ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় হামাসের এক রাজনৈতিক নেতাসহ ৬১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা গতকাল সোমবার জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের বর্বর হামলায় এসব ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়।
ইসরায়েল বলছে, রবিবারের হামলাটি হামাসের এক গুরুত্বপূর্ণ সামরিক নেতাকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, খান ইউনিসের আল নাসের হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে আঘাত হানা হয়েছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলছে, হাসপাতালটির ক্ষয়ক্ষতি কমাতে বিস্তৃত গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের পর সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম অস্ত্র ব্যবহার করে হামলাটি চালানো হয়েছে। হামাস জানিয়েছে, এই হামলায় তাদের রাজনৈতিক দপ্তরের সদস্য ইসমাইল বারহুম নিহত হয়েছেন। তিনি হামাসের অর্থবিষয়ক প্রধান।
বারহুমই তাদের হামলার লক্ষ্য ছিল বলে নিশ্চিত করেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ।
হামাসের আল আকসা টিভি জানিয়েছে, ইসরায়েলের আগের এক হামলায় আহত বারহুম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
এর আগে খান ইউনিসে ইসরায়েলের পৃথক হামলায় হামাসের আরেক রাজনৈতিক নেতা সালাহ আল-বারদাউইল নিহত হন। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী নিশ্চিত করেছে, তারা শনিবার গভীর রাতে বারদাউইলকে হত্যা করেছে।
বারদাউইল ও বারহুম উভয়েই হামাসের ১৯ সদস্যের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী পরিষদ ‘রাজনৈতিক দপ্তর’-এর সদস্য ছিলেন।
হামাসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত এই পরিষদের ১১ জন সদস্য নিহত হয়েছেন।
প্রায় দুই মাস যুদ্ধবিরতি চলার পর গত মঙ্গলবার থেকে গাজায় আবার হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। এর মধ্যে ইসরায়েলের আক্রমণ আরো বিস্তৃত হয়েছে বলে গাজার বাসিন্দারা জানিয়েছেন।
গাজায় প্রায় ১৮ মাস ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে রবিবার ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
গাজার খান ইউনিসের প্রধান চিকিৎসাকেন্দ্র নাসের হাসপাতালে গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় ইসরায়েল বিমান হামলা চালায়।
হামাসের এক কর্মকর্তা বিবিসিকে এ কথা বলেছেন। হামাসের এই জ্যেষ্ঠ নেতার নাম ইসমাইল বারহুম।
হামাসের একই কর্মকর্তা বলেছেন, চার দিন আগে ইসরায়েলের বিমান হামলায় ইসমাইল আহত হয়ে খান ইউনিসের হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। সূত্র : বিবিসি