ঢাকা, মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫
১৮ চৈত্র ১৪৩১, ০১ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫
১৮ চৈত্র ১৪৩১, ০১ শাওয়াল ১৪৪৬

চোখের সুস্থতা বজায় রাখার ৫ সহজ উপায়

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
চোখের সুস্থতা বজায় রাখার ৫ সহজ উপায়
সংগৃহীত ছবি

চোখকে সুন্দর ও আকর্ষণীয় করতে আমরা নানা জিনিস ব্যবহার করে থাকি। তবে চোখের স্বাস্থ্য রক্ষার দিকে আমরা অনেকেই খেয়াল করি না। আশেপাশে জিজ্ঞাসা করলে, সংখ্যা খুব কম পাওয়া যাবে যারা চোখের যত্ন নেন। তবে কিছু সহজ অভ্যাস অনুসরণ করে চোখের যত্ন নেয়া সম্ভব।

 

এমনই পাঁচটি উপায় নিচে দেওয়া হলো:

চোখের ব্যায়াম
শরীর সুস্থ রাখতে যেমন যোগব্যায়াম করা হয়, তেমনি চোখের সুস্থতার জন্যও কিছু ব্যায়াম দরকার। চোখের দৃষ্টি ভালো রাখতে, কোনো একটি বস্তুর উপর বিভিন্ন দূরত্ব থেকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে পারেন।

ভিটামিন এ
চোখের সুস্থতার জন্য ভিটামিন এ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গাজর, পালংশাক ও অন্যান্য সবুজ শাক-সবজিতে ভরপুর ভিটামিন এ রয়েছে।

এগুলো নিয়মিত খেলে চোখ সুস্থ থাকে।

রোদচশমা
চোখের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে রোদে বের হলে সব সময় রোদচশমা পরা উচিত। অতিবেগুনি রশ্মি থেকে চোখকে বাঁচাতে রোদচশমা ব্যবহার করা জরুরি।

চোখের পাতার ব্যায়াম
চোখের পাতা বারবার বন্ধ ও খোলা একটি প্রাকৃতিক ব্যায়াম।

এটি চোখকে আর্দ্র রাখে। এর মাধ্যমে চোখের উপর চাপও কমে।

স্ক্রিনটাইম
কম্পিউটার বা ল্যাপটপে দীর্ঘক্ষণ কাজ করার অভ্যাস অনেকেরই আছে, যা চোখের জন্য ক্ষতিকর। চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে, প্রতি ২০ মিনিটে একবার স্ক্রীন থেকে চোখ সরিয়ে বিশ্রাম নেওয়া উচিত।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মানিব্যাগে যেসব জিনিস রাখবেন না

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
মানিব্যাগে যেসব জিনিস রাখবেন না
সংগৃহীত ছবি

আমাদের মধ্যে অনেকেই মানিব্য়াগে এমন কিছু জিনিস রাখি যেগুলো প্রতিদিন ব্য়বহার হয় না। কিছু না ভেবেই তা ব্যাগের মধ্যে দিই। তা দিনের পর দিন একইভাবে পড়ে থাকে।

আবার অনেকে টাকাপয়সার পাশাপাশি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্রও সব সময় মানিব্যাগে রাখেন।

এ অবস্থায় মানিব্যাগ হারিয়ে বা চুরি হয়ে গেলে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো পরিস্থিতি হয়। এই অভিজ্ঞতা নিশ্চয়ই অনেকের আছে।

এ ধরনের বিপত্তি এড়াতে কিছু জিনিস মানিব্যাগে না রাখাই ভালো।

মানিব্যাগ সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবেন।

ছেঁড়া ফাটা টাকার নোট রাখবেন না। মানিব্যাগের ভেতরে অপ্রয়োজনীয় কাগজ রাখবেন না। এতে ব্যগটি অপরিষ্কার লাগবে।

আরো পড়ুন
ঈদ আতিথেয়তা জমবে ভিন্ন স্বাদের কাবাবে

ঈদ আতিথেয়তা জমবে ভিন্ন স্বাদের কাবাবে

 

এ ছাড়া পকেটমারের হাত থেকে বাঁচতে মানিব্যাগে টাকা ছাড়া অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জিনিস রাখা থেকে বিরত থাকুন।

