রাত্রিবেলা সেনমহলে
হাঁটে নাকি ভূত
জরির জামা গায়ে যেন
ঝলমলে বিদ্যুৎ!
বসন-ভূষণ নিয়ে তাহার
ভীষণই খুঁতখুঁত
নানা রকম টালবাহানা
নানা রকম ছুঁত।
ক্ষণে ক্ষণে একই কথা
ভাল্লাগে না ধুত!
আগের জন্মে ছিল নাকি
জমিদারের পুত।
।
রাত্রিবেলা সেনমহলে
হাঁটে নাকি ভূত
জরির জামা গায়ে যেন
ঝলমলে বিদ্যুৎ!
বসন-ভূষণ নিয়ে তাহার
ভীষণই খুঁতখুঁত
নানা রকম টালবাহানা
নানা রকম ছুঁত।
ক্ষণে ক্ষণে একই কথা
ভাল্লাগে না ধুত!
আগের জন্মে ছিল নাকি
জমিদারের পুত।
।
সম্পর্কিত খবর
ভিনদেশিরা লুটের আশায় এলো আমার দেশে,
লুটতরাজ আর খুনের নেশায় মাতল দানোর বেশে।
সবুজ শ্যামল গ্রাম জনপদ রক্তে হলো লাল,
সেই লহুতে ভাসল দেশের হাওর নদী খাল।
অধিকারের ন্যায্য কথা আনলে কেউ মুখে
অমনি তারে সোজাসুজি করত গুলি বুকে।
ভরত নিয়ে অন্ধকারের বন্ধ কারাগারে;
এমনতর যন্ত্রণা কেউ সইতে কি আর পারে?
জাগল তখন দেশের মানুষ—জাগল মায়ের ছেলে,
মুক্তির নেশায় ঝাঁপিয়ে পড়ে রণের মশাল জ্বেলে।
মার খেয়ে সব পাক সেনারা মানল পরাজয়,
লাল সবুজের বিজয় নিশান উড়ল আকাশময়।
মুক্তিপাগল বীর বাঙালি আনন্দ উল্লাসে
স্বাধীনতার সাগরজলে দৃপ্ত সুখে ভাসে।
ইনতিসার হক, প্রথম শ্রেণি
চারুপাঠ হাতেখড়ি স্কুল, ঢাকা
রুদ্রদীপ পাল, প্রথম শ্রেণি
টংগিবাড়ি সানরাইজ কিন্ডারগার্টেন, মুন্সীগঞ্জ
শারমীনা ফাহমিদা বর্ণ, তৃতীয় শ্রেণি
প্রতিভা মডেল স্কুল, ময়মনসিংহ
।মোবাইলের জন্য বায়না ধরেছে খোকন সোনা। কিনে দেয়নি বলে গাল ফুলিয়ে আছে। তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বাবা বলছেন :
‘খোকন সোনা রাগ করে না
ফোলায় নাতো গাল,
মোবাইল ফোন কিনে দেব
ঠিক আগামীকাল।’
এই ছড়ার শেষ স্তবকে বাবা আবার বলছেন :
‘বুঝবে তুমি হলে বড়
আজ নয়তো কাল,
জ্ঞান ও চিন্তায় যে-এগিয়ে
সে-ইতো ডিজিটাল।
‘ডিজিটাল শৈশব’ নামের ছড়াটিতে লেখক আসলে সহজ কথায় জীবনের পাঠ দিয়েছেন। ‘নিধিরামের বিধি বাম’ শিরোনামের আরেকটি ছড়া এমন :
‘নিধিরামের বিধি বাম
অসুখ হলো সর্দি-হাম,
বদ্যি এলো ভোলারাম
রোগী দেখে জিজ্ঞেস করে
বল দেখি তোর বাপের নাম?’
এমন ৩৮টি মজার এবং শিক্ষণীয় ছড়া নিয়ে মিহির মুসাকীর বই ‘ভালোবাসি প্রিয় দেশ’। ছড়ায় তিনি পড়িয়েছেন সহজ ছন্দের মালা। কথায়-ছন্দে মাতৃভূমি, বাংলার প্রকৃতি, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের গল্প তুলে ধরেছেন।
অলকানন্দা রায়
১৮৩০-এর দশক থেকেই কোট-জ্যাকেটের মতো পোশাক, যেগুলো মূল পোশাকের ওপরে পরা হয়, সেগুলো খুলে ঝুলিয়ে রাখার চল চালু হয়। সে জন্য ঘাড়ের কাছে এক টুকরা কাপড় দিয়ে হুকের মতো বানানো শুরু হয়। মাঝে কাপড়ের বদলে চেইনের হুক ব্যবহারও হয়েছিল। সে জন্য অফিস-আদালত কলকারখানায় কোট ঝোলানোর হুক থাকত।
একদিন পার্কহাউস কারখানায় গিয়ে দেখেন, তাঁর কোট ঝোলানোর জন্য একটি হুকও খালি নেই। সেটি অবশ্য নতুন কিছু ছিল না। প্রায়ই টিম্বারলেকের কর্মীরা এ নিয়ে অভিযোগ করতেন।
কম্পানির মালিক জন টিম্বারলেক দেখলেন, জিনিসটি বেশ কাজের। কম্পানির নামে সেটির পেটেন্ট করিয়ে নিলেন। আবিষ্কারকের জায়গায় অবশ্য নিজের নাম বসিয়ে দিলেন। তখনকার দিনে সেটিই ছিল দস্তুর। ১৯০৭ সালে টিম্বারলেকের ছেলে হ্যাঙ্গারের আরো উন্নত একটি সংস্করণের পেটেন্ট করান। সেটির নাম দেন ‘শার্ট ড্রায়ার’।