জুমার দিনের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ আমল

সানা উল্লাহ মুহাম্মাদ কাউসার
সানা উল্লাহ মুহাম্মাদ কাউসার
শেয়ার
জুমার দিনের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ আমল
মালাক্কা স্ট্রেইটস মসজিদ, মালয়েশিয়া। ছবি : সংগৃহীত

ইসলামে জুমার দিনকে সপ্তাহের সেরা দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেন, দিবসগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো জুমার দিন এবং তা আল্লাহর কাছে বেশি সম্মানিত। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১০৮৪,  তিরমিজি, হাদিস : ১০৮৪)

আর তাই এই দিনে বেশ কিছু চমৎকার আমলের কথা কোরআন-হাদিসে পাওয়া যায়, যথা:

১. আগেভাগে মাসজিদে গমন করা

মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনরা! জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে দ্রুত ছুটে যাও এবং বেচাকেনা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্য কল্যাণকর যদি তোমরা উপলব্ধি করতে পারো।

’ (সুরা : জুমুআ, আয়াত : ০৯)

২. হাদিসে বর্ণিত ১৭টি বিশেষ নির্দেশনা মেনে চলা

ক. গোসল করা, (বুখারি, হাদিস : ৮৭৭, ৮৭৮, ৮৮০, ৮৯৭,৮৯৮)

খ. মিসওয়াক করা, (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১০৯৮, বুখারি, হাদিস : ৮৮৭)

গ. উত্তম পোশাক পরিধান করা, (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১০৯৭, আবু দাউদ, হাদিস : ৩৪৩)

ঘ. সুগন্ধি ব্যবহার করা, (বুখারি, হাদিস : ৮৮০)

ঙ. মসজিদে প্রবেশের পর অন্য মুসল্লিদের ফাঁক করে বা গায়ের ওপর দিয়ে টপকে সামনের দিকে না যাওয়া, (বুখারি, হাদিস : ৯১০, ৮৮৩)

চ. কাউকে উঠিয়ে দিয়ে সেখানে বসার চেষ্টা না করা, (বুখারি, হাদিস : ৯১১)

ছ. সালাতের জন্য কোনো একটা জায়গাকে নির্দিষ্ট করে না রাখা, যেখানে যখন জায়গা পাওয়া যাবে সেখানেই সালাত আদায় করা, (আবু দাউদ, হাদিস : ৮৬২)

জ. নির্ধারিত নামাজ আদায় করা। এমনকি ফরজ সালাতের আগে ও পরে দুই-চার রাকাত করে নফল সালাত আদায় করা, (বুখারি, হাদিস : ৯৩০)

ঝ. গায়ে তেল (লোশন) ব্যবহার করা, (বুখারি : ৮৮৩)

ঞ. পায়ে হেঁটে মসজিদে গমন করা, (মুসলিম, হাদিস : ১৪০০)

ট. মসজিদে যাওয়ার আগে কাঁচা পেঁয়াজ, রসুন না খাওয়া ও ধূমপান না করা, (বুখারি, হাদিস : ৮৫৩)

ঠ. ঘুমের ভাব বা তন্দ্রাচ্ছন্ন হলে বসার জায়গা পরিবর্তন করে বসা, (আবু দাউদ, হাদিস : ১১১৯)

ড. ইমামের খুতবা দেওয়া অবস্থায় দুই হাঁটু উঠিয়ে না বসা, (আবু দাউদ, হাদিস : ১১১০)

ঢ. খুতবার সময় ইমামের কাছাকাছি বসা, (আবু দাউদ, হাদিস : ১১০৮)

ণ. এতটুকু জোরে আওয়াজ করে কোনো কিছু না পড়া বা তিলাওয়াত না করা, যাতে অন্যের সালাত ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা মনোযোগে বিঘ্ন ঘটে। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৩৩২)

ত. ইমামের খুতবার জন্য বের হওয়া থেকে সালাত শেষ করা পর্যন্ত নীরবতা অবলম্বন করা। তবে কাউকে কথা বলতে দেখলে তাকে চুপ করতে বা বারণ করতে বলাও বেহুদা কাজ।

(আবু দাউদ, হাদিস : ১১১২)

থ. বেশি বেশি প্রার্থনা (দোয়া) করা। (বুখারি, হাদিস : ৯৩৫)

উক্ত কাজগুলো যথাযথ পালনের মাধ্যমে একজন ব্যক্তির জন্য এই জুমা ও তার পূর্ববর্তী জুমার মধ্যবর্তী সব গুনাহের কাফফারা হয়ে যাবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৪৩)

