দুদকের মামলায় জামিন পাননি সাবেক খাদ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
দুদকের মামলায় জামিন পাননি সাবেক খাদ্যমন্ত্রী
ছবি: কালের কণ্ঠ

দুর্নীতির দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ রবিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। 

এদিন কারাগারে আটক আসামি সাধন চন্দ্র মজুমদারকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

দুদকের পক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর এ আদেশ দেন। পরে তাকে ফের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গত বছর ৩ অক্টোবর রাতে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে সাধন চন্দ্র মজুমদারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ।

এরপর তাকে রিমান্ডেও নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। এরপর ১৯ ডিসেম্বর সাধন চন্দ্র মজুমদারের বিরুদ্ধে ২৫ কোটি ৩৪ লাখ ৬৬ হাজার ২৬৮ টাকার টাকার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণভাবে অর্জনপূর্বক ভোগদখলে রেখেছেন এই অভিযোগে মামলা দায়ের করেন দুদকের সহকারি পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া। গত ২৯ জানুয়ারি তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বিএনপি নেতা মীর নাছির-হেলাল উদ্দিনের সাজা স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
বিএনপি নেতা মীর নাছির-হেলাল উদ্দিনের সাজা স্থগিত
সংগৃহীত ছবি

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন ও তার ছেলে মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনকে আপিলের অনুমতি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

আজ রবিবার (১৬ মার্চ) হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে তাদের লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) মঞ্জুর করে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

প্রায় ২৬ বছর আগে বিচারিক আদালত মীর নাছিরকে ১৩ বছর ও মীর হেলালকে তিন বছরের সাজা দিয়েছিলেন। এর এক যুগ পর ২০১৯ সালে হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের সাজা বহাল রেখে রায় দেন।

আপিল বিভাগ এই রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

আরো পড়ুন
বিদেশিদের নিয়ে এবারো থাকছে ইত্যাদি’র জমকালো আয়োজন

বিদেশিদের নিয়ে এবারও থাকছে ইত্যাদির জমকালো আয়োজন

 

আদালতে লিভ টু আপিলের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রাগিব রউফ চৌধুরী। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসিফ হাসান।

আদেশর পর রাগিব রউফ চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আপিল নিষ্পত্তি পর্যন্ত হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়েছে।

২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মীর নাছির। ওই বছর মার্চে মীর নাছির ও তার ছেলে মীর হেলালের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করে দুদক। কমিশনে জমা দেওয়া সম্পদের হিসাব বিবরণীতে তথ্য গোপন ও ঘোষিত আয়ের বাইরে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয় ওই মামলায়।

আরো পড়ুন
সিপিডির বক্তব্যের সঙ্গে আমরা একমত নই : প্রেসসচিব

সিপিডির বক্তব্যের সঙ্গে আমরা একমত নই : প্রেসসচিব

 

পরের মাসেই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন দুদকের তখনকার উপপরিচালক আবদুল্লাহ আল জাহিদ।

সেখানে ৩ কোটি ২২ লাখ ১১ হাজার ৬৩৭ টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপন এবং ২৯ কোটি ২৮ লাখ ৯৫ হাজার ৯৯৭ টাকার অবৈধ সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে। ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক অমর কুমার রায় ২০০৭ সালের ৪ জুলাই এই মামলার রায় দেন।

রায়ে নাছিরকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর বাবার দুর্নীতিতে সহযোগিতার দায়ে হেলালকে ৩ বছরের কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক মাসের জেল দেওয়া হয়। পাশাপাশি অবৈধভাবে অর্জিত দুজনের সব সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করতে সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয় রায়ে।

এই রায়ের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালে হাইকোর্টে আলাদাভাবে আপিল করেন বাবা ও ছেলে।

২০১০ সালের ১০ আগস্ট মীর নাছির এবং একই বছরের ২ অগাস্ট মীর হেলালের সাজা বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এই রায় বাতিল চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করে তারা। ২০১৪ সালের ৪ জুলাই আপিল বিভাগ দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে হাইকোর্টের রায়টি বাতিল করেন। সেই সঙ্গে আপিল বিভাগ হাইকোর্টকে নির্দেশ দেন, বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে বাবা-ছেলের আপিল নতুন করে নিষ্পত্তি করতে।

আরো পড়ুন
সাভারে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের সহযোগী গ্রেপ্তার

সাভারে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের সহযোগী গ্রেপ্তার

 

দীর্ঘ শুনানির পর মীর নাছির ও মীর হেলালের আপিল খারিজ করে ২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর রায় দেন উচ্চ আদালত। এই রায়ে বাবা-ছেলেকে বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজা বহাল রাখা হয়। এরপর এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন ও তাঁর ছেলে মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। সেই আবেদন মঞ্জুর করে হাইকোর্টের দেওয়া সাজা স্থগিত করলেন সর্বোচ্চ আদালত।

