<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><em><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্লাস্টিক ও পলিথিনের ব্যবহারে বিশ্ব পরিবেশ বিপর্যয়ের বেদনায় কাতর। আমাদের প্রিয় বাংলাদেশের পরিবেশও পড়েছে হুমকির মুখে। গ্রাম ও নগরজীবনে পলিথিন ও প্লাস্টিক  অমোচনীয় ক্ষতের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। মানবসৃষ্ট এই বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে দৃপ্ত অবস্থান নিয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। সচেতনতার আলোকবর্তিকা হয়ে সামনে এসেছেন সারা দেশের বসুন্ধরা শুভসংঘের সদস্যরা। আমাদের এই আয়োজন শুধু একটি সচেতনতা কর্মসূচি নয়, বরং ছিল এক প্রগাঢ় আহবান, যেখানে প্লাস্টিক ও পলিথিনের ভয়াবহতা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সমাজের প্রতিটি স্তরে জাগানো হয়েছিল এক অভূতপূর্ব সচেতনতা। সম্প্রতি দেশব্যাপী পলিথিনের ব্যবহার রোধে জনসচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। সদস্য ও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য ও ছবিতে কয়েকটি আয়োজনের বিস্তারিত তুলে ধরে পাতাটি সম্পাদনা করেছেন জাকারিয়া জামান</span></span></em></span></span></p> <h1 style="text-align:center"><span style="font-size:26px"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-family:SolaimanLipi">ঢাবিতে শোভাযাত্রা ও গণসচেতনতা</span></strong></span></span></h1> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শাহ্ মো. হাসিবুর রহমান হাসিব</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), যেখানকার প্রতিটি ইট, প্রতিটি গাছের পাতা ইতিহাসের সাক্ষী। শতবর্ষী বটগাছের ছায়ায় একদিন খোলা আকাশের নিচে জমায়েত হলেন একদল তরুণ। স্নিগ্ধ সেই সকালের বাতাস যেন আরো সতেজ ছিল, পাখিদের ডাক যেন আরো স্পষ্ট শোনা যাচ্ছিল। বসুন্ধরা শুভসংঘের সদস্যরা একে একে জড়ো হচ্ছিলেন। তাঁদের চোখেমুখে ছিল আলোর ঝলকানি, মনে ছিল পরিবর্তনের অঙ্গীকার। কোলাহলমুখর সেই প্রাঙ্গণ এবার সাক্ষী হলো এক নতুন ইতিহাসের। প্রকৃতিকে ভালোবাসার, প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জনের। কেউ হাতে ধরেছিলেন পোস্টার, কেউ কাঁধে ঝুলিয়েছিলেন কাপড়ের ব্যাগ, কারো হাতে ছিল সচেতনতার বার্তা লেখা লিফলেট। নবোদ্যমে ভরা সেই তারুণ্যের উপস্থিতি এক নতুন আশার সুর তুলেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনায়। স্লোগান উঠল </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পরিবেশ বাঁচাও, পলিথিন ছাড়ো</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">। সেই প্রতিধ্বনি মিলিয়ে গেল আশপাশের গাছের পাতায়, যেন প্রকৃতি নিজেই তাদের ডাকে সাড়া দিচ্ছে। প্রতিটি কণ্ঠস্বর ছিল প্রত্যয়ের, প্রতিটি মুখ ছিল দায়িত্ববোধের প্রতীক। বসুন্ধরা শুভসংঘের সদস্যরা জানতেন, এই উদ্যোগ একটি সাধারণ কার্যক্রম নয়। এটি ছিল জীবন, প্রকৃতি ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতি দায়িত্বের বহিঃপ্রকাশ। প্লাস্টিক ও পলিথিন যে ধ্বংসের বার্তা নিয়ে আসে, তা প্রতিহত করা এখন সময়ের দাবি। বসুন্ধরা শুভসংঘের এই উদ্যোগ ভালোবাসার, পৃথিবীকে রক্ষা করার এক অনন্য প্রয়াস। বসুন্ধরা শুভসংঘের ভিন্নধর্মী এই সচেতনতা কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী নিজ উদ্যোগে অংশ নেন। বসুন্ধরা শুভসংঘ শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখার সভাপতি মেহেদী হাসান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পলিথিনের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি অনেক। চোখ জ্বালা করা, শ্বাসকষ্ট, লিভারের সমস্যা, ক্যান্সার, চর্মরোগ থেকে শুরু করে অনেক মারাত্মক রোগের জন্য পলিথিন দায়ী। আমরা বাজারে গেলে পলিথিনে করেই সব কিছু নিয়ে আসি। পলিথিনে মোড়ানো এসব খাবারই খাদ্যে বিষক্রিয়ার জন্য দায়ী। আসুন, পলিথিন বর্জন করি, সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ও বসুন্ধরা শুভসংঘ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আমিনুর রহমান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চারপাশের প্রকৃতি প্রতিনিয়ত আমাদের জন্য কাজ করছে, আমাদের বাঁচিয়ে রাখছে। কিন্তু আমরা মানুষরা প্রকৃতিকে কী দিচ্ছি? পলিথিন ফেলে মাটিকে বিষাক্ত করছি, নদীনালা ভরাট করছি। আজ বসুন্ধরা শুভসংঘের এই উদ্যোগ আমাদের বুঝিয়েছে, প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা শুধু আবেগ নয়, এটি দায়িত্ব। আমি এখন অনুভব করি, এই ছোট ছোট পরিবর্তন; যেমন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পলিথিন বর্জন, কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার প্রকৃতির প্রতি আমাদের ভালোবাসার প্রকাশ। যদি সবাই একসঙ্গে এই পরিবর্তন আনতে পারি, তাহলে আমাদের পৃথিবী আরো বাসযোগ্য হয়ে উঠবে। আজ থেকে আমরা শুধু নিজের জন্য নয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও কাজ করব। অন্যদের বোঝাব, পলিথিন নয়, আমাদের বাঁচতে হবে মাটি, জল আর প্রকৃতিকে নিয়ে। বসুন্ধরা শুভসংঘ আমাদের ভাবতে শিখিয়েছে, পরিবর্তন বড় কোনো কাজ নয়, বরং ছোট উদ্যোগ থেকেই শুরু হয়।