<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">জুলাই মাসের শুরুতে আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হলে তাতে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করে দেশের আলেমসমাজ ও ইসলামপন্থী মানুষ। এ ক্ষেত্রে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো ছিল অগ্রগামী। যেমন</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">৪ জুলাই ২০২৪ (বৃহস্পতিবার) ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ সরাসরি আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে। পাশাপাশি এই ছাত্রসংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ চলমান শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে তাতে সারা দেশের নেতাকর্মীদের সঙ্গে থাকার আহ্বান জানান। ৬ জুলাই এক সমাবেশ থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম কোটাবিরোধী আন্দোলনের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন। ১২ জুলাই ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল করে ইসলামী যুব আন্দোলন। শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় ১৮ জুলাই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের নেতৃত্বে ঢাকায় এবং ১৯ জুলাই সৈয়দ ফয়জুল করীমের নেতৃত্বে বরিশালে প্রতিবাদসভা অনুষ্ঠিত হয়। ২৯ জুলাই সংবাদ সম্মেলন থেকে দলটি ছাত্র-জনতার হত্যার বিচার এবং অবৈধ সরকারের পদত্যাগের আহ্বান জানায়। ১ আগস্ট পুলিশের গুলিতে আহত আন্দোলনকারীদের দেখতে যান মুফতি ফয়জুল করীম। ২ আগস্ট তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সব সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সর্বাত্মক আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেন। ৩ আগস্ট তিনি ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশের নেতৃত্ব দেন এবং শাহবাগে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার মাঝে উপস্থিত হয়ে ঐতিহাসিক বক্তৃতা প্রদান করেন। ৪ আগস্ট মুফতি ফয়জুল করীম ঢাকায় দ্রোহের মিছিলে নেতৃত্ব দেন। ৫ আগস্ট ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তাদের পূর্বঘোষিত দেশব্যাপী গণমিছিল কর্মসূচি প্রত্যাহার করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আহৃত </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মার্চ টু ঢাকা</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে। একই দিন মুফতি ফয়জুল করীম কারফিউ ভেঙে লাঠি মিছিল নিয়ে শাহবাগে উপস্থিত হন। দলটির দাবি, এটাই ছিল কোনো রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের প্রথম কারফিউ ভাঙার ঘটনা। দলটি আরো দাবি করে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে তাদের ১৮ নেতাকর্মী শহীদ এবং কয়েক শ আহত হয়েছেন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নানা পর্যায়ে এর প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে বক্তৃতা, বিবৃতি ও কর্মসূচি পালন করে খেলাফত মজলিস, হেফাজতে ইসলাম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামসহ অন্যান্য ইসলামী রাজনৈতিক দল। বিশেষত আগস্টের শুরু থেকে প্রায় ইসলামী দল গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষে নিজ নিজ অবস্থান স্পষ্ট করে। যদিও তাদের নেতাকর্মীরা শুরু থেকেই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিল। </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সাধারণ আলেমসমাজ</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> ৩ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আমারও কিছু বলার আছে</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> কর্মসূচি পালন করে। সংগঠনটি ৪ ও ৫ আগস্ট ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে সরকারবিরোধী তুমুল আন্দোলন ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গণ-অভ্যুত্থান সফল হওয়ার পরও নানা ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে আসছে আলেমসমাজ ও মাদরাসা শিক্ষার্থীরা।</span></span></span></span></span></p> <p> </p>