<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত বছরের এই সময়ে শীতের আগাম সবজিতে ভরা থাকত জামালপুরের হাট-বাজার। তবে এবার এখনো শীতের আগাম সবজি নেই। প্রভাবে সবজির দাম চড়া। টানা ভারি বৃষ্টিপাতে এবার শীতকালে সবজি পিছিয়ে গেছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কৃষকরা বলছেন, এবার বৈরী আবহাওয়ার কারণে সবজি উৎপাদন পিছিয়ে গেছে। বৃষ্টি না হলে এই সময় আগাম জাতের বেগুন, মুলা, শিম বাজারজাত করা যেত। এ বছরের প্রথম দিকে খরা হয়েছে, তার পরই টানা ভারি বৃষ্টি হয়েছে। এতে সবজির চারা নষ্ট হয়েছে। পিছিয়েছে সবজি উৎপাদন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জামালপুরের মেলান্দহ ও ইসলামপুর উপজেলার চরাঞ্চলে বেশি শীতকালীন সবজির চাষ হয়। এ দুই উপজেলার উৎপাদন বেশি হয় বেগুনের। এখান থেকে ঢাকাসহ সারা দেশের পাইকাররা বেগুন কিনে নিয়ে যায়। গত বছর এই সময়ে এ অঞ্চলের কৃষকরা তাঁদের উৎপাদন করা বেগুন পাইকারি বিক্রি শুরু করতেন। তবে এবার বেগুন বিক্রি শুরু করতে আরো প্রায় এক মাস সময় লাগবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মেলান্দহ উপজেলার টুপকারচর, ৫ ও ৪ নম্বর চর ঘুরে দেখা গেছে, এখানে বেগুন, মুলা, শিম, লাউ, শসা, আলুসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ হয়েছে। এর মধ্যে বেগুনচারা বড় হলেও কিছু ক্ষেতে বেগুনের ফুল এসেছে দু-একটি করে। আগাম জাতের বেগুনক্ষেতে দু-একটি করে বেগুন ধরেছে গাছে। তবে গাছ থেকে তোলার সময় এখনো হয়নি। এ ছাড়া মুলা ও শিমগাছও ছোট। ফুলকপি ও বাঁধাকপি কিছু লাগালেও এখনো সব জায়গায় লাগানো শেষ হয়নি। ওই এলাকায় বেশির ভাগ কৃষক এখন সবজিক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মেলান্দহ উপজেলার টুপকারচর এলাকার কৃষক নজরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমি এ বছর দুই বিঘা জমিতে বেগুনের আবাদ করেছি। সব মিলে আমার খরচ হয়েছে প্রায় ২০ হাজার টাকা। বিকাশ জাতের নামে একটি বেগুনের চারা লাগিয়েছি। এটি আগাম জাতের বেগুনের চারা। কিছু বেগুনগাছে দু-একটি করে বেগুন ধরেছে। পুরোপুরিভাবে বেগুন ধরতে আরো প্রায় এক মাস লাগবে। আর গত বছর এই সময়ে বিকাশ জাতের বেগুনক্ষেত থেকে দুইবার বেগুন তোলা হতো।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৪ নম্বর চরে কৃষক নুরুল আমিন বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ বছর বেগুন নামতে আরো ২০ থেকে ২৫ দিন সময় লাগবে। কিছু ক্ষেতে বেগুনের গাছে ফুল এসেছে মাত্র, আবার কিছু ক্ষেতের গাছ বড় হচ্ছে। প্রথম দিকে খরা ছিল, পরে টানা বৃষ্টিতে পিছিয়ে গেছে শীতকালীন সবজির আবাদ।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মেলান্দহ উপজেলার শিমুলতলা এলাকায় জেলার সবচেয়ে বড় বেগুনের পাইকারি বাজার। গত বছরের এই সময়ে জমজমাট ছিল বেগুন বিক্রির বাজার। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ট্রাকে ট্রাকে বেগুন যেত ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। এ বছর বাজার শুরু হতে আরো এক মাস লাগবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জামালপুরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জাকিয়া সুলতানা বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">টানা ভারি বৃষ্টিতে সবজি উৎপাদন পিছিয়ে গেছে। সবজিবাগানে দু-তিন দিন পানি থাকলেই চারা মরতে শুরু করে। বৃষ্টিতে আগাম জাতের কিছু সবজির চারা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। সেটার ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদন আমরা পাঠিয়েছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p>