<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পশ্চিমা বহুজাতিক ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন, নুভিস্তা ও সানোফির পর এবার বাংলাদেশ ছাড়ছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক নোভার্টিস এজি। নোভার্টিস বাংলাদেশ লিমিটেডে (এনবিএল) নিজেদের মালিকানাধীন শেয়ার শীর্ষস্থানীয় দেশীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের কাছে হস্তান্তর করবে। নোভার্টিস চলে যাওয়ার পর বাংলাদেশে স্থানীয় কারখানা থাকা একমাত্র বিদেশি ওষুধ প্রস্তুতকারক কম্পানি হবে ভারতীয় সান ফার্মার সহযোগী প্রতিষ্ঠান সান ফার্মা বাংলাদেশ।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাজারজাতকরণে অসুস্থ প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে বাংলাদেশ থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছিল একটি বহুজাতিক ওষুধ কম্পনি। একের পর এক বিদেশি ওষুধ কম্পানি দেশ থেকে ব্যবসা গুটানোয় বৈচিত্র্য হারাচ্ছে দেশের ওষুধ খাত, সেই সঙ্গে গবেষণালব্ধ ওষুধ প্রাপ্তির ব্যাপ্তিও কমে যাচ্ছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে বাংলাদেশ ওষুধশিল্প মালিক সমিতির নেতারা দাবি করছেন, বিদেশি ওষুধ কম্পানিগুলোই এ দেশে অনৈতিক বিপণন ব্যবস্থা চালু করেছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বেশ কয়েক বছর আগেই ফাইজার, ফাইসন্স, স্কুইবসহ বড় বড় কয়েকটি বিদেশি ওষুধ কম্পানি বাংলাদেশ থেকে তাদের বিনিয়োগ গুটিয়ে নিয়েছে। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশ ছাড়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ওষুধ কম্পানি গ্লক্সোস্মিথক্লাইন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে নোভার্টিস সুইজারল্যান্ড ও রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালসের মধ্যে শেয়ার হস্তান্তর চুক্তি স্বাক্ষর হয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চুক্তি অনুযায়ী নোভার্টিস বাংলাদেশ লিমিটেডের ৬০ শতাংশ শেয়ার অধিগ্রহণ করেছে স্থানীয় ওষুধ কম্পানি রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। বাকি ৪০ শতাংশ শেয়ার যথারীতি বাংলাদেশ সরকারের হাতেই থাকবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সরকারের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটিতে প্রতিনিধিত্ব করছে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান নোভার্টিস এজি তাদের ব্যবসার বৈশ্বিক কৌশলের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের ব্যবসা স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে পরিপ্রেক্ষিতে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নোভার্টিসের এশিয়া অঞ্চলের প্রধান কেভিন জো ও রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লে. জে. সিনা ইবনে জামালী (অব.) নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যান মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী, বিজনেস কনসোর্টিয়াম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু শাহরিয়ার জাহেদী, রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ সদস্য ও ফার্মাসিল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুসাওয়াত শামস জাহেদী, রেডিয়েন্ট কেয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ কিউ এম মহিউদ্দিন ও উপব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসফিয়া জাহেদী উপস্থিত ছিলেন। নোভার্টিস সুইজারল্যান্ডের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সায়মন ইয়াং, এরিক ক্যারিও ও ড্যানিয়েল চে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের পরিচালক (অর্থ) ও যুগ্ম সচিব মো আব্দুর রাজ্জাকসহ রেডিয়েন্ট ফার্মাসিটিক্যালসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চুক্তির বিষয়ে রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যান মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী বলেন, এই চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের ওষুধ খাতে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হলো। যাত্রার শুরু থেকেই রেডিয়েন্ট গুণগত মানসম্পন্ন ওষুধ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে কাজ করে চলেছে। এই চুক্তি রেডিয়েন্টের সেই প্রচেষ্টাকে আরো শক্তিশালী করবে। রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড দেশের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী এবং রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম। রেডিয়েন্ট ফার্মার সাড়ে ছয় হাজারেরও বেশি কর্মী রয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির পোর্টফলিওতে ১০০-এর বেশি নিবন্ধিত ব্র্যান্ড এবং ১২টি আন্তর্জাতিক অংশীদার রয়েছে। এই মালিকানা স্থানান্তর দীর্ঘমেয়াদে উভয় প্রতিষ্ঠানের টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে এবং ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধির শক্তিশালী ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রেডিয়েন্টের ছয় হাজার ৫০০-এরও বেশি কর্মী রয়েছে এবং এর পোর্টফোলিওতে ১০০টির বেশি নিবন্ধিত ব্র্যান্ড ও এক ডজন আন্তর্জাতিক অংশীদার রয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নোভার্টিস বাংলাদেশ এবং এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্যান্ডোজ বাংলাদেশের বার্ষিক টার্নওভার প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। ৭৫ শতাংশ রাজস্ব স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্য থেকে আসে, বাকি ২৫ শতাংশ আসে আমদানি করা পণ্য থেকে।</span></span></span></span></p>