<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বর্বর ইসরায়েলিদের শতাব্দী কাঁপানো বোমা হামলায় এরই মধ্যে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে অবরুদ্ধ গাজার প্রতিটি জনপদ। ধ্বংস হয়ে গেছে পরিবহন খাত। জ্বালানির অভাবে তারা আধুনিক যানবাহন আর ব্যবহার করতে পারছে না। বিকল্প হিসেবে তারা গাধার গাড়িকেই দৈনন্দিন পথচলার মৌল অবলম্বন বানিয়ে নিয়েছে। ফাঁকে ফাঁকে ঘোড়ার গাড়িরও দেখা মেলে। গাড়ির বিকল্পে এগুলোর পিঠে ভর করেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাচ্ছে গাজাবাসী। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমিনা আবু মাগাসিবের কথাই ধরুন। এই নারীর জীবনটা এখন একটি গাধার ওপর নির্ভরশীল। তার গাধার গাড়িই এখন চষে বেড়ায় গাজার নানা জনপদ। ওতে যা আয় হয়, তাতেই তাকে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। এক বছর ধরে গাজাতে জ্বালানির বড়ই অভাব। কেন্দ্রীয় গাজার দেইর এল বালা এলাকার এই নারী গাধার লাগাম হাতে চেপে ধরে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যুদ্ধের আগে আমি দুধ ও ঘোল বেচতাম। বিভিন্ন ফ্যাক্টরি আমার কাছ থেকে দুধ কিনে নিত। এখন আমার আয় নেই বললেই চলে। এই গাড়ি আর গাধাটাই আমার সম্পদ।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এটা ঠিক, যুদ্ধের আগেও গাধায় টানা গাড়ি গাজা উপত্যকায় বিরল কোনো যান ছিল না। কিন্তু চলমান যুদ্ধে ঘরবাড়ির পাশাপাশি অনেক যানবাহনও ধ্বংস হয়ে গেছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিন সন্তানের জননী ও শিক্ষক মারওয়া ইয়াস বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেইর এল বালা থেকে নিজের এলাকা নুসাইরাতে যেতে গাধা-গাড়িতে জনপ্রতি গুনতে হয় ২০ সিকিল (৬৫৫ টাকা)। দূরত্ব মাত্র পাঁচ কিলোমিটার। এটাকে অস্বাভাবিক মনে হতেই পারে। কিন্তু চারপাশের বাস্তবতার দিকে তাকালে এই আকাশছোঁয়া ভাড়াও স্বাভাবিক মনে হয়।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> দীর্ঘশ্বাস নিয়ে এই নারী আবার বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যুদ্ধের আগে গাধা-গাড়িতে চড়তে আমার নিজেরই লজ্জা লাগত। এখন তো না চড়ে উপায়ও নেই।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জাতিসংঘের তথ্য মতে, চলতি বছরের আগস্টে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজার মোট পশুর (গাধা, ঘোড়া ও খচ্চর) ৪৩ শতাংশই বোমার আঘাতে মারা গেছে। এখন বেঁচে আছে মাত্র দুই হাজার ৬২৭টি প্রাণী। আবু মাগাসিব বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আয়ের বেশির ভাগই চলে যায় গাধার খাবারের পেছনে। সব ধরনের খাবারের দামই বেজায় চড়া। সব খরচ শেষে আমার টিকে মাত্র ২০ সিকিল। ধারে কেনা প্রথম গাধাটি মারা গেছে শেলের আঘাতে। বাধ্য হয়ে আড়াই হাজার সিকিলে আরেকটি গাধা কিনেছি। তাও ধার করে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৩২ বছর বয়সী আবদেল মিসবাহও গাধা-গাড়ি চালান। বললেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আগে সবজি বেচতাম। এখন গাধা-গাড়ি দিয়ে ডেলিভারির কাজ করি। কাছাকাছি কোথায় বোমা পড়লে গাধাটি ভীষণ ভড়কে যায়। গাজার উত্তরে খান ইউনিস এলাকা থেকে বাস্তুচ্যুত হন ২৩ বছরের যুবক ইউসুফ মুহাম্মদ। তিনিও মানলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গাধা-গাড়ির কারণেই দুটো খেতে পারছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> সূত্র : খালিজ টাইমস</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>