ফ্লাইট তখন প্রশান্ত মহাসাগরের ওপরে। এমন সময় মনে পড়ল পাসপোর্ট আনেননি সাথে। আর এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন খোদ বিমানের পাইলট। আন্তর্জাতিক ওই ফ্লাইট নিয়ে পরে ফিরে যান বিমানবন্দরে।
ফ্লাইট তখন প্রশান্ত মহাসাগরের ওপরে। এমন সময় মনে পড়ল পাসপোর্ট আনেননি সাথে। আর এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন খোদ বিমানের পাইলট। আন্তর্জাতিক ওই ফ্লাইট নিয়ে পরে ফিরে যান বিমানবন্দরে।
জানা যায়, ওই ফ্লাইটে শতাধিক যাত্রী ছিলেন। পাইলটের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার মাসুল দিতে হয়েছে তাদেরও। নষ্ট হলো বেশ কয়েক ঘণ্টা। বিষয়টি সামনে আসতেই ইতোমধ্যে শোরগোল পড়ে গেছে।
আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে চীনের সাংহাইয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল ইউনাইটেড এয়ারলাইনসে আন্তর্জাতিক বিমান ইউএ১৯৮ বোয়িং ৭৮৭-৯ বিমানটি। বিমানে ২৫৭ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে।
আকাশপথে লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে সাংহাই যেতে ১৩ ঘণ্টা সময় লাগে। বিমানবন্দর থেকে ওড়ার পর প্রায় দুই ঘণ্টা কেটে যায়। তারপর পাসপোর্ট না নেওয়ার কথা মনে পড়ে পাইলটের।
জানা গেছে, ওই দিন দুপুর ২টা নাগাদ লস অ্যাঞ্জেলেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে আকাশে ওড়ে বিমানটি। কিন্তু দুই ঘণ্টা আকাশে ওড়ার পর পাইলট দেখেন, পাসপোর্ট সঙ্গে নেই।
বিকেল ৫টার দিকে বিমানটি সান ফ্রান্সিসকোর মাটি ছোঁয়। বিমানের গতিবিধির ওপর নজরদারি চালানো সংস্থা ফ্লাইটরাডার ২৪ জানিয়েছে, হঠাৎ করেই মাঝ আকাশে বিমানের মুখ ঘোরানো হয়।
গোটা ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ কেউ লেখেন, ‘ইউএ১৯৮ বিমানের মুখ ঘোরানো হলো সান ফ্রান্সিসকোর দিকে। কারণ, পাইলট তার পাসপোর্ট নিতে ভুলে গিয়েছেন? ছয় ঘণ্টা ধরে আটকে রয়েছি। এমনটা মোটেও কাম্য নয়।’
গোটা ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছে ইউনাইটেড এয়ারলাইনস। পাইলটের ভুলের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে ছিলেন যে যাত্রীরা তাদের মাথাপিছু ১৫ ডলার করে খাবারের ভাউচার দেওয়া হয়।
সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘শনিবার লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে সাংহাই যাওয়ার ইউনাইটেড ফ্লাইট ১৯৮ বিমানটি সান ফ্রান্সিসকো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামে। কারণ পাইলট সঙ্গে করে তার পাসপোর্ট নিতে ভুলে গেছেন। আমরা সন্ধ্যায় যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছি।’
এরপর বিকল্প বিমানটি যাত্রীদের নিয়ে রাত ৯টা নাগাদ সান ফ্রান্সিসকো বিমানবন্দর ছাড়ে বলে জানা গেছে। রবিবার সকালে সেই বিমান নামে সাংহাইয়ে। তবে এমন ঘটনা এবারই প্রথম ঘটেনি। ২০১৯ সালে টোয়ে এয়ারের একটি বিমান ভিয়েতনাম থেকে দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছিল। কিন্তু প্রায় ১১ ঘণ্টা পর গন্তব্যে পৌঁছায় বিমানটি। কারণ বিমানের পাইলট নিজের পাসপোর্ট হারিয়ে ফেলেছিলেন। সেবার রাতভর আটকে ছিল ১৬০ জন যাত্রী।
