বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ গ্রিনল্যান্ড ও কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ পানিপথ পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মরিয়া হয়ে উঠেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ নিতে বিভিন্ন উপায় খুঁজছেন ট্রাম্প। এ ছাড়া বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের সীমানাভুক্ত করার সংকল্প ফের ব্যক্ত করেছেন তিনি।
দুই মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে এনবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পানামায় মার্কিন সেনাদের উপস্থিতি বাড়াতে উপায় খোঁজার জন্য মার্কিন সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে হোয়াইট হাউস।
যুক্তরাষ্ট্র ও পানামার মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার থেকে শুরু করে দখল করা পর্যন্ত বিভিন্ন উপায় পর্যালোচনা করতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে হোয়াইট হাউস ও পেন্টাগনের বক্তব্য জানার চেষ্টা করেছিল এএফপি, তবে তাৎক্ষণিক সাড়া পাওয়া যায়নি।
এদিকে এই খবর প্রকাশের পর পানামা সরকার বলেছে, দেশের সার্বভৌমত্ব ও পানামা খালের সুরক্ষায় তারা দৃঢ় অবস্থানে থাকবে। পানামার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হ্যাভিয়ার মার্তিনেজ-আচা সাংবাদিকদের বলেন, ‘এসব বিবৃতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে শুধু বলতে চাই, নিজেদের ভূখণ্ড, খাল ও সার্বভৌমত্বের সুরক্ষায় পানামা দৃঢ় অবস্থান বজায় রেখেছে।
’ হ্যাভিয়ার মার্তিনেজ-আচা আরো বলেন, ‘স্পষ্ট করে বলছি, এ খাল পানামার মানুষের এবং তা তাদেরই থাকবে।’
এনবিসি নিউজের ওই প্রতিবেদন মধ্য আমেরিকার দেশ পানামাকে হতবাক করে দিয়েছে। ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে দেশটিতে কোনো মার্কিন সেনা নেই। যুক্তরাষ্ট্র পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেওয়ার পর ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সর্বশেষ মার্কিন সেনা পানামা ছেড়েছে।
পানামা খাল নির্মাণ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে ট্রাম্প গত বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের এক বৈঠকে ন্যাটো প্রধান মার্ক রুটেকে বলেছেন, আন্তর্জাতিক সুরক্ষার জন্য গ্রিনল্যান্ডের ওপর দখল চায় যুক্তরাষ্ট্র। এই সংযুক্তিকরণ সম্ভব কি না জানতে চাওয়া হলে ট্রাম্প এক সাংবাদিককে জানান, ‘আমার মনে হয় এটা হবে।’
ট্রাম্প আরো বলেন, এর আগে এই প্রস্তাব নিয়ে তিনি খুব একটা চিন্তা করেননি। রুটে এই বিষয় তাকে সাহায্য করতে পারেন, তাই এই বৈঠকে তিনি এই প্রস্তাবটি রেখেছেন।
তিনি বলেন, এমন অনেক দেশ আছে যাদের গ্রিনল্যান্ডে যাতায়াত আছে। সে কারণেই আন্তর্জাতিক সুরক্ষার জন্য গ্রিনল্যান্ডকে প্রয়োজন। রুটে অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি এই বিতর্ক থেকে দূরে থাকতে চান। সূত্র : এএফপি, বিবিসি