৩. দরুদ পড়া

জুমার দিন বেশি বেশি দরুদ পাঠ করার ব্যাপারে রাসুল (সা.)-এর নির্দেশনা রয়েছে। তোমরা জুমার দিনে আমার ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো, কেননা তোমাদের পাঠকৃত দরুদ আমার সামনে পেশ করা হয়।

(আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৭)

৪. সুরা কাহফ তিলাওয়াত করা

রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা আল কাহফ পড়বে, তার (ঈমানের) নূর এ জুমা থেকে আগামী জুমা পর্যন্ত চমকাতে থাকবে। (সহিহ আত-তারগিব, হাদিস : ৭৩৬)

৫. বেশি বেশি ইস্তেগফার করা

এই দিন বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং দোয়া করা উচিত। হাদিসে এসেছে, ‌জুমার দিনে এমন একটা সময় আছে, যে সময়ে কোনো মুমিন বান্দা আল্লাহর কাছে ভালো কোনো কিছু প্রার্থনা করলে অবশ্যই আল্লাহ তাকে তা দান করবেন। (বুখারি, হাদিস : ৯৫৩)

মহান রব আমাদের জুমার দিনের উপরোক্ত বিশেষ আমল করার মাধ্যমে তাকওয়া ও দ্বিনের অনুসরণের তাওফিক দান করুক, আমিন।

লেখক : শিক্ষক ও ধর্মীয় গবেষক

টেকনাফ, কক্সবাজার।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

আল্লাহর ভালোবাসা লাভের আমল

মাইমুনা আক্তার
মাইমুনা আক্তার
শেয়ার
আল্লাহর ভালোবাসা লাভের আমল

বান্দার সৌভাগ্যের মূল ভিত্তি হলো, আল্লাহর ভালোবাসা। যার অন্তরে মহান আল্লাহর ভালোবাসা আছে, তার আত্মা প্রশান্ত হয়। তার অন্তরে হিদায়াতের আলো প্রজ্বলিত হয়। তার দুনিয়া ও আখিরাত সাফল্যমণ্ডিত হয়।

তাই তো নবীজি (সা.) মহান আল্লাহর ভালোবাসা বৃদ্ধির দোয়া করতেন। তিনি দোয়া করতেন—‘হে আল্লাহ! আমি আপনার ভালোবাসা, আপনার প্রেমিকদের ভালোবাসা এবং সেই আমলের ভালোবাসা চাই, যা আমাকে আপনার মহব্বতের নিকটবর্তী করবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩২৩৫)

কারণ আল্লাহ যখন কোনো বান্দাকে ভালোবাসে তখন আসমানের অধিবাসীরাও তাকে ভালোবাসতে শুরু করে। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা যদি কোনো বান্দাকে ভালোবাসেন তখন জিবরাইল (আ.)-কে ডাক দেন এবং বলেন, নিশ্চয়ই আমি অমুক লোককে ভালোবাসি, তুমিও তাকে ভালোবাস।

তিনি বলেন, তখন জিবরাইল (আ.) তাকে ভালোবাসেন। অতঃপর তিনি আকাশমণ্ডলীতে ঘোষণা দিয়ে বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ অমুক লোককে ভালোবাসেন, সুতরাং আপনারাও তাকে ভালোবাসুন। তখন আকাশবাসীরা তাকে ভালোবাসে। তিনি বলেন, এরপর দুনিয়াতে তাকে নন্দিত, সমাদৃত করা হয়।
(মুসলিম, হাদিস : ৬৫৯৮)

এই হাদিসটি দেখলে পবিত্র কোরআনের সেই আয়াতটি মনে পড়ে যায়, যেখানে আল্লাহ বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই যারা ঈমান আনে এবং সত্ কাজ করে, পরম করুণাময় অবশ্যই তাদের জন্য (বান্দাদের হৃদয়ে) ভালোবাসা সৃষ্টি করবেন।’ (সুরা : মারইয়াম, আয়াত : ৯৬)

বর্তমান যুগে চারদিকে ফিতনা ছড়িয়ে পড়েছে, মানুষের মধ্যে গাফিলতি জেঁকে বসেছে, দুনিয়াবি আকর্ষণে মানুষের মনে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। তাই আমাদের উচিত আল্লাহর দিকে ফিরে যাওয়া এবং তাঁর মহব্বত অর্জনের উপায় অনুসন্ধান করা।

