ওজন-ডায়াবেটিস, দুটিই নিয়ন্ত্রণে রাখবে এই ফল

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ওজন-ডায়াবেটিস, দুটিই নিয়ন্ত্রণে রাখবে এই ফল
সংগৃহীত ছবি

ওজন কমাতে অনেকেই ব্যায়াম করে থাকেন। কেউ কেউ আবার নানা সাপ্লিমেন্ট খান। কিন্তু ওজন কমানোর সাপ্লিমেন্ট আদতে শরীরের ক্ষতি করে। এই ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে।

তার ওপর বেশি ওজনের জন্য যদি ডায়াবেটিস ধরা পড়ে তাহলে আরো সমস্যা।

তাই ডায়াবেটিস ও অত্যধিক ওজন দুটিই কমাতে পুষ্টিবিদরা নজর দিতে বলছেন শরীরচর্চা ও প্রতিদিনের খাবারদাবার।

এশিয়ান অস্ট্রেলিয়ান জার্নাল অব এনিম্যাল সায়েন্সে প্রকাশিত এক গবেষণায় জানা গেছে, বেশি ওজন ও ডায়াবেটিসের সমস্যা একসঙ্গে থাকলে প্রতিদিনের রুটিন পরিবর্তন ছাড়া উপায় নেই। বিশেষ করে খাওয়াদাওয়ায় নজর দিতেই হবে।

কিন্তু অনেকেই বুঝতে পারেন না কী খাবেন।

আরো পড়ুন
পুরনো ও গুরুত্বপূর্ণ মেইল সহজে খুঁজে বের করবে জিমেইল

পুরনো ও গুরুত্বপূর্ণ মেইল সহজে খুঁজে বের করবে জিমেইল

 

পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, এক ফলেই জব্দ হবে দুই রোগ। সেই ফল হচ্ছে পেয়ারা। এটি ওজন ও ডায়াবেটিস কমাতে পারে সিদ্ধহস্ত।

ওজন কমানোয় পেয়ারার ভূমিকা

পেয়ারায় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের পরিমাণ অনেক বেশি। এতে আছে ভিটামিন সি, এ এবং ওমেগা-৩। এ ছাড়া এই ফলে রয়েছে পলি-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড এবং ফাইবার। ডায়েটে পেয়ারা থাকলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়ে যাবে। তবে সব সময় যে পেয়ারায় কামড় বসাতে হবে তার কোনো মানে নেই।

পেয়ারা দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন বিশেষ পানীয়।

কিভাবে বানাবেন

প্রথমে পেয়ারা ছোট ছোট করে কেটে নিন। মিক্সিতে পেয়ারার টুকরো, এক টুকরো আদা, পুদিনা পাতা এবং পরিমাণমতো পানি দিয়ে গুলিয়ে নিন। মিশ্রণটি ছেঁকে রস বের করে নিন। এই পানীয় ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখবে।

আরো পড়ুন
গরমে পায়ের গোড়ালির ফাটা দূর করবে যে ৪ জিনিস

গরমে পায়ের গোড়ালির ফাটা দূর করবে যে ৪ জিনিস

 

সূত্র : এই সময়

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বকাঝকা না করেও বাচ্চাদের বোঝাবেন যেভাবে

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
বকাঝকা না করেও বাচ্চাদের বোঝাবেন যেভাবে
সংগৃহীত ছবি

শিশুদের শাসন করা প্রতিটি মা-বাবার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে তাদের তিরস্কার করে বা কঠোর শাস্তি দিয়ে শাসন করা উচিত। সঠিক উপায়ে শৃঙ্খলা শেখানোর মাধ্যমে শিশুরা কেবল দায়িত্বশীল হয় না, বরং তাদের আত্মবিশ্বাসও বৃদ্ধি পায়।

আপনি যদি ভালোবাসা, ধৈর্য সহকারে বাচ্চাদের সঠিক পথ দেখান, তাহলে তারা সব কিছু বুঝতে পারবে এবং মেনে চলবে।

