আর্কাইভ যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত নথির চূড়ান্ত দলিল প্রকাশ করেছে। গতকাল মঙ্গলবার এই দলিল প্রকাশ করে। মৃত্যুর ৬০ বছরেরও বেশি সময় পরেও ষড়যন্ত্র তত্ত্বকে উসকে দিয়েছে এই মামলাটি।

আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা গ্রহণের পর জানুয়ারিতে জেএফকে হত্যাকাণ্ডের সব অবশিষ্ট রেকর্ড প্রকাশের আহ্বান জানিয়ে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

যেখানে তার ভাই, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল রবার্ট এফ কেনেডি এবং নাগরিক অধিকার নেতা মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত অবশিষ্ট ফাইলগুলো অসম্পাদিতভাবে প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আনুষ্ঠানিকভাবে জানুয়ারিতে ক্ষমতাগ্রহণ করেন ট্রাম্প। তার জারি করা একটি নির্বাহী আদেশ অনুসরণ করে কেনেডি হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত নথি প্রকাশ করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শুধু কেনেডিই নয়, কেনেডির ভাই, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল রবার্ট এফ কেনেডি এবং নাগরিক অধিকার নেতা মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের হত্যার সঙ্গে সম্পর্কিত অবশিষ্ট নথিগুলো অসম্পাদিতভাবে প্রকাশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আর্কাইভস তাদের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশ অনুসারে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট  জন এফ কেনেডি হত্যাকাণ্ডের নথি সংগ্রহের অংশ হিসেবে শ্রেণীবদ্ধকরণের জন্য পূর্বে আটকে রাখা সব নথি বা দলিল প্রকাশ করা হয়েছে।’

জাতীয় আর্কাইভস গত কয়েক দশক ধরে ১৯৬৩ সালের নভেম্বরে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট কেনেডির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত লাখ লাখ পৃষ্ঠার রেকর্ড প্রকাশ করেছে, কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এবং ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের অনুরোধে হাজার হাজার নথি আটকে রাখা হয়েছিল।

ওয়ারেন কমিশন যারা প্রেসিডেন্টেকে গুলি চালানোর ঘটনা নিয়ে তদন্ত করেছিল। ওয়ারেন কমিশন এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে অত্যন্ত দক্ষ একজন শ্যুটার সাবেক মেরিন লি হার্ভে ওসওয়াল্ড একাই এই কাজ করেছিলেন।

কিন্তু এই আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তটি টেক্সাসের ডালাসে কেনেডির হত্যার পেছনে আরো ভয়াবহ ষড়যন্ত্রের জড়িত থাকার জল্পনাকে থামাতে খুব একটা সাহায্য করেনি এবং সরকারি নথিগুলোর ধীরগতিতে প্রকাশ বিভিন্ন ষড়যন্ত্র তত্ত্বকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে। 

১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বর টেক্সাসের ডালাসে নিহত হন জনএফ কেনেডি। কেনেডি হত্যার দুই দিন পর, ১৯৬৩ সালের ২৪ নভেম্বর একটি কাউন্টি কারাগারে স্থানান্তরিত হওয়ার সময়, ওসওয়াল্ডকে একজন ক্লাবের মালিক জ্যাক রুবি গুলি করে হত্যা করে। 

ইতোমধ্যে প্রকাশিত অনেক রেকর্ডই ছিল অপ্রচলিত গোয়েন্দা তথ্য। যার মধ্যে রয়েছে এফবিআই এজেন্টদের কাছ থেকে পাওয়া অসংখ্য তথ্য অনুসরণ করে এমন প্রতিবেদন যা কোনো ফলাফল দেয়নি।

এগুলোতে যা আছে তার বেশির ভাগই আগে থেকেই জানা ছিল। যেমন সিআইএ কিউবার ফিদেল কাস্ত্রোকে হত্যার জন্য বেশ কয়েকটি অদ্ভুত ষড়যন্ত্র তৈরি করেছিল।

সূত্র : এএফপি

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

উত্তর কোরিয়া পৌঁছেছেন মস্কোর শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা সের্গেই

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
উত্তর কোরিয়া পৌঁছেছেন মস্কোর শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা সের্গেই
ফাইল ছবি : ইয়োনহাপ

রাশিয়ার শীর্ষ নিরাপত্তা উপদেষ্টা সের্গেই শোইগু উত্তর কোরিয়ায় পৌঁছেছেন। তার দেশটির নেতা কিম জং উনের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ সের্গেই শোইগু আগমনের খবর প্রকাশ করেছে। রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাসও এ খবর নিশ্চিত করেছে।

 

কেসিএনএ জানিয়েছে, শোইগুর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলকে সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং পিয়ংইয়ংয়ে নিযুক্ত মস্কোর রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মাতসেগোরাগ স্বাগত জানান। পারমাণবিক অস্ত্রধারী উত্তর কোরিয়ার সরকারি নাম উল্লেখ করে ‘আরআইএ নভোস্তি’ জানিয়েছে, ‘উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের সঙ্গে শোইগুর সাক্ষাতের কথা রয়েছে।’

আরো পড়ুন
চীনের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধের গোপন পরিকল্পনা, মাস্ককে জানাচ্ছে পেন্টাগন?

