<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে ব্যান্ডউইডথ সরবরাহের প্রস্তাব বাতিল করেছে বিটিআরসি। সম্প্রতি বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশনস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমানের সই করা চিঠিতে বিষয়টি জানানো হয়। প্রস্তাব বাতিলের কারণ হিসেবে বিটিআরসি বলছে, ট্রানজিটের কারণে আঞ্চলিক হাব হিসেবে দুর্বল হবে বাংলাদেশ, শক্তিশালী হবে ভারত।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০২২ সালে বাংলাদেশকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে ব্যান্ডউইডথ সরবরাহের আবেদন করে ভারতী এয়ারটেল। এরপর গত বছর বিটিআরসির কাছে ভারতী এয়ারটেলের মাধ্যমে সিঙ্গাপুর থেকে আখাউড়া সীমান্ত হয়ে সেভেন সিস্টার্সে ব্যান্ডউইডথ সরবরাহের প্রস্তাব দেয় দেশীয় প্রতিষ্ঠান সামিট ও ফাইবার অ্যাট হোম।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ভারতকে ব্যান্ডউইডথ ট্রানজিট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিটিআরসি। নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি বলছে, ট্রানজিট দিলে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলের অব্যবহৃত প্রায় চার হাজার ৯০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ কাজে লাগানো ঝুঁকিতে পড়বে। বাধাগ্রস্ত হবে বাংলাদেশের মেটা, গুগল, আকামাই ও অ্যামাজনের মতো প্রতিষ্ঠানের ব্যান্ডউইডথ সংযোগ কেন্দ্রে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনাও।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ট্রানজিট আমাদের গাইডলাইনেই নেই।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে একমত হতে পারেনি সামিট ও ফাইবার অ্যাট হোম। ফাইবার অ্যাট হোম গ্লোবালের চিফ অপারেটিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (অব.) মশিউর রহমান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এখানে আইসিটি আমদানি করে নর্থ-ইস্টার্ন বা সেভেন সিস্টার্স স্টেটে বিক্রির ব্যাপারে আলোচনা হয়নি। আলোচনা হয়েছে সাবমেরিন কেবলের অব্যবহৃত ব্যান্ডউইডথ নিয়ে। এটা কিভাবে সাবমেরিন কেবলের জন্য ক্ষতিকর, তা আমার বোধগম্য নয়।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উল্লেখ্য, ভারতের আসাম, ত্রিপুরাসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্য থেকে চেন্নাই সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনের দূরত্ব পাঁচ হাজার ৫০০ কিলোমিটার। আর বর্তমান নেটওয়ার্কে উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে সিঙ্গাপুরে সিগন্যাল পৌঁছাতে পাড়ি দিতে হয় আট হাজার ৭০০ কিলোমিটার দূরত্ব। এতে সময় লাগে প্রায় ৮৭ মিলি সেকেন্ড। কিন্তু বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারত ব্যান্ডউইডথ নিতে পারলে সিঙ্গাপুর পর্যন্ত দূরত্ব কমবে তিন হাজার ৭০০ কিলোমিটার; ল্যাটেন্সি বা সময় কমবে প্রায় ৩৭ মিলি সেকেন্ড।</span></span></span></span></p>