আর সন্তানদের রাগ না দেখিয়ে শৃঙ্খলাবদ্ধ রাখতে চাইলে কিছু সহজ ও কার্যকর টিপস আপনাকে সাহায্য করতে পারে। আসুন, জেনে নিই এমন ১০টি সহজ টিপস।

আগে থেকেই নিয়ম বুঝিয়ে দিন

আপনি যদি চান যে শিশু কোনো ভুল না করুক, তাহলে তাকে আগে থেকেই স্পষ্ট করে বলুন কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল। বারবার তিরস্কার করার পরিবর্তে শুরু থেকেই বিষয়গুলো পরিষ্কার করে দেওয়া ভালো।

আরো পড়ুন
ঈদে সুস্থ থাকবেন যেভাবে

ঈদে সুস্থ থাকবেন যেভাবে

 

ভালো কাজের প্রশংসা করুন

যদি শিশু ভালো কিছু করে, তাহলে তার প্রশংসা করুন। উদাহরণস্বরূপ, যদি সে নিজেই তার খেলনা সংগ্রহ করে অথবা সময়মতো তার বাড়ির কাজ করে, তাহলে তাকে বাহবা দিন অথবা হালকা আলিঙ্গন করুন। এটি তাকে আরো ভালো করার জন্য অনুপ্রাণিত করবে।

কিছু পছন্দ করতে দিন

সন্তানের ওপর সব কিছু চাপিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে তাকে কিছু বিকল্প দেওয়া ভালো।

উদাহরণস্বরূপ, সে আগে খাবে নাকি কাজ সেরে খাবে ইত্যাদি। এটি তাকে নিজের সিদ্ধান্ত নিতে অভ্যস্ত হতে সাহায্য করবে।

ভুলের প্রভাব অনুভব করান

শাস্তি দেওয়ার পরিবর্তে, একটি বুদ্ধিমান পদ্ধতি অবলম্বন করুন - শিশুকে তার ভুলের প্রভাব অনুভব করান। উদাহরণস্বরূপ, যদি সে তার খেলনা সংগ্রহ না করে, তাহলে পরের দিন তাকে কম খেলনা দিয়ে খেলতে দিন। এতে সে বুঝতে পারবে যে যখন সে গোলমাল করবে তখন কী হবে।

আরো পড়ুন
গরমে আচমকা বাড়তে পারে ব্লাড সুগারের মাত্রা, যেভাবে সামলাবেন

গরমে আচমকা বাড়তে পারে ব্লাড সুগারের মাত্রা, যেভাবে সামলাবেন

 

যেমন আশা করেন তেমন আচরণ করুন

শিশুর কাছ থেকে যেমনটা আশা করা যায় তেমন আচরণ করুন। আপনি যদি চান যে শিশু রাগে চিৎকার না করুক, তাহলে নিজে তার ওপর চিৎকার করা এড়িয়ে চলুন। শিশুরা যা দেখে, তাই শেখে।

ভুল থেকে শিক্ষা নিতে দিন

প্রতিবার বাধা দেওয়ার চেয়ে শিশুকে চিন্তা করার সুযোগ দেওয়া ভালো। তাকে জিজ্ঞাসা করুন, ‘তুমি যদি এটা করো তাহলে কী হবে?’ এতে সে নিজে চিন্তা করবে এবং তার ভুল সংশোধন করবে।

মনোযোগ সহকারে কথা শুনুন

যদি শিশুটি রাগের বশে কিছু বলে, তাহলে তাকে চুপ করিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে প্রথমে তার কথা শোনা ভালো। যখন সে অনুভব করবে যে তার কথার গুরুত্ব আছে, তখন সে আপনার কথাও শুনবে।

আরো পড়ুন
গরমে ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে কী করবেন

গরমে ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে কী করবেন

 

