সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরের ওয়াচটাওয়ারসংলগ্ন গোলাবাড়ী কান্দায় বন বিভাগ কর্তৃক ২৫ হেক্টর ভূমিতে লাগানো বৃক্ষ মারা যাচ্ছে। ভুল সময়ে ত্রুটিপূর্ণ পদ্ধতিতে বৃক্ষ লাগানো এবং পরিচর্যার অভাবে বৃক্ষগুলো মারা যাচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, টাঙ্গুয়ার হাওরের কান্দায় হিজল-করচের ৪০ হাজার বৃক্ষ রোপণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ পর্যন্ত ৩৫ হাজার বৃক্ষ লাগানো হয়েছে।
২০২২-২০২৩ অর্থবছরে একই হাওরের ইকইড়দাইড় কান্দায় বন বিভাগ জলবায়ু তহবিলের টাকায় বৃক্ষ লাগিয়েছিল। সেই বৃক্ষও মারা গেছে। এবারও জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলা, হাওরের জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণ ও বর্ষায় ঢেউয়ের আঘাত থেকে গ্রামগুলোকে রক্ষার উদ্দেশ্যে এই বৃক্ষ রোপণ করছে বন বিভাগ।
২৪ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গুয়ার হাওরের গোলাবাড়ী ওয়াচটাওয়ারসংলগ্ন কান্দায় গিয়ে দেখা যায়, কয়েক হাজার বৃক্ষ লাগানো হয়েছে শুকনা মাটিতে।
এই স্থান বর্ষায় পানিতে ডুবে থাকে। বৃক্ষ রোপণের পর চারদিকে বাঁশের কাঠি দিয়ে বেড়া দেওয়া হয়েছে। তীব্র রোদের কারণে শুকিয়ে গেছে রোপণ করা চারা। রোপণের পর গাছের গোড়ায় পানি না দেওয়া ও পরিচর্যা না করায় মারা যাচ্ছে রোপণ করা বেশির ভাগ বৃক্ষ।
জয়পুর গ্রামের কৃষক নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘এখানে উঁচু জায়গা। মাটি শুকাইয়া গেছেগা। লেছুমারা কান্দায় গাছ লাগাইলে ভেজা মাটি আছিল। গাছ আশিভাগ বাঁচতো। ই গাছ অর্ধেকও বাঁচতো না।
’ জয়পুর গ্রামের পরিবেশকর্মী আহমদ কবীর বলেন, ওয়াচটাওয়ার এলাকায় কয়েক হাজার চারা লাগানো হয়েছে। এটা হাওরের জন্য ভালো। কিন্তু ভুল পদ্ধতিতে বৃক্ষ রোপণ করায় এবং পরিচর্যা না করায় বৃক্ষগুলো মারা যাচ্ছে। সুনামগঞ্জ বন বিভাগের ডেপুটি রেঞ্জার সাদ উদ্দিন বলেন, এ পর্যন্ত ৩৫ হাজার বৃক্ষ লাগানো হয়েছে। তবে স্থানীয়দের গরু-বাছুর বেষ্টনী দেওয়া এলাকায় ঢুকে গাছের চারা নষ্ট করছে।