ঢাকা, শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫
৬ চৈত্র ১৪৩১, ২০ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫
৬ চৈত্র ১৪৩১, ২০ রমজান ১৪৪৬

জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতি তিন পক্ষের যোগসাজশে

  • ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির ছায়া সংসদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতি তিন পক্ষের যোগসাজশে

রাজনীতিবিদ, আমলা ও ব্যবসায়ী—এই তিন পক্ষের যোগসাজশেই জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি হয়েছে। আওয়ামী লীগের শাসনামলে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিনিময় ছাড়া কোনো বিদ্যুেকন্দ্র স্থাপিত হয়নি। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও পিএম অফিসের একক ক্ষমতার কারণেই এসব দুর্নীতির বিস্তার হয়েছে।

গতকাল শনিবার রাজধানী ঢাকার এফডিসিতে ‘জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতির জন্য বিগত সরকারের রাজনীতিবিদ অপেক্ষা আমলারাই বেশি দায়ী’ শীর্ষক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম. তামিম এসব কথা বলেন।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। ম. তামিম বলেন, ‘ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করা হলে দুর্নীতি কমানো সম্ভব। এস আলম ও সামিট গ্রুপের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্নীতি অনুসন্ধানে ফরেনসিক স্ক্রুটিনি প্রয়োজন। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) দেশের সবচেয়ে অস্বচ্ছ একটি প্রতিষ্ঠান।
এই অস্বচ্ছতার পেছনে বিগত সরকারের স্বার্থ জড়িত ছিল। লস দেখিয়ে উচ্চমূল্য নির্ধারণের জন্যই প্রতিষ্ঠানটিকে অস্বচ্ছ রাখা হতো। বর্তমান সরকার এসেও এখন পর্যন্ত প্রক্রিয়াটিকে স্বচ্ছ করতে পারেনি। তিন দিনের মধ্যে আলাপ-আলোচনা ছাড়াই তড়িঘড়ি করে আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি করা হয়।
চুক্তিটি অসম। এ ক্ষেত্রে শতভাগ ক্যাপাসিটি চার্জ পেমেন্টের পরও ৪০ শতাংশ অতিরিক্ত বিদ্যুতের মূল্য দিতে হয়। চুক্তিটি পুনর্বিবেচনা করা দরকার।’ সভাপতির বক্তব্যে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, লুটেরাদের সুযোগ করে দিতে ২০১০ সালে তৎকালীন সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিতর্কিত ইনডেমনিটি আইন পাস করেছিল, যার মেয়াদ দফায় দফায় বাড়িয়ে দুর্নীতির ক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছিল। বিদ্যুৎ উৎপাদন ছাড়াও বিতরণ, সঞ্চালন ও মিটার কেনাকাটার নামে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল।
যাতে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের তথ্য মিলেছে।

 

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির প্রশাসক হচ্ছেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির প্রশাসক হচ্ছেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ

প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির প্রশাসক হচ্ছেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম ইলিয়াস। সেই হিসাবে ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসই হচ্ছে নতুন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের হেডকোয়ার্টার্স (সদর দপ্তর)। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, প্রশাসক পদে সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে।

এরপর অধ্যাপক ইলিয়াসকে প্রশাসক পদে নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছে। আনুষ্ঠানিকতা শেষে শিগগির নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করা হবে। ইউজিসির একজন কর্মকর্তা জানান, অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের পর সাতটি কলেজে কো-অর্ডিনেশন ডেস্ক করা হবে। সেই ডেস্ক পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন প্রশাসক তথা ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ।
তাঁর নিজ কলেজে বসে তিনি সব দায়িত্ব সামলাবেন।

মন্তব্য

মুসলমানদের নিপীড়নের প্রতিবাদে আগামীকাল হেফাজতের সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
মুসলমানদের নিপীড়নের প্রতিবাদে আগামীকাল হেফাজতের সমাবেশ

মুসলমানদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়নের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ পালনের ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর কমিটি। আগামীকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে এই সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়। গতকাল বুধবার হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এসংক্রান্ত একটি বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ফিলিস্তিনে বর্বর দখলদার ইসরায়েলের নৃশংস গণহত্যা এবং ভারতে মুসলমানদের ওপর ক্রমবর্ধমান হামলা, নিপীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এই সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব বলেন, মুসলিম উম্মাহর এই চরম সংকটময় মুহূর্তে নীরব থাকা মানবতাবিরোধী অপরাধের শামিল। তাই শান্তিপূর্ণ এই বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছি।

মন্তব্য

জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের সহায়তায় ২০ লাখ ইউরো দিচ্ছে ইইউ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের সহায়তায় ২০ লাখ ইউরো দিচ্ছে ইইউ

জুলাই-আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানে গুরুতর আহত আট হাজারজনকে সহায়তা দিতে একটি প্রকল্প চালু করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। প্রকল্পে ২০ লাখ ইউরো বরাদ্দ দিচ্ছে ইইউ। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (বিডিআরসিএস) মাধ্যমে বাস্তবায়িত প্রকল্পটি গতকাল বুধবার চালু হয়েছে। এতে সহায়তা করবে বাংলাদেশ সরকার।

প্রকল্পটির নাম দ্য পাথওয়েজ টু হিলিং : এ সারভাইভার সেন্ট্রেড অ্যাপ্রোচ টু অ্যাড্রেস ভায়োল্যান্স অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস ভায়োলেশনস। ২০২৬ সালের আগস্টের আগ পর্যন্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। আহতদের পুনর্বাসন ও চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে। এ ছাড়া যাঁরা শারীরিক প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হবেন, তাঁদের সহায়ক উপকরণ সরবরাহ করা হবে।
আক্রান্তদের ঔষধজাত পণ্য, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও কাউন্সেলিং নিশ্চিত করা হবে। এ ছাড়া উপার্জন খাতে বৈচিত্র্য আনতে সহায়তা করা হবে বলে জানিয়েছে ইইউর দূতাবাস। ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

মন্তব্য

মোটরসাইকেল কিনতে এসআই-এএসআইদের সুদমুক্ত ঋণ দেবে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
মোটরসাইকেল কিনতে এসআই-এএসআইদের সুদমুক্ত ঋণ দেবে সরকার

পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) র‌্যাংকের কর্মকর্তাদের মোটরসাইকেল কেনার জন্য সুদমুক্ত ঋণ দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। পুলিশের জন্য ৩৬৪টি পিকআপ ভ্যান এবং ১৪০টি প্রিজনার ভ্যান কেনা হবে। ঝুঁকি ভাতার প্রচলিত সিলিং তুলে দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীতে বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা দূর করে সুবিধা নিশ্চিত করার ব্যাপারে উদ্যোগ নেবে সরকার।

গতকাল বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এক বৈঠক হয়। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এসব সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি এসব তথ্য জানিয়েছেন।

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