<p>আসন্ন ঈদে নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রায় ১০ লাখের মতো শ্রমজীবী মানুষ নাড়ির টানে বাড়ি ফিরবে। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা এসব শ্রমজীবীর কেউবা সড়কপথে, কেউবা নদীপথে আবার কেউবা রেলপথে বাড়ি ফিরবেন। তবে বেশির ভাগই ফিরবেন সড়কপথে। আর এই সড়কপথে যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বিআরটিসি স্পেশাল সার্ভিস চালু করবে। সংস্থাটি নারায়ণগঞ্জ থেকে দেশের ৯টি জেলায় ৫৪টি বাস প্রস্তুত রেখেছে। ৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় টিকিট বিক্রি শুরু করবে বিআরটিসি। আর ৮ এপ্রিল থেকে চলাচল শুরু হবে।</p> <p>জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় চাকরি করার সুবাদে এই জেলায় শ্রমজীবী মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি, বিশেষ করে গার্মেন্ট, ইটভাটা, সিমেন্ট, খাদ্যদ্রব্য উৎপাদনসহ ছোট, বড়, মাঝারি নানা রকম শিল্প-কারখানায় বিভিন্ন জেলা থেকে এসে কাজ করছে এসব লোকজন। আসন্ন ঈদুল ফিতরে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে তারা বাড়ি ফিরতে শুরু করবে কারখানা ছুটির দিন থেকেই।</p> <p>বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম কালের কণ্ঠকে জানান, নারায়ণগঞ্জ জেলায় ফতুল্লার বিসিক ও আদমজী ইপিজেডে বিপুলসংখ্যক পোশাককর্মী কাজ করেন। ঈদের ছুটিতে তাঁরা বাড়ি যাবেন। কত শ্রমিক বাড়িতে যাবেন এমন প্রশ্নের উত্তরে হাতেম জানান, সব শিল্প-কারখানা মিলিয়ে ৮ থেকে ১০ লাখ হবে। ওয়েভ টেক্স গার্মেন্টের চেয়ারম্যান লিটন চন্দ্র পাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘গার্মেন্ট সেক্টর বন্ধ হবে ৯ এপ্রিল। ছুটি থাকবে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত। তার আগেই আমরা শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করব।’</p> <p>বিআরটিসি সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জে তাদের বাস ডিপোতে এসি, নন-এসি সব মিলিয়ে ৭৭টি বাস রয়েছে। এসব বাস ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুট ছাড়াও বিভিন্ন রুটে চলাচল করছে। শ্রমিকদের বাড়ি ফেরা নির্বিঘ্ন করতে আসন্ন ঈদে বিআরটিসির স্পেশাল বাস চালু করছে। বিআরটিসির নারায়ণগঞ্জ ডিপোর ট্রাফিক ইনচার্জ মো. ফরহাদ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে রংপুরের উদ্দেশে ১৭টি বাস, জামালপুরে ৯টি, নওগাঁয় চারটি, কুষ্টিয়ায় পাঁচটি, গোপালগঞ্জে পাঁচটি, মাদারীপুরে দুটি, রাজশাহীতে চারটি, নেত্রকোনায় দুটি এবং ভাঙ্গার উদ্দেশে ছয়টি বাস ছাড়া হবে। বিআরটিসি নারায়ণগঞ্জ ডিপো অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের ডিজিএম ইঞ্জিনিয়ার মো. মনিরুজ্জামান (বাবু) বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের বাড়ি ফেরা নির্বিঘ্ন করতে ৯টি জেলায় বিআরটিসির ৫৪টি বাস স্পেশালভাবে চলাচল করবে।</p>