<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চট্টগ্রাম থেকে প্রতিনিধি : হঠাৎ দক্ষিণ আফ্রিকা দলের ডাগ আগটের সামনে বিশাল জটলা। গতকাল চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শুরুর আগে এমন জমায়েতের কারণ বোঝা গেল একটু পর। বাংলাদেশ সফরে এসে আনুষ্ঠানিক ফটোসেশনটা সেরে নিলেন এইডেন মারক্রাম, কাগিসো রাবাদারা। অথচ এর পরেও টেস্টের বাকি আরো দুদিন। প্রোটিয়ারা যেন আগের দিনই বুঝে যান, এই টেস্ট পাঁচ দিন কেন, চার দিনেও গড়াবে না। সে জন্য গতকাল বাংলাদেশের ১৬ উইকেট নিতে হতো তাদের। স্বাগতিক ব্যাটারদের লাগাতার ব্যর্থতায় তা নিয়েও দেখিয়েছে সফরকারীরা। বাংলাদেশকে হারিয়েছে ইনিংস ও ২৭৩ রানের বিশাল ব্যবধানে। এতটাই বিশাল যে এটি দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে ঢাকায় ৭ উইকেটে জেতায় ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশের কাজও সারা। ভারতীয় উপমহাদেশে তারা এমন আনন্দের নাগাল পেল ১০ বছর পর।   </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাগরিকার ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯০ ওভার ব্যাট করতে পারেনি বাংলাদেশ দল। সর্বোচ্চ ৪ ব্যাটার ত্রিশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেছেন। এর দুটি আবার ১০ নম্বরে নামা দুই ব্যাটারের। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেটে ৩৮ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করা বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় মাত্র ১৫৯ রানে। যেখানে নবম উইকেটে ১০৩ রানের জুটিতে দলকে বেশ কিছু বিব্রতকর রেকর্ডের হাত থেকে বাঁচান ইনিংস সর্বোচ্চ ৮২ রান করা মমিনুল হক ও তাইজুল ইসলাম (৯৫ বলে ৩০) মিলে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ফলোঅনে পড়ে ৪১৬ রানে পিছিয়ে আবার ব্যাটিংয়ে নেমে ধসে পড়ে বাংলাদেশের ইনিংস। এবার মাহমুদুল হাসান, সাদমান ইসলাম ও জাকির হাসানদের ব্যর্থতায় সঙ্গী হওয়া মমিনুল রানের খাতাই খুলতে পারেননি। হাল ধরার ইঙ্গিত দিয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি অধিনায়ক নাজমুল হোসেন (৩৬)। ব্যর্থ অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমও। পরে নবম উইকেটে মাহিদুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদের ৩৭ রানের জুটিতে নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় হারের হাত থেকে রক্ষা পায় বাংলাদেশ। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন হাসান। দিনের একদম শেষ সময়ে নাহিদ রানা ডেভিড বেডিংহ্যামের হাতে ক্যাচ দিলে দুদিন আগেই শেষ হয় চট্টগ্রাম টেস্ট।</span></span></span></span></p> <p><strong><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংক্ষিপ্ত স্কোর</span></span></span></span></strong></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস : ৫৭৫/৬ ডিক্লেয়ার, ১৪৪.২ ওভার (ডি জর্জি ১৭৭, স্টাবস ১০৬, মুল্ডার ১০৫*: তাইজুল ৫/১৯৮, নাহিদ ১/৮৩)।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশ ১ম ইনিংস : ১৫৯/১০, ৪৫. ২ ওভার (মমিনুল ৮২, তাইজুল ৩০; রাবাদা ৫/৩৭, প্যাটারসন ২/৩১)।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশ ২য় ইনিংস : ১৪৩/১০, ৪৩.৪ ওভার (হাসান ৩৮*, নাজমুল ৩৬, মাহিদুল ২৯;  মহারাজ ৫/৫৯, মুথুসামি ৪/৪৫-৪)।</span></span></span></span></p>