প্রতিদিনের রুটিন ঠিক করুন

আপনার সন্তানের ঘুম, খেলাধুলা ও পড়াশোনার সময় ঠিক করুন। এইভাবে সে সবকিছুতে অভ্যস্ত হয়ে যাবে এবং তাকে বারবার বাধা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না।

মনোযোগ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিন

যদি শিশুটি কোনো ভুলের ওপর অটল থাকে তাহলে তাকে তিরস্কার করার পরিবর্তে তার মনোযোগ অন্য কোনো দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া ভালো।

ব্যাখ্যা করুন

শিশুকে শাসন করার সর্বোত্তম উপায় হলো শান্ত ও ধৈর্যশীল হওয়া। রাগের বশে চিৎকার করলে শিশুটিও একগুঁয়ে হয়ে উঠবে। যদি এই ছোট ছোট বিষয়গুলোর যত্ন নেওয়া হয় তাহলে খুব বেশি কঠোরতা ছাড়াই শিশুরা ভালোভাবে শৃঙ্খলা শিখতে পারবে এবং নিজেরাই দায়িত্বশীল হয়ে উঠতে পারবে।

আরো পড়ুন
মাথা ব্যথা মানেই কি মাইগ্রেনের সমস্যা?

মাথা ব্যথা মানেই কি মাইগ্রেনের সমস্যা?

 

সূত্র : আজতক বাংলা

মন্তব্য

ঈদে মেহেদি দেওয়ার প্রচলন কবে থেকে

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ঈদে মেহেদি দেওয়ার প্রচলন কবে থেকে
সংগৃহীত ছবি

ঈদে মেহেদির রঙে হাত সাজানো খুব জনপ্রিয় একটি রীতি। এ ছাড়া বিয়ে-জন্মদিনসহ নানা অনুষ্ঠানে মেহেদির রঙে হাত না রাঙানোটা উৎসবের মধ্যেই পড়ে। মেহেদি পাতা বেটে, শুকিয়ে, গুঁড়া করে বা পেস্ট করে শরীরের বিভিন্ন স্থান রাঙানোর ইতিহাস বহু পুরনো। আর উৎসবে বিশেষ করে ঈদ হলে তো কথাই নেই।

বিয়েতে বর কনের হাতে মেহেদি থাকা চাই-ই চাই।

কিন্তু এই মেহেদির ইতিহাস, ঈদে মেহেদি দেওয়ার প্রচলন বা যেকোনো উৎসবে কেনই-বা মেহেদি দেওয়া হয়, তা জানেন না অনেকেই। চলুন, আজ তাহলে এসব বিষয়েই জেনে নিই।

মেহেদির ইতিহাস

মানব সভ্যতার ইতিহাস ৫ হাজার বছর ধরা হলেও মেহেদির ইতিহাস কিন্তু তার চেয়েও পুরনো।

নব্যপ্রস্তর যুগ (১০০০০-৪০০০ খ্রিষ্টপূর্ব) থেকে মেহেদির প্রথম ব্যবহার দেখা যায় উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের মরু অঞ্চলে। প্রায় ৯ হাজার বছর আগে মরুবাসী প্রচণ্ড গরম থেকে বাঁচার জন্য তাদের পা মেহেদি পেস্ট দিয়ে ঢেকে রাখতো। যা তাদের শরীরকে ঠাণ্ডা রাখত। বিশেষত যোদ্ধাদের মধ্যে এর প্রচলন ছিল বেশি।

আরো পড়ুন
গরমে আচমকা বাড়তে পারে ব্লাড সুগারের মাত্রা, যেভাবে সামলাবেন

গরমে আচমকা বাড়তে পারে ব্লাড সুগারের মাত্রা, যেভাবে সামলাবেন

 