সূত্র : এবিপি লাইভ
সম্পর্কিত খবর
রাজধানীর শেরেবাংলানগর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সিনিয়র শিক্ষক কাজী হোসনে আরা বেগম (৭৬) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ বুধবার (২৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর গ্রিন লাইফ হাসপাতালে তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।
জানা গেছে, তিনি দীর্ঘদিন পারকিনসন ও বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। দুই ছেলে, দুই মেয়ে এবং অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন।
বিশ্ব আবহাওয়া দিবস আজ। ১৯৫১ সাল থেকে বিশ্বে ২৩ মার্চ বিশ্ব আবহাওয়া দিবস পালিত হয়ে আসছে। গতবছরের তুলনায় এবছর কিছুটা আগেই তাপপ্রবাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আবহাওয়াবিদদের মতে, চলতি মাসে তাপপ্রবাহ সহনীয় থাকলেও এপ্রিল-মে মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি গরম অনুভূত হবে।
আবহাওয়া ও জলবায়ুর গুরুত্ব তুলে ধরতে বাংলাদেশসহ বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার ১৯৩টি সদস্য দেশ ও স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস’। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘সম্মিলিতভাবে আবহাওয়ার সতর্কবার্তার বাধা দূরীকরণ’।
এই প্রতিপাদ্য জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের ওপর এবং প্রাথমিক সতর্কতা ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য বিশ্বব্যাপী সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
১৯৫১ সাল থেকে বিশ্বে ২৩ মার্চ বিশ্ব আবহাওয়া দিবস পালিত হয়ে আসছে।
১৯৫০ সালের ২৩ মার্চ জাতিসংঘের একটি সংস্থা বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) আন্তর্জাতিক আবহাওয়া সংস্থার পরিবর্তে গঠিত হয়। এটি ১৯৫১ সালে তাদের জনসংখ্যার সুরক্ষার জন্য আবহাওয়াবিজ্ঞান, অপারেশনাল জলবিজ্ঞান এবং পৃথিবী বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে সদস্য দেশগুলোকে সমন্বয় করার জন্য কার্যক্রম শুরু করে।
১৯৬১ সালের ২৩ মার্চ প্রথম বিশ্ব আবহাওয়া দিবস পালিত হয়।
আমরা দৈনন্দিন জীবনে কথাবার্তার মাধ্যমে এমন অনেক শব্দ ব্যবহার করি, যার আক্ষরিক অর্থ খুবই কম জনই জানেন। এর মধ্যে সবচেয়ে প্রচলিত শব্দটি হলো OK শব্দ। আমরা কোনো কিছু কাজ করার জন্য হ্যাঁ-এর পরিবর্তে অনেক সময় OK শব্দটি ব্যবহার করি। কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন এই দুটি অক্ষরের শব্দে এমন কী আছে, যা একটি পূর্ণবাক্য হতে পারে? এসব প্রশ্নের উত্তর না জানা থাকলে এই প্রতিবেদনে বিস্তারিতভাবে জানানো হলো।
জানিয়ে রাখি, ‘All Correct’-এর জন্য OK শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। এখানে ‘All Correct’ পরিবর্তন করে Oll Correct করা হয়েছে। এই কারণেই AC-এর পরিবর্তে OK শব্দটি ব্যবহার করা হচ্ছে; যদিও এর পূর্ণরূপ All Correct, কিন্তু এর অর্থ হলো ‘সবই সঠিক’।
