<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নিত্যপণ্যের বাজারে ঊর্ধ্বমুখী দামের কারণে ভোক্তা সাধারণের এমনিতেই নাভিশ্বাস, এর মধ্যে নতুন করে মুরগি ও চালের দাম বেড়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। চাহিদামতো মুরগি না পেয়ে হতাশ খুচরা ব্যবসায়ীরা। তবে আলু, পেঁয়াজ ও সবজির দাম কমেছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশে আমনের এই ভরা মৌসুমে পাইকারিতে চালের দাম বেড়েছে। গত দুই সপ্তাহে বস্তাপ্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা বেড়েছে। এতে খুচরা পর্যায়ে সরু চালের দাম কেজিতে তিন থেকে পাঁচ টাকা এবং মোটা ও মাঝারি চালের দাম দুই থেকে তিন টাকা বেড়েছে। নতুন আলুসহ সবজির দাম কমে আসায় ক্রেতাদের মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তি এসেছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর পূর্ব নাখালপাড়ার শিল্পাঞ্চল ও মহাখালী কাঁচাবাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ২১০ থেকে ২২০ টাকা এবং সোনালি মুরগি প্রতি  কেজি ৩৩০ থেকে ৩৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সকালে পূর্ব নাখালপাড়ার শিল্পাঞ্চল কাঁচা বাজারে দেখা যায়, বেশির ভাগ মুরগির দোকানে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগি ক্রেতা অনুপাতে সংখ্যায় কম। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. রুবেল হোসেন বলেন, বুধবার রাতে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট আর কারওয়ান বাজার ঘুরে কোনো মুরগি পাইনি। পরে কাপ্তান বাজারে গিয়ে চাহিদার তিন ভাগের এক ভাগ পেয়েছি। প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৩৫০ কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করি। বুধবার কিনেছি এক শ কেজির মতো। অনেক দোকানদার মাল না পেয়ে ফিরে গেছেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মহাখালী কাঁচা বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী আব্দুল হাকিম বলেন, গতকাল (বুধবার) রাতে কাপ্তান বাজার গিয়ে আমরা মুরগি পাইনি। আগের কিছু সোনালি মুরগি ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাজারে আব্দুর রহিমের দোকানে গিয়ে দেখা যায়, ২০ থেকে ২৫টি মুরগি রয়েছে খাঁচায়। তিনি বলেন, বাজারে মাল কেনা যায়নি। এক দিনের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কাপ্তান বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী মো. গোলাম কিবরিয়া বলেন, গত মঙ্গলবারে এ অঞ্চলে নিরাপদ সড়কের দাবিতে এখানে কোনো গাড়ি দাঁড়াতে দেয়নি শিক্ষার্থীরা। এতে মুরগি না আসায় বাজারে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। সোমবার পাইকারিতে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৫৮-১৬০ টাকায়, বুধবার রাতে সেই মুরগি বিক্রি হয় ২১০ টাকা কেজি দরে। সারা দেশের মুরগি কাপ্তান ও ঠাঁটারি বাজারে আসার পর এখান থেকে অন্যান্য বাজারে যায়। কিন্তু এই বাজারেই কোনো ট্রাক ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। তিনি বলেন, এখানে ট্রাক দাঁড়াতে না দিলে একটি নির্দিষ্ট জায়গা দিতে হবে। তা না হলে ব্যবসা করা যাবে না।  </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চালের দাম বাড়ার বিষয়ে খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে মিল পর্যায়ে চালের দাম বাড়তি। এর প্রভাবে খুচরা ও পাইকারিতে দাম বেড়েছে। চালকল মালিকদের দাবি, ধানের দাম বাড়ায় তাঁরা চালের দাম বাড়িয়েছেন। দেশের তিনটি জেলার বড় পাইকারি মোকাম এবং রাজধানীর তিনটি বাজারে খোঁজ নিয়ে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।</span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আলু ও পেঁয়াজের দাম কমেছে</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাজারে নতুন আলু ও পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। গতকাল রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতি কেজি নতুন আলু ৭০ টাকা ও পুরনো আলু ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে কোনো কোনো দোকানে নতুন ও পুরনো আলু একই দামে (৭০ টাকা কেজি) বিক্রি হতে দেখা গেছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পূর্ব নাখালপাড়ার শিল্পাঞ্চল কাঁচাবাজারের হক স্টোরের ব্যবসায়ী মাসুদুর রহমান বলেন, পুরনো ও নতুন আলু ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কমেছে। বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা রসুনের দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ২৪০ টাকা হয়েছে। দেশি রসুন ২০ টাকা কমে ২২০ টাকায় চলে এসেছে।</span></span></span></span></p>