নাহলে মানিব্যাগ হারালে পড়বেন মহাবিপদে। গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলোর মধ্যে হলো—

আইডি কার্ড ও সিমকার্ড

কেউ কেউ জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্টকার্ড ও মোবাইল ফোনের সিমকার্ড মানিব্যাগেই রাখেন। নিরাপত্তার স্বার্থে ও ঝামেলা এড়াতে এই অভ্যাস ত্যাগ করা উচিত।

ক্রেডিট কার্ড

আজকাল একজনের একাধিক ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড থাকে। অনেকে সব কার্ডই মানিব্যাগে রাখেন।

এ অবস্থায় যদি মানিব্যাগ হারিয়ে যায়, তাহলে ভেবে দেখুন কী ঝামেলার সম্মুখীন হবেন। তাই মানিব্যাগে ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড রাখার ক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি।

আরো পড়ুন
শহর ও গ্রামের ঈদ : সংস্কৃতির পার্থক্য

শহর ও গ্রামের ঈদ : সংস্কৃতির পার্থক্য

 

রসিদ

মানিব্যাগে অনেকে রসিদ সংরক্ষণ করেন। মানিব্যাগ হারালে রসিদও যাবে। তখন মহাবিপদ। তাই মানিব্যাগে সব সময় রসিদ রাখা উচিত নয়; বরং তা বাসায় রাখাই ভালো। কাজের সময় রসিদটি সঙ্গে নিলেই হবে।

চেক বই

মানিব্যাগে চেক বই রেখে অনেকে নিশ্চিন্ত থাকেন। কিন্তু এই সতর্কতা বিপদ ডেকে আনতে পারে। মানিব্যাগ খোয়া গেলে চেকও যাবে। তখন ভুক্তভোগীকে নানান ঝামেলা পোহাতে হবে।

পাসওয়ার্ড

মোবাইলের এ যুগে অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ পাসওয়ার্ড মনে রাখতে পারেন না। সেগুলো লিখে তারা মানিব্যাগে রাখেন। মানিব্যাগ হাতছাড়া হওয়া মানে কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ অ্যাকাউন্ট ও তথ্য হাতছাড়া হওয়া।

আরো পড়ুন
ঈদ যেন স্বজনদের মিলনমেলা

ঈদ যেন স্বজনদের মিলনমেলা

 

গয়না

মেয়েদের ক্ষেত্রে অনেকেই মানিব্যাগে দামি গয়না রাখেন। মানিব্যাগ হারালে দামি গয়নাও হাতছাড়া হতে পারে।

তাই নিজের ভালোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ জিনিস আলাদা রাখা বা বাসায় রাখাই ভালো। এ ছাড়া যে জিনিসগুলোর খুব একটা প্রয়োজন নেই সেগুলো মানিব্যাগে না রাখাই ভালো। এতে মানিব্যাগ ভারি মনে হবে। বহনেও ঝামেলা মনে হবে।

আরো পড়ুন
ঈদ সালামির প্রচলন কবে থেকে

ঈদ সালামির প্রচলন কবে থেকে

 
মন্তব্য

ভুল জুতা হতে পারে পায়ে ব্যথার কারণ

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ভুল জুতা হতে পারে পায়ে ব্যথার কারণ
সংগৃহীত ছবি

বর্তমান সময়ে একটু বয়স বাড়লেই দেখা দেয় পায়ের সমস্যা। আর্থ্রাইটিস থেকে পেশির সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। চিকিৎসকদের মতে, এর জন্য দায়ী খারাপ জুতা। নিম্নমানের জুতা দীর্ঘ দিন ধরে পায়ে পরার ফলে বাড়ে নানা সমস্যা।

কেমন জুতা পরা উচিত, আর কোন জুতা পরলে ভালো থাকবে পা—চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

বিশেষজ্ঞদের মতে, হালকা জুতা হাঁটার জন্য বেশি উপযুক্ত। এটি হাঁটার সময় অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে না। রাবারের তৈরি জুতা ভালো।

এটি ভালো গ্রিপ দেয় এবং পিছলে যাওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। মাটিতে বা রাস্তার সঙ্গে ভালোভাবে খাপ খায় এমন ননস্লিপ ডিজাইন থাকা জরুরি।

