<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অ্যান্টিক মেটাল কয়েন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ব্যবসায় আকৃষ্ট করতে মিজানুর রহমান নামের এক ব্যবসায়ীকে নানা প্রলোভন দেখান ইফতেখার আহম্মেদ নামের এক ব্যক্তি। তিনি দাবি করেন, এই কয়েন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করা যাবে। এরপর মিজানুর রহমান ৪৫ লাখ টাকা অগ্রিম দেন। পরে আরো ৭৫ লাখ টাকা নগদ এবং ৫০ লাখ টাকার ব্যাংক চেক দেন। এরপর তিনি বুঝতে পারেন, কয়েনগুলো ভুয়া ছিল। তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ঘটনায় মিজানুর রহমান বাদী হয়ে রাজধানীর আদাবর থানায় একটি মামলা করেন। পরে বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধারসহ এই চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে গতকাল শুক্রবার সকাল ৭টা পর্যন্ত আদাবর থানাধীন প্রিন্স বাজার, শেখেরটেক, সূচনা কমিউনিটি সেন্টার, কৃষি মার্কেটসহ অন্যান্য এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে চারটি অ্যান্টিক মেটাল কয়েন (ধাতব মুদ্রা), একটি ৫০ লাখ টাকার ব্যাংক চেক, নগদ ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ১০টি মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন ইফতেখার আহম্মেদ (৪৪), আবু নাঈম মো. ফাইজানুল হক ওরফে ডক্টর নাঈম (৪৮), মো. আব্দুল হালিম তালুকদার কুরাইশি (৪২) ও আবুল কালাম আজাদ (৪৬)।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল শুক্রবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান। তিনি বলেন, অ্যান্টিক মেটাল কয়েন ব্যবসার প্রলোভন দেখিয়ে ব্যবসায়ীদের কয়েন কিনতে উদ্বুদ্ধ করত চক্রটি। আট মাস আগে জনৈক মিজানুর রহমানের বনানীর অফিসে তাঁর বাসার ভাড়াটিয়ার মেয়ে আসেন। সেখানে আসামি ইফতেখার আহম্মেদের সঙ্গে মিজানুর রহমানের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। মিজানুর রহমানকে অ্যান্টিক মেটাল কয়েন ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করে প্রলোভন দেখিয়ে কয়েন কিনতে বলেন ইফতেখার। পরে গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর গুলশানের একটি হোটেলে ইফতেখার আহম্মেদ এবং বিদেশি কম্পানির প্রতিনিধি হিসেবে আবু নাঈম মো. ফাইজানুল হক ওরফে ডক্টর নাঈম ও মো. আব্দুল হালিম তালুকদার কুরাইশি মিজানুর রহমানকে ডেকে নেন। ধাতব কয়েনগুলোর প্রতিটির বাজারমূল্য আনুমানিক ২০ বিলিয়ন ইউএস ডলার হবে বলে তাঁকে ধারণা দেওয়া হয়।</span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>