তা ছাড়া দক্ষিণ চীনে প্রায় ৩ হাজার বছর ধরে প্রাচীন দেবী সংস্কৃতির সময় থেকে মেহেদি ব্যাপকভাবে প্রেমমূলক ধর্মানুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। প্রাচীন মিসরের রানি নেফারতিতি ও রানি ক্লিওপেট্রা নিয়মিত মেহেদি ব্যবহার করতেন। মিসরের পিরামিডে ফারাও সম্রাটদের মমিতে মেহেদির ব্যবহার হতো। মধ্যযুগের কিছু চিত্রকলায় দেখা যায় কিং সলোমানের সঙ্গে রানির সেবারত অবস্থার কিছু ছবিতে তাকে মেহেদি পরতে দেখা যায়।

উপমহাদেশে ১২০০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে মেহেদির ব্যবহার শুরু হয় এবং মোগল আমলে প্রাকৃতিক প্রসাধনী হিসেবে মেহেদির ব্যাপকতা ছড়িয়ে পরে।

মোগল সম্রাট শাহজাহান পত্নী মমতাজকে মিসরের রাজা রাষ্ট্রীয় উপহার হিসেবে মেহেদি ও মেহেদি চারা উপহার দিয়েছিলেন বলে জানা যায়।

দেড় হাজার বছর ধরে মুসলিম নারীরা মেহেদি ব্যবহার করে আসছেন। নবীজি (সা.) মুসলিম নারীদের হাতে মেহেদির নকশা করাকে উৎসাহিত করতেন। তাঁর কন্যা ফাতেমা (রা.) নিয়মিত হাতে মেহেদির ডিজাইন করতেন। নবীজি (সা.) নিজেও তার দাড়িতে মেহেদি ব্যবহার করতেন। ইসলামী খেলাফতের সময় থেকে মুসলিমবিশ্বে মেহেদির ব্যবহার ধর্মীয় রীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়।

আরো পড়ুন
ঈদে সুস্থ থাকবেন যেভাবে

ঈদে সুস্থ থাকবেন যেভাবে

 

মেহেদির ব্যবহার

ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে মেহেদির প্রচলন শুরু হলেও বর্তমানে মেহেদি দেওয়া সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রথা হিসেবে পরিচয় লাভ করেছে। ইসলাম, খ্রিষ্টান, হিন্দু, বৌদ্ধসহ প্রায় সব ধর্মেই মেহেদির পবিত্রতা, ওষধি গুণাগুণ ও ব্যবহারের কথা উল্লেখ রয়েছে। তবে ভারতীয় উপমহাদেশ তথা বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানে ব্যাপক পরিমাণে মেহেদির ব্যবহার করা হয়।

মেহেদি দেওয়ার প্রথার গুরুত্ব বিয়ে, ঈদ-পূজা, বৈশাখ ও নববর্ষের অনুষ্ঠানে সময় আসলেই বোঝা যায়। আফ্রিকার অনেক জায়গায় আরোগ্য মুক্তি উপলক্ষে এবং আরব্য সংস্কৃতির বিয়েতে ‘মেহেদি সন্ধ্যা’ একটি জনপ্রিয় প্রথা রয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহেও দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। চীনসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে আয়ুর্বেদীয়, ইউনানি ও বিভিন্ন প্রকার অর্গানিক চিকিৎসায় মেহেদির ব্যবহার হয়ে থাকে।

আরো পড়ুন
ঈদের তারিখ জানাল মালয়েশিয়া

ঈদের তারিখ জানাল মালয়েশিয়া

 

ভারতীয় উপমহাদেশে এক সময় মেহেদির ব্যবহার শুধু মুসলিম সমাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। পরবর্তীতে মুঘল সাম্রাজ্যের জনগণ এটাকে প্রসারিত করে। বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে মেহেদির ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এবং আফ্রিকায় যেসব দেশের ভাষা অ্যারাবিক সেসব দেশেও ব্যবহৃত হয় এই মেহেদি।

মেহেদির বিভিন্ন নাম

মেহেদিকে হিন্দি ও উর্দুতে মেহেন্দি, ইংরেজিতে হেনা, মধ্যপ্রাচ্যে হেন্না, মধ্য এশিয়ায় ‘আল-খান্না’ নামে ডাকা হয়। এর ইউনানি নাম হেনা, আয়ুর্বেদিক নাম মদয়ন্তিকা, বোটানিক্যাল নাম লসোনিয়া ইরামিস, যা লেথরেসিয়া পরিবারের অন্তর্ভুক্ত।

আরো পড়ুন
মাথা ব্যথা মানেই কি মাইগ্রেনের সমস্যা?