চীনের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধের গোপন পরিকল্পনা, মাস্ককে জানাচ্ছে পেন্টাগন?

 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা বলেছেন, উত্তর কোরিয়া ১০ হাজারের বেশি সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়ার পক্ষে ইউক্রেনের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য। যাদের রাশিয়ার পূর্ব কুরস্ক অঞ্চলে যুদ্ধে পাঠানো হয়েছে।

এ ছাড়া কামান এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ ভারী অস্ত্রও পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া।

ধারণা করা হয়, উত্তর কোরিয়া এর বিনিময়ে মস্কোর কাছ থেকে সামরিক ও বেসামরিক প্রযুক্তি এবং অর্থনৈতিক সহায়তা পেয়েছে।
তবে পিয়ংইয়ং বা মস্কো কেউই পিয়ংইয়ংয়ের অস্ত্র ও সেনা মোতায়েনের কথা স্বীকার করেনি। তারা বলেছে, গত বছরের জুনে স্বাক্ষরিত একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি বাস্তবায়ন অব্যাহত রেখেছে তারা, যার মধ্যে একটি পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তিও রয়েছে।

সূত্র : রয়টার্স
 

মন্তব্য

রাশিয়ার ওপর আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপে প্রস্তুত ইইউ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
রাশিয়ার ওপর আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপে প্রস্তুত ইইউ
সংগৃহীত ছবি

আরো নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়াতে প্রস্তুত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নেতারা। জি-সেভেন গোষ্ঠীর শীর্ষ কূটনীতিকরা শুক্রবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রবিরতি প্রস্তাব মেনে নিতে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়ে এ কথা জানান।

কানাডায় এই আলোচনা শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে কূটনীতিকরা বলেন, আমরা রাশিয়াকে এতে সাড়া দিয়ে সমতার শর্তে অস্ত্র বিরতিতে সম্মত হতে এবং তা সম্পূর্নভাবে প্রয়োগ করতে আহ্বান জানিয়েছি। যদি এই অস্ত্র বিরতিতে সম্মত না হয় তা হলে রাশিয়াকে আরো মূল্য দিতে হবে যার মধ্যে রয়েছে আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপ, তেলের মূল্যবৃদ্ধি বন্ধ করা আর ইউক্রেনকে আরো সহায়তা প্রদানসহ অন্যান্য উপায়।

শুক্রবার কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রী মেলানি জোলি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রবিরতি প্রস্তাব যাতে ইউক্রেনেরও সমর্থন আছে সেটি সম্পর্কে জি-সেভেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সকলেই সম্মত। আর এখন রাশিয়ার জবাব পাওয়ার অপেক্ষায় আছি।

তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের ব্যাপারে বল এখন রাশিয়ার কোর্টে।’

একই কথার প্রতিধ্বনি তুলে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বলেন, এ ব্যাপারে সবাই একমত যে এখনই সময়, কোনো শর্ত ছাড়াই অস্ত্র বিরতির।

ইউক্রেন তার অবস্থান স্পষ্ট করেছে। এখন এটা গ্রহণ করা রাশিয়ার ওপর নির্ভর করছে।

আরো পড়ুন
যাদের নেতৃত্বে আ. লীগকে ফেরানোর ‘পরিকল্পনা’ হচ্ছে, জানালেন হাসনাত

যাদের নেতৃত্বে আ. লীগকে ফেরানোর ‘পরিকল্পনা’ হচ্ছে, জানালেন হাসনাত

 

রুদ্ধদ্বার বৈঠকে জি-সেভেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈশ্বিক নিরাপত্তায় চীনের ভূমিকা, ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও নৌ-চলাচলের নিরাপত্তা নিয়েও আলোচনা করেন।

মন্তব্য

চীনের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধের গোপন পরিকল্পনা, মাস্ককে জানাচ্ছে পেন্টাগন?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
চীনের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধের গোপন পরিকল্পনা, মাস্ককে জানাচ্ছে পেন্টাগন?
ছবিসূত্র : এএফপি

মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন চীনের সঙ্গে যেকোনা গোপন যুদ্ধের পরিকল্পনা নিয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সহযোগী বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্ককে অবহিত করবে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। স্থানীয় সময় শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর এই পরিকল্পনা মাস্কের কাছে তুলে ধরা হবে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। 

তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের এই প্রতিবেদন অস্বীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

পেন্টাগনের বৈঠক সম্পর্কে গতকাল বৃহস্পতিবার ট্রুথ সোশ্যালের একটি পোস্টে ট্রাম্প বলেছেন, ‘চীনের কথা উল্লেখ বা আলোচনাও করা হবে না।’

পেন্টাগনের প্রধান পিট হেগসেথও প্রতিবেদনটি অস্বীকার করে এক্স-এ একটি পোস্টে বলেছেন, ‘এই বৈঠকটি উদ্ভাবন, দক্ষতা এবং স্মার্ট উৎপাদন সম্পর্কে হবে।’

