মোহামেডানের সংগ্রহটা যে খুব বেশি ছিল, তা নয়। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৫৩ রানে থামে তামিম ইকবালের দলের ইনিংস। কিন্তু মোহামেডানের মতো আরেক তারকাসমৃদ্ধ দল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ তা তাড়া করতে গিয়ে তালগোল পাকিয়েছে। সৌম্য সরকার-তানজিদ হাসান তামিমদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় দলটি অল আউট হয় মাত্র ১৫৯ রানে।
মোহামেডান ম্যাচ জেতে ৯৪ রানে। মোহামেডানের স্কোর বড় হয়নি তামিম-রনি তালুকদাররা ছোট ছোট ইনিংস বড় করতে না পারায়। টানা দুই সেঞ্চুরির পর এদিন তামিম আউট হন ২৮ রান করে। আরেক ওপেনার রনির ব্যাট থেকে আসে ৩৬ রান।
তবে স্কোর শেষ পর্যন্ত আড়াই শ ছাড়িয়ে যায় তাওহিদের ৬৬ এবং শেষ দিকে মেহেদী হাসান মিরাজের ২৫ রানের ইনিংসে। রূপগঞ্জের হয়ে বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম চার উইকেট নেন। লক্ষ্য তাড়ায় তাসকিন আহমেদ ও মিরাজের দারুণ বোলিংয়ে সুবিধা করতে পারেনি রূপগঞ্জ। মিরাজ চারটি এবং তাসকিন তিনটি উইকেট নেন।
মোহামেডানের মতো জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে আবাহনী। ব্রাদার্স ইউনিয়নকে এদিন তারা হারিয়েছে ৮০ রানে। আগে ব্যাটিং করে ৮ উইকেটে ৩১০ রান করে আবাহনী। টপ অর্ডার রান না পেলেও দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেন মমিনুল হক (৯২) ও মোহাম্মদ মিঠুন (৭১)। পুরো ৫০ ওভার খেলেও ২৩০ রানের বেশি করতে পারেনি ব্রাদার্স।
আরেক ম্যাচে প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের জয় ৯৪ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
মোহামেডান-লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ : মোহামেডান ৫০ ওভারে ২৫৩/৯ (তাওহিদ ৬৬, মাহিদুল ৪২; শরিফুল ৪/৫৪, তানজিম ২/৭০)। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ৩৭.২ ওভারে ১৫৯ (শেখ মেহেদী ৪৩, জাকের ২৫; মিরাজ ৪/৩৮, তাসকিন ৩/৩৩)। ফল : মোহামেডান ৯৪ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা : মেহেদী হাসান মিরাজ।
আবাহনী-ব্রাদার্স ইউনিয়ন : আবাহনী ৫০ ওভারে ৩১০/৮ (মমিনুল ৯২, মিঠুন ৭১; আল-আমিন ২/৪১, সোহাগ ১/৫৩)। ব্রাদার্স ৫০ ওভারে ২৩০/৭ (মাইশুকুর ৮৪, মিজানুর ৪৫; মোসাদ্দেক ২/১২, মেহেরব ২/৩১)। ফল : আবাহনী ৮০ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা : মমিনুল হক।
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স-প্রাইম ব্যাংক : গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ৪৩.৪ ওভারে ১৮৩ (এনামুল ৪৮, আমিনুল ৩৫; আরাফাত ৩/২২, নাহিদুল ৩/৪৬)
প্রাইম ব্যাংক ২৩.২ ওভারে ৮৯ (রিশাদ ২১, নাঈম ১৫; আবু হাসিম ৩/১২, লিয়ন ২/৩৮, শেখ পারভেজ ২/১৭)। ফল : গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ৯৪ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা : আবু হাসিম।