জুতায় মিডসোল থাকাও জরুরি। এটি পায়ে শকের (ধাক্কা বা কম্পন) প্রভাব কমায় এবং আরামদায়ক অনুভূতি দেয়।

ইভা ফোম বা জেল কুশনপ্রযুক্তি যুক্ত থাকলে দীর্ঘক্ষণ হাঁটার জন্য ভালো।

আরো পড়ুন
ঈদে হরেক পদের সেমাইয়ের রেসিপি

ঈদে হরেক পদের সেমাইয়ের রেসিপি

 

জুতায় ইনসোল থাকা দরকার। নরম কুশন থাকা উচিত, যাতে পায়ের তালুতে চাপ কম পড়ে। অর্থোপেডিক ইনসোল থাকলে পায়ের গঠন অনুযায়ী অতিরিক্ত সাপোর্ট দেয়। যাদের পায়ের তালুর বাঁক বেশি বা কম, তাদের জন্য বিশেষ ধরনের আর্চ সাপোর্ট থাকা জরুরি।

গোড়ালির জন্য ভালো সাপোর্ট থাকলে দীর্ঘক্ষণ হাঁটার সময় এটি গোড়ালি ও হাঁটুকে সুরক্ষা দেয়।

জুতার ওপরের অংশ এমন উপাদানে তৈরি হওয়া উচিত, যাতে বাতাস চলাচল করতে পারে। জালযুক্ত বা ক্যানভাসের তৈরি জুতা ভালো। এটি ঘাম শোষণ করে এবং পা ঠাণ্ডা ও আরামদায়ক রাখে। সিনথেটিক লেদারও আরামদায়ক হতে পারে।

জুতার হিল খুব বেশি উঁচু বা নিচু হওয়া উচিত নয়। সাধারণত শূন্য দশমিক ৫ থেকে ১ দশমিক ৫ ইঞ্চি হিল থাকা ভালো। এটি হাঁটার জন্য খুব আরামদায়ক। সম্পূর্ণ ফ্ল্যাট জুতা ব্যবহার না করাই ভালো।

আরো পড়ুন
বিশ্বজুড়ে ঈদের জনপ্রিয় খাবার

বিশ্বজুড়ে ঈদের জনপ্রিয় খাবার

 

হাঁটার জুতায় সাধারণত লেইস বা ভেলক্রো থাকা ভালো, যাতে এটি ভালোভাবে পায়ে ফিট হয়। সহজে খুলতে বা পরতে ভেলক্রো স্ট্র্যাপ ভালো বিকল্প হতে পারে, বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য।

প্লান্টার ফ্যাসাইটিস বা হিল স্পার থাকলে আর্চ সাপোর্ট ও হিল কুশনযুক্ত জুতো বেছে নেওয়া উচিত। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য নরম ও সেলাইবিহীন ইনসোল থাকা উচিত, যাতে ঘর্ষণজনিত ক্ষত না হয়। ফ্ল্যাটফুট থাকলে বিশেষ ধরনের আর্চ সাপোর্টযুক্ত জুতা ব্যবহার করা উচিত।

আরো পড়ুন
শহর ও গ্রামের ঈদ : সংস্কৃতির পার্থক্য

শহর ও গ্রামের ঈদ : সংস্কৃতির পার্থক্য

 

সূত্র : টিভি ৯ বাংলা

মন্তব্য

ত্বকের যত্নে চিয়া সিড কতটা উপকারী

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ত্বকের যত্নে চিয়া সিড কতটা উপকারী
সংগৃহীত ছবি

ওজন কমানোর জন্য অনেকেই সকালে খালি পেটে চিয়া সিড খেয়ে থাকেন। তবে এই চিয়া সিড যে ত্বকের যত্নেও ব্যবহার করা যায়, তা হয়তো অনেকেই জানেন না। ত্বকের অনেক সমস্যাই নিমেষে দূর করে এই চিয়া সিড। তার মধ্যে অন্যতম হলো বলিরেখার সমস্যা।

বয়সের ভারে ত্বকে বলিরেখার প্রভাব পড়বেই। বলিরেখার কারণে চোখের চারপাশের চামড়া কুঁচকে যেতে পারে। এ ছাড়া কপাল ও গলার অংশের ত্বকে ভাঁজ দেখা দিতে পারে। আর এর জন্য ব্যবহার করতে পারেন চিয়া সিড।

