<p>বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, মারপিট ও ছুরিকাঘাতে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আজিজুল ইসলামসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সমন্বয়ক মিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। সোমবার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল আলম।</p> <p>মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- পৌরসভার সাবদিয়া এলাকার দবির হোসেনের ছেলে কবির হোসেন, বাবলু গাজীর ছেলে টিপু সুলতান, ব্রহ্মকাটি এলাকার মৃত রফিক খন্দকারের ছেলে শরিফুল ইসলাম, জহর মোড়লের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন, আলতাপোল এলাকার মৃত জাহাঙ্গীর কবিরের ছেলে সৌরভ হোসেন, বালিয়াডাঙ্গা এলাকার মো. হাসান, খতিয়াখালি গ্রামের অধ্যায়িত দাসের ছেলে শ্রীকান্ত দাস, ব্যাসডাঙ্গা গ্রামের নিজামউদৌলার ছেলে তানজিম ও পারভেজ, ব্রহ্মকাটি এলাকার লতিফ গাজীর ছেলে তরিকুল ইসলাম, লক্ষ্মীনাথকাটি গ্রামের আলাউদ্দিন দফতরীর ছেলে তরিকুল ইসলাম, ব্রহ্মকাটি এলাকার তবিবার রহমানের ছেলে তুষার, আব্দুর রহমানের ছেলে জামির হোসেন, বালিয়াডাঙ্গা এলাকার রাজার ছেলে আশিক, পাথরা গ্রামের হালিমের ছেলে পারভেজ, শহরের সাহাপাড়া এলাকার কার্তিক সাহার ছেলে প্রান্ত সাহা, বালিয়াডাঙ্গা এলাকার দীপু দাসের ছেলে সুজন দাস, মাগুরাডাঙ্গা গ্রামের মারুফ হোসেন ও চিংড়া গ্রামের তুহিন রেজাসহ অজ্ঞাতনামা ২০-৩০ জন।</p> <p>মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ৪ আগস্ট দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলা করেন আসামিরা। হামলায় অহিদুর রহমান অন্তু, আব্দুল হালিম অটল, সাহেদ আলী, মাছুম, মিরাজ ও পলাশ আহত হন।</p> <p>বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মিরাজুল ইসলাম ও অপর আহতরা চিকিৎসা শেষে কিছুটা সুস্থ হয়ে এই মামলা করেছেন। মামলার এজহার নামীয় সাবদিয়া এলাকার কবির হোসেন পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, টিপু সুলতান যশোর জেলা পরিষদের সদস্য, ব্রহ্মকাটি এলাকার আব্দুল্লাহ আল মামুন উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান।</p> <p>এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল আলম বলেন, সাবেক সংসদ সদস্য আজিজুল ইসলামসহ ২০ জনের নামে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, মারপিট ও ছুরিকাঘাতে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে।</p>