এদিকে রবিবার হুতিদের পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ এবং আহত হয়েছে ১০১ জন।

গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করা এই হুতি গোষ্ঠী জানিয়েছে, তাদের বাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলার জবাব দেবে।

হুতিরা জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় ইয়েমেনের রাজধানী সানা এবং উত্তরে অবস্থিত সাদা, যেখানে সৌদি আরবের সীমান্তে এই বিদ্রোহীদের শক্ত ঘাঁটি রয়েছে, সেখানে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।

ইরান সমর্থিত এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি ইসরায়েলকে শত্রু মনে করে। সানা এবং ইয়েমেনের উত্তর-পশ্চিমে তাদের নিয়ন্ত্রণ থাকলেও এটি দেশটির আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার নয়।

একটি আনভেরিফায়েড ছবিতে দেখা যায়, সানার বিমানবন্দরের ওপর থেকে কালো ধোঁয়া উড়ছে, ওই এলাকা একটি সামরিক স্থাপনার অন্তর্গত।

একটি বিবৃতিতে হুতিরা ইয়েমেনের রাজধানী সানার আবাসিক এলাকাকে লক্ষ্য করে ‘দুষ্ট আগ্রাসনের’ জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যকে দোষারোপ করেছে। ট্রাম্প আরো বলেছেন, ‘লক্ষ্য অর্জন না করা পর্যন্ত আমরা আমাদের অপ্রতিরোধ্য প্রাণঘাতী শক্তি ব্যবহার করব।’

হুতিরা বলেছে, তারা গাজায় ইসরায়েল-হামাসের যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে কাজ করছে। তবে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে হুতিরা লোহিত সাগর এবং এডেন উপসাগরে কয়েক ডজন বাণিজ্যিক জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন এবং ছোট ছোট নৌকা দিয়ে হামলা করেছে। 

তারা দুটি জাহাজ ডুবিয়ে দিয়েছে, তৃতীয় আরেকটি আটক করেছে এবং চারজন নাবিককে হত্যা করেছে।

মার্চের মাঝামাঝি সময়ে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘বসন্ত অভিযান’ ঘোষণা করে টিটিপি। এর পর থেকে পার্বত্য প্রদেশ খাইবারপাকতুনখোয়া প্রদেশে ৮০টির বেশি হামলার দায় স্বীকার করেছে তারা। প্রাদেশিক রাজধানী পেশোয়ারের পুলিশপ্রধান কাশেম আলী বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশের ওপর হামলা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গেছে।

ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ ইকোনমিক করিডরকে ট্রাম্প ‘একটি চমৎকার গ্রুপ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যারা একসঙ্গে কাজ করে বাণিজ্যে মার্কিন স্বার্থ ক্ষুণ্ন করতে চায় এমন দেশগুলোর বিরুদ্ধে।

এর আগে ২০২৩ সালের এপ্রিলে আরএসএফ ও সেনাবাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে আধাসামরিক বাহিনী প্রাসাদটি দখল করে নেয়। ওই সময় আরএসএফ দ্রুত খার্তুমের রাস্তাগুলো দখল করে। লোহিত সাগর উপকূলে বন্দর সুদানে পালিয়ে যায় সেনাবাহিনী সমর্থিত সরকার।

সেন্ট্রাল খার্তুমে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ মন্ত্রণালয় এবং রাজধানীর ব্যাবসায়িক জেলার পাশাপাশি অবস্থিত। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সেনাবাহিনী শহরজুড়ে অভিযান চালানোর পর থেকে ভয়াবহ যুদ্ধের স্থান হয়ে উঠেছে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে সেনাবাহিনী বলেছিল যে তাদের বাহিনী উত্তর ও দক্ষিণ থেকে একত্রিত হয়েছে।

লাখ লাখ মানুষ প্রায় দুই বছরে নিহত হয়েছে।