ডায়াবেটিস রোগীদের অনেকেই মনে করেন, সুস্বাদু ফল খেলে তাদের সুগার বেড়ে যাবে। তবে এই ধারণা সব ক্ষেত্রে সঠিক নয়। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কিছু ফল উপকারী হতে পারে। তবে কোন ফল খাওয়া উচিত, কতটা পরিমাণে খাবেন এবং কখন খাবেন—এ বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি।
ডায়াবেটিস রোগীদের অনেকেই মনে করেন, সুস্বাদু ফল খেলে তাদের সুগার বেড়ে যাবে। তবে এই ধারণা সব ক্ষেত্রে সঠিক নয়। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কিছু ফল উপকারী হতে পারে। তবে কোন ফল খাওয়া উচিত, কতটা পরিমাণে খাবেন এবং কখন খাবেন—এ বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি।
ফল খাওয়ার সময় কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে। প্রথমত, ফলের পরিমাণ। ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতিদিন ১০০-১৫০ গ্রাম ফল খাওয়া উচিত, এর বেশি নয়।
দ্বিতীয়ত, কোন ফল খাওয়া হবে তা নির্ভর করবে তার গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের উপর।
ফাইবার হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে এবং শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
জাম
জামের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ২৫, যা খুবই কম। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। কারণ এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং অ্যান্টি-ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
পেয়ারা
পেয়ারার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ১২, যা অত্যন্ত কম।
আপেল
আপেলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৩৬। যা অন্যান্য ফলের তুলনায় কম। এতে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
যেসব ফল ডায়াবেটিস রোগীদের এড়িয়ে চলা উচিত বা কম খাওয়া উচিত, সেগুলো হল: আম, কলা, আনারস, তরমুজ ও কাঁঠাল। এসব ফলে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে এবং গ্লাইসেমিক ইনডেক্স উচ্চ। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের এই ফলগুলো এড়িয়ে চলা উচিত।
মনে রাখা ভালো যে, ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্যতালিকা তাদের ব্যক্তিগত অবস্থার উপর নির্ভর করে। একজন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক খাদ্যতালিকা তৈরি করা উচিত এবং তার নির্দেশনা মেনে ফল খাওয়া উচিত।
সূত্র : আজকাল
সম্পর্কিত খবর
আমাদের মধ্যে অনেকেই মানিব্য়াগে এমন কিছু জিনিস রাখি যেগুলো প্রতিদিন ব্য়বহার হয় না। কিছু না ভেবেই তা ব্যাগের মধ্যে দিই। তা দিনের পর দিন একইভাবে পড়ে থাকে।
আবার অনেকে টাকাপয়সার পাশাপাশি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্রও সব সময় মানিব্যাগে রাখেন।
এ ধরনের বিপত্তি এড়াতে কিছু জিনিস মানিব্যাগে না রাখাই ভালো।
মানিব্যাগ সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবেন।
এ ছাড়া পকেটমারের হাত থেকে বাঁচতে মানিব্যাগে টাকা ছাড়া অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জিনিস রাখা থেকে বিরত থাকুন।
আইডি কার্ড ও সিমকার্ড
কেউ কেউ জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্টকার্ড ও মোবাইল ফোনের সিমকার্ড মানিব্যাগেই রাখেন। নিরাপত্তার স্বার্থে ও ঝামেলা এড়াতে এই অভ্যাস ত্যাগ করা উচিত।
ক্রেডিট কার্ড
আজকাল একজনের একাধিক ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড থাকে। অনেকে সব কার্ডই মানিব্যাগে রাখেন।
রসিদ
মানিব্যাগে অনেকে রসিদ সংরক্ষণ করেন। মানিব্যাগ হারালে রসিদও যাবে। তখন মহাবিপদ। তাই মানিব্যাগে সব সময় রসিদ রাখা উচিত নয়; বরং তা বাসায় রাখাই ভালো। কাজের সময় রসিদটি সঙ্গে নিলেই হবে।
চেক বই
মানিব্যাগে চেক বই রেখে অনেকে নিশ্চিন্ত থাকেন। কিন্তু এই সতর্কতা বিপদ ডেকে আনতে পারে। মানিব্যাগ খোয়া গেলে চেকও যাবে। তখন ভুক্তভোগীকে নানান ঝামেলা পোহাতে হবে।
পাসওয়ার্ড
মোবাইলের এ যুগে অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ পাসওয়ার্ড মনে রাখতে পারেন না। সেগুলো লিখে তারা মানিব্যাগে রাখেন। মানিব্যাগ হাতছাড়া হওয়া মানে কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ অ্যাকাউন্ট ও তথ্য হাতছাড়া হওয়া।
গয়না
মেয়েদের ক্ষেত্রে অনেকেই মানিব্যাগে দামি গয়না রাখেন। মানিব্যাগ হারালে দামি গয়নাও হাতছাড়া হতে পারে।
তাই নিজের ভালোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ জিনিস আলাদা রাখা বা বাসায় রাখাই ভালো। এ ছাড়া যে জিনিসগুলোর খুব একটা প্রয়োজন নেই সেগুলো মানিব্যাগে না রাখাই ভালো। এতে মানিব্যাগ ভারি মনে হবে। বহনেও ঝামেলা মনে হবে।
বর্তমান সময়ে একটু বয়স বাড়লেই দেখা দেয় পায়ের সমস্যা। আর্থ্রাইটিস থেকে পেশির সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। চিকিৎসকদের মতে, এর জন্য দায়ী খারাপ জুতা। নিম্নমানের জুতা দীর্ঘ দিন ধরে পায়ে পরার ফলে বাড়ে নানা সমস্যা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হালকা জুতা হাঁটার জন্য বেশি উপযুক্ত। এটি হাঁটার সময় অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে না। রাবারের তৈরি জুতা ভালো।
জুতায় মিডসোল থাকাও জরুরি। এটি পায়ে শকের (ধাক্কা বা কম্পন) প্রভাব কমায় এবং আরামদায়ক অনুভূতি দেয়।
জুতায় ইনসোল থাকা দরকার। নরম কুশন থাকা উচিত, যাতে পায়ের তালুতে চাপ কম পড়ে। অর্থোপেডিক ইনসোল থাকলে পায়ের গঠন অনুযায়ী অতিরিক্ত সাপোর্ট দেয়। যাদের পায়ের তালুর বাঁক বেশি বা কম, তাদের জন্য বিশেষ ধরনের আর্চ সাপোর্ট থাকা জরুরি।
জুতার ওপরের অংশ এমন উপাদানে তৈরি হওয়া উচিত, যাতে বাতাস চলাচল করতে পারে। জালযুক্ত বা ক্যানভাসের তৈরি জুতা ভালো। এটি ঘাম শোষণ করে এবং পা ঠাণ্ডা ও আরামদায়ক রাখে। সিনথেটিক লেদারও আরামদায়ক হতে পারে।
জুতার হিল খুব বেশি উঁচু বা নিচু হওয়া উচিত নয়। সাধারণত শূন্য দশমিক ৫ থেকে ১ দশমিক ৫ ইঞ্চি হিল থাকা ভালো। এটি হাঁটার জন্য খুব আরামদায়ক। সম্পূর্ণ ফ্ল্যাট জুতা ব্যবহার না করাই ভালো।
হাঁটার জুতায় সাধারণত লেইস বা ভেলক্রো থাকা ভালো, যাতে এটি ভালোভাবে পায়ে ফিট হয়। সহজে খুলতে বা পরতে ভেলক্রো স্ট্র্যাপ ভালো বিকল্প হতে পারে, বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য।
প্লান্টার ফ্যাসাইটিস বা হিল স্পার থাকলে আর্চ সাপোর্ট ও হিল কুশনযুক্ত জুতো বেছে নেওয়া উচিত। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য নরম ও সেলাইবিহীন ইনসোল থাকা উচিত, যাতে ঘর্ষণজনিত ক্ষত না হয়। ফ্ল্যাটফুট থাকলে বিশেষ ধরনের আর্চ সাপোর্টযুক্ত জুতা ব্যবহার করা উচিত।
সূত্র : টিভি ৯ বাংলা
ওজন কমানোর জন্য অনেকেই সকালে খালি পেটে চিয়া সিড খেয়ে থাকেন। তবে এই চিয়া সিড যে ত্বকের যত্নেও ব্যবহার করা যায়, তা হয়তো অনেকেই জানেন না। ত্বকের অনেক সমস্যাই নিমেষে দূর করে এই চিয়া সিড। তার মধ্যে অন্যতম হলো বলিরেখার সমস্যা।
বয়সের ভারে ত্বকে বলিরেখার প্রভাব পড়বেই। বলিরেখার কারণে চোখের চারপাশের চামড়া কুঁচকে যেতে পারে। এ ছাড়া কপাল ও গলার অংশের ত্বকে ভাঁজ দেখা দিতে পারে। আর এর জন্য ব্যবহার করতে পারেন চিয়া সিড।
স্ক্রাবার হিসেবে চিয়া সিড
চিয়া সিড পানিতে ভিজিয়ে রাখলে যে পিছলে যাওয়া বা জেল বেসড টেক্সচার তৈরি হয় সেটাই ত্বকে লাগিয়ে স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। চিয়া সিডের জেল-বেসড এই টেক্সচার ত্বকে থাকা মরা কোষ বা ডেড স্কিন সেল ঝরিয়ে দিতে পারে। তার ফলে ত্বকের উজ্জ্বল ভাব ফিরে আসে।
এ ছাড়া এই বীজ কোলাজেন নামক প্রোটিন তৈরিতে সাহায্য করে, যা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী একটি উপকরণ। অয়েলি স্কিনের ক্ষেত্রে ত্বকে অতিরিক্ত সিবাম বা তেলের সিক্রেশন কমাতে সাহায্য করে চিয়া সিড। তাই এই বীজ দিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে ব্যবহার করলে অনেক উপকারই পাবেন আপনি।
বলিরেখার সমস্যা কমায়
চিয়া সিডের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস, ফাইবার, ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিড, প্রোটিনসহ একাধিক নিউট্রিয়েন্টস। চিয়া সিডের মধ্যে থাকা এসব উপকরণই মূলত অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস, ত্বক টানটান রাখতে সাহায্য করে। চিয়া সিডের মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস ত্বকের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। ফলে অসময়ে ত্বকে রিঙ্কেলস দেখা যায় না।
ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিড রয়েছে চিয়া সিডে। এই উপকরণও ত্বকের ইলাস্টিসিটি বজায় রাখে খুব ভালোভাবে। ফলে ত্বক টানটান থাকে। প্রতিদিন সকালে চিয়া সিড ভেজানো পানি খেতে পারেন। এ ছাড়া চিয়া সিড যুক্ত ফেসওয়াশ, ফেসপ্যাক, ফেস-স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন। তবে একটা বয়সের পরে আপনার ত্বকে বলিরেখা দেখা দেবেই। সময়ে যাতে এর প্রভাব না পড়ে সেই দিকে খেয়াল রাখবে চিয়া সিড।
সূত্র : এবিপি লাইভ
ঈদের আনন্দ শুধু নতুন পোশাক আর প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটানোই নয়, খাবারদাবারেও চাই নতুনত্ব। তাই ঈদে বাড়িতে মেহমান আসলে মিষ্টান্নের পাশাপাশি কিছু ভিন্ন স্বাদের স্ন্যাকসও রাখতে পারেন।
ঈদে যে আত্মীয়ের বাড়িই যাবেন মিষ্টান্ন থাকবেই। সব জায়গায় মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে খেতে মুখ পুরে আসে।
মুচমুচে, সুস্বাদু এই নাশতা পরিবারের ছোট-বড় সবারই পছন্দ হবে। তাই ঘরেই সহজ উপায়ে এটি তৈরি করতে পারবেন।
আপ্যায়নে
উপকরণ
প্রস্তুত প্রণালি
প্রথমে ৫০০ গ্রাম হাড়ছাড়া মুরগির মাংস মিহি করে কেটে নিন। মিহি মাংসের সঙ্গে রসুন বাটা, আদা বাটা, গোলমরিচ গুঁড়া, লালমরিচ গুঁড়া, কর্নফ্লাওয়ার, ধনিয়া পাতা কুঁচি, মোজারেলা চিজ কুঁচি ও লবণ মিশিয়ে ভালো করে মেখে নিন।
হাতে ও বোর্ডে অলিভ অয়েল লাগিয়ে কিমা থেকে আঙুলের মতো লম্বা আকারের ফিঙ্গার বানিয়ে নিন। ময়দায় চিকেন ফিঙ্গারগুলো গড়িয়ে নিন।
চিকেন ফিঙ্গারগুলো প্রথমে ডিমের মিশ্রণে, পরে ব্রেডক্রাম্বে মাখিয়ে নিন। সবগুলো তৈরি হলে ট্রেতে সাজিয়ে ৩০ মিনিটের জন্য ফ্রিজে রাখুন। একটি প্যানে পর্যাপ্ত পরিমাণ তেল গরম করে ফ্রিজ থেকে বের করা চিকেন ফিঙ্গারগুলো বাদামি রং হওয়া পর্যন্ত ভেজে নিন। হয়ে গেলে গরম গরম পরিবেশন করুন টমেটো কেচাপ বা প্রিয় সসের সঙ্গে।
মুচমুচে চিজ চিকেন ফিঙ্গার ঈদ আপ্যায়নে মেহমানদের সামনে রাখতে পারেন। আড্ডায় মুখ পুরে খেতে খুব ভালো লাগবে। ছোট-বড় সবাই মজা করে উপভোগ করবে। স্বাস্থ্যকর উপায়ে বাসায় তৈরি করা এই খাবার পরিবারের সবাইকে খাওয়ান নিশ্চিন্তে।