টি-টোয়েন্টি মানেই স্বল্প সময়, বেশি উল্লাস। তার ওপর যদি হয় ঘরোয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ, তাহলে তো কথাই নেই। আঞ্চলিক টান কিংবা প্রিয় ক্রিকেটারের প্রতি ভালোবাসা—নানা কারণেই মানুষ বিপিএল নিয়ে আগ্রহী। বিভিন্ন কারণে এবারের আসরটি বিশেষ।
মন কেড়ে নিয়েছে এক ভিনদেশি ললনা
- বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের [বিপিএল] এগারোতম আসর প্রায় শেষের পথে। মাঠের খেলা তো উত্তেজনা ছড়াচ্ছেই, দর্শকমনে বাড়তি উন্মাদনা যোগ করছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক কানাডিয়ান ললনা—ইয়েশা সাগর। লিখেছেন কামরুল ইসলাম

ইয়েশা সাগরের সংক্ষিপ্ত পরিচয়, তিনি কানাডিয়ান মডেল। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবেও তাঁর বেশ প্রভাব। ইয়েশার জন্ম ও বেড়ে ওঠা ভারতের পাঞ্জাবে। ২৯ বছর বয়সী এই ললনার জন্ম ১৯৯৫ সালে। পাঞ্জাবেই সম্পন্ন করেন স্নাতক। ২০১৫ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি জমান কানাডায়। সেখানেই জড়িয়ে পড়েন মডেলিংয়ে। ডাক আসে গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি কানাডা লিগে। সেখানে সঞ্চালনা করেই পান পরিচিতি। লিজেন্ডস লিগসহ বেশ কয়েকটি ক্রিকেটীয় আয়োজনে যুক্ত হয়েছেন।
মাঠে থাকলে ইয়েশাকে বারবার খুঁজে নেয় ক্যামেরার লেন্স। তাঁর হাসিতে যেন হেসে ওঠে টিভিপর্দাও
মডেল-অভিনেত্রীর ভূমিকায়ও বেশ জনপ্রিয় ইয়েশা। ভারতের পাঞ্জাবি ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর দারুণ জনপ্রিয়তা। পাঞ্জাবি, হিন্দি মিলিয়ে ৩০টির বেশি মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে সন্দীপ গিলের ‘হাই প্রোফাইল’, গুর সিধু ও গুরলেজ আখতারের ‘কাফলা’, এনভি সিংয়ের ‘এনিথিং ফর ইউ’, টিম্মি ভি ও গুরলেজ আখতারের ‘ফিক্কা প্রপোজ’, সন্দীপ রুপওয়ালিয়া ও সোভির ‘ডিজায়ার’, সিমু ঢিলনের ‘কুড়ি কুয়ারি’, টনি কাক্কারের ‘আফগানি আফিম হ্যায়’ ইত্যাদি।
এ সপ্তাহেই এসেছে মিউজিক ভিডিও ‘গিল্ট’। যেখানে জনপ্রিয় কমেডিয়ান কপিল শর্মার সঙ্গে হাজির হয়েছেন ইয়েশা। গানটি গেয়েছেনও কপিল।
