<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সুনামগঞ্জে পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে এখন ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছেন শহরতলির মাইজবাড়ী গ্রামের দিনমজুর রিপন মিয়া (১৮)। গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার কর্মসূচিতে পুলিশের গুলিতে গুলিবদ্ধ হন তিনি। সদর থানার সাবেক ওসি খালেদ চৌধুরীর গুলিতে রিপন গুরুতর আহত হন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তি রিপন মিয়া গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তাঁর পরিবারের সদস্যরা মানবেতর জীবনযাপন করছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রিপন মিয়া সুনামগঞ্জ শহরতলির মাইজবাড়ী গ্রামের কামাল উদ্দিন ও আছর বিবি দম্পতির সন্তান। তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার বড়। বাবা অসুখবিসুখে বাড়িতেই পড়ে থাকেন। সংসারের হাল ধরতে সপ্তম শ্রেণিতে পাঠদানের সময় থেকেই দোকানে শ্রমিকের কাজে নামেন রিপন। তাঁর পরিশ্রমেই সংসার চলত। গত ৪ আগস্ট স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার সঙ্গে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে নামেন দিনমজুর রিপন মিয়া। একপর্যায়ে পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের ক্যাডাররা ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায়। এ সময় সদর থানার তৎস্যলীন ওসি খালেদ চৌধুরী তাঁর পায়ে নল ঠেকিয়ে গুলি করেন। এতে গুরুতর আহত হন রিপন। পরে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে রিপন মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার পর থেকেই তাঁর পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে বলে স্বজনরা জানিয়েছেন। রিপন মিয়ার মা আছর বিবি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমার ছেলের আয়েই সংসার চলত। সে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমার ছেলেসহ অসংখ্য নীরিহ ছাত্র-জনতার ওপর যারা হামলা করেছে, তাদের বিচার চাই।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রিপন মিয়ার ছোট বোন রোজিনা বেগম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমার ভাইয়া গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকে আমাদের পরিবারের সবাই কষ্টে আছি। জানি না আমার ভাই আগের মতো স্বাভাবিকভাবে হাঁটাচলা করতে পারবেন কি না। আমার ভাইকে সুস্থ দেখতে চাই।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></p>