নিম্নে আল্লাহর ভালোবাসা অর্জনের কিছু উপায় তুলে ধরা হলো—

কোরআন তিলাওয়াত : পবিত্র কোরআনের তিলাওয়াত এবং তা নিয়ে গবেষণা মানুষকে কল্যাণের দিকে ধাবিত করে। তাই আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা বাড়াতে বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত করা যেতে পারে।

পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘এটি একটি কল্যাণময় কিতাব, তোমার কাছে অবতীর্ণ করেছি, যাতে তারা এর আয়াতগুলোর প্রতি চিন্তা-ভাবনা করে, আর জ্ঞান-বুদ্ধিসম্পন্ন লোকেরা উপদেশ গ্রহণ করে থাকে।’ (সুরা : সোয়াদ, আয়াত : ২৯)

ফরজ ইবাদতের পাশাপাশি নফল আমল করা : আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ বলেন, ...আমার বান্দা সর্বদা নফল ইবাদত দ্বারা আমার নৈকট্য লাভ করতে থাকবে। এমনকি অবশেষে আমি তাকে আমার এমন প্রিয় পাত্র বানিয়ে নিই যে আমিই তার কান হয়ে যাই, যা দিয়ে সে শোনে...। (বুখারি, হাদিস : ৬৫০২)

নিজের ইচ্ছার চেয়ে আল্লাহর ইচ্ছাকে অগ্রাধিকার দেওয়া : নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘তিনটি জিনিস যার মধ্যে পাওয়া যায়, সে ঈমানের স্বাদ আস্বাদন করবে—(১) আল্লাহ ও তাঁর রাসুল তার কাছে সর্বাধিক প্রিয় হওয়া, (২) কাউকে কেবল আল্লাহর জন্য ভালোবাসা, (৩) কুফরে ফিরে যাওয়া এতটাই অপছন্দ করা, যেমন—আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়া অপছন্দ করে।’ (বুখারি, হাদিস : ১৬)

আল্লাহর সুন্দর নাম ও গুণাবলি সম্পর্কে জানা : আল্লাহর গুণবাচক নাম সম্পর্কে জানা এবং সেগুলোর অর্থ ও গুরুত্ব অনুধাবনের চেষ্টা করা। কেননা মহান আল্লাহ বলেছেন, বান্দাদের মধ্যে কেবল জ্ঞানীরাই আল্লাহকে ভয় করে। (সুরা : ফাতির, আয়াত : ২৮)

আল্লাহর অসংখ্য নিয়ামতের কথা স্মরণ করা : কারণ আমাদের যা কিছু আছে, সব তাঁরই দেওয়া, ভালোবাসার উপযুক্ত একমাত্র তিনিই। ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের কাছে যে কোনো নিয়ামত আছে, তা আল্লাহর পক্ষ থেকে।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ৫৩)

আল্লাহওয়ালাদের সাহচর্য গ্রহণ করা : রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মানুষ তার বন্ধুর ধ্যান-ধারণার অনুসরণ করে থাকে, তাই তোমাদের প্রত্যেককে দেখা উচিত কাকে সে বন্ধু বানাচ্ছে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৩৭৮)

মন্তব্য

বার্ধক্যের কারণে রোজা রাখতে না পারলে করণীয়

মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ
মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ
শেয়ার
বার্ধক্যের কারণে রোজা রাখতে না পারলে করণীয়

যেসব নারী-পুরুষ অতিশয় বার্ধক্যের কারণে দুর্বল বা অসুস্থ হয়ে মৃত্যুশয্যায় উপনীত, তাদের জন্য রোজা না রাখা বৈধ।

আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘হে মুমিনরা, তোমাদের ওপর সিয়াম ফরজ করা হয়েছে, যেভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর, যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করতে পারো। নির্দিষ্ট কয়েক দিন। তবে তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ থাকবে কিংবা সফরে থাকবে, তাহলে অন্যান্য দিনে সংখ্যা পূরণ করে নেবে।

আর যাদের জন্য তা কষ্টকর হবে, তাদের কর্তব্য ফিদিয়া তথা একজন দরিদ্রকে খাবার প্রদান করা। অতএব, যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় অতিরিক্ত সত্ কাজ করবে, তা তার জন্য কল্যাণকর হবে। আর সিয়াম পালন তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা জানতে।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ১৮৩-১৮৪)

