ধর্ষণের শিকার পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পটুয়াখালীতে নাহিদ

দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
শেয়ার
ধর্ষণের শিকার পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পটুয়াখালীতে নাহিদ
সংগৃহীত ছবি

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই ঢাকার মোহাম্মদপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তির বাড়ি পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায়। সেখানকার একটি বিদ্যালয়ে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়েন তার মেয়ে। এবার সেই ছাত্রীকে (১৮) দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় নির্যাতিত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পটুয়াখালীতে পৌঁছেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) এনসিপির নির্বাহী কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব তামিম আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দুপুর ১২টার দিকে পটুয়াখালী পৌঁছেন নাহিদ ইসলাম।

আরো পড়ুন
৯৬ নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত

৯৬ নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত

 

এই সফরে নাহিদ ইসলাম তার পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শহীদকন্যার খোঁজখবর নেবেন।

এ ছাড়া পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে মতবিনিময় করার কথা রয়েছে।

পরিবার বলছে, মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলায় এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। 

এ ঘটনায় সাকিব মুন্সি (১৯) নামের এক তরুণকে আটক করেছে বলে জানিয়েছেন দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন জানান।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মির্জাপুরে গুলি করে গরু ব্যবসায়ীর ৭৮ লাখ টাকা ছিনতাই

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
শেয়ার
মির্জাপুরে গুলি করে গরু ব্যবসায়ীর ৭৮ লাখ টাকা ছিনতাই
প্রতীকী ছবি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ছিনতাইকারীরা গুলি করে গরু ব্যবসায়ীদের ৭৮ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় গোড়াই-সখীপুর আঞ্চলিক সড়কের মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী গরু ব্যবসায়ীরা হলেন- রাজশাহীর পবা উপজেলার বিন্দারামপুর গ্রামের মোকসেদ আলীর ছেলে পিয়ারোল, একই এলাকার লিটন মিয়া, মনিরুল ও জেবেল মিয়া।

পুলিশ ও ভুক্তভোগীরা জানান, মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের কাইতলা গরু হাট অন্যতম বৃহৎ হাট।

প্রতি শনিবার এ হাটে পশু কেনাবচা হয়। এই হাটে মির্জাপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পশু ছাড়াও দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার গরু, ছাগল, মহিষ, উটসহ বিভিন্ন পশু আমদানি হয়। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরাও ওই হাটে পশু নিয়ে আসেন। 

শনিবার সাপ্তাহিক হাটে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা পশু বিক্রি করে সন্ধ্যায় টাকা নিয়ে প্রাইভেটকারযোগে হাট থেকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা করেন।

পথিমধ্যে হাট থেকে আনুমানিক ৭/৮ কিলোমিটার দূরে নয়াপাড়া এলাকায় পৌঁছালে ৮ থেকে ১০টি মোটরসাইকেল ও একটি মাইক্রোবাসে ছিনতাইকারীরা ব্যবসায়ীদের প্রাইভেট কারের গতিরোধ করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে। পরে ডাকাতরা প্রাইভেট কারের গ্লাস ভেঙে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের সঙ্গে থাকা ৭৮ লাখ টাকা ভর্তি ব্যাগ দুটি ছিনিয়ে নেয়। এর পর তারা খাটিয়ারহাট সড়ক দিয়ে পালিয়ে যায় বলে গরু ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন।

খবর পেয়ে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, মির্জাপুর সার্কেলের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এইচ এম রেজওয়ান মাহাবুব সিদ্দিকী ও মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন, টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে যান।

পরে তারা এ ব্যাপারে গরু ব্যবসায়ী ও আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন।

গরু ব্যবসায়ী পিয়ারোল বলেন, ‘ডাকাতরা গুলি ছুড়লে আমরা ভয় পেয়ে যাই। পরে অস্ত্র ঠেকিয়ে আমাদের ৭৮ লাখ টাকা ভর্তি দুটি ব্যাগ নিয়ে চম্পট দেয়। 

মির্জাপুর থানার ওসি মো. মোশারফ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক টিম অপরাধীদের গ্রেপ্তার এবং টাকা উদ্ধারে কাজ শুরু করেছেন।

মির্জাপুর সার্কেলের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এইচ এম রেজওয়ান মাহাবুব সিদ্দিকী বলেন, মির্জাপুর থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছেন।

দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

মন্তব্য

মোবাইল ফোনে গেম খেলতে বাধা, ছেলের ছুরিকাঘাতে বাবা খুন

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
শেয়ার
মোবাইল ফোনে গেম খেলতে বাধা, ছেলের ছুরিকাঘাতে বাবা খুন

চুয়াডাঙ্গা শহরের পলাশ পাড়ায় নাবালক ছেলের ছুরিকাঘাতে বাবা কে এম রিন্টু (৫২) নিহত হয়েছেন। শনিবার (২২ মার্চ) রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘাতক ছেলেকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। নিহত রিন্টু চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার পলাশপাড়ার মৃত কাজী নূর মোস্তফার ছেলে।

 

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি খালেদুর রহমান জানান, মোবাইল আসক্ত ছেলে কে এম রিফাতকে (১৭) মোবাইল ফোনে গেমস খেলতে বাধা দেওয়ায় রিফাত ক্ষুব্ধ হয় এবং শনিবার রাতে এশার নামাজরত অবস্থায় রিফাত তার বাবাকে পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে। আহত রিন্টুকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

খবর পেয়ে ঘটনার পরপরই চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ পলাশ পাড়ায় রিন্টুর বাড়িতে গিয়ে ঘাতক ছেলেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় থানায় আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে।

 

মন্তব্য

‘জিএম কাদেরকে ফোন, আপনি ঢাকা গেলেই অ্যারেস্ট হবেন’

রংপুর অফিস
রংপুর অফিস
শেয়ার
‘জিএম কাদেরকে ফোন, আপনি ঢাকা গেলেই অ্যারেস্ট হবেন’
ছবি: কালের কণ্ঠ

গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, ‘আমাকে ঢাকা থেকে আজকে একজন বলেছে, আপনি ঢাকা গেলেই আপনাকে অ্যারেস্ট করা হবে। রংপুরে লোকের সামনে সরকার আপনাকে অ্যারেস্ট করতে পারবে না। এটাকে আমি আমার অন্তর থেকে অত্যন্ত সুন্দরভাবে গ্রহণ করেছিলাম। আমি অ্যারেস্ট হওয়ার জন্য ভয় করিনা এবং আমার কাছে এটি ভালো লেগেছে যে রংপুরের লোক সব সময় সত্যের পথে থাকে।

শনিবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় রংপুর জিলা পরিষদ কমিউনিটি সেন্টারে জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। দলের কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার সভাপতিত্বে এসময় আরো বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ইয়াসির, কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আজমল হোসেন লেবু, সাংগঠনিক সম্পাদক লোকমান হোসেন, হাসানুজ্জামান নাজিমসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।

জিএম কাদের বলেন, সারা দেশ একদিকে, রংপুরের লোক আরেকদিকে গিয়ে এরশাদ সাহেবকে রক্ষা করেছেন। ওরা গতানুগতিক ধারায় গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দেয় না।

সত্যের পথে দাঁড়ায়। তারা দেখিয়েছে যখন এরশাদ সাহেবকে নিয়ে আন্দোলন করা হয়।

জিএম কাদের বলেন, উই ডোন্ট মাইন্ড। তোমরা জনসম্মুখে থাকো।

কারণ তোমাদের যেন মানুষ ভুলে যায়। এই ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য তারা পাঁয়তারা করছে। এসব পাঁয়তারা আমরাও ওয়াকিফহাল আছি। এসব পাঁয়তারা মোকাবেলা আমরা জীবন দিয়ে হলেও করব। যেখানেই আমাদের বাধা দেওয়া হবে সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
জীবন দিয়ে হলেও সেটা আমরা করব।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টিকে বাদ দিলে অর্ধেক লোক নিয়ে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচন কখনো অবাধ সুষ্ঠু বলা যাবে না। প্রতিটি রাজনৈতিক দল, যেগুলো বৈধ রাজনৈতিক দল, তাদেরকে নিয়ে সঠিকভাবে নির্বাচন দিতে হবে।

মন্তব্য

গাছ থেকে পড়ে প্রাণ গেল শ্রমিকের

সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
গাছ থেকে পড়ে প্রাণ গেল শ্রমিকের
প্রতীকী ছবি

ফরিদপুরের সালথায় ডাল কাটতে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে মো. মিলন ফকির (৪৫) নামে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন মো. রেজাউল মাতুব্বর (৩৪) নামে আরো এক শ্রমিক। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

শনিবার (২২ মার্চ) বিকেলে উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মাঝারদিয়া চরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মিলন ফকির একই উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বড় লক্ষনদিয়া গ্রামের মৃত মহের ফকিরের ছেলে। আহত রেজাউল একই গ্রামের রব মাতুব্বরের ছেলে।

নিহতের পরিবার জানান, নিহত মিলন ও আহত রেজাউল দীর্ঘদিন ধরে গাছ কাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করে আসছেন। শনিবার সকালে তারা মাঝারদিয়া চরপাড়া এলাকায় গাছ কাটতে যান।

বিকেলে মিলন একটি গাছে উঠে ডাল কাটতে ছিলেন। এ সময় গাছের ডাল ভেঙে নিচে থাকা অপর শ্রমিক রেজাউলের মাথার ওপর পড়ে। এতে তারা দুজনই আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক মিলনকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপর আহত রেজাউল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সালথা থানার ওসি তদন্ত মারুফ হাসান রাসেল।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