<p style="text-align:justify">আজারবাইজানের বিমান ভূপাতিত করার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ঘটনার তিন দিন পর মুখ খুললেন তিনি। আজ শনিবার এক বিবৃতিতে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ইউক্রেনের ড্রোন হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে ভুল করে বিমানটি ভূপাতিত হয়েছে। এজন্য ক্ষমাও চেয়েছেন পুতিন।</p> <p style="text-align:justify">বিবৃতিতে ক্রেমলিন বলেছে, ঘটনার সময় গ্রোজনি, মোজদোক ও ভ্লাদিকাভাকাজে ড্রোন হামলা চালাচ্ছিল ইউক্রেন। রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সেই হামলা প্রতিহত করছিল।</p> <p style="text-align:justify">যদিও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনাটি নিয়ে রাশিয়াকে অবশ্যই ‘বিভ্রান্তি ছড়ানো’ বন্ধ করতে হবে।</p> <p style="text-align:justify">বিবিসি বলছে, রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে আগুনের কবলে পড়ে বিমানটি। এরপর সেটি চেচনিয়ায় অবতরণের চেষ্টা করেছিল। তবে এটিকে কাস্পিয়ান সাগরের ওপারে ঘুরতে বাধ্য করা হয়।</p> <p style="text-align:justify">গত বুধবার বড়দিনে আজারবাইজান এয়ারলাইনসের ওই বিমানটি বাকু থেকে রাশিয়ার গ্রোজনি যাচ্ছিল। তবে এটি কাজাখস্তানের আকতাউয়ের কাছাকাছি স্থানে বিধ্বস্ত হয়।</p> <p style="text-align:justify">আজারবাইজান এয়ারলাইনসের ফ্লাইট (জে২-৮২৪৩) বাকু থেকে রাশিয়ার চেচনিয়ার গ্রোজনিতে নির্ধারিত রুট থেকে কয়েক শ মাইল দূরে কাস্পিয়ান সাগরের বিপরীত তীরে বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্ত হওয়ার আগে বিমানটি রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের যে এলাকা অতিক্রম করে এসেছিল সেখানে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা এড়াতে বেশ কয়েকবার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করেছে মস্কো।</p> <p style="text-align:justify">এ পর্যন্ত আজারবাইজানের বিমানে থাকা ৬৭ জন যাত্রী ও ক্রুদের মধ্যে ৩৮ জনের নিহতের খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে অন্তত ১৬ জন রুশ নাগরিক ছিলেন। বিমানটি থেকে বেঁচে ফিরেছেন ২৯ জন।</p> <p style="text-align:justify">রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার দ্বারা বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে ঘটনার তদন্তসংশ্লিষ্ট আজারবাইজানের চারটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছিল।</p>