<p>নির্মাণ শেষের এক যুগেই জরাজীর্ণ হয়েছে খুলনার গুরুত্বপূর্ণ বটিয়াঘাটা সেতু (ব্রিজ)। এরই মধ্যে ব্রিজের রেলিংসহ বিভিন্ন স্থানে পলেস্তারা খসে পড়েছে। বেরিয়ে এসেছে লোহার রড। ছাদ-রেলিংসহ বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে জেলার বটিয়াঘাটা-দাকোপ ও পাইকগাছার যোগাযোগ রক্ষাকারী সেতুটি।</p> <p>স্থানীয়রা অবিলম্বে ব্রিজটি সংস্কার ও ঝুঁকিমুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, মাত্র ১২/১৩ বছরেই দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত সেতুর এমন অবস্থা গ্রহণযোগ নয়।</p> <p>সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বটিয়াঘাটা, দাকোপ এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির ফলে খরস্রোতা শৈলমারী ও কাজিবাছা নদীর সংযোগ স্থানে সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। ২০০৬ সালের ৯ জানুয়ারি সেতু নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। পরবর্তী সময়ে ২৫ কোটি ৭৫ লাখ সাত হাজার টাকা ব্যয়ে ২০১১ সালের ৩০ জুন নির্মাণকাজ শেষ হয়। যার ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছেন মো. এনামুল হক। কিন্তু সেতুটি যাত্রার ১৩ বছরেই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে।</p> <p>ইজি বাইকচালক মো. তৈয়েবুর গাজী, শাহ আলম, মো. কাওছার আলীসহ অন্যরা জানান, মাত্র অল্প কয়েক দিনেই ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। রেলিং, ব্রিজের ছাদে ফাটল দেখা দিয়েছে। রড বেরিয়ে জং ধরে নষ্ট হচ্ছে। পলেস্তারা খসে খসে পড়ছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে ব্রিজটি ব্যবহার করা সম্ভব হবে না।</p> <p>বটিয়াঘাটা মাইটভাঙ্গা গ্রামের আশীষ মণ্ডল, ব্যবসায়ী দীপক সাহা বলেন, ‘সেতুটির রেলিং ভেঙে যাওয়ার কারণে আমাদের গ্রামের সব মানুষ আতঙ্কে আছে। ব্রিজের জন্য নদী মরে গেছে, এখন ব্রিজও যদি চলাচল অনুপযোগী হয়, তাহলে তো আমাদের ক্ষতির শেষ থাকবে না। আমরা দ্রুত ব্রিজটি সংস্কার চাই।</p> <p>সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলাম বিষয়টি স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি সওজের নজরে রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিজ, কালভার্ট সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।</p> <p> </p> <p> </p>