মাসআলা : রোজা রাখতে অক্ষম বৃদ্ধ ব্যক্তি রোজার পরিবর্তে ফিদিয়া আদায় করবেন।

(কামুসুল ফিকহ : ৪/৪৫০)

বৃদ্ধের সংজ্ঞা এভাবে দেওয়া হয়েছে, এই পরিমাণ বৃদ্ধ যে তার মধ্যে একেবারে ক্ষমতা নেই এবং মৃত্যুর নিকটবর্তী পৌঁছে গেছে, বয়সের কোনো সীমা নেই। শক্তি থাকা এবং না থাকাটাই বিবেচ্য। যতক্ষণ পর্যন্ত রোজা রাখতে পারে যদিও না কি কষ্টের সঙ্গে হয়, রোজা রাখবে। কাজা রোজা ধারাবাহিকভাবে রাখা প্রয়োজন নেই।

পৃথক করে রাখবে ফিদিয়া দেওয়া ওই সময় পর্যন্ত যথেষ্ট নয়; যতক্ষণ পর্যন্ত একেবারে রোজা রাখার ক্ষমতা হারিয়ে না ফেলে, কোনোভাবেই রোজা রাখতে পারে না।

রোজার ফিদিয়ার পরিমাণ

রোজার ফিদিয়া হচ্ছে, একজন মিসকিনকে দুই বেলা ভরপেট খাবার খাওয়ানো। মালেকি, শাফেয়ি ও হাম্বলি মাজহাবের বেশির ভাগ আলেমের মতে, খাদ্যদানের মাধ্যমে রোজার ফিদিয়া আদায় করবে।

তবে হানাফি মাজহাব মতে, খাবারের পরিবর্তে প্রতি রোজার জন্য সদকাতুল ফিতর পরিমাণ দ্রব্য বা মূল্য দিলেও ফিদিয়া আদায় হয়ে যাবে।

সদকাতুল ফিতিরের পরিমাপ হলো এক কেজি ৬৫০ গ্রাম গম, আটা বা তার মূল্য অথবা তিন কেজি ২৭০ গ্রাম জব, খেজুর, পনির ও কিশমিশ বা তার মূল্য গরিবকে দান করা।

(রদ্দুল মুহতার : ৫/১৪৪)

মাসআলা : ফিদিয়া আদায় করার পর সুস্থ হলে ভাঙা রোজাগুলো কাজা করতে হবে। আগের ফিদিয়া প্রদান যথেষ্ট হবে না। তবে ফিদিয়া আদায়ের কারণে তার সওয়াব আমলনামায় থেকে যাবে। (রদ্দুল মুহতার : ৩/৪৬৫)

মাসআলা : ফিদিয়া আদায় করার মতো কোনো সম্পদ না থাকলে তাওবা-ইস্তিগফার করবে। সেই সঙ্গে এই নিয়ত রাখা যে ‘আল্লাহ তাআলা সচ্ছলতা দান করলে ফিদিয়া আদায় করে দেব।’ অসচ্ছল অবস্থায় মারা গেলে আশা করা যায়, আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দেবেন। কারণ সাধ্যের বাইরে বান্দার ওপর আল্লাহ কোনো কিছু চাপিয়ে দেন না। (আহসানুল ফাতাওয়া : ৪/৪৪৯, আপকে মাসায়েল : ৪/৬০২)

মাসআলা : প্রশ্ন—রমজান মাসের ফিদিয়ার টাকা যদি রমজান আসার আগেই অগ্রিম দেওয়া হয়, তাহলে কি ঠিক হবে?

উত্তর : রমজান শুরু হওয়ার আগে ফিদিয়া দেওয়া ঠিক নয়। রমজান শুরু হওয়ার পর দেবে। রমজান মাস শুরু হওয়ার পর বাকি সামনের দিনের ফিদিয়াও একসঙ্গে দিতে পারবে। এর বিপরীতে সদকায়ে ফিতর রমজান মাস আসার আগেও দেওয়া বৈধ; বরং কয়েক বছরের সামনের ফিতরও দিতে পারবে। (আহসানুল ফাতাওয়া : ৪/৪৩৬)

মাসআলা : জাকাতযোগ্য খাতে ফিদিয়া দিতে হবে। (রাদ্দুল মুহতার : ২/৭৯, ৮৫৪)

মাসআলা : ফিদিয়ার অর্থ কোনো এতিমখানায় প্রদান করা যাবে। নাবালেগ নিঃস্ব এতিমের পেছনে ব্যয় করার জন্য তার অভিভাবককে অর্থ দেওয়া জায়েজ আছে। (ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম : ৬/২৫৮, রাদ্দুল মুহতার : ২/৮৫)