কিভাবে ব্যবহার করবেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

আরো পড়ুন
ঈদ যেন স্বজনদের মিলনমেলা

ঈদ যেন স্বজনদের মিলনমেলা

 

স্ক্রাবার হিসেবে চিয়া সিড

চিয়া সিড পানিতে ভিজিয়ে রাখলে যে পিছলে যাওয়া বা জেল বেসড টেক্সচার তৈরি হয় সেটাই ত্বকে লাগিয়ে স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। চিয়া সিডের জেল-বেসড এই টেক্সচার ত্বকে থাকা মরা কোষ বা ডেড স্কিন সেল ঝরিয়ে দিতে পারে। তার ফলে ত্বকের উজ্জ্বল ভাব ফিরে আসে।

চিয়া সিডের স্ক্রাব ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল হওয়ার পাশাপাশি মোলায়েমও থাকবে। ত্বকে জমে থাকা টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে চিয়া সিড।

এ ছাড়া এই বীজ কোলাজেন নামক প্রোটিন তৈরিতে সাহায্য করে, যা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী একটি উপকরণ। অয়েলি স্কিনের ক্ষেত্রে ত্বকে অতিরিক্ত সিবাম বা তেলের সিক্রেশন কমাতে সাহায্য করে চিয়া সিড। তাই এই বীজ দিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে ব্যবহার করলে অনেক উপকারই পাবেন আপনি।

ব্রণের সমস্যাও কমাবে এই বীজ। চিয়া সিড দিয়ে শুধু ফেস স্ক্রাব নয়, ফেস প্যাকও তৈরি করা যায়।

আরো পড়ুন
ঈদ আতিথেয়তা জমবে ভিন্ন স্বাদের কাবাবে

ঈদ আতিথেয়তা জমবে ভিন্ন স্বাদের কাবাবে

 

বলিরেখার সমস্যা কমায়

চিয়া সিডের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস, ফাইবার, ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিড, প্রোটিনসহ একাধিক নিউট্রিয়েন্টস। চিয়া সিডের মধ্যে থাকা এসব উপকরণই মূলত অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস, ত্বক টানটান রাখতে সাহায্য করে। চিয়া সিডের মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস ত্বকের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। ফলে অসময়ে ত্বকে রিঙ্কেলস দেখা যায় না।

ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিড রয়েছে চিয়া সিডে। এই উপকরণও ত্বকের ইলাস্টিসিটি বজায় রাখে খুব ভালোভাবে। ফলে ত্বক টানটান থাকে। প্রতিদিন সকালে চিয়া সিড ভেজানো পানি খেতে পারেন। এ ছাড়া চিয়া সিড যুক্ত ফেসওয়াশ, ফেসপ্যাক, ফেস-স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন। তবে একটা বয়সের পরে আপনার ত্বকে বলিরেখা দেখা দেবেই। সময়ে যাতে এর প্রভাব না পড়ে সেই দিকে খেয়াল রাখবে চিয়া সিড।

আরো পড়ুন
শহর ও গ্রামের ঈদ : সংস্কৃতির পার্থক্য

শহর ও গ্রামের ঈদ : সংস্কৃতির পার্থক্য

 

সূত্র : এবিপি লাইভ

মন্তব্য

ঈদ আপ্যায়নে রাখুন ভিন্ন স্বাদের স্ন্যাকস

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ঈদ আপ্যায়নে রাখুন ভিন্ন স্বাদের স্ন্যাকস
সংগৃহীত ছবি

ঈদের আনন্দ শুধু নতুন পোশাক আর প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটানোই নয়, খাবারদাবারেও চাই নতুনত্ব। তাই ঈদে বাড়িতে মেহমান আসলে মিষ্টান্নের পাশাপাশি কিছু ভিন্ন স্বাদের স্ন্যাকসও রাখতে পারেন।

ঈদে যে আত্মীয়ের বাড়িই যাবেন মিষ্টান্ন থাকবেই। সব জায়গায় মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে খেতে মুখ পুরে আসে।

