<p style="text-align:justify">বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল বলেছেন, ‘আমলাতন্ত্রের জালিমদের মাজা ভাঙতে না পারলে ব্যর্থতার মাসুল দিতে হবে আমাদের জীবন দিয়ে।’</p> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, ‘সচিবালয়ের ঘটনা একটা সুযোগ এনে দিয়েছে। ৩০০ বছরের ব্রিটিশ নির্মিত জালেম আমলাতন্ত্রে লুকিয়ে থাকা আমাদের ভ্রাতৃঘাতী শত্রুদের খুব দ্রুত চিহ্নিত করে, রাউন্ড-আপ করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।’</p> <p style="text-align:justify">আজ বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।</p> <p style="text-align:justify">আরিফ সোহেল বলেন, ‘৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেন। শত্রু-মিত্র চেনার সুযোগ হলো না। বাস্তবতা এই যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেছেই গুপ্তশত্রু সঙ্কুল, লুকিয়ে থাকা শয়তানদের সাজানো আড্ডাখানায়। ৫ই আগস্টের পর আমরা বলেছি ‘সাঈদ, ওয়াসিম, মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ’, কিন্তু এই স্লোগানটা রেটোরিকের বাইরে উপলব্ধির চেষ্টা কম হয়েছে।’</p> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, ‘সচিবালয়ে আগুন প্রথম সাবোটাজ নয়, শেষ সাবোটাজও নয়। পৃথিবীর সবচেয়ে দক্ষ সরকারও বাংলাদেশে এখন ক্ষমতা নিলে একের পর এক সাবোটাজ ফেইস করতে হবে, বন্ধুরূপী শত্রুবেষ্টিত ফিল্ডে। আমাদের লড়াই এখন গুপ্তশত্রুর বিরুদ্ধে, তাই গুপ্ত আক্রমণ হবেই।’</p> <p style="text-align:justify">আরিফ সোহেল বলেন, ‘ইতিহাস একসময় বলবে অনেকগুলো গুপ্ত আক্রমণ, প্রতিবিপ্লব প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছে (ব্যর্থ হয়েছে বলেই জনতা জানে না)। ছিঁড়ে যাওয়া তসবির দানার মতো মুসিবত হাজির হয়েছে, আরো হবে। তবে এই ব্যাখ্যা কোনো দায়মুক্তি নয়। একটি গুপ্ত আক্রমণও সফল হতে দেওয়া যাবে না।’</p> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, ‘সচিবালয়ের ঘটনা একটা সুযোগ এনে দিয়েছে। ৩০০ বছরের ব্রিটিশ নির্মিত জালেম আমলাতন্ত্রে লুকিয়ে থাকা আমাদের ভ্রাতৃঘাতী শত্রুদের খুব দ্রুত চিহ্নিত করে, রাউন্ড-আপ করে বিচারের মুখোমুখী করতে হবে।’</p> <p style="text-align:justify">তিনি আরো বলেন, ‘গুপ্তযুদ্ধ চলছে। আর যুদ্ধে অ্যাটাক খেতে হবেই। প্রপার কাউন্টার অ্যাটাক দিয়ে লড়াইয়ে ছাত্র-জনতাকে চূড়ান্ত বিজয়ের দিকে নিয়ে যেতে হবে।’</p>