<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শিক্ষাকে আনন্দদায়ক ও শিশুদের স্বপ্নকে বড় করে তুলতে রাজশাহীতে গড়ে তোলা হয়েছে জ্ঞানের আলো এক্সপ্রেস। ট্রেনটি যাত্রা শুরু করে কলাকাকলি স্টেশন থেকে। চলাচল করে ধাদাশ থেকে মহাকাশ পর্যন্ত। তবে এটি কোনো যাত্রীবাহী ট্রেন নয়। জেলার পুঠিয়া উপজেলার ধাদাশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনে রং তুলি দিয়ে  ট্রেনের আদলে তৈরি করা হয়েছে তিনটি শ্রেণিকক্ষ। মূলত শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া ঠেকাতে স্কুলের প্রতি আকৃষ্ট করতেই এমন উদ্যোগ। ভিন্ন আদলের এই বিদ্যালয়টি এরই মধ্যে সবার নজর কেড়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, স্কুলটি বিভিন্ন রঙে সুন্দর করে সাজানো। স্কুলের প্রবেশ পথেই দেখা মিলবে একটি বিশ্ব মানচিত্রের গ্লোব। এর পাশের ভবনে আছে প্রাক-প্রাথমিক ও শিশু শ্রেণির কক্ষ। এই ভবনের প্রতিটি ক্লাসরুমের দেয়ালে আঁকা ছবি দেখে পড়ানো হয় শিশুদের। এক পাশে রাখা আছে শিশুদের খেলার সামগ্রী।  ভবনের ছাদে আঁকা হয়েছে মহাকাশ। পাশের ওয়ালে আঁকা আছে মিনা, রাজুসহ বেশ কিছু কার্টুন চরিত্র। এই ভবনের ঠিক উল্টো পাশেই ট্রেনের আদলে আরেকটি ভবন। সেই ভবনের দেয়ালে রং-তুলি দিয়ে বানানো হয়েছে ট্রেনের কাচের জানালা। ভবনের টিনের সঙ্গে একটি বোর্ডে লেখা কলাকাকলি স্টেশন। পাশেই একটি কাগজে লেখা জ্ঞানের আলো এক্সপ্রেস। ট্রেনটির সামনে লাগানো আছে বগি নম্বর-৬২০৫। তার ঠিক পাশেই লেখা আছে গন্তব্য ধাদাশ টু মহাকাশ। তার একটু দূরে রয়েছে ৬২৭১ নম্বর বগি। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্কুলের শিক্ষার্থী নাজরিন বলেন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এখন আমাদের খুব ভালো লাগে। মনে হয় ট্রেনে চড়ে ক্লাস করছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শিক্ষিকা ফারজানা খাতুন বলেন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আসলে এই ভবনটি অনেক পুরাতন ছিল। এটি দেখতে খারাপ লাগত। প্রধান শিক্ষিকা এটি নিয়ে একটি আইডিয়া চান। বানানোর পর অনেক ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে সত্যি সত্যি ট্রেন। এটি হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসতে অনেক আগ্রহী হয়েছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রধান শিক্ষিকা দিলরুবা খাতুন বলেন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা তাদের জীবনের যে যাত্রা সেটা এখান থেকে শুরু করে আরো বড় বড় জায়গায় যাবে। এই চিন্তা থেকেই এটি করা হয়েছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি আরো বলেন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শিক্ষার্থীদের এই ভবনটি নষ্ট ছিল। আমাদের নতুন ভবনগুলো বেশ ভালো। সব ভেবে আমরা ট্রেন বানিয়েছি। এটি হওয়ার পর থেকে আমাদের শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার বেড়েছে। মুলত ছাত্রদের ঝরে পড়া থেকে বাঁচানোর জন্যই এ কাজ করা হচ্ছে। এটি আমরা গত পুজোর ছুটির পর  বানিয়েছি। আমরা চাই কোনো শিক্ষার্থী যাতে ঝরে না পড়ে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>