 

মন্তব্য

সবচেয়ে লম্বা সময় রোজা রাখছেন যেসব দেশের মুসলিমরা

ইসলামী জীবন ডেস্ক
ইসলামী জীবন ডেস্ক
শেয়ার
সবচেয়ে লম্বা সময় রোজা রাখছেন যেসব দেশের মুসলিমরা
সংগৃহীত ছবি

মহিমান্বিত রমজান মাসে রোজা পালন করছেন বিশ্বের শত কোটি মুসলিম। সৌর বর্ষপঞ্জির হিসাবের বিবেচনায় চান্দ্রবর্ষপঞ্জিতে প্রতিবছর ১০ থেকে ১২ দিন কম হওয়ায় রোজার সময়সীমায় পরিবর্তন হয়। আর প্রতি ৩০ বছরের মধ্যে গ্রীষ্ম ও শীত মৌসুমের মধ্যে রমজান মাস ঘূর্ণায়মান থাকে। মূলত অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ এবং নিরক্ষরেখা থেকে দেশের অবস্থান অনুসারে রোজার সময়সীমায় এ তারতম্য হয়।

সবচেয়ে বেশি সময় রোজা রাখবেন যারা

এবার সবচেয়ে বেশি সময় রোজা রাখবেন গ্রিনল্যান্ডের নুউক ও আইসল্যান্ডের রেকজাভিক অঞ্চলের মুসলিমরা। তারা প্রায় ১৭ ঘণ্টা বা তার চেয়ে বেশি সময় রোজা রাখছেন। তা ছাড়া ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি, সুইডেনের স্টকহোম, স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো, কানাডার অটোয়া শহরের মুসলিমরা প্রায় ১৭ ঘণ্টা রোজা রাখছেন। 

যুক্তরাজ্যের লন্ডন, ফ্রান্সের প্যারিসের মুসলিম বাসিন্দারা ১৬ থেকে ১৭ ঘণ্টা রোজা রাখছেন।

এদিকে সুইজারল্যান্ডের জুরিখ, ইতালির রোম, স্পেনের মাদ্রিদ শহরের বাসিন্দারা প্রায় ১৫ ঘণ্টা রোজা রাখছেন।

সবচেয়ে কম সময় রোজা রাখবেন যারা

এবার সবচেয়ে কম সময় রোজা রাখছেন চিলির পুয়ের্তো মন্ট ও নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে অবস্থানরত মুসলিমরা। তারা ১২ ঘণ্টা বা এর চেয়ে বেশি সময় রোজা রাখবেন।

এদিকে আর্জেন্টিনার বুয়েনেস এইরেস ও দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের মুসলিমরা ১১ থেকে ১২ ঘণ্টা সময় রোজা রাখছেন।

ব্রাজিলের ব্রাসিলিয়া, প্যারাগুয়ে, উরুগুয়ে ও জিম্বাবুয়ের হারারে শহরের মুসলিমরা ১২ থেকে ১৩ ঘণ্টা রোজা রাখবেন।

সূত্র : আলজাজিরা

মন্তব্য
প্রতিদিনের আমল

শয়তানের প্ররোচনা থেকে মুক্তির দোয়া

ইসলামী জীবন ডেস্ক
ইসলামী জীবন ডেস্ক
শেয়ার
শয়তানের প্ররোচনা থেকে মুক্তির দোয়া

শয়তান মানুষকে নানাভাবে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এজন্য সব সময় আল্লাহর কাছে শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে আশ্রয় চাওয়া উচিত। পবিত্র কোরআনে এমনি একটি দোয়া বর্ণিত হয়েছে। তা হলো-

رَبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ هَمَزَتِ الشَّيْطِينِ وَ أَعُوذُ بِكَ رَبِّ أَنْ يَحْضُرُونِ

উচ্চারণ : রব্বি আউযুবিকা মিন হামাযাতিশ শায়াতিন, ওয়া আউযুবিকা রব্বি আনইয়াহযুরুন।

অর্থ : হে আমার রব, আমি শয়তানদের প্ররোচনা থেকে আপনার আশ্রয় চাই। হে আমার রব, আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই, যাতে তারা আমার কাছেও আসতে না পারে। (সুরা মুমিনুন, আয়াত : ৯৭-৯৮)
 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