<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কুচক্রী মহলের হামলা ও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাজধানীর বনানীর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) মূল ভবন। আগুনে পুড়ে যায় ল্যান্ডফোন, সিসি ক্যামেরার সার্ভাররুম, এসি-বিদ্যুতের লাইন, নষ্ট হয় বিভিন্ন আসবাবও, যা মেরামত ও ক্রয়ে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে অতিরিক্ত ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে বিআরটিএ।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জুলাই আন্দোলনে বিআরটিএ ভবন ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের পর কার্যালয়ের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির আহ্বায়ক করা হয় বিআরটিএর পরিচালক (প্রশাসন) আজিজুল ইসলামকে। সেই কমিটির দেওয়া প্রতিবেদনে ৩৮ কোটি টাকা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হলেও এখন ভবন মেরামতে ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সম্প্রতি বিআরটিএ ভবন সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের সামনের গ্লাস ভেঙে ফেলা হয়েছিল,  যা এখনো ভাঙাই রয়েছে। টেলিফোন ও সিসি ক্যামেরার সার্ভাররুম আগুনে পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। ভবনের নিচতলায় এসি ও বিদ্যুতের তার পুড়ে গেছে। ভবনের অভ্যার্থনা কক্ষ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ওপরের কয়েকটি ফ্লোরেও ভাঙচুর করা হয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিআরটিএর একাধিক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, ভবনের নিচতলায় এসির লাইন পুড়ে যাওয়ায় এসি নেই। অনেক রুমের টিএনটি কানেকশন নেই। পুরো ভবনের সাউন্ড সিস্টেমও নষ্ট হয়ে গেছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিআরটিএ জানিয়েছে, বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে ব্যয় সংকোচন করা সম্ভব নয়। বরং ভবন মেরামত ও আনুষঙ্গিক আসবাব কেনার জন্য অতিরিক্ত বরাদ্দের প্রস্তাব করা হলে মন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দাখিল করে। কমিটির মতামত অনুযায়ী, ভবন মেরামত ও আনুষঙ্গিক আসবাব, কম্পিউটার কিনতে অতিরিক্ত ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রয়োজন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পরিকল্পনা কমিশন জানায়, প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দিতে পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। গণপূর্ত অধিদপ্তরকে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দিয়ে ভবন মেরামত ও প্রয়োজনীয় আসবাব কেনার কথা বলা হয়েছে চিঠিতে। বিআরটিএর চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীন কালের কণ্ঠকে বলেন, আন্দোলনের সময় আগুনে পুড়ে বিআরটিএ ভবনের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সরেজমিন পরিদর্শন করে আমরা ভবন মেরামত ও আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র কিনতে রেভিনিউ বাজেট থেকে ২৫ কোটি টাকা চেয়েছি। এই বরাদ্দ গণপূর্তকে দিতে বলেছি। কারণ, ভবনটি গণপূর্তের। গণপূর্ত অধিদপ্তরই ভবন মেরামত করে দেবে।</span></span></span></span></p>