ফুটবল ছাপিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গনেও এখন আলোচনায় হামজা চৌধুরী। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা এই তারকা ফুটবলারের আগমন বেশ রোমাঞ্চিত করছে ইমরুল কায়েসকেও। গতকাল বিকেএসপিতে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে হামজাসহ ডিপিএলে নিজ দল অগ্রণী ব্যাংকের সাফল্য নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
প্রশ্ন : ছয় ম্যাচে পাঁচ জয়।
এবার ডিপিএলে আপনার দলের পরিকল্পনা কী?
ইমরুল কায়েস : আমরা সুপার লিগে খেলার চেষ্টা করছি। যে ধারাবাহিকতায় আমরা খেলছি, যেভাবে যাচ্ছি, চেষ্টা করব এভাবে খেলে যাওয়ার।
প্রশ্ন : আপনার প্রতিপক্ষ দলে একজন সব্যসাচী বোলার ছিলেন, রায়ান রাফসান। তাঁকে কেমন দেখলেন?
ইমরুল : আমি তাকে আগে সেভাবে চিনতাম না।
আজ দেখলাম দুহাতে বল করতে পারে। এটা খুবই ভালো। ব্যাটিংয়ে সে আজ সেঞ্চুরিও করেছে। সে ভালো সম্পদ হবে বাংলাদেশের জন্য। আমরা তাকে যদি যত্ন নিতে পারি, খেলাতে পারি, তাহলে আমি মনে করি ভালো খেলোয়াড় হবে।
প্রশ্ন : ডিপিএলে বোলারদের মান কেমন দেখছেন?
ইমরুল : আমি মনে করি বাংলাদেশ ক্রিকেটের মূল খেলা এটাই (ডিপিএল)। এটা এমন একটা টুর্নামেন্ট, যেখানে খেলোয়াড়রা চাপে থাকে, অফিশিয়ালরা চাপে থাকেন। এখানে বাদ পড়ার ঝুঁকি আছে। অন্য কোনো টুর্নামেন্টে সেটা নেই।
সে হিসাবে চিন্তা করলে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ভালো খেলা হয়। এখানে মানসম্পন্ন অফ স্পিনার আছে, বাঁহাতি স্পিনার আছে, পেসার আছে।
প্রশ্ন : বিপিএলে ভালো উইকেটের প্রশংসা হয়েছে, ডিপিএলের উইকেট কেমন দেখছেন?
ইমরুল : শুরুর দিকে উইকেট ভালো ছিল। এখনো কিছু কিছু উইকেট ভালো আছে। তবে এই মাঠে (বিকেএসপি ৪) এর আগে আমরা ধানমণ্ডি ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে যে ম্যাচটি খেলেছিলাম, সেই উইকেট ভালো ছিল না।
প্রশ্ন : লাল বলের ক্রিকেট থেকে আপনি অবসর নিয়েছেন। সাদা বলের ক্রিকেটে এখন কতটা উপভোগ করছেন?
ইমরুল : ওয়ানডে ক্রিকেট আমি সব সময় উপভোগ করি। ভালো লাগে ওয়ানডে খেলতে। আর যে কয়েক বছর ক্রিকেট খেলব, এই সংস্করণটা উপভোগ করার চেষ্টা করব।
প্রশ্ন : ক্রিকেটের বাইরের একটি প্রশ্ন। হামজা চৌধুরী বাংলাদেশে এসেছেন। তাঁকে নিয়ে আপনার ভাবনা কী, প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবেন বলে মনে করেন?
ইমরুল : হামজা চৌধুরীকে স্বাগত। তিনি এখানে এসেছেন, এটা বাংলাদেশ ফুটবলের জন্য অনেক বড় পাওয়া। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের একটা ফুটবলার বাংলাদেশে এসেছেন, এটা বিশাল প্রাপ্তি। আমি বিশ্বাসী যে উনি পারফরম্যান্সটা ধরে রাখবেন। বাংলাদেশ ফুটবলকে অনেক কিছু দেবেন।