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, পলিথিন বর্জনে গণসচেতনতা খুবই চমৎকার উদ্যোগ। এমন ভালো কাজে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। এসব মহৎ উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে এগিয়ে আসা উচিত।</span></span></span></span></p> <p style="text-align:center"><img alt="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2025/1. january/12-01-2025/2/kalerkantho-ss-1a.jpg" height="513" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2025/1. january/12-01-2025/2/kalerkantho-ss-1a.jpg" width="1000" /></p> <h1 style="text-align:center"><span style="font-size:26px"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-family:SolaimanLipi">জাবিতে প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যবহার রোধে গণসচেতনতা কর্মসূচি </span></strong></span></span></h1> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মেহদী ইসলাম</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সামাজিক সচেতনতা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্লাস্টিক ও পলিথিনমুক্ত সমাজ গড়ি, সবুজ বাংলাদেশ গড়ে তুলি</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> স্লোগানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গণসচেতনতা কর্মসূচি পালন করেছেন বসুন্ধরা শুভসংঘের বন্ধুরা। গত ৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) পলিথিনের ব্যবহার রোধে একটি আলোচনাসভা এবং পরবর্তী সময়ে গণসচেতনতামূলক দেয়াল পোস্টারিং কর্মসূচি পালন করা হয়। টিএসসিসহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা এবং আবাসিক হলের দেয়ালে এসব পোস্টার সাঁটানো হয়। আলোচনায় ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী আশুরা আজাদ বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্লাস্টিক ও পলিথিনের অতিরিক্ত ব্যবহার পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এগুলো মাটিতে হাজার বছর পর্যন্ত অক্ষত থাকতে পারে। প্লাস্টিকের এই দীর্ঘস্থায়ী উপস্থিতি মাটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, মাটির উর্বরতা কমে যায়। প্লাস্টিক ও পলিথিন পোড়ালে পরিবেশে বিপজ্জনক গ্যাস নিঃসরণ হয়, যা বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ। এ ধরনের গ্যাস মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য হানিকর ও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী। শহরাঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির জন্য পলিথিন ও প্লাস্টিক অনেকাংশেই দায়ী। গত বছরের ১ অক্টোবর থেকে সুপারশপগুলোতে পলিথিন ব্যবহার না করার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। আমাদের উচিত সরকারকে সাহায্য করা। পলিথিন ও প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে নিত্যব্যবহার্য উপকরণগুলোর মধ্যে কাপড়ের ব্যাগ, ধাতব পানির বোতল এবং কাচের জারের ব্যবহার পরিবেশের ওপর চাপ কমাতে সহায়ক। পরিবেশবান্ধব উপকরণ ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি। সবাই উদ্যোগী হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুস্থ, নিরাপদ ও সবুজ পৃথিবী নিশ্চিত করতে আমরা সক্ষম হব।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> আইন ও বিচার বিভাগের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পলিথিন এমন একটি পণ্য, যা পরিবেশের মারত্মক ক্ষতি করছে। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে প্রতিদিন প্রায় এক কোটি ৩৪ লাখ পলিথিন বিভিন্ন কারখানায় উৎপন্ন হচ্ছে। এই পলিথিনগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশের ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি মানুষের স্বাস্থ্যের জন্যও মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে। আমাদের বিভিন্ন খাদ্যে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়, যা ক্যান্সারসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে। পলিথিনের অবাধ ব্যবহার কমাতে হবে। রাষ্ট্রীয় আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করা করতে হবে। পলিথিনের বিকল্প হিসেবে পাটজাতীয় পণ্য, কাপড়ের ব্যাগ, কাচ, লোহাসহ যেসব দ্রব্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য সেগুলো আমাদের ব্যবহার করতে হবে। সর্বোপরি সবার মধ্যে পলিথিন ব্যবহার বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রত্যাশা রাণী, মহসিন আলী, রাব্বি হোসাইন জীবন, আসমাউল হোসনা, তানিয়া আক্তার ইকরা, মাহফুজা আক্তার, তিথী দাস, ইমরান শুভ, মোহাম্মদ জুবায়ের হোসেন, মোহাম্মদ রাকিব প্রামাণিক, মো. আল আমিন ভুঁইয়া, সোহান ইসলাম, মোহাম্মদ নুরুজ্জামান ও মোহাম্মদ আমানউল্লাহ।</span></span></span></span></p> <p style="text-align:center"><img alt="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2025/1. january/12-01-2025/2/kalerkantho-ss-1a.jpg" height="1335" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2025/1. january/12-01-2025/2/kalerkantho-ss-1b.jpg" width="1000" /></p> <p style="text-align:center"><span style="font-size:26px"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-family:SolaimanLipi">দিনাজপুরে প্লাস্টিকের বিনিময়ে গাছের চারা </span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মো. রাসেল ইসলাম</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পরিবেশের প্রতি মানুষের দায়িত্ববোধ জাগিয়ে তুলতে বসুন্ধরা শুভসংঘ দিনাজপুর সরকারি কলেজ শাখা ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ নিয়েছে। </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্লাস্টিকের বিনিময়ে গাছের চারা বিতরণ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> শিরোনামে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটি বেশ সাড়া ফেলেছে। উদ্যোগটি নিয়ে সদস্যরা শহরের বিভিন্ন এলাকায় মানুষের দ্বারপ্রান্তে হাজির হন।</span></span></span></span></p> <p style="text-align:center"><img alt="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2025/1. january/12-01-2025/2/kalerkantho-ss-1a.jpg" height="849" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2025/1. january/12-01-2025/2/kalerkantho-ss-1c.jpg" width="1000" /></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্লাস্টিকের বোতল কিংবা পলিথিন জমা দিলে বিনিময়ে মানুষ পায় একটি করে গাছের চারা। কেউ পেয়েছে ফলের গাছের চারা, কেউ ফুলের আবার কেউ ঔষধি গাছ। চারাগাছ হাতে পেয়ে স্থানীয় এক নারী বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্লাস্টিক জমা দিয়ে এমন কিছু পাব ভাবিনি। গাছটিকে যত্ন করে বড় করব, যেন আমার পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ  সবুজ হয়।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> বসুন্ধরা শুভসংঘ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াছির আরাফাত রাফি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা চেয়েছি সচেতনতার বার্তা নিয়ে মানুষের কাছে সরাসরি পৌঁছাতে। পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব তুলে ধরে তাদের হাতে গাছের চারা তুলে দেওয়াই ছিল আমাদের উদ্দেশ্য। এভাবে মানুষ গাছের গুরুত্ব যেমন বুঝবে, তেমনি প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যবহার কমাতেও উদ্বুদ্ধ হবে। কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটলেও এই উদ্যোগ মানুষের মনে রেখে গেল এক অনন্য বার্তা। বসুন্ধরা শুভসংঘের এমন উদ্যোগ আমাদের পরিবেশ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p style="text-align:center"><img alt="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2025/1. january/12-01-2025/2/kalerkantho-ss-1a.jpg" height="513" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2025/1. january/12-01-2025/2/kalerkantho-ss-1d.jpg" width="1000" /></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সবাই মিলে করি পণ, বন্ধ হবে প্লাস্টিক দূষণ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পলিথিন বর্জন, সুন্দর ভবিষ্যৎ অর্জন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এমনই নানা স্লোগানসংবলিত ফেস্টুন নিয়ে পলিথিন ও প্লাস্টিক সচেতনতায় বিভিন্ন আয়োজন করেছে গভর্নমেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লাইড হিউম্যান সায়েন্স (হোম ইকোনমিকস) শাখা</span></span></span></span></p>