মন্তব্য

স্ত্রী-সন্তানসহ পাপনের ২৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
স্ত্রী-সন্তানসহ পাপনের ২৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন, তার স্ত্রী মিসেস রোকসানা হাসান, মেয়ে সুনেয়া রহমান, রুশমিলা রহমান ও ছেলে রাফসান হাসানের নামে থাকা ২৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব হিসাবে ৩৩ কোটি ৭৪ লাখ ৩২ হাজার টাকা রয়েছে। 

রবিবার (১৬ মার্চ) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন
স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অপসারণ দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন

স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অপসারণ দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন

 

এ দিন দুদকের উপ-পরিচালক সাইদুজ্জামান তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, নাজমুল হাসান পাপন ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও সরকারি অর্থ আত্মসাতপূর্বক নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে দেশে বিদেশে বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে। 

গোপন ও বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, নাজমুল হাসান পাপন ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে (কিশোরগঞ্জ, গাজীপুর, ঢাকা এলাকা ছাড়াও অন্যান্য এলাকায়) এবং দেশের বাইরে- যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ অন্যান্য দেশে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্টরা তাদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর করার চেষ্টা করছেন।

সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এসব ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।

মন্তব্য

মদন পৌরসভার সাবেক মেয়রসহ পাঁচজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
মদন পৌরসভার সাবেক মেয়রসহ পাঁচজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
সংগৃহীত ছবি

নেত্রকোনার মদন পৌরসভার সাবেক মো. আব্দুল হান্নান তালুকদার, তার স্ত্রী খুশনো চৌধুরী, তিন ছেলে মুজিবুল হাসান খালেদা, রেজয়ানুল হাসান ইমন এবং আবরার হাসানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। রবিবার (১৬ মার্চ) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুদকের উপসহকারী পরিচালক আল আমিন তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেছিলেন। আবেদনে বলা হয়, আব্দুল হান্নান তালুকদার ও তার অন্যান্য আত্মীয় স্বজনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক হাট বাজার ইজারার অর্থ লোপাট, টেন্ডার বাণিজ্য, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতপূর্বক নিজের নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে।

 

আরো পড়ুন
প্রশ্ন ফাঁসের মূল হোতা জসিমের ৬ তলা বাড়িসহ ১২ বিঘা জমি জব্দের আদেশ

প্রশ্ন ফাঁসের মূল হোতা জসিমের ৬ তলা বাড়িসহ ১২ বিঘা জমি জব্দের আদেশ

 

অনুসন্ধানের বিষয়টি রাষ্ট্রের স্বার্থে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ। অনুসন্ধানকালে গোপন সূত্রে জানা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্টরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া প্রয়োজন।


 

মন্তব্য

প্রশ্ন ফাঁসের মূল হোতা জসিমের ৬ তলা বাড়িসহ ১২ বিঘা জমি জব্দের আদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
প্রশ্ন ফাঁসের মূল হোতা জসিমের ৬ তলা বাড়িসহ ১২ বিঘা জমি জব্দের আদেশ
সংগৃহীত ছবি

মেডিক্যাল ও ডেন্টালের প্রশ্ন ফাঁসের মূল হোতা জসিম উদ্দিন ভূইয়া মুন্নুর মিরপুরের ছয়তলা বাড়িসহ ১২ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর থানাধীন এলাকায় থাকা ওই জমির মূল্য ২ কোটি ৯৮ লাখ ৩০ হাজার ৭৪৩ টাকা।

আজ রবিবার (১৬ মার্চ) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। 

আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুদকের উপপরিচালক কে এম আসাদুজ্জামান জব্দের আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, জসিম উদ্দিন ভূইয়া মুন্নুর বিরুদ্ধে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ২৯ লাখ ৮১ হাজার ৩৩৩ টাকার সম্পদ প্রদর্শন না করে তা গোপন করা হয়। মিথ্যা তথ্য প্রদান এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ২ কোটি ২০ লাখ ২০ হাজার ৭০৯ টাকার সম্পদ অবৈধ উপায়ে অর্জনপূর্বক নিজ ভোগদখলে রেখে এবং অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের প্রকৃত উৎসের তথ্য গোপন করেন। এ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের প্রকৃত তথ্য আড়াল করে সম্পদ হস্তান্তর, রূপান্তর বা স্থানান্তরের মাধ্যমে বৈধ করণের চেষ্টা করার অপরাধে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬ (২) ও ২৭(১) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ৬৪(৩) ধারায় মামলা করা হয়।

তদন্তকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, আসামি তার অবৈধভাবে অর্জিত স্থাবর সম্পদসমূহ বিক্রি/হস্তান্তর করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

যা মামলাটির সুষ্ঠু তদন্ত ও মামলা প্রমাণের ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। আসামিদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট স্থাবর সম্পদসমূহ জব্দ করা একান্ত আবশ্যক।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