<p>গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে যেভাবে মামলা হচ্ছে, সেগুলো ছাত্র আন্দোলনের ফসলকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে বলে মন্তব্য করেছেন আইনজীবী সারা হোসেন। </p> <p>তিনি বলেছেন, ‘এ ধরনের মামলা লিখলে কাজ হবে না, টিকবে না। প্রথম ধাপও পার হতে পারবে না। এটা বন্ধ করতে হবে।’</p> <p>শনিবার (২৫ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) কার্যালয়ে এক নাগরিক সংলাপে সারা হোসেন এসব কথা বলেন। ‘সিভিল রিফর্ম গ্রুপ-বাংলাদেশ ২.০’-এর উদ্যোগে এই নাগরিক সংলাপের আয়োজন করা হয়।</p> <p>বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) অবৈতনিক নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন বলেন, ‘বিগত দুই সপ্তাহ ধরে নানা ধরনের মামলা দেখা যাচ্ছে। কোনোটিতে ৩০, ৪০ ও ৫০ জনের বেশি করে আসামি। অনেকের রাগ ও ক্ষোভ থাকতে পারে। কিন্তু এ ধরনের মামলা লিখলে কাজ হবে না, টিকবে না। প্রথম ধাপই পার হতে পারবে না। মামলাগুলো আন্দোলন ও আন্দোলনের ফসলকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এটা বন্ধ করতে হবে।’</p> <p>তিনি বলেন, ‘এই মামলা কি পুলিশ করছে? সৎভাবে করছে? বুঝে করছে?’ মামলার এজাহার ক্ষোভ ঝাড়ার জায়গা নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।</p> <p>সারা হোসেন বলেন, ‘ব্রিটিশ আমলের মানহানি আইনে এখনো মামলা হচ্ছে এবং কিছুদিন ধরে তা আবার দেখা যাচ্ছে। নতুন স্বাধীনতায় ব্রিটিশ আমলের আইন টেনে আনা হচ্ছে। এটা দুঃখজনক।</p> <p>কোটা সংস্কার আন্দোলন ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে অন্তত ৮০ জন শিশু নিহত হয়েছে জানিয়ে সারা হোসেন বলেন, ‘এই শিশুদের নিহত হওয়ার ভিডিও ফুটেজ যদি কারো কাছে থাকে, সেগুলো সংগ্রহ করে মামলায় সাক্ষ্য-প্রমাণ হিসেবে এগোতে হবে। আদালতকে সুযোগ দিতে হবে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য। পাশাপাশি দ্রুত বিচার আইন ছাড়া এ অভ্যুত্থানে নিহত ব্যক্তিদের বিচারের মামলা কার্যক্রম সঙ্গে সঙ্গে পরিচালনার জন্য আদালত থেকে নির্দেশ আসতে হবে। তাহলে নিঃশ্বাস ফেলা যাবে এবং দেশ গঠনের কাজে নামা যাবে।’<br />  </p>