এর বাইরে ইয়েশা করেছেন একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য ‘তেরে বিনা ম্যায়’ [২০২৪] ও একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি ‘ইয়ারা দা রুতবা’ [২০২৩]। অভিনয়ের প্রতি ইয়েশার ভালোবাসা রয়েছে। এমনকি বাংলাদেশের ছবিতেও অভিনয়ের আগ্রহ দেখিয়েছেন। অবশ্য শর্তও আছে, যদি বাংলা ঠিকঠাক শিখতে পারেন! বাংলাদেশের দর্শকরা তাঁকে কী বলেন, এটা জানেন তিনিও। নিজেই বলেন, ‘সুন্দরী হোস্ট বলে সবাই।’ চট্টগ্রামের আঞ্চলিক বেশ কিছু শব্দও শোনা গেছে তাঁর মুখে। তবে এই মুহূর্তে ক্রিকেট দুনিয়ায় সঞ্চালনার কাজটি বেশ উপভোগ করছেন ইয়েশা। বাংলাদেশি ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের সঙ্গেও শিগগির তাঁর কাজ হবে, জানিয়েছেন ইয়েশা। বিপিএলের পর আইপিএলেও দেখা যাবে তাঁকে।
ফিটনেস সচেতন মানুষ ইয়েশা। তাঁর জিমের ছবি, ভিডিওর বাড়তি কদর রয়েছে অনুসারীদের মধ্যে। ইনস্টাগ্রামে জনপ্রিয়তার সুবাদে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের হয়েও কাজের সুযোগ পেয়েছেন।
সম্পর্কিত খবর

তাঁদের ভালো লাগা ঈদ নাটক
- টেলিভিশন ও ইউটিউব চ্যানেল মিলিয়ে এরই মধ্যে প্রচারিত হয়েছে কয়েক শ ঈদের নাটক-টেলিছবি। কেমন হয়েছে সেগুলো? এ সময়ের পরিচালক ও অভিনয়শিল্পীরা বলেছেন তাঁদের ভালো লাগা তিনটি নাটকের কথা—দুটি সহকর্মীর, আরেকটি নিজের। শুনেছেন হৃদয় সাহা

সংখ্যাতত্ত্ব
ভালো লেগেছে এমন দুটি নাটকের নাম বলেছেন সাতজন। এর মধ্যে চারবার এসেছে দুটি নাটকের কথা—মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের ‘তোমাদের গল্প’ এবং হাসিব হোসাইন রাখির ‘মন দিওয়ানা’। মজার বিষয় হলো, ইউটিউব ভিউয়ের দিক থেকেও এগিয়ে এ দুটি নাটক। সাধারণত এমনটা হয় না।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছে জাকারিয়া সৌখিনের ‘মেঘবালিকা’, আশিকুর রহমানের ‘মানুষ কী বলবে?’ এবং প্রবীর রায় চৌধুরীর ‘বেস্ট ফ্রেন্ড ২.০’। দুটি করে ভোট পেয়েছে নাটক তিনটি।
একটি করে ভোট পেয়েছে ‘হোসেনের গল্প’, ‘স্বপ্নের শেষ ঠিকানা’, ‘খালিদ’, ‘কাছে আসার মানুষ’, ‘বাজি’, ‘একান্নবর্তী’ ও ‘কানামাছি’।
পারিবারিক অনুষ্ঠানের কারণে নাটক কম দেখা হয়েছে এবার।
নিজের অভিনীত নাটকগুলো নিয়ে খুব সাড়া পাচ্ছি, এর মধ্যে ‘তোমাদের গল্প’ নিয়েই বেশি আলোচনা হচ্ছে। নিজেও এ কাজটা করে তৃপ্ত ছিলাম।
এবার বেশ কিছু নাটক দেখা হয়েছে। সবচেয়ে ভালো লেগেছে ‘মন দিওয়ানা’। রাখি ভাই সিনেমাটিকভাবে নাটকটি বানিয়েছেন। যার জন্য বড় ক্যানভাসের মনে হয়েছে, তিনি সফলও। তৌসিফ ভাইয়া নিজেকে শতভাগ উজাড় করে দিয়েছেন।
দ্বিতীয় পছন্দের নাটক ‘তোমাদের গল্প’। ঈদে এমন পারিবারিক গল্প খুব টানে, গল্পের বিষয়বস্তুও ঈদ। তারকাবহুল এ নাটকে আলাদা করে বলব তটিনীর অভিনয়ের কথা, খুবই ভালো করেছে সে।