মাথা ব্যথা মানেই কি মাইগ্রেনের সমস্যা?

 

মেহেদির ডিজাইন

মেহেদির ডিজাইনে যুগে যুগে পরিবর্তন এসেছে ঠিকই কিন্তু সুন্দর কারুকার্য শোভিত ডিজাইনের আবেদন কখনোই কমে যায়নি। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই মেহেদি পরতে পারে তবে ডিজাইনে ভিন্নতা থাকা আবশ্যক। মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, ইহুদি, খ্রিষ্টান, শিখসহ বিভিন্ন ধর্মে ঐতিহাসিকভাবে মেহেদি পবিত্রতা ও আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে যুক্ত। পৃথিবীর নানা জাতি ও অধিকাংশ আদিবাসী সমাজে সুস্বাস্থ্য, উর্বরতা, জ্ঞান, সুরক্ষা এবং আধ্যাত্মিকতার জ্ঞান হিসেবে প্রতিটি সংস্কৃতিতে বিভিন্ন ডিজাইনের আলাদা অর্থ রয়েছে।

বাজারে প্রচলিত মেহেদি

আগে মেহেদি পাতা বেটে তা হাত-পায়ের নখ, হাতের তালুতে লাগানো হতো। মেহেদি বাটার ব্যবহার এখনো বেশ জনপ্রিয়। তবে বর্তমানে টিউব মেহেদির প্রচলন বেড়ে যাওয়ায় মানুষ কেনা মেহেদিতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। বাজারে দুই ধরনের মেহেদি পাওয়া যায়। একটি হলো তৈরি করা বা ইনস্ট্যান্ট মেহেদিতে ৫ থেকে ১০ মিনিটে রং আসে। কিন্তু প্রতি ধোয়াতে হাত থেকে রং কমতে থাকে।

আরো পড়ুন
গরমে ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে কী করবেন

গরমে ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে কী করবেন

 

আরেকটি হলো প্রাকৃতিক বা অরগানিক মেহেদি। যেকোনো উৎসবে অরগানিক মেহেদি ব্যবহার করা ত্বকের জন্য ভালো। কারণ, এই মেহেদি হাতে তৈরি, তাই এতে রাসায়নিকের ব্যবহার থাকে না। এর রং হয় গাঢ়, দীর্ঘস্থায়ী এবং ত্বকের জন্য ক্ষতিকর নয়।

মন্তব্য

যেভাবে ধনেপাতা দীর্ঘদিন তাজা রাখবেন

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
যেভাবে ধনেপাতা দীর্ঘদিন তাজা রাখবেন
সংগৃহীত ছবি

ধনেপাতা এমন একটি উপাদান, যার স্বাদ প্রতিদিনের খাবারে ব্যবহার না করলে অসম্পূর্ণ থাকে। যদি ধনেপাতা ডাল, সবজি, রায়তা বা সালাদে দেওয়া হয়, তাহলে এর সুগন্ধ, রং ও স্বাদ তুলনার বাইরে। এই কারণেই মানুষ তাদের রান্নাঘরে প্রচুর ধনেপাতা সংরক্ষণ করেন। 

তবে এর সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো এটি সংরক্ষণ করা।

মূলত ধনেপাতা খুব দ্রুত শুকিয়ে যায়। এমনকি এটি ফ্রিজে সংরক্ষণ করলেও ২-৩ দিনের মধ্যে নষ্ট হয়ে যায়। তাই এটি সংরক্ষণ করা একটি মহা সমস্যা। তবে আজ জানবেন এমন কিছু টিপস, যা ধনেপাতাকে দ্রুত নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচাবে।

আরো পড়ুন
মাথা ব্যথা মানেই কি মাইগ্রেনের সমস্যা?

