ঢাকা, বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫
২৬ চৈত্র ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫
২৬ চৈত্র ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৬

খোকার ড্রোন

  • রকিবুল ইসলাম
শেয়ার
খোকার ড্রোন
অলংকরণ তানভীর মালেক

আগের দিনে দূর আকাশে উড়ত রঙের ঘুড়ি

উড়িয়ে ঘুড়ি ছোট্ট খোকা তাই বাজাত তুড়ি।

মেঘের সঙ্গে পাল্লা দিত জোরসে বাতাস পেয়ে

তাই না দেখে দলের খোকা উঠত নেচে-গেয়ে!

 

থাকত হাতে সুতার নাটাই শক্ত করে ধরা

লেজ দুলিয়ে রঙের ঘুড়ি করত নড়াচড়া।

মানজা মারা সুতায় ছিল করাতসম ধারও

প্যাঁচকি লেগে রঙের ঘুড়ি হারিয়ে যেত কারো।

 

এখন মাঠে খোকার হাতে আর দেখি না নাটাই

এই ডিজিটাল বাংলাদেশে সব হয়েছে ছাঁটাই।

ঘুড়ির জাগায় ড্রোন এসেছে ছুটছে আকাশপানে

সুতা ছাড়াই সে ড্রোন খোকা ইচ্ছামতো টানে।

 

ইচ্ছামতো টানে খোকা ইচ্ছামতো ছাড়ে... 

ড্রোনটা খোকার ইচ্ছামতোই উড়ছে বারেবারে।

খোকার হাতে মেশিন রিমোট নাটাই সুতা ছাড়া

মনের সুখে খোকার সে ড্রোন উড়ছে বিশ্বপাড়া।

 

 

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ঈদের দিনে

    সামিন ইয়াছার মাহি
শেয়ার
ঈদের দিনে

করে অনুভব ঈদ দিনে সব

ভেদাভেদ ভুলে যায়,

ঈদের সকালে মজার বিকেলে

সেমাই সবাই খায়।

 

খেয়েদেয়ে নিয়ে জামা গায় দিয়ে

সুখ পায় খুঁজে সবে,

নয়া সাজ ধরে সব ঘরে-ঘরে

ঈদখুশি যেন রবে।

 

এ খুশির ঈদে থাকে যারা নিদে

ভাঙে তাদের নিদ,

মনজুড়ে চারপাশে ঘুরে

কাটে সেবারের ঈদ।

 

এই ঈদে তাই মনজুড়ে ভাই

সবে ঘোরাঘুরি করি,

তারও সঙ্গে দিন আর রাতে

রবকে আমরা ডরি।

 

একাদশ শ্রেণি

শহীদ বুদ্ধিজীবী সরকারি কলেজ, রাজশাহী

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

প্রাণের পতাকাখানি

    উৎপলকান্তি বড়ুয়া
শেয়ার
প্রাণের পতাকাখানি
অলংকরণ : তানভীর মালেক

স্বাধীনতা এসেছে একতারা হাতে

বাউলের সুরে গানে,

ভোরে ফোটা জুঁই মল্লিকা জবা

গোলাপের কানে কানে।

 

স্বাধীনতা এসেছে চাষাদের বুকে

আশার মেলেছে ডানা,

পাহাড়ের বুক চিরে লেখা হয়

ঝরনারই ঠিকানা।

 

দুরন্ত খোকার হাতে সুতো নাটাই

লাল সাদা নীল ঘুড়ি,

স্বাধীনতা এসেছে আকাশে অবাধ

পাখিদের ওড়াউড়ি।

 

স্বাধীনতা এসেছে ঢেউ স্রোতোধারা

নদী সাগরের জলে,

বুক টান টান ভয়হীন বুকে

সাহসের কথা বলে।

 

স্বাধীনতা এসেছে শত সংগ্রামের

পেরিয়ে সে পথখানি,

পত পত ওড়ে লাল সবুজের

প্রাণের পতাকাখানি।

মন্তব্য

তোমাদের আকা

শেয়ার
তোমাদের আকা

ওয়াসিফ আব্দুল্লাহ, চতুর্থ শ্রেণি, হীড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, ঢাকা


https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2025/04.April/07-04-2025/2/kalerkantho-tt-4a.jpg

মো. জারিফ আয়াত অনম, পঞ্চম শ্রেণি, সবুজ কুঁড়ি কিন্ডারগার্টেন, পাবনা


https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2025/04.April/07-04-2025/2/kalerkantho-tt-4a.jpg

ওয়াসফিয়াহ রহমান যুনায়রা, তৃতীয় শ্রেণি, উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঢাকা

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য
[ এলো কেমন করে ]

কাগজের স্ট্র

নাবীল অনুসূর্য
নাবীল অনুসূর্য
শেয়ার
কাগজের স্ট্র

আঠারো শতকের আশির দশকের কথা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তখন রাইয়ের খড়ি কেটে স্ট্র হিসেবে কাজ চালানো হতো। জিনিসটি মার্ভিন স্টোনের একদমই পছন্দ ছিল না। এটি সহজেই ভেঙে যেত।

এর ওপর তলার গুঁড়া মিশে যেত পানীয়ের সঙ্গে। একদিন স্টোনের এমন রাগ হলো, কাগজ দিয়ে বানিয়ে ফেললেন স্ট্র। পেনসিলের ওপর কয়েক প্যাঁচ কাগজ মুড়ে আঠা দিয়ে জুড়ে দিলেন। এরপর পেনসিলটি বের করে নিতেই হয়ে গেল কাগজের স্ট্র।

কিন্তু সেই স্ট্ররও একটি বড় সমস্যা ছিল। একদিন সেটি খেয়াল করলেন জোসেফ ফ্রাইডম্যান। সেটি বছর পঞ্চাশেক পরের কথা। মানে উনিশ শতকের ত্রিশের দশক।

সান ফ্রান্সিসকোতে তিনি রিয়েলটরের কাজ করতেন। কিন্তু নিত্যনতুন উদ্ভাবনেও সমান মাথা চলত। একই শহরে তাঁর ছোট ভাই আলবার্টের একটি পানীয়ের দোকান ছিল। নাম ভার্সিটি সুইট শপ। একদিন সেখানে গেছেন জোসেফ।
সঙ্গে তাঁর ছোট্ট মেয়ে জুডিথ। গিয়েই চাচার কাছ থেকে মিল্কশেক বাগিয়ে নিল। কিন্তু খেতে ভালোই কসরত করতে হচ্ছিল ওকে।

জোসেফ খেয়াল করলেন, স্ট্রর মাথাটি বাঁকাতে পারলেই গোল মিটে যায় জুডিথের। মাথা খাটিয়ে সেই বুদ্ধিও বের করে ফেললেন। প্রথমে স্ট্রর ভেতরে একটি স্ক্রু ঢোকালেন। সেটির ওপর ডেন্টাল ফ্লস পেঁচিয়ে অংশটিকে ঢেউ খেলানো বানালেন। তারপর স্ক্রু বের করে নিতেই জায়গাটি যেমন খুশি বাঁকানোর উপযোগী হয়ে গেল। হয়ে গেল মাথা বাঁকানো স্ট্র।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