এখন পর্যন্ত আমার সাত-আটটি নাটক প্রচারে এসেছে। এর মধ্যে ‘কাছে আসার মানুষ’-এ অভিনয় করে বেশি ভালো লেগেছে। রাফাত মজুমদার রিংকু ভাইয়ের নাটকটির শুটিং হয়েছে শ্রীমঙ্গলে। একটা ট্যুরের আমেজ ছিল, আনন্দ নিয়ে কাজ করেছি। গল্পটাও ভীষণ ভালো।
মোস্তফা কামাল রাজ ভাইয়ের ‘তোমাদের গল্প’ ভালো লেগেছে। পারিবারিক বন্ধনের যে ব্যাপারটা দেখানো হয়েছে এটা বেশ পছন্দ হয়েছে আমার। গল্পটাও সুন্দর। জোভান, তটিনীসহ সবাই খুব ভালো অভিনয় করেছেন। বিশেষ করে বলব মনিরা মিঠু আপার কথা, তাঁর অভিনয় বেশি ভালো লেগেছে। জিয়াউল হক পলাশের ‘খালিদ’ আলোচনায় থাকলেও ব্যক্তিগতভাবে আমার বেশি ভালো লেগেছে ‘হোসেনের গল্প’। ইশতিয়াক আহমেদ রুমেল ভাই পরিচিত গল্পেই সুন্দর চিত্রনাট্য সাজিয়েছেন। পলাশ ও পাভেল দুজনই অনবদ্য অভিনয় করেছেন।
এই ঈদে আমার ছয়টি নাটক এসেছে। একজন পরিচালকের কাছে তার সব নির্মাণই সমান। তবু বলব ‘স্বপ্নের শেষ ঠিকানা’র কথা। নাটকে জোভান ও তানজিন তিশা চাকরিজীবী দম্পতি। তাদের সন্তান না হওয়ার জটিলতা নিয়ে গল্প। প্রচারের পর থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছি।
প্রথমেই বলব ‘মানুষ কী বলবে?’-র কথা। আশিকুর রহমান ভাইয়ের এ নাটকের প্রাথমিক পাণ্ডুলিপি পড়ার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। তখনই এ নাটক নিয়ে আগ্রহী হয়েছিলাম। প্রচারের পর দেখে মনে হয়েছে, বৃথা আশা করিনি। গল্পটা সব সময়ের জন্য সত্য। সমাজের ক্ষতি না করে যদি উপার্জন করা যায়, সেটা যেভাবেই হোক তাতে কোনো দ্বিধা থাকা উচিত নয়। তারিক আনাম খান, কেয়া পায়েল, খায়রুল বাসার—সবাই খুব ভালো করেছেন।
দ্বিতীয় পছন্দের নাটক জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ভাই ও নাজনীন নীহা অভিনীত ‘মেঘবালিকা’। দুজনই খুব ভালো করেছেন। জাকারিয়া সৌখিন ভাই সহজ-সুন্দর চিত্রনাট্যে মন জিতে নিয়েছেন।
আমার অভিনীত নাটকগুলোর মধ্য থেকে বলব হাসিব হোসাইন রাখির ‘মন দিওয়ানা’র কথা। তার কারণ এই নাটকের নেপথ্যে আমিও জড়িত ছিলাম। প্রডাকশন ডিজাইন থেকে গল্প ও চিত্রনাট্য—সবখানেই অনেক সময় নিয়ে কাজ করা হয়েছে। দর্শকও দারুণভাবে গ্রহণ করেছে।
পারিবারিক গল্প আমাকে খুব টানে, মুস্তফা কামাল রাজ ভাইয়ার ‘তোমাদের গল্প’ও পারিবারিক গল্পের। ঈদের প্রথম কাজ হিসেবে এটাই দেখেছিলাম। এখানে অনেক গুণী শিল্পী অভিনয় করেছেন। বিশেষ করে তটিনীর অভিনয় খুব ভালো লেগেছে। তার চঞ্চলতা আমাকে আকৃষ্ট করেছে। দ্বিতীয়টি আমার বন্ধু হাসিব হোসাইন রাখির ‘মন দিওয়ানা’। নাটকটির নির্মাণ আমাকে মুগ্ধ করেছে। তৌসিফ মাহবুবকেও একটু আলাদাভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