মাথা ব্যথা মানেই কি মাইগ্রেনের সমস্যা?

 

ধনেপাতা তাজা রাখবেন যেভাবে

ধনেপাতা দীর্ঘদিন তাজা রাখতে পাতাগুলো ভালো করে ধুয়ে শুকাতে দিন। এবার ধনেপাতা টিস্যু পেপারে মুড়িয়ে একটি এয়ার টাইট পাত্রে রেখে ফ্রিজে রাখুন। এর ফলে ধনেপাতা দ্রুত নষ্ট হবে না এবং শুকিয়েও যাবে না।

জিপ লক প্লাস্টিক ব্যাগের সাহায্যে ধনেপাতা অনেক দিন ধরে সংরক্ষণ করতে পারবেন।

এর জন্য ধনেপাতা ধুয়ে পানি শুকিয়ে নিন। এবার এই পাতাগুলো টিস্যু পেপারে মুড়িয়ে একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে রাখুন এবং তারপর ব্যাগটি জিপ লক করে ফ্রিজে রাখুন।

ধনেপাতা সংরক্ষণের জন্যও পানিও ব্যবহার করা যেতে পারে। পানি ভর্তি একটি গ্লাস নিন। এবার পানিতে ধনেপাতা শিকড়সহ দিন।

যদি শিকড় পানিতে থাকে তাহলে পাতা নষ্ট হবে না এবং তাজা থাকবে।

আরো পড়ুন
গরমে আচমকা বাড়তে পারে ব্লাড সুগারের মাত্রা, যেভাবে সামলাবেন

গরমে আচমকা বাড়তে পারে ব্লাড সুগারের মাত্রা, যেভাবে সামলাবেন

 

ধনেপাতা ফ্রিজে রেখেও দীর্ঘ সময় ধরে তাজা রাখতে পারেন। ধনেপাতা ধুয়ে ভালো করে কেটে নিন। এবার কাটা ধনেপাতা একটি প্লাস্টিকের বক্সে ভরে ফ্রিজে রাখুন। এতে ধনেপাতা অনেক দিন সতেজ ও সবুজ থাকবে।

ধনেপাতা ধুয়ে শুকিয়ে নিন। এবার এগুলো ছোট ছোট টুকরো করে কেটে একটি প্লেটে দুই দিনের জন্য রেখে ছায়ায় শুকিয়ে নিন। শুকানোর পর ধনেপাতার গুঁড়া তৈরি করুন। একটি বায়ুরোধী পাত্রে সংরক্ষণ করুন এবং ব্যবহার করুন।

আরো পড়ুন
গরমে ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে কী করবেন

গরমে ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে কী করবেন

 

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

মন্তব্য

গরমে ট্যাংকের পানি ঠাণ্ডা রাখবেন যে উপায়ে

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
গরমে ট্যাংকের পানি ঠাণ্ডা রাখবেন যে উপায়ে
সংগৃহীত ছবি

সারা দেশে তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়ছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে দেখা গেছে তীব্র দাবদাহের আশঙ্কা। এরই মধ্যে অনেকে এসি-কুলার কেনার চেষ্টা করছেন। তীব্র গরম থেকে বাঁচতে আমরা এয়ার কন্ডিশনার ও কুলারের তলায় গিয়ে শান্তি খুঁজি ঠিকই, কিন্তু সমস্যায় পড়তে হয় ট্যাংকের পানি নিয়ে।

