কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আন্ত বিভাগের আংশিক উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (স্বাস্থ্য ও প্রশাসন) ডা. রিজওয়ানুর রহমান দ্বিতীয় দফায় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালটির আন্ত বিভাগের (শিশু ও মেডিসিন) আংশিক অংশ উদ্বোধন করেন। এর আগে ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর হাসপাতালটির বহির্বিভাগের আংশিক অংশ চালু করা হয়। এভাবে একাধিকবার আংশিক উদ্বোধনের কারণে সম্পূর্ণ কার্যক্রম চালু করতে আরো কত বছর লাগবে তা নিয়ে হতাশ কুষ্টিয়াবাসী।
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালটির প্রাথমিকভাবে ৩০০ কোটি টাকার প্রাক্কলন ব্যয় বেড়ে প্রায় ৭০০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। তিন বছর মেয়াদের প্রকল্পের নির্মাণকাজ চলছে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে। এসব অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল হাসপাতালটি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকটি সূত্রের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের অনুগত ঠিকাদারের মাধ্যমে ক্রয়কৃত যন্ত্রপাতিগুলো যাচাই-বাছাই ছাড়াই গ্রহণের জন্য তড়িঘড়ি করে আংশিক উদ্বোধন করা হচ্ছে।
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. আনোয়ারুল কবীর, কেন্দ্রীয় বিএনপির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদ, সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সরকার, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সুজা উদ্দিন জোয়ার্দার, কুষ্টিয়া কোর্টের স্পেশাল পিপি এ্যাডভোকেট শামিম উল হাসান অপু, জেলা প্রশাসক তৌফিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাসপাতালের পরিচালক আনোয়ারুল কবীর বলেন, ‘আশা করছি পর্যায়ক্রমে পূর্ণাঙ্গরূপে হাসপাতালটি চালু করতে পারব।’ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. রিজওয়ানুর রহমান বলেন, ‘৫০০ শয্যার হাসপাতালটি অন্তত শুরু হলো। এখন ধীরে ধীরে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়ার প্রচেষ্টা চলমান থাকবে।
’