জানা যায়, ১৯ শতকের প্রথম দিকে শোনার জন্য OK শব্দটি তৈরি হয়েছিল। সেই সময় ইংরেজি শব্দকে আরো আধুনিক করে তোলার প্রবণতা ছিল। মানে ইংরেজি কথাগুলিকে অন্যভাবে বলা হচ্ছিল। এই কারণেই কিছু শব্দের বানান ভুল ছিল, যা তাদের আসল শব্দ থেকে পরিবর্তন করা হয়েছিল।
তবে OK শব্দটির পূর্ণরূপ নিয়েও বিভিন্ন লোকের বিভিন্ন মতবাদ রয়েছে। দুটি শব্দকে সংক্ষেপে OK বলা হয়। Oll Correct বা Olla Kalla-এর পূর্ণরূপ। এই শব্দ দুটি হলো গ্রিক শব্দ, এখন ইংরেজিতে পরিবর্তিত হয়ে All Correct হয়েছে, কিন্তু এর সংক্ষিপ্ত রূপ হিসেবে OK-এর পরিবর্তন হয়নি।
ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেতা ও চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের প্রধান সংগঠক মাস্টারদা সূর্যসেনের আজ জন্মদিন। তিনি ১৮৯৪ খ্রিষ্টাব্দের ২২ মার্চ (আজকের এই দিনে) চট্টগ্রামের রাউজান থানার নোয়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
তার পুরো নাম সূর্যকুমার সেন। ডাক নাম কালু।
সূর্যসেন যখন নোয়াপাড়া উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ের ছাত্র তখন বঙ্গভঙ্গকে কেন্দ্র করে বাংলায় স্বদেশী আন্দোলন শুরু হয়।
অধ্যাপক শতীশচন্দ্র চক্রবর্তী যুগান্তর নামক বিপ্লবী দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি চট্টগ্রামে ফিরে ব্রিটিশ বিরোধী একটা বিপ্লবী দল গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেন।
শিক্ষকতা করার কারণে তিনি পরিচিত মহলে ‘মাস্টারদা’ আখ্যা পান। চট্টগ্রামে তখন বিপ্লবী দলে কাজ করতেন আম্বিকা চক্রবর্তী, অনুরূপ সেন, নগেন সেন (জুলু সেন), চারুবিকাশ দত্তসহ আরো অনেকে। কিন্তু তাদের তৎপরতা ছিল সীমিত পর্যায়ের।
১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে চট্টগ্রামের জেলা কংগ্রেসের সম্মেলনে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু। এতে সূর্যসেন সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। একই বছর ১৩ সেপ্টেম্বর লাহোর জেলে একটানা ৬৩ দিন অনশন করে বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথ মারা যান। এর প্রতিক্রিয়ায় সারা বাংলায় প্রচণ্ড বিক্ষোভ দেখা দেয়। বিক্ষোভ মিছিল ও সভায় নেতা সূর্যসেন বিপ্লবের পরবর্তী কার্যক্রমের পরিকল্পনা সদস্যদের সামনে তুলে ধরেন। বিপ্লবীরা স্বাধীনতার জন্য প্রয়োজনে জীবন উৎসর্গ করার শপথ নেন। এর জন্য তারা ‘মৃত্যুর কর্মসূচি’ ঘোষণা করেন।
‘যুগান্তর’ দলের চট্টগ্রাম শাখার নতুন সভাপতি তারকেশ্বর দস্তিদার সূর্যসেনকে চট্টগ্রাম জেল থেকে ছিনিয়ে আনার প্রস্ততি নেন। কিন্তু পরিকল্পনাটি ব্যর্থ হয়। তারকেশ্বর এর সঙ্গে আরো কয়েকজন গ্রেপ্তার হন। ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দে সূর্যসেন, তারকেশ্বর দস্তিদার এবং কল্পনা দত্তের বিশেষ আদালতে বিচার হয়।
১৪ আগস্ট সূর্যসেন ও তারেকেশ্বর দস্তিদার এর ফাঁসির রায় হয় এবং কল্পনা দত্তের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দের ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম কারাগারে উভয়ের ফাঁসি কার্যকর হয়।