আরো পড়ুন
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা

 

এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘মাস্ককে বিষয়টি অবহিত করতে পেন্টাগনের ঊর্ধ্বতন মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন এবং চীনসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়া হবে।’ নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, ব্রিফিংয়ে ২০ থেকে ৩০টি স্লাইড থাকবে।

যেখানে চীনের সঙ্গে সংঘাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে লড়াই করবে তার বর্ণনা করা হবে। সংবাদপত্রটি দুই মার্কিন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়েছে, তবে তাদের নাম প্রকাশ করেনি।

পেন্টাগনও জানিয়েছে, মাস্ক শুক্রবার মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরে যাবেন। তবে সেখানে তিনি কি করবেন তার বিস্তারিত জানায়নি।

সুরক্ষিত সামরিক পরিকল্পনায় প্রবেশাধিকার পেলে ট্রাম্পের উপদেষ্টা হিসেবে মাস্কের ভূমিকার পরিধি আরো বেড়ে যাবে। মার্কিন এই বিলিয়নিয়ার এরইমধ্যে সরকারি ব্যয় কমানোর প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এটি মাস্কের জন্য স্বার্থের দ্বন্দ্বও। কারণ টেসলা এবং স্পেসএক্স উভয়ের প্রধান হিসেবে চীন এবং পেন্টাগনের সঙ্গে তার ব্যবসায়িক স্বার্থ রয়েছে।

আরো পড়ুন
ইউক্রেনে পৌঁছেছে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের নতুন চালান

ইউক্রেনে পৌঁছেছে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের নতুন চালান

 

হোয়াইট হাউস আগেই জানিয়েছির, ব্যবসায়িক লেনদেন এবং ফেডারেল সরকারের ব্যয় কমানোর ক্ষেত্রে মাস্কের ভূমিকার মধ্যে কোনো স্বার্থের দ্বন্দ্ব দেখা দিলে তিনি নিজেকে সরিয়ে নেবেন।

প্রযুক্তির অ্যাক্সেস, বাণিজ্য শুল্ক এবং সাইবার নিরাপত্তা থেকে শুরু করে টিকটক, তাইওয়ান, হংকং, মানবাধিকার এবং কভিড-১৯ এর উৎপত্তি পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে ওয়াশিংটন এবং বেইজিংয়ের মধ্যে বছরের পর বছর ধরে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক চলছে।

সূত্র : রয়টার্স
 

মন্তব্য

আমিরাতে ২৫ ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আমিরাতে ২৫ ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড
সংগৃহীত ছবি

সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) ২৫ ভারতীয় নাগরিককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে তাদের মৃত্যুদণ্ড এখনো কার্যকর করা হয়নি। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং। খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির।

মন্ত্রণালয়ের কাছে বিদেশের জেলে বন্দি ভারতীয়দের নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে বিদেশে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতীয়দের তথ্য এবং তাদের জীবন বাঁচানোর জন্য ভারত সরকার কী চেষ্টা করছে, সেই সম্পর্কেও প্রশ্ন করা হয়েছিল। 

মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিদেশের জেলে বিচারাধীন ভারতীয় বন্দির সংখ্যা ১০,১৫২ জন। কীর্তি বর্ধন বলেন, কেন্দ্র সরকার বিদেশে থাকা ভারতীয়দের নিরাপত্তা, সুরক্ষা এবং কল্যাণকে উচ্চ অগ্রাধিকার দেয়।

যার মধ্যে বিদেশের জেলে থাকা ভারতীয়রাও রয়েছেন।

বিদেশে ভারতীয় নাগরিকদের মৃত্যুদণ্ড (এখনো কার্যকর হয়নি) নিয়ে আটটি দেশের তথ্য দেন মন্ত্রী। সেই তথ্য অনুসারে, সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত ভারতীয় বন্দি রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। দেশটিতে এই সংখ্যা হলো ২৫ জন।

এ ছাড়া সৌদি আরবে ১১ জন, মালেশিয়ায় ৬ জন, কুয়েতে ৩ জন এবং ইন্দোনেশিয়া, কাতার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইয়েমেনে একজন করে মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত বন্দি রয়েছেন। 

আরো পড়ুন
সন্ধ্যার মধ্যে ১০ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

সন্ধ্যার মধ্যে ১০ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

 

তাদের জীবন বাঁচানোর জন্য কেন্দ্রের প্রচেষ্টা সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, বিদেশে অবস্থিত ভারতীয় মিশনগুলো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতীয় নাগরিকদের সম্ভাব্য সব সহায়তা প্রদান করে। এসব মিশনের কর্মকর্তারা জেল পরিদর্শন করে বন্দিদের খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি আদালত, পাবলিক প্রসিকিউটর এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। এ ছাড়া বন্দি ভারতীয় নাগরিকদের জামিন আবেদন দায়ের, সাজা কমানোর আবেদন ইত্যাদিসহ বিভিন্ন আইনি সহায়তা দিয়ে থাকেন। 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