প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও চলচ্চিত্রকার জহির রায়হানের ৫৩তম অন্তর্ধান দিবস আজ। ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি মিরপুর বধ্যভূমিতে বড় ভাই সাহিত্যিক ও সাংবাদিক শহীদুল্লা কায়সারকে খুঁজতে গিয়ে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে নিখোঁজ হন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে বুদ্ধিজীবী হত্যার তদন্তের জন্য জহির রায়হান ১৯৭২ সালে বুদ্ধিজীবী হত্যা তদন্ত কমিটি গঠন করেন। এই কমিটির কাজ চলাকালেই একটি অজ্ঞাত ফোনকল পেয়ে ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি বড় ভাই শহীদুল্লা কায়সারকে খুঁজতে মিরপুরে যান তিনি।
এরপর আর তাঁর সন্ধান মেলেনি।
পরে ১৯৯৯ সালে দৈনিক ভোরের কাগজে সাংবাদিক জুলফিকার আলী মানিকের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে আসে, বড় ভাইকে খুঁজতে গিয়ে জহির রায়হান মিরপুরেই ঘাতকদের হাতে শহীদ হন। বিষয়টি নিয়ে কালের কণ্ঠের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছেন জহির রায়হানের ছেলে লেখক অনল রায়হান। জহির রায়হানের শহীদ হওয়ার বিষয়টি প্রমাণ হওয়ায় ৩০ জানুয়ারিকে অন্তর্ধান দিবস বলাটা সমীচীন মনে করেন না তিনি।
অনল রায়হান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা পারিবারিকভাবে মনে করি না এটা অন্তর্ধান। ১৯৯৯ সালে মিরপুরের বধ্যভূমি আবিষ্কারের পর সাংবাদিক জুলফিকার আলী মানিক এবং আমার গবেষণা ও অনুসন্ধানে এটা প্রমাণিত, বাবাকে সচেতনভাবে হত্যা করা হয়েছে।’