আল্লাহকে দুনিয়ায় দেখা সম্ভব নয়

আহমাদ মুহাম্মাদ
আহমাদ মুহাম্মাদ
শেয়ার
আল্লাহকে দুনিয়ায় দেখা সম্ভব নয়

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আকিদা ও বিশ্বাস হলো, দুনিয়ায় আল্লাহকে দেখা সম্ভব নয়। এই আকিদা ও বিশ্বাস কোরআন দ্বারা প্রমাণিত। আল্লাহ বলেন, কোনো দৃষ্টি তাঁকে (দুনিয়ায়) বেষ্টন করতে পারে না, বরং তিনিই সব দৃষ্টিকে বেষ্টন করেন। তিনি অতি সূক্ষ্মদর্শী এবং ভেতর-বাইরে সব বিষয়ে বিজ্ঞ।

(সুরা : আনআম, আয়াত : ১০৩)

এর প্রমাণ পাওয়া যায় মুসা (আ.)-এর ঘটনায়। মুসা (আ.) যখন হে আমার রব, আমাকে দেখা দাও বলে আল্লাহকে দেখতে চেয়েছেন, তখন জবাবে আল্লাহ বলেছিলেন : তুমি কখনো আমাকে দেখতে পারবে না।

পবিত্র কোরআনে এসেছে : মুসা যখন নির্ধারিত স্থানে উপস্থিত হলো, তখন তার রব তার সঙ্গে কথা বললেন। সে তখন নিবেদন করল, হে আমার রব! আপনি আমাকে দর্শন দিন।

আল্লাহ বলেন, তুমি আমাকে কখনো দেখতে পারবে না, তবে তুমি ওই পাহাড়ের দিকে তাকাও। যদি ওই পাহাড় স্বস্থানে স্থির থাকে তাহলে তুমি আমাকে দেখতে পারবে। অতঃপর তার রব যখন পাহাড়ে জ্যোতিস্মান হলেন তখন তা পাহাড়কে চূর্ণবিচূর্ণ করে দিল, আর মুসা সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে গেল। যখন চেতনা ফিরে এলো তখন সে বলল, আপনি মহিমাময়, আপনার পবিত্র সত্তার কাছে আমি তাওবা করছি এবং আমিই সর্বপ্রথম ঈমান আনলাম।
(সুরা : আরাফ, আয়াত : ১৪৩)

মুসা (আ.) নবী হয়ে যখন এ জবাব পেয়েছিলেন, তখন বোঝা যায় যে অন্য কোনো জিন ও মানুষের পক্ষে আল্লাহকে দেখার সাধ্য নেই। তবে এসব কথা দুনিয়ার জীবনের জন্য প্রযোজ্য। কেননা পরকালে মুমিনরা আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভ করবেন। এ কথা বিশুদ্ধভাবে প্রমাণিত। কোরআনে এসেছে, কিয়ামতের দিন অনেক মুখমণ্ডল সজীব ও প্রফুল্ল হবে।

তারা নিজ রবকে দেখতে থাকবে। (সুরা : কিয়ামা, আয়াত : ২২-২৩)

দুনিয়ায় আল্লাহকে দেখা অসম্ভব হওয়ার বিষয়টি হাদিস দ্বারাও প্রমাণিত। আবদুল্লাহ ইবনু ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, তোমাদের কেউ কখনো তার রবকে দেখতে পাবে না, যতক্ষণ না সে মৃত্যুবরণ করবে। (মুসলিম, হাদিস : ১৬৯; তিরমিজি, হাদিস : ২২৩৫)

প্রশ্ন হলো, মিরাজজের রজনীতে মহানবী (সা.) কি সচক্ষে আল্লাহ তাআলাকে দেখেছেন? এ প্রশ্নের জবাব হলো, বিষয়টি নিয়ে সাহাবাদের যুগ থেকে মতভেদ আছে। কেউ কেউ বলেছেন, তিনি মহান আল্লাহকে দেখেছেন আর কেউ কেউ বলেছেন, বরং তিনি আল্লাহর নুর দেখেছেন। আবু জার গিফারি (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কি মিরাজে আপনার রবকে দেখেছিলেন? তিনি বলেন, নুর (দেখেছি)কিভাবে তাঁকে আমি দেখব? (তিরমিজি, হাদিস : ৩২৮২)

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

কোরআন থেকে শিক্ষা

    পর্ব, ৭৩৯
শেয়ার
কোরআন থেকে শিক্ষা

আয়াতের অর্থ : ‘বৃদ্ধা নারী, যারা বিয়ের আশা রাখে না, তাদের জন্য অপরাধ নেই, যদি তারা তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে তাদের বহির্বাস খুলে রাখে। তবে এটা থেকে বিরত থাকাই তাদের জন্য উত্তম। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।’

