<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মাইদুল ইসলাম একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী। তিনি ঢাকার একটি অভিজাত এলাকার বাসাগুলো থেকে ময়লা সংগ্রহ করে সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত স্থানে ফেলে দেন। তবে ময়লা থেকে বিভিন্ন ধরনের জিনিস সংগ্রহ করে সেগুলো বিক্রি করেন। এর মাধ্যমে তার কিছু বাড়তি উপার্জন হয়। মাইদুল ইসলামের প্রশ্ন</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ময়লার গাড়ি থেকে জিনিসপত্র সংগ্রহ করে তা বিক্রি করার বিধান কী?</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">প্রাজ্ঞ আলেমরা বলেন, মানুষ সাধারণত যা ময়লার সঙ্গে ফেলে দেয় তা ময়লার গাড়ি বা স্তূপ থেকে সংগ্রহ করে বিক্রি করা জায়েজ। এগুলো বিক্রি করে উপার্জিত অর্থ ব্যক্তির জন্য হালাল। যেমন</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">প্লাস্টিকের বোতল, ভাঙা ও নষ্ট ইলেকট্রিক জিনিস, পুরনো কাপড় ইত্যাদি। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আর যেসব মূল্যবান জিনিস সাধারণত ময়লার ভেতর মানুষ ফেলে দেয় না, ময়লার স্তূপ বা গাড়িতে এমন জিনিস পাওয়া গেলে যথাসম্ভব তার মালিককে খুঁজে বের করা আবশ্যক। মালিক খুঁজে পেতে যথাযথ প্রচার-প্রচারণাও আবশ্যক। যতক্ষণ মালিককে খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে ততক্ষণ অনুসন্ধান অব্যাহত রাখা আবশ্যক। মালিক পাওয়া না গেলে মূল্যবান জিনিসটি সংরক্ষণ করবে। যেন মালিক জিনিসের অনুসন্ধানে এলে তাকে তা ফেরত দেওয়া যায়। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">যথাযথ অনুসন্ধান ও দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করার পরও যদি মালিকের সাক্ষাৎ না মেলে, তবে মালিকের পক্ষ থেকে তা দরিদ্র্য ব্যক্তিকে দান করে দেবে। এ ক্ষেত্রে মূল্যবান বস্তুর সংরক্ষণকারী ব্যক্তি জাকাতের উপযুক্ত হলে সে নিজেও তা ব্যবহার করতে পারবে। দান করার পর বা ব্যবহার শুরু করার পরও মালিক তার জিনিস ফেরত চাইতে পারবে। তখন হয়তো তাকে জিনিস ফেরত দেবে অথবা ক্ষমা চেয়ে নেবে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ইমাম শামি (রহ.) বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">যদি কোনো ব্যক্তি রাস্তায় এই নিয়তে তার কোনো জিনিস রাখে যে, যে ব্যক্তি সেটা ওঠাবে সে তার মালিক হবে, তবে তা জায়েজ।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">(ফাতাওয়ায়ে শামি : ৫/৬৮৮)</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ফাতাওয়ায়ে আলমগিরিতে বলা হয়েছে, কোনো জিনিস কুড়িয়ে পাওয়া ব্যক্তি বাজারে ও রাস্তায় ততক্ষণ তার ঘোষণা দেবে যতক্ষণ পর্যন্ত না তার ধারণা হয় যে এই জিনিসের মালিক তা আর অনুসন্ধান করবে না। অতঃপর জিনিসটি ব্যবহার করা তার জন্য হালাল হবে। হেরেমের ভেতর ও বাইরে পাওয়া জিনিসের বিধান একই রকম।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">(ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি : ২/২৮৯)</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আল্লাহ সব বিষয়ে সবচেয়ে ভালো জানেন।</span></span></span></span></span></p>