আমার চারটি নাটক এসেছে ঈদে। আমি বলব ‘একান্নবর্তী’র কথা। নাটকটা আমার জন্য চ্যালেঞ্জের ছিল। নিলয় আলমগীর, হিমি তো আছেনই; দিলারা জামান, তারিক আনাম খান, মনিরা মিঠু, সাবেরী আলম, চিত্রলেখা গুহর মতো গুণী শিল্পীকে নির্দেশনা দেওয়াটা খুবই কঠিন কাজ। উনারা আমাকে খুবই সহযোগিতা করেছেন।
প্রবীর রায় চৌধুরী দাদার নাটক আমার বরাবরই পছন্দের। তাঁর ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ সিরিজটা খুব জনপ্রিয়। যখনই শুনেছি নতুন গল্পে এটা আবার পর্দায় আসবে, তখন থেকেই মুখিয়ে ছিলাম। তা ছাড়া আমি মেহজাবীন আপুর গুণমুগ্ধ ভক্ত, জোভান ভাইয়াও খুব ভালো করেছেন।
তৌসিফ মাহবুব ভাইয়া ও তটিনী আপু অভিনীত ‘মন দিওয়ানা’ নাটকটাও ভালো লেগেছে। হাসিব হোসাইন রাখি ভাইয়ের এ নাটকের গল্প, নির্মাণ, অভিনয় আমাকে আকৃষ্ট করেছে।
আমার অভিনীত নাটকের মধ্যে ‘মেঘবালিকা’ নিয়ে বেশি সাড়া পেয়েছি। নাটকের চরিত্রটা আমার খুব প্রিয়, বাস্তবেও আমি এমনই। আমাকে এমন চরিত্র দেওয়ার জন্য জাকারিয়া সৌখিন ভাইকে ধন্যবাদ। আর অপূর্ব ভাই বরাবরই একজন ভালো সহশিল্পী।
‘মানুষ কী বলবে?’ ভালো লেগেছে সমসাময়িক প্লটের জন্য। এ যুগে অনেক মানুষই প্রচলিত ধ্যান-ধারণা ভেঙে জীবিকা নির্বাহ করছে, কোনোটাকেই হেয় করে দেখার কিছু নেই। আশিকুর রহমান ভাই একটি বাস্তবসম্মত গল্প বেছে নিয়েছেন।
দ্বিতীয় পছন্দের নাটক তৌফিকুল ইসলামের ‘বাজি’। মুশফিক আর ফারহানের বাজি ধরার নেশা তাকে ভীষণ সাহসী করে তোলে, ব্যতিক্রমী গল্পের জন্যই ভালো লেগেছে নাটকটা।
নিজের বানানো নাটকের মধ্যে ‘কানামাছি’ ও ‘দহন’ আমার পছন্দের। একটা বেছে নিতে হলে বলব ‘কানামাছি’র কথা। সাধারণত যে ধরনের নাটক বানিয়ে থাকি, তার চেয়ে এটা বেশ আলাদা। মুশফিক ফারহান-সাফা কবির দুজনই আমার ওপর আস্থা রেখেছিলেন।
হাসিব হোসাইন রাখির ‘মন দিওয়ানা’য় তৌসিফ মাহবুব ও তানজিম সাইয়ারা তটিনী
তৌফিকুল ইসলামের ‘বাজি’তে মুশফিক ফারহান ও কেয়া পায়েল
জাকারিয়া সৌখিনের ‘মেঘবালিকা’য় অপূর্ব ও নীহা
গতকাল পর্যন্ত ভিউয়ে এগিয়ে যে ১০ নাটক
তোমাদের গল্প [৯ দিনে ভিউ ৯৬ লাখ ৭ হাজার]
অভিনয়ে—জোভান, তটিনী, দিলারা জামান
পরিচালক—মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ
মন দিওয়ানা [৭ দিনে ৭৮ লাখ ৬২ হাজার]
অভিনয়ে—তৌসিফ মাহবুব, তানজিম তটিনী
পরিচালক— হাসিব হোসাইন রাখি
যত গুড় তত মিষ্টি [১০ দিনে ৬২ লাখ]
অভিনয়ে—নিলয় আলমগীর, জান্নাতুল হিমি
পরিচালক—মিতুল খান
মেঘবালিকা [৪ দিনে ৬০ লাখ ২১ হাজার]