ছাদের তীব্র গরমে বিকেলের দিকে ট্যাংকে রাখা পানি খুব গরম হয়ে যায়। এই কারণে যখন আমরা হাত বা মুখ ধোয়ার জন্য ট্যাপ খুলি, তখন ফুটন্ত পানি আমাদের হাতে এসে পড়ে। এই গরম পানি থেকে মুক্তি পেতে মানুষ বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকেন। কিন্তু কিছুতেই কোনো সুরাহা খুঁজে পান না।

আপনি যদি এই গ্রীষ্মে বাড়ির ট্যাংকের গরম পানির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান, তাহলে এই প্রতিবেদনটি বিশেষভাবে আপনার জন্য। এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমরা আপনাকে কিছু বিশেষ টেকনিক সম্পর্কে বলতে চলেছি, যার সাহায্যে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। চলুন, এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

আরো পড়ুন
গরমে আচমকা বাড়তে পারে ব্লাড সুগারের মাত্রা, যেভাবে সামলাবেন

গরমে আচমকা বাড়তে পারে ব্লাড সুগারের মাত্রা, যেভাবে সামলাবেন

 

ট্যাংকে জমে থাকা গরম পানি অপসারণের জন্য এটিকে সঠিকভাবে ঢেকে রাখতে হবে।

ট্যাংকটি ঢেকে রাখার জন্য একটি বড় ও ভালো মানের প্লাস্টিকের কভার কিনতে পারেন। বাজারে নানা ধরনের কভার মেলে। বেছে নিতে পারেন দাম ও গুণমান দেখে।

এ ছাড়া পানির ট্যাংকটি বাড়ির এমন জায়গায় রাখতে পারেন যেখানে সরাসরি সূর্যের আলো পড়ে না। এতে পানির ট্যাংকটি খুব বেশি গরম হবে না এবং এর ভেতরের পানি দারুণ ঠাণ্ডা থাকবে।

অনেকে ছাদে কালো রঙের ট্যাংক ব্যবহার করেন। কিন্তু জেনে রাখা ভালো যে এই কালো রং-ই কিন্তু অন্যতম বিপদ। কারণ কালো রং বেশি সূর্যালোক শোষণ করে। এমন পরিস্থিতিতে কালো রঙের পরিবর্তে সাদা ট্যাংক ব্যবহার করতে পারেন। এতে পানি খুব বেশি গরম হবে না।

আরো পড়ুন
গরমে ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে কী করবেন

গরমে ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে কী করবেন

 

এ ছাড়া পানির ট্যাংকটি ছাদের ওপর একটি শেডের নিচে রাখতে পারেন। ট্যাংকটি শেডের নিচে রাখলে পানি খুব বেশি গরম হবে না এবং বিভিন্ন কাজে ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করতে পারবেন সহজেই।

আছে আরো একটি মোক্ষম উপায়। এ ক্ষেত্রে আপনার পানির ট্যাংকটি ছায়াযুক্ত জায়গায় রাখতে পারেন এবং সেইসঙ্গে তার চারপাশে ছোট গাছপালা ও ঝোপ লাগাতে পারেন। এটি ট্যাংকে সঞ্চিত পানিকে ঠাণ্ডা রাখবে।

ট্যাংকের পানি ঠাণ্ডা রাখার আছে আরো একটি উপায়, যাতে প্রায় বিনা খরচেই ট্যাপ থেকে পাবেন ফ্রিজের মতো ঠাণ্ডা পানি। এর জন্য পাটের বস্তা ব্যবহার করতে পারেন। যার জন্য আপনার পরিশ্রম ও পয়সা লাগবে সামান্যই। আপনাকে শুধু পাটের ব্যাগ ভিজিয়ে ট্যাংকটি ঢেকে দিতে হবে। পাট তাপ শোষণ করতে দেয় না। তাই পানি থাকবে স্বাভাবিক ও ঠাণ্ডা।

আরো পড়ুন
ঈদে সুস্থ থাকবেন যেভাবে

ঈদে সুস্থ থাকবেন যেভাবে

 

সূত্র : নিউজ ১৮

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