(সুরা : নুর, আয়াত : ৬০)

আয়াতে বৃদ্ধা নারীর পর্দার বিধান বর্ণনা করা হয়েছে।

শিক্ষা ও বিধান

১. আয়াতে বৃদ্ধা দ্বারা এমন নারী উদ্দেশ্য, যাদের ঋতুস্রাব বন্ধ হয়েছে এবং যারা গর্ভধারণের ক্ষমতা হারিয়েছে। সর্বোপরি যাদের প্রতি পুরুষ আগ্রহ বোধ করে না।

২. অতিশয় বৃদ্ধা নারীদের পর্দার ব্যাপারে শিথিলতা আছে। তবে পূর্ণ পর্দা মেনে চলাই উত্তম।

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, তাদের জন্য জিলবাব তথা মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে রাখে এমন চাদর না পরার অবকাশ আছে।

৩. বিশুদ্ধ মতে, সতরের ক্ষেত্রে বৃদ্ধারা যুবতিদের মতোই। অর্থাৎ উভয়ের জন্য ঘরে ও বাইরে সতর ঢেকে রাখা ফরজ।

৪. পরপুরুষের সামনে নারীদের সৌন্দর্য প্রদর্শনের মানসিকতা নিন্দনীয়।

আর বৃদ্ধাদের জন্য তা আরো বেশি নিন্দনীয়।

৫. আতা (রহ.) বলেন, বৃদ্ধা নারীদের যে অবকাশ বর্ণনা করা হয়েছে তা ঘরে অবস্থানের সময় প্রযোজ্য। ঘরের বাইরে তারা অন্যদের মতো সতর্কতার সঙ্গেই চলাফেরা করবে। (তাফসিরে কুরতুবি : ১৫/৫৭১)

 

মন্তব্য

কল্যাণ ও উপকারী জ্ঞান লাভের দোয়া

শেয়ার
কল্যাণ ও উপকারী জ্ঞান লাভের দোয়া

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মানফা-নি বিমা আল্লামতানি, ওয়া আল্লিমনি মা ইয়ানফাউনি ওয়া জিদনি ইলমা, আলহামদু লিল্লাহি আলা কুল্লি হালিন, ওয়া আউজুবিল্লাহি মিন হালি আহলিন নারি।’

অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে তুমি যা শিখিয়েছ তা দিয়ে আমাকে উপকৃত করো, আমার জন্য যা উপকারী হবে তা আমাকে শিখিয়ে দাও এবং আমার ইলম (জ্ঞান) বাড়িয়ে দাও। সর্বাবস্থায় আল্লাহর প্রশংসা এবং আমি জাহান্নামিদের অবস্থা থেকে হেফাজতের জন্য আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থণা করি।

সূত্র : আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা.) এই দোয়া করতেন।

(তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৯৯)

 

 

 

মন্তব্য
জিজ্ঞাসা

কোরআনের শব্দ দিয়ে নাম রাখার বিধান

মুফতি আবদুল্লাহ নুর
মুফতি আবদুল্লাহ নুর
শেয়ার
কোরআনের শব্দ দিয়ে নাম রাখার বিধান

আমার নাম রিয়াদ হালদার। আমি সৌদি প্রবাসী। আমার প্রশ্ন হলো, কোরআনের যে কোনো শব্দ দিয়ে কি নাম রাখা যায়? এ ক্ষেত্রে করণীয় ও বর্জনীয় কী?

প্রাজ্ঞ আলেমরা বলেন, নাম রাখার ক্ষেত্রে শরিয়তের নির্দেশনা হলো, অর্থপূর্ণ ও শ্রুতিমধুর শব্দ দিয়ে নাম রাখা। সুতরাং অভিভাবক শ্রুতিমধুর অথচ অর্থ সুন্দর নয় অথবা অর্থহীন শ্রুতিমধুর শব্দ পরিহার করবে।

এ ক্ষেত্রে অর্থের দিকটিই প্রাধান্য পাবে। কেননা আল্লাহর কাছে অন্তর্নিহিত অর্থের মূল্য অনেক বেশি। আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলল্লাহ (সা.) বলেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা তোমাদের দেহ এবং তোমাদের আকৃতি দেখেন না, বরং তিনি তোমাদের অন্তর ও আমল দেখেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৫৬৪)

বাহ্যত সুন্দর মনে হয় এমন কয়েকটি নাম রাখতেও মহানবী (সা.) নিষেধ করেছেন।

যেমনরাবাহ, ইয়াসার, নাজিহ, আফলাহ। সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা সন্তানদের নাম রাবাহ, আফলাহ, ইয়াসার ও নাজিহ রেখো না। কেউ প্রশ্ন করবে, ওইখানে অমুক আছে কি? বলা হবে, না।

(জামে তিরমিজি, হাদিস : ২৮৩৬)

অর্থাৎ বলা হবে রাবাহ (লাভ) আছে কি, বা আফলাহ (সাফল্য) আছে কি? সে না থাকলে বলা হবে, নেই।

তখন অর্থ দাঁড়াবে এখানে লাভ বা সাফল্য নেই। তখন লাভ ও সাফল্যকে অস্বীকার করা হবে। এই অর্থটি কারো কাছেই পছন্দনীয় নয়। হাদিসের এই বর্ণনা থেকে বোঝা গেল, কোনো শব্দ কোরআনে থাকলেই তা দিয়ে নাম রাখা উচিত নয়। কেননা আফলাহ শব্দটি কোরআনের একাধিক স্থানে আছে।
যার মধ্যে সুরা মুমিনুনের ১ নং আয়াত অন্যতম।

কোরআনের শব্দ দিয়ে নাম রাখতে চাইলেও বিভিন্ন বিষয় বিবেচনার আছে। এ ছাড়া কোরআনের একাধিক অবিশ্বাসী ও অবাধ্য বান্দার নাম আছে, বহু নেতিবাচক শব্দ আছে, যা আরবি ভাষার জ্ঞান নেইএমন ব্যক্তি নাও বুঝতে পারে। সন্তানের অর্থপূর্ণ ও সুন্দর নাম নির্বাচনে আলেমদের পরামর্শও গ্রহণ করা যেতে পারে। তা হলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। 

সন্তানের নাম নির্বাচনের সময় এমন শব্দ বেছে নেওয়া আবশ্যক যেটা তার উত্তম গুণাবলির সাক্ষ্য হয়, তার জন্য দোয়া হয়। অতীতের মনীষীদের নামগুলো দেখলে বিষয়টি আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে যাবে। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে অধিক পছন্দনীয় নাম হলো আবদুল্লাহ ও আবদুর রহমান।

(সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২৮৩৬)

আল্লাহ সর্ববিষয়ে সবচেয়ে ভালো জানেন।

 

মন্তব্য

সন্তানের দ্বিনি শিক্ষা নিশ্চিত করা আবশ্যক

মো. আবদুল মজিদ মোল্লা
মো. আবদুল মজিদ মোল্লা
শেয়ার
সন্তানের দ্বিনি শিক্ষা নিশ্চিত করা আবশ্যক

মুসলিম মাতা-পিতার অন্যতম দ্বিনি দায়িত্ব হলো সন্তানকে দ্বিনি শিক্ষায় শিক্ষিত করা। কেননা মুসলিম হিসেবে জীবন যাপন করার জন্য ধর্মীয় জ্ঞান ও শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। দ্বিনি শিক্ষার অভাবে বর্তমান সমাজের বহু মুসলমানকে ঈমান ও ইসলাম থেকে বিমুখ হয়ে যেতে দেখা যায়। বর্তমান সমাজের সাধারণ চিত্র হলো, সমাজের বেশির ভাগ মুসলমান তাদের সন্তানদের শুধু জাগতিক শিক্ষা প্রদান করে।

জাগতিক শিক্ষায় সর্বোচ্চ অর্জন নিশ্চিত করতে প্রচুর অর্থ ও শ্রম ব্যয় করে। তারা তাদের সন্তানদের নামি-দামি স্কুলে পড়ায়। তাদের জন্য হাজার হাজার টাকা দিয়ে গৃহশিক্ষকের ব্যবস্থা করে।

বিপরীতে সন্তানদের ধর্মীয় শিক্ষা ও তারবিয়তের ব্যাপারে তাদের উদাসীনতার কোনো শেষ নেই।

বর্তমান সমাজের বহু মুসলমানের সন্তান কালেমা বলতে পারে না, তাদের প্রিয় নবী (সা.)-এর নাম জানে না, অজু-গোসল ও নামাজের বিধান পর্যন্ত তাদের জানা নেই। বিশুদ্ধ কোরআন তিলাওয়াত পারে না (সম্ভবত) ৮০ শতাংশ মুসলিম শিশু ও কিশোর। এমনকি বহু লোক আছে যারা নিজেরা হয়তো নামাজ পড়ে, শুক্রবার হলেও মসজিদে যায়, কিন্তু তারা তাদের বাচ্চাদের ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়ায়, মিশনারি স্কুলে পড়ায়; তাদের সন্তানরা ইংরেজি খুব ভালো বলে, গণিতে-বিজ্ঞানে খুবই দক্ষ হয়ে ওঠে, কিন্তু তারা সঠিকভাবে কালেমা পড়তে পারে না। এসব শিশু এমন সব বিষয়ও জানে না, যা না জানলে ব্যক্তি মুসলিম হতে পারে না, তাদের এমন বিশ্বাস সম্পর্কে জ্ঞান থাকে না, যার ওপর মুসলমানের ঈমান, ইসলাম ও পরকালীন মুক্তি নির্ভরশীল।
জাগতিক শিক্ষার সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জনের পরও তারা নামাজ, রোজা, হজ ও জাকাতের মতো ফরজ ইবাদত সম্পর্কে মৌলিক ও প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো জানে না।

সাধারণত যারা ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন করে না, কেবল জাগতিক বিদ্যা অর্জন করে, তাদের ভেতর যথাযথভাবে মানবিক গুণাবলির বিকাশ ঘটে না, নিজের পরিবার ও সমাজের প্রতি তাদের কোনো দায় বোধ থাকে না। মাতা-পিতার সীমাহীন আদর-যত্নে বড় হলেও একসময় তারা মা-বাবাকে পার্থিব লাভ ও ক্ষতির পাল্লা দিয়ে পরিমাপ করে। ফলে তারা অনেক সময় মা-বাবাকে ঠুনকো অজুহাতে দূরে সরিয়ে দেয়, তাঁদের বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসে। মা-বাবার স্বপ্ন ও শ্রম তাদের কাছে মূল্যহীন।

এখন পর্যন্ত সমাজের বাস্তবতা হলো, দ্বিনি শিক্ষায় শিক্ষিতরাই তাদের মা-বাবার প্রতি অনেক বেশি দায়িত্বশীল। তাদের অন্যায়-অপরাধে জড়িয়ে পড়ার হারও অত্যন্ত কম।

মুসলমানের পার্থিব ও পরকালীন কল্যাণ এতেই নিহিত যে তারা তাদের সন্তানদের অবশ্যই ধর্মীয় শিক্ষা নিশ্চিত করবে। যদি কেউ তাদের জাগতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চায়, তবে তার দায়িত্ব হলো, প্রয়োজনীয় ধর্মীয় জ্ঞান নিশ্চিত করা; পাশাপাশি তার দ্বিনি তারবিয়্যাত তথা ধর্মীয় শিষ্টাচার ও জীবন যাপনে অভ্যস্ত করা। যেন তার পার্থিব শিক্ষার উদ্দেশ্যও হয় সৎ ও কল্যাণকর। সে যেন তার জীবনের প্রতিটি স্তরে আল্লাহর বিধান মেনে চলা অপরিহার্য মনে করে।

মনে রাখতে হবে, কিয়ামতের দিন অন্যান্য নিয়ামতের মতো সন্তান সম্পর্কেও আমাদের প্রশ্ন করা হবে। তাদের প্রয়োজনীয় ধর্মীয় জ্ঞান অর্জনের সুযোগ করে না দিলে পরকালে আল্লাহর সামনে লজ্জিত হতে হবে। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) এক ব্যক্তিকে বলেছিলেন, তোমার সন্তানকে ভালো শিক্ষায় শিক্ষিত করো (বা উত্তম শিষ্টাচার শিক্ষা দাও)। কেননা তোমার সন্তানদের সম্পর্কে তোমাকে জিজ্ঞাসা করা হবে যে তুমি তাদের কেমন প্রশিক্ষণ দিয়েছ এবং তুমি তাদের কী শিখিয়েছ? (শুআবুল ঈমান, হাদিস : ৮৬৬২)

অতএব, সন্তানদের এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যেন পরকালে আল্লাহর সামনে লজ্জিত হতে না হয়। আল্লাহর শেষ নবী মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, কোনো পিতা তার সন্তানকে ভালো আদবের চেয়ে ভালো উপহার দেয়নি।

(জামে তিরমিজি, হাদিস : ১৯৫৯)

মুফতি আহমদুল্লাহ (রহ.) বলেন, ভালো আদব বলতে সন্তানকে ধার্মিক, পরহেজগার বানানো বোঝায়। সন্তানদের জন্য এর চেয়ে ভালো উপহার আর কী হতে পারে, যা দুনিয়া ও দ্বিন উভয় ক্ষেত্রেই কাজে আসে। মাতা-পিতার উচিত শুধু সন্তানদের ধনী বানিয়ে দুনিয়া থেকে না যাওয়া, বরং তাদের ধার্মিক বানিয়ে যাওয়া, যা তাদের নিজেদেরও কবরে কাজে আসবে। কেননা জীবিত সন্তানদের নেক আমলের সওয়াব মৃত ব্যক্তি কবরে পায়। (রচনাবলি : ২/৩৬১)

আল্লাহ আমাদের সন্তানদের দ্বিনি শিক্ষায় শিক্ষিত করার তাওফিক দিন। আমিন।

 

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