<p>তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিলেটের সীমান্তবর্তী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় দুই পক্ষের তিন ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে পুরো উপজেলা বাজার রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশ গিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারায় পরে সেনাবাহিনী সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। বেশ কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর এবং দুটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।</p> <p>শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার থানা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।</p> <p>জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার থানাবাজার এলাকায় মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়া নিয়ে বাগবিতণ্ডা থেকে উপজেলার কাঁঠালবাড়ি, বর্নি ও কোম্পানীগঞ্জ এলাকার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। রাত পৌনে ১০টা পর্যন্ত থেমে থেমে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। রাত ১০টার দিকে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। সংঘর্ষের সময় দুটি মোটরসাইকেল পোড়ানোসহ থানা বাজারে অসংখ্য দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় রাত ১০টা পর্যন্ত উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সিলেট ওসমানী হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার কামরুজ্জামান রাসেল।</p> <p>পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর আলম ঘটনাস্থল থেকে জানিয়েছেন, ‘তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিন পক্ষের মধ্যে সমস্যার সৃষ্টি হয়ে দুই পক্ষে বিভক্ত হয়েছে দফায় দফায় সংঘর্ষ কয়েকজন আহত হওয়াসহ বিভিন্ন স্থানে আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। থানা পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা মিলে সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা করলেও কোনো পক্ষই থামছিল না। পরে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।’</p> <p>কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘সন্ধ্যা ৬টার দিকে ছোট্ট একটি বিষয়ে নিয়ে দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। এ নিয়ে দু'টি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। রাত ১০টার দিকে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।’</p>