<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে ভিজিএফের তিন হাজার ৮০০ কেজি চাল উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার কালীগঞ্জ বাজার মসজিদের ইমাম পরিচালিত একটি মক্তবের অফিসকক্ষ থেকে এই চাল উদ্ধার করা হয়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্র জানায়, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অতি দরিদ্র ও অসহায় মানুষের জন্য কালীগঞ্জ ইউনিয়নে ৪৭.২৬ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই চাল অসহায়দের মাঝে ১০ কেজি হারে বিতরণ করবেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অভিযোগ রয়েছে, চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা এসব চালের বেশির ভাগ কার্ড সুবিধাভোগীদের না দিয়ে পাইকার এবং ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্থানীয়রা আরো জানায়, সুবিধাভোগীদের নামে কার্ড না দিয়ে ফাঁকা কার্ড দেওয়া হয়েছে, যাতে যে কেউ এসে চাল তুলে নিতে পারে। ফলে ব্যবসায়ীরা তাঁদের লোক দিয়ে চাল তুলে নেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতা জামাল হোসেন প্রচুর কার্ড কিনে তাঁর বিপরীতে চাল উত্তোলন করে বাজার মসজিদের ইমাম ইসমাইল হোসেনের মক্তবের অফিসে রেখে দেন। স্থানীয়রা চাল জব্দ করে প্রশাসনকে খবর দেয়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কালীগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম কার্ড বা চাল বিক্রির কথা অস্বীকার করে জানান, কিছু কার্ড নাম ছাড়া ফাঁকা বিতরণ করা হয়েছে, তবে তা সাধারণ মানুষ পেয়েছে। রাজনৈতিকভাবে আমি কোনো নেতাকে কার্ড দিইনি। ভিজিএফের সুবিধাভোগীরাই চাল বিক্রি করে থাকতে পারেন। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ইউনিয়ন বিএনপির সম্পাদক সেসব চাল কিনেছেন। আমার এখানে কোনো দায় নেই।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নাগেশ্বরী উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি (এসি ল্যান্ড) মাহমুদুল হাসান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সব চাল জব্দ করে থানায় নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তিন-চারজনের জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছি। তাদের নামে নিয়মিত মামলা করা হবে। তদন্তের স্বার্থে আপাতত তাদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p> </p>