আর সে জন্য খাবারে রাখতে পারেন ভিন্নতা। তাই এবারের ঈদের নাশতায় চমৎকার ও ব্যতিক্রমী একটি খাবার হতে পারে চিজ চিকেন ফিঙ্গার।

মুচমুচে, সুস্বাদু এই নাশতা পরিবারের ছোট-বড় সবারই পছন্দ হবে। তাই ঘরেই সহজ উপায়ে এটি তৈরি করতে পারবেন।

চলুন, জেনে নেওয়া যাক কিভাবে তৈরি করবেন এই স্ন্যাকস, সেই প্রণালি—

আরো পড়ুন
অতিথি আপ্যায়নে রাখুন ভিন্ন স্বাদের কিছু মিষ্টান্ন

অতিথি আপ্যায়নে রাখুন ভিন্ন স্বাদের কিছু মিষ্টান্ন

 

আপ্যায়নে

উপকরণ

  • মুরগির মাংসের কিমা– ৫০০ গ্রাম
  • কর্নফ্লাওয়ার– ২ টেবিল চামচ
  • ধনিয়া পাতা কুঁচি– ২ টেবিল চামচ
  • গোলমরিচ গুঁড়া– ১/২ চা চামচ
  • লালমরিচ গুঁড়া– ১/২ টেবিল চামচ
  • আদা বাটা– ১ চা চামচ
  • রসুন বাটা– ১ চা চামচ
  • ডিম– ২টি
  • অলিভ অয়েল– ২ টেবিল চামচ
  • ময়দা– ১ কাপ
  • ব্রেডক্রাম্ব– ১ কাপ
  • মোজারেলা চিজ কুঁচি– ১ কাপ
  • লবণ– স্বাদমতো
  • তেল– পরিমাণমতো
আরো পড়ুন
ঈদে হরেক পদের সেমাইয়ের রেসিপি

ঈদে হরেক পদের সেমাইয়ের রেসিপি

 

প্রস্তুত প্রণালি

প্রথমে ৫০০ গ্রাম হাড়ছাড়া মুরগির মাংস মিহি করে কেটে নিন। মিহি মাংসের সঙ্গে রসুন বাটা, আদা বাটা, গোলমরিচ গুঁড়া, লালমরিচ গুঁড়া, কর্নফ্লাওয়ার, ধনিয়া পাতা কুঁচি, মোজারেলা চিজ কুঁচি ও লবণ মিশিয়ে ভালো করে মেখে নিন।

হাতে ও বোর্ডে অলিভ অয়েল লাগিয়ে কিমা থেকে আঙুলের মতো লম্বা আকারের ফিঙ্গার বানিয়ে নিন। ময়দায় চিকেন ফিঙ্গারগুলো গড়িয়ে নিন।

একটি পাত্রে ডিম ফেটে নিন, এতে ১/২ চা চামচ লবণ ও ১/২ চা চামচ লালমরিচ গুঁড়া মিশিয়ে দিন।

চিকেন ফিঙ্গারগুলো প্রথমে ডিমের মিশ্রণে, পরে ব্রেডক্রাম্বে মাখিয়ে নিন। সবগুলো তৈরি হলে ট্রেতে সাজিয়ে ৩০ মিনিটের জন্য ফ্রিজে রাখুন। একটি প্যানে পর্যাপ্ত পরিমাণ তেল গরম করে ফ্রিজ থেকে বের করা চিকেন ফিঙ্গারগুলো বাদামি রং হওয়া পর্যন্ত ভেজে নিন। হয়ে গেলে গরম গরম পরিবেশন করুন টমেটো কেচাপ বা প্রিয় সসের সঙ্গে।

আরো পড়ুন
চিনি খাওয়া এতটা খারাপ কেন

চিনি খাওয়া এতটা খারাপ কেন

 

মুচমুচে চিজ চিকেন ফিঙ্গার ঈদ আপ্যায়নে মেহমানদের সামনে রাখতে পারেন। আড্ডায় মুখ পুরে খেতে খুব ভালো লাগবে। ছোট-বড় সবাই মজা করে উপভোগ করবে। স্বাস্থ্যকর উপায়ে বাসায় তৈরি করা এই খাবার পরিবারের সবাইকে খাওয়ান নিশ্চিন্তে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