অভিনয়ে—জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, নাজনীন নীহা
পরিচালক—জাকারিয়া সৌখিন
হৃদয়ের এক কোণে [৪ দিনে ৫৫ লাখ]
অভিনয়ে—জোভান, তটিনী
পরিচালক—মহিদুল মহিম
প্রেম ভাই [৯ দিনে ভিউ ৪৯ লাখ ৩৬ হাজার]
অভিনয়ে—তৌসিফ, তটিনী, শামীমা নাজনীন
পরিচালক—ইমরাউল রাফাত
একান্নবর্তী [৪ দিনে ৪৮ লাখ ৪৫ হাজার]
অভিনয়ে—নিলয়, হিমি, দিলারা জামান
পরিচালক—মহিন খান
বাজি [৫ দিনে ৪৪ লাখ]
অভিনয়ে—মুশফিক ফারহান, কেয়া পায়েল
পরিচালক—তৌফিকুল ইসলাম
শেষটা তুমি [৮ দিনে ৩৯ লাখ ৯০ হাজার]
অভিনয়ে—মুশফিক ফারহান, স্পর্শিয়া, মীর রাব্বি
পরিচালক—মাহমুদ মাহিন
তোমার মায়ায় [১২ দিনে ৩৭ লাখ ৬১ হাজার]
অভিনয়ে—মুশফিক ফারহান, আইশা খান
পরিচালক—রুবেল আনুস
প্রবীর রায় চৌধুরীর ‘বেস্ট ফ্রেন্ড ২.০’তে ফারহান আহমেদ জোভান ও মেহজাবীন চৌধুরী

স্টার অব দ্য উইক
- শাকিব খান

সিনেমা হলে দুর্বার গতিতে চলছে ঈদের ছবি ‘বরবাদ’। এমন সুসময়েও নীরব শাকিব খান। ছবির প্রচারণা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপডেট দেওয়া—কোনো কিছুতেই নেই খান সাহেব। তবু সর্বত্র আলোচনা তাঁকে ঘিরেই।

শুভ জন্মদিন

এ সপ্তাহে যাঁদের জন্মদিন
[২০—২৬ মার্চ]
জয়শ্রী কর জয়া [২০ মার্চ]
সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড [২১ মার্চ]
প্রদীপ সাহা [২২ মার্চ]
বিপাশা হায়াত [২৩ মার্চ]
আসিফ আকবর, ফারুক আহমেদ, আনুশেহ আনাদিল [২৫ মার্চ]
ফেরদৌস ওয়াহিদ, মিলা ইসলাম, মৌটুশী বিশ্বাস, ফারাহ রুমা, তানহা তাসনিয়া [২৬ মার্চ]
।

যে ৩ কারণে দেখবেন ঈদের ৫ ছবি
- পবিত্র ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাবে পাঁচটি ছবি—‘বরবাদ’, ‘দাগি’, ‘জংলি’, ‘জ্বিন ৩’ ও ‘চক্কর ৩০২’। এই পাঁচ ছবিতে কী আছে? কোনটি রেখে কোনটি এবং কেন দেখবে দর্শক? ছবির পরিচালকরা বলেছেন তিনটি কারণ, শুনেছেন হৃদয় সাহা

বরবাদ [মেহেদী হাসান হৃদয়]
অভিনয়ে—শাকিব খান, ইধিকা পাল, যিশু সেনগুপ্ত, শহীদুজ্জামান সেলিম, ইন্তেখাব দিনার।
১. প্রধান কারণ মেগাস্টার শাকিব খান। ঈদে শাকিব খানের ছবি মানেই পয়সা উসুল। আছেন ইধিকা পাল, তিনি এখন বেশ জনপ্রিয়।
২. অনেকে বলেন, মেগাস্টার বা সুপারস্টার থাকলে পরিচালককে নির্মাণে অনেক ছাড় দিতে হয়। আমি তা করিনি। গল্প, নির্মাণ থেকে কারিগরি দিক—সবখানেই সর্বোচ্চ মানদণ্ড রাখার চেষ্টা করেছি। এটা দর্শককে আকৃষ্ট করবেই।
৩. ছবির গান গুরুত্বপূর্ণ। ভিন্ন স্বাদের গান আছে ছবিতে। আমরা প্রীতম হাসানের গান যেমন রেখেছি, তেমনি আসিফ আকবর ভাইকেও।
দাগি [শিহাব শাহীন]
অভিনয়ে—আফরান নিশো, তমা মির্জা, সুনেরাহ বিনতে কামাল।
১. প্রথম কারণ, এটা আফরান নিশো-শিহাব শাহীন জুটির ছবি।
২. পুরো পরিবার নিয়ে দেখার মতো ছবি। দেখতে অস্বস্তিবোধ হবে না কারোই। সুন্দর গান, দুর্দান্ত গল্প, চৌকষ নির্মাণের অভিজ্ঞতা নিতে চাইলে ‘দাগি’ দেখতে হবে।
৩. সময়ের আধুনিক ছবি। আধুনিক দর্শকের কাছে এটি স্মার্ট ছবি মনে হবে।
জংলি [এম রাহিম]
অভিনয়ে—সিয়াম আহমেদ, শবনম বুবলী, প্রার্থনা ফারদিন দীঘি, দিলারা জামান, শহীদুজ্জামান সেলিম।
১. ঈদের ছবি মানে পরিবারের সবাই মিলে আনন্দ করতে করতে সিনেমা হলে যাওয়া। এটা মাথায় রেখেই ‘জংলি’র নির্মাণ। পরিবারের শিশু থেকে প্রবীণ সবাই নিশ্চিন্তে ছবিটি দেখতে পারবেন।
২. সিনেমা গল্প খুবই স্ট্রং। এ ছবিতে যেমন আবেগের দৃশ্য আছে, তেমনি আছে হাস্যরস ও মারপিঠ। সময় যত এগোবে দর্শক গল্পে আরো বেশি একাত্ম হবেন।
৩. সিয়াম আহমেদ। তাঁর ভক্তদের জন্য বিশেষ উপহার এই ছবি। নতুন এক সিয়ামকে দেখতে পাবেন দর্শক। বুবলীও ভীষণ ভালো করেছে। আর ছোট্ট মেয়েটা কেমন করেছে, সেটা দর্শক হল থেকে বেরিয়েই বলবে।
জ্বীন ৩ [কামরুজ্জামান রোমান]
অভিনয়—আব্দুন নূর সজল, নুসরাত ফারিয়া, তানিয়া আহমেদ প্রমুখ।
১. ‘জ্বীন’ ফ্র্যাঞ্জাইজির ছবি। আগের দুই কিস্তির মতো এটিও পছন্দ করবে সবাই। হরর ছবির দর্শক আমাদের দেশে নেহাত কম নয়।
২. হরর ছবিতে বাজেট বড় একটা বিষয়। জাজ মাল্টিমিডিয়া এক্ষেত্রে উদারতা দেখিয়েছে। আমিও চেষ্টা করেছি বাজেটের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে। ‘কন্যা’ গানটি দেখলেও এর প্রমাণ পাবেন।
৩. সজল ও ফারিয়াকে নতুন অবতারে পাবে দর্শক। গল্পে তাদের আসল পরিচিয় জানতে দর্শককে শেষ পর্যন্ত দেখতে হবে।
চক্কর ৩০২ [শরাফ আহমেদ জীবন]
অভিনয়—মোশাররফ করিম, শাশ্বত দত্ত, রিকিতা নন্দিনী শিমু, তারিন।
১. এটি সম্পূর্ণ বিনোদনমূলক ছবি। দর্শক হলে যায় বিনোদন দিতে, সেই বিশ্বাস থেকেই ছবিটি বানিয়েছি।
২. মোশাররফ করিম ভাইয়ের অভিনয় ও জনপ্রিয়তা নিয়ে বলার কিছু নাই। ছোট পর্দায় তাঁকে ছাড়া ঈদ যেন পানসে, প্রথমবারের মতো ঈদে বড় পর্দায় আসছেন তিনি। আমাদের পরিচালক-শিল্পী জুটির কিছু কাজ জনপ্রিয় হয়েছে টিভিতে, দর্শকের আস্থা আছে আমাদের ওপর।
৩. এটি একটি সরকারি অনুদানের ছবি। গল্প, পাণ্ডুলিপি ভালো মানের হলেই জুরি বোর্ড অনুদানের জন্য প্রস্তাবনা করেন। ‘চক্কর ৩০২’তে একটা ভালো গল্প আছে। গানগুলো ভালো লাগবে সবার।
‘জংলি’তে প্রার্থনা ফারদিন দীঘি ও সিয়াম আহমেদ