কিছুদিন ধরে একটি চক্র ধানমণ্ডি লেকপারের গাছ কাটতে শুরু করেছে। গাছ কাটা চক্রটি নিজেদের লেকের ইজারাদার দাবি করলেও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) বলছে, গত ৫ আগস্টের পর আগের ইজারাদাররা উধাও হয়ে গেলেও এখনো কাউকে লেক দেখভালের জন্য নতুন করে ইজারা দেওয়া হয়নি। আর ইজারাদার থাকা অবস্থায়ও কাউকে কখনো লেকপারের গাছ কাটার অনুমতি দেওয়া হয়নি। অথচ গত কয়েক দিনে লেকপারের বিভিন্ন স্থান থেকে অন্তত ৩০টি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।
পরিবেশ ধ্বংস করে ধানমণ্ডি লেকে চলছে গাছ কাটা
- ► ৫ আগস্টের পর আসল ইজারাদাররা উধাও
- ► গাছ কাটা পক্ষ বলছে, পানি পরিচ্ছন্ন করতে এটি করা হচ্ছে
- ► ডিএসসিসি নতুন করে ইজারা দেয়নি, অথচ ইজারাদার পরিচয়ে চলছে গাছ নিধন
জহিরুল ইসলাম

সরেজমিনে দেখা গেছে, ধানমণ্ডি ৮, ১০, ১২ নম্বরসহ রবীন্দ্রসরোবর এলাকায় লেকের বিভিন্ন অংশের অনেক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। গাছ কাটার পর ওইসব স্থানে এখনো ডালপালা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে। মাটির নিচে উঁকি দিচ্ছে কেটে নেওয়া গাছগুলোর মূল।
আব্দুল মতিন নামে ধানমণ্ডির একজন বাসিন্দা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে লেকপারের গাছ কাটা হচ্ছে। এভাবে নির্বিচারে গাছ কাটা হলে শান্তির এই জায়গাটিও নষ্ট হয়ে যাবে। একটু বিশুদ্ধ বাতাসের স্পর্শ নিতে মানুষ এখানে হাঁটতে বা ঘুরতে আসে। সামনে সেটাও আর পাওয়া যাবে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ধানমণ্ডি সোসাইটির একজন সদস্য বলেন, ‘সংগঠনের পক্ষ থেকে আমরা যেখানে যেখানে জানানো দরকার জানিয়েছি। পরিবেশ-প্রকৃতি ধ্বংস করা এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অতীতের মতো এখনো আমরা সোচ্চার। নিরাপত্তাকর্মীরা জড়িত একজনকে ধরেছে। কিন্তু কিভাবে যেন ওই ব্যক্তি ছাড়া পেয়ে গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মৎস্যজীবী লীগের শওকত নামের এক সদস্য গত ৯ জানুয়ারি ধানমণ্ডি লেকের ৮ থেকে ১০ নম্বর রোড, ৮ নম্বর ব্রিজ থেকে সুধাসদন, ডিঙ্গি রেস্তোরা থেকে ১২ নম্বর পর্যন্ত এবং রবীন্দ্রসরোবরের কয়েকটি স্থান থেকে বড় বড় অন্তত ৩০টি গাছ কেটে নিয়ে যান। এই কাজে তাঁকে সহায়তা করেন ধানমণ্ডি লেকের ইজারাদার পরিচয় দেওয়া সাইফুল, শুভ ও সাজ্জাদ।
পরে গাছ কাটার খবর পেয়ে ধানমণ্ডি সোসাইটির নিরাপত্তাকর্মীরা শওকত এবং গাছসহ ট্রাক আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। কিন্তু সহযোগী শুভর সহায়তায় শওকত গাছসহ থানা থেকে ছাড়া পান। এর আগে গত ৫ আগস্টের পর বিষ প্রয়োগে ধানমণ্ডি লেকের মাছ মারার ঘটনায়ও এই চক্রটি জড়িত ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, ট্রেড এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মোহাম্মদ শুভসহ বেশ কয়েকজন নিজেদের ধানমণ্ডি লেকের বিভিন্ন অংশের ইজারাদার দাবি করে লেকপারের গাছ কাটছেন। তবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৫ আগস্টের পর আগের ইজারাদাররা কাজ না করলেও নতুন করে এখনো কাউকে ইজারা দেওয়া হয়নি।
মোহাম্মদ শুভ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা পুরনো ইজারাদার না। নতুন করে সিটি করপোরেশন থেকে ইজারা নিয়েছি। অতিরিক্ত গ্যাসের কারণে আগস্ট মাসে লেকের অনেক মাছ মারা গেছে। সিটি করপোরেশনের মৌখিক অনুমতি নিয়ে আমরা লেকের ওপরে ঝুঁকে থাকা গাছের ডাল কেটে পরিষ্কার করছি; কোনো গাছ কাটছি না।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা যদি ইজারা না নিতাম, তাহলে রাজস্ব কিভাবে তুলছি?’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা (উপসচিব) কাইজার মোহাম্মদ ফারাবী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা নতুন করে কাউকে ইজারা দিইনি। আর ইজারা কার্যক্রম সম্পন্ন হলেও তো কাউকে গাছ কাটার অনুমতি দেওয়া হতো না। এটা কখনো সম্ভব নয়। যারা গাছ কাটছে, তারা মিথ্যা বলছে। বিষয়টি জানার পর আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি কারা এই কাজ করছে।’
নগর বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আদিল মোহাম্মদ খান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘রাজধানীর বিভিন্ন পার্কের লেকগুলো ইজারা দেওয়ার ক্ষেত্রে আরো সচেতন হতে হবে। দলীয় ট্যাগ দেখে অতীতে ইজারা দেওয়া হয়েছে। এই ট্যাগ ব্যবহার করে ইজারার মূল কাজ ছেড়ে সবাই শুধু ধ্বংস করেছে। এখনো যদি এসব চলে, তা মেনে নেওয়া যায় না।’
তিনি বলেন, ‘এমনিতেই প্রাকৃতিক কারণে রাজধানীতে গাছের সংখ্যা কম। সেখানে যদি এভাবে গাছ কাটা হয় তাহলে প্রকৃতি কাউকে ছাড় দেবে না।’
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ধানমণ্ডি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) তারেকুজ্জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘কয়েক দিন আগে ধানমণ্ডি লেকপারের গাছ কেটে ট্রাকে ভরে নিয়ে যাওয়ার সময় ট্রাক ভর্তি গাছসহ একজনকে আমরা আটক করেছিলাম। পরে তাঁরা নিজেদের লেকের ইজারাদার পরিচয় দিয়ে জানান, মাছ চাষের জন্য লেকের পানি পরিষ্কার করতে লেকে ভেঙে পড়া গাছ কেটেছেন। তখন আমরা আর কোনো গাছ কাটা হবে না—এমন মুচলেকা নিয়ে তাঁকে ছেড়ে দিই।’
তিনি আরো বলেন, ‘পরে আমরা জানতে পারি, শুধু ভেঙে পড়া গাছ নয়, এর বাইরেও অনেক গাছ কাটা হয়েছে। আমরা সিটি করপোরেশন বা অন্য কারো কাছ থেকে লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অবৈধভাবে গাছ কাটার বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সম্পর্কিত খবর

কম দামে টিসিবির পণ্য


বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের পাশে থাকার বার্তা আরএসএসের
কালের কণ্ঠ ডেস্ক

বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের পাশে থাকার বার্তা দিল ভারতের হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)। ভারতের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টি-বিজেপির চালিকা শক্তি হিসেবে পরিচিত আরএসএস বেঙ্গালুরুতে অখিল ভারতীয় প্রতিনিধিসভায় শনিবার উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি প্রস্তাব পাস করেছে। বলেছে, বাংলাদেশে হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে হিংসা, অবিচার এবং নিপীড়ন চালাচ্ছে মৌলবাদীরা। এ নিয়ে বাংলাদেশের হিন্দুদের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছে তারা।
তারা প্রস্তাবে আরো বলেছে, বাংলাদেশে একের পর এক মঠ, মন্দির, দুর্গাপূজা প্যান্ডেল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, মূর্তি ভাঙা, নৃশংস হত্যাকাণ্ড, সম্পত্তি লুটপাটের ঘটনা ঘটেই চলেছে। নারীদের ওপর লাগাতার অপহরণ ও নির্যাতন, জোর করে ধর্ম পরিবর্তনের মতো খবর আসছে। এসব ঘটনা নিছক রাজনৈতিক নয়।

অধ্যাপক জিনাত হুদাকে গ্রেপ্তারের দাবি ঢাবি সাদা দলের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক জিনাত হুদার বিচার ও তাঁকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে ঢাবির বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। গতকাল রবিবার সংগঠনের আহ্বায়ক অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান এবং যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক আব্দুস সালাম ও অধ্যাপক আবুল কালাম সরকার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, ‘আমরা লক্ষ করছি, চব্বিশের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারকে নিঃশর্ত সমর্থন এবং গণহত্যায় উৎসাহিত করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসমাজ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত ঢাবি শিক্ষক সমিতির কার্যকরী কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদা শিক্ষক সমিতির নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন ইস্যুতে বক্তব্য ও বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের পক্ষ থেকে আমরা ফ্যাসিস্টের দোসর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকদের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত অধ্যাপক জিনাত হুদার এ ধরনের অপতৎপরতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সাদা দলের নেতারা বলেন,‘ আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানীত শিক্ষকদের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত এবং ঢাবি শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় অধ্যাপক জিনাত হুদা আর শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নন। এর পরও সাধারণ সম্পাদক পরিচয়ে বক্তব্য ও বিবৃতি দিয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল এবং প্রশাসনকে বিতর্কিত করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছেন। এমন অবস্থায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতাকে নিয়ে বিষোদগার, নেতিবাচক মন্তব্য, গণ-অভ্যুত্থানের বিরোধিতা এবং শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধি হয়ে গণভবনে উপস্থিত হয়ে খুনি শেখ হাসিনার গণহত্যাকে সমর্থন দেওয়ায় ফ্যাসিবাদের দোসর অধ্যাপক জিনাত হুদাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’

হত্যাকাণ্ডের তিন বছর আজ
টিপু হত্যা মামলার বিচার সাক্ষ্যগ্রহণে আটকে আছে
মাসুদ রানা

তিন বছর আগে রাজধানীর মতিঝিল এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে ব্যস্ত সড়কে গুলি করে হত্যা করা হয়। ২০২২ সালের ২৪ মার্চ রাতে শাহজাহানপুর সড়কে সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে সে সময় পথচারী সামিয়া আফরান জামাল প্রীতিও নিহত হন। ওই জোড়া খুনের ঘটনায় দেশজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। তদন্তে উঠে আসে আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ ৩৩ আসামির নাম।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী কালের কণ্ঠকে বলেন, এ মামলায় বাদীর জেরার জন্য দিন ধার্য রয়েছে। তবে তিনি আদালতে আসছেন না।
বর্তমানে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এ মামলাটি বিচারাধীন। সর্বশেষ গত ১৩ মার্চ এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল।
২০২৩ সালের ৫ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার ৩৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন। গত বছরের ২৯ এপ্রিল আদালত ৩৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
এ মামলার আসামিরা হলেন—আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান আহম্মেদ মন্টু, ফ্রিডম মানিক ওরফে জাফর; প্রধান সমন্বয়কারী সুমন সিকদার মুসা, শুটার মাসুম মোহাম্মদ আকাশ, শামীম হোসাইন, তৌফিক হাসান ওরফে বিডি বাবু; ১০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি মারুফ রেজা সাগর; ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরিফুর রহমান ওরফে ‘ঘাতক’ সোহেল; মতিঝিল থানা জাতীয় পার্টির নেতা জুবের আলম খান রবিন, হাফিজুল ইসলাম হাফিজ; হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক সোহেল শাহরিয়ার, মাহবুবুর রহমান টিটু, নাসির উদ্দিন মানিক, মশিউর রহমান ইকরাম, ইয়াসির আরাফাত সৈকত, আবুল হোসেন মোহাম্মদ আরফান উল্লাহ ইমাম খান, সেকান্দার শিকদার আকাশ; মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম মাতবর, আবু সালেহ শিকদার, কিলার নাসির, ওমর ফারুক, মোহাম্মদ মারুফ খান, ইশতিয়াক আহম্মেদ জিতু, ইমরান হোসেন জিতু, রাকিবুর রহমান রাকিব, মোরশেদুল আলম পলাশ; ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ তালুকদার; ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মারুফ আহমেদ মনসুর, রিফাত হোসেন, সোহেল রানা; ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক নেতা আমিনুল, সামসুল হায়দার উচ্ছল ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান বাবুল।
২০২২ সালের ২৪ মার্চ রাত সোয়া ১০টার দিকে শাহজাহানপুরে ইসলামী ব্যাংকের পাশে বাটা শো-রুমের সামনে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা সামিয়া আফরান প্রীতি (১৯) নামে এক কলেজছাত্রীও নিহত হন। এ ছাড়া টিপুর গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন। ওই দিন রাতেই শাহজাহানপুর থানায় নিহত টিপুর স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সংরক্ষিত কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। এতে অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়।
বাদী ফারহানা ইসলাম ডলির আইনজীবী গাজী জিল্লুর রহমান বলেন, পটপরিবর্তনের পর তিনি নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। যে কারণে তিনি আদালতে এসে সাক্ষ্য দিতে পারছেন না। এই সুযোগে আসামিরা জামিনে বের যাচ্ছেন। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তিনি আদালতে এসে সাক্ষ্য দেবেন। আমরা ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছি। তবে বক্তব্যের জন্য বাদী ফারহানা ইসলাম